আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭১০
আন্তর্জাতিক নং: ৭১০
সফরে রোযা পালন পছন্দনীয় নয়।
৭০৮. কুতায়বা (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (রমযান মাস) মক্কা বিজয় বছরে যখন মক্কার দিকে বের হন, তখন কুরাউল -গামীম নামক স্থানে পৌঁছা পর্যন্ত রোযা পালন করেন। লোকেরা ও তাঁর সঙ্গে রোযা পালন করেন। তখন তাকে বলা হল; লোকদের জন্য রোযা পালন করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তারা আপনি কি করেন তার প্রতি তাকিয়ে আছে। তিনি আসরের পর এক পেয়লা পানি চেয়ে আনালেন এবং তা পান করলেন। লোকেরা তখন তাঁর দিকে দেখছিল। তখন কেউ কেউ রোযা ভেঙ্গে ফেলল আর কেউ কেউ রোযাদার রইলো। লোকেরা রোযা পালন করছে এই কথা তাঁর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ এরা হল নাফরমান।

এই বিষয়ে কা’ব ইবনে আমিস, ইবনে আব্বাস ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, জাবির (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান সহীহ। নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, ‘‘তিনি বলেনঃ সফরে রোযা পালনে নেকী নেই’’।

সফর অবস্থায় রোযা পালন সম্পর্কে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। নবী (ﷺ) এর সাহাবী ও অন্যান্যদের মধ্যে কোন কোন আলিমের মত হল সফরে রোযা পালন করতে হবে। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) সফরে রোযা পালন না করার মত গ্রহণ করেছেন। আর কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম বলেন, সফরে যদি শক্তি থাকে এবং রোযা পালন করে তবে তা ভাল এবং তাই উত্তম। আর যদি রোযা পালন না করে তবে তা-ও ভাল। এ হলো, সুফিয়ান সাওরী, মালিক ইবনে আনাস ও আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রাহঃ)-এর অভিমত। ইমাম শাফই (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) এর উক্তি ‘‘সফরে রোযা পালন করার কোন নেকী নেই।’’ এবং যখন নবী (ﷺ) এর এই খবর পৌছল যে কিছু সংখ্যক লোক সফরে রোযা পালন করছে। তখন তিনি বললেনঃ ‘‘এরা নাফরমান।’’ এই হাদীস দুটি সে ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য যার অন্তর আল্লাহ প্রদত্ত অবকাশ গ্রহণ করে না। কিন্তু যে ব্যক্তি সফরে রোযা ভঙ্গ করা মুবাহ্ বলে বিশ্বাস করে এবং রোযা পালনে শক্তি থাকায় সে তা পালন করে, তা আমার কাছে পছন্দনীয়।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ كُرَاعَ الْغَمِيمِ وَصَامَ النَّاسُ مَعَهُ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ شَقَّ عَلَيْهِمُ الصِّيَامُ وَإِنَّ النَّاسَ يَنْظُرُونَ فِيمَا فَعَلْتَ . فَدَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ بَعْدَ الْعَصْرِ فَشَرِبَ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ فَأَفْطَرَ بَعْضُهُمْ وَصَامَ بَعْضُهُمْ فَبَلَغَهُ أَنَّ نَاسًا صَامُوا فَقَالَ " أُولَئِكَ الْعُصَاةُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ كَعْبِ بْنِ عَاصِمٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ الصِّيَامُ فِي السَّفَرِ " . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الْفِطْرَ فِي السَّفَرِ أَفْضَلُ حَتَّى رَأَى بَعْضُهُمْ عَلَيْهِ الإِعَادَةَ إِذَا صَامَ فِي السَّفَرِ . وَاخْتَارَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ الْفِطْرَ فِي السَّفَرِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِنْ وَجَدَ قُوَّةً فَصَامَ فَحَسَنٌ وَهُوَ أَفْضَلُ وَإِنْ أَفْطَرَ فَحَسَنٌ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ الصِّيَامُ فِي السَّفَرِ " . وَقَوْلُهُ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّ نَاسًا صَامُوا فَقَالَ " أُولَئِكَ الْعُصَاةُ " . فَوَجْهُ هَذَا إِذَا لَمْ يَحْتَمِلْ قَلْبُهُ قَبُولَ رُخْصَةِ اللَّهِ فَأَمَّا مَنْ رَأَى الْفِطْرَ مُبَاحًا وَصَامَ وَقَوِيَ عَلَى ذَلِكَ فَهُوَ أَعْجَبُ إِلَىَّ .