আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৪
রমযান মাস আগমনের পূর্বক্ষণে রোযা পালন করবে না।
৬৮১. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রমযান মাস আগমনের একদিন বা দুই দিন পূর্ব থেকে তোমরা (নফল) রোযা পালন করবে না। হ্যাঁ, যদি বা তোমাদের কারো পূর্ব (অভ্যাস অনুসারে) রোযা পালনের দিনে পড়ে যায়, তবে সে দিনের রোযা পালন করতে পার। তোমরা চাঁদ দেখে রোযা পালন এবং চাঁদ দেখেই ইফতার করবে (রোযা ছাড়বে)। যদি (২৯ তারিখে) আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে (ফলে তোমরা চাঁদ দেখতে না পাও) তবে সংখ্যা ত্রিশ পূরা করবে এরপর ইফতার করবে। (রোযা ছাড়বে)। - ইবনে মাজাহ ১৬৫০ ও ১৬৫৫, বুখারি, মুসলিম
এ বিষয়ে কতক সাহবী (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্। হাদীস অনুসার আলিমগণের আমল রয়েছে রমযানের মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে রমযান মাস শুরুর অব্যবহতি পূর্বে রোযা পালন করা মাকরূহ বলে তাঁরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তবে কারো যদি নির্ধারিত কোন দিনে রোযা পালনের পূর্ব অভ্যাস থাকে এবং রমযানের পূর্বের দিন সে দিনে পড়ে তবে এদিনে তার রোযা পালনে তাদের মতে কোন দোষ নাই।
এ বিষয়ে কতক সাহবী (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্। হাদীস অনুসার আলিমগণের আমল রয়েছে রমযানের মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে রমযান মাস শুরুর অব্যবহতি পূর্বে রোযা পালন করা মাকরূহ বলে তাঁরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তবে কারো যদি নির্ধারিত কোন দিনে রোযা পালনের পূর্ব অভ্যাস থাকে এবং রমযানের পূর্বের দিন সে দিনে পড়ে তবে এদিনে তার রোযা পালনে তাদের মতে কোন দোষ নাই।
باب مَا جَاءَ لاَ تَقَدَّمُوا الشَّهْرَ بِصَوْمٍ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَقَدَّمُوا الشَّهْرَ بِيَوْمٍ وَلاَ بِيَوْمَيْنِ إِلاَّ أَنْ يُوَافِقَ ذَلِكَ صَوْمًا كَانَ يَصُومُهُ أَحَدُكُمْ صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَعُدُّوا ثَلاَثِينَ ثُمَّ أَفْطِرُوا " . رَوَى مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ هَذَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا أَنْ يَتَعَجَّلَ الرَّجُلُ بِصِيَامٍ قَبْلَ دُخُولِ شَهْرِ رَمَضَانَ لِمَعْنَى رَمَضَانَ وَإِنْ كَانَ رَجُلٌ يَصُومُ صَوْمًا فَوَافَقَ صِيَامُهُ ذَلِكَ فَلاَ بَأْسَ بِهِ عِنْدَهُمْ .
হাদীস নং:৬৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৫
রমযান মাস আগমনের পূর্বক্ষণে রোযা পালন করবে না।
৬৮২. হান্নাদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রমযান মাস শুরুর একদিন বা দুই দিন পূর্বে তোমরা রোযা পালন করবে না। হ্যাঁ, যদি কেউ এমন হয় যে, সে পূর্ব থেকেই এই রোযা পালন করত, তবে সে তা পালন করতে পারে। - ইবনে মাজাহ ১৬৫০, বুখারি ও মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ لاَ تَقَدَّمُوا الشَّهْرَ بِصَوْمٍ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَقَدَّمُوا شَهْرَ رَمَضَانَ بِصِيَامٍ قَبْلَهُ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَجُلٌ كَانَ يَصُومُ صَوْمًا فَلْيَصُمْهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .