আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮২
রমযান মাসের ফযীলত।
৬৭৯. আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা ইবনে কুরায়ব (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রমযান মাসের প্রথম রাতেই শয়তান ও দুষ্ট জ্বীনদের শৃঙখলাবদ্ধ করে ফেলা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও তখন আর খোলা হয় না; জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও আর বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেনঃ হে কল্যাণকামী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে জাহান্নাম থেকে বহু লোককে মুক্তি দান। প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে। - ইবনে মাজাহ ১৬৪২

এ বিষয়ে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ ইবনে মাসউদ ও সালমান (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ بْنِ كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ. وَفُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَيُنَادِي مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلَّهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَسَلْمَانَ .
হাদীস নং:৬৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৩
রমযান মাসের ফযীলত।
৬৮০. হান্নাদ (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের আশায় রমযান মাসের রোযা পালন করবে এবং (তারাবীহ্, তাহাজ্জুদ ইত্যাদির জন্য) রাত্রি জাগরণ করে, তার পূর্ববতী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের আশায় লায়লাতুল কাদরের (নামায ইত্যাদির জন্য) রাত্রি জাগরণ করে, তার পূর্ববতী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। - ইবনে মাজাহ ১৩২৬, বুখারি ও মুসলিম

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু বকর ইবনে আইয়াস (রাহঃ) সূত্রে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি গরীব। আ’মাশ আবু সালিহ (রাহঃ) সনদে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি সম্পর্কে আবু বকর এর সূত্র ছাড়া আমরা কিছু জানিনা। আমি মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (বুখারী) কে এ হাদীসটি সম্পকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, হাসান ইবনে রাবী’ আবুল আওয়াস, আমাশ, মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে তাঁর বক্তব্য হিসাবে বর্ণিত, রমযান মাসের প্রথম রাতে..... হাদীসের শেষ পর্যন্ত। মুহাম্মাদ (বুখারী) বলেন, আবু বকর ইবনে আইয়াশের তুলনায় আমার নিকট এ সনদটি অধিক সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، وَالْمُحَارِبِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ رِوَايَةِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرٍ .
قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَوْلَهُ " إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ " . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ . قَالَ مُحَمَّدٌ وَهَذَا أَصَحُّ عِنْدِي مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ .