আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাকাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৮
যাকাত আদায় করে দিলে তোমার (সম্পদ) উপর যা কর্তব্য ছিল তা তুমি পূর্ণ করলে।
৬১৮. উমর ইবনে হাফস আশ্-শায়বানী আল্-বসরী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ তুমি যখন তোমার সম্পদের যাকাত আদায় করে দিলে তখন তোমার উপর যা কর্তব্য ছিল তা পূরণ করে দিলে।

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান গরীব। একাধিক সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি যাকাতের আলোচনা করছিলেন। তখন এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এ ছাড়া আমার উপর আরো কিছু কর্তব্য আছে কি? তিনি বললেনঃ না তবে তুমি যদি নফল কিছু করতে চাও (তা হল ভিন্ন ব্যাপার)।
باب مَا جَاءَ إِذَا أَدَّيْتَ الزَّكَاةَ فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ .
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ الشَّيْبَانِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنِ ابْنِ حُجَيْرَةَ، هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُجَيْرَةَ الْمِصْرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَدَّيْتَ زَكَاةَ مَالِكَ فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ ذَكَرَ الزَّكَاةَ . فَقَالَ رَجَلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا فَقَالَ " لاَ إِلاَّ أَنْ تَتَطَوَّعَ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৯
যাকাত আদায় করে দিলে তোমার (সম্পদ) উপর যা কর্তব্য ছিল তা তুমি পূর্ণ করলে।
৬১৯. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কামনা করতাম যদি কোন বুদ্ধিমান গ্রামবাসী আসত এবং আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খেদমতে উপবিষ্ট অবস্থায় যদি সেটাকে কোন বিষয় প্রশ্ন করত। যাহোক, আমরা সেদিন এই অবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ এক গ্রামবাসী আরব সেখানে এসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সামনে হ্যাঁট মুড়ে বসল। বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনার দূত আমাদের কাছে এসেছে; এবং আমাদের বলেছে যে, আপনি নাকি বলেন যে, আল্লাহ আপনাকে রাসূল হিসাবে পাঠিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বলল, কসম সে সত্তার যিনি আকাশকে করেছেন সুঠাম, যমীনকে করেছেন বিস্তৃত, পাহাড় সমূহকে করেছেন দণ্ডায়মান, সত্যই কি আল্লাহ আপনাকে প্রেরণ করেছেন? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ।

লোকটি বলল, আপনার দূত আমাদের আরো বলেছে যে, আপনি নাকি বলেন, আমাদের উপর রাত-দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামায অবশ্য কর্তব্যরূপে নির্ধারণ করেছেন? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বলল কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এই বিষয়ে নিদের্শ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ।

লোকটি বলল, আপনার দূত আমাদের আরো বলেছে যে, আপনি নাকি বলেন, বছরে এক মাস (রমযান) আমাদের জন্য রোযা পালন করা কর্তব্য? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সত্য বলেছে। লোকটি বলল, কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন! আল্লাহ কি আপনাকে এই বিষয়ে নিদের্শ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ।

লোকটি বলল, আপনার দূত আমাদের বলেছে যে, আপনি নাকি বলেন যে, আমাদের সম্পদে নির্ধারিত যাকাত রয়েছে? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সত্য বলেছে। লোকটি বলল, কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এই বিষয়ে নিদের্শ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ।

লোকটি বলল, আপনার দূত আমাদের আরো আপনি নাকি বলেন আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ যেতে সক্ষম তার জন্য বায়তুল্লাহর হজ্জ করা কর্তব্য? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বলল, কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এই বিষয়ে নিদের্শ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বললঃ কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! আমি এগুলোর একটিকেও পরিত্যাগ করব না। আর এগুলোর সীমাও অতিক্রম করব না। এরপর লোকটি দ্রুত উঠে চলে গেল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এই গ্রামবাসী লোকটি যদি সত্য বলে থাকে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। - বুখারি ও মুসলিম

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন এই হাদীসটি হাসান ও এই সূত্রে গরীব। অন্য সূত্রে ও আনাস (রাযিঃ) থেকে এটি বর্ণিত আছে। মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল আল-বুখারী (রাহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, কতক হাদীস বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, উস্তাদের নিকট পাঠকরা ও উপস্থাপন তার নিকট থেকে শ্রবণ করার ন্যায় গ্রহণযোগ্য। কেননা, উক্ত গ্রামবাসী নবী (ﷺ) এর কাছে উপস্থাপন করেন এবং নবী (ﷺ) এর স্বীকৃতি দেন।
باب مَا جَاءَ إِذَا أَدَّيْتَ الزَّكَاةَ فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كُنَّا نَتَمَنَّى أَنْ يَأْتِيَ، الأَعْرَابِيُّ الْعَاقِلُ فَيَسْأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ عِنْدَهُ فَبَيْنَا نَحْنُ عَلَى ذَلِكَ إِذْ أَتَاهُ أَعْرَابِيٌّ فَجَثَا بَيْنَ يَدَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ رَسُولَكَ أَتَانَا فَزَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَكَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ فَبِالَّذِي رَفَعَ السَّمَاءَ وَبَسَطَ الأَرْضَ وَنَصَبَ الْجِبَالَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرٍ فِي السَّنَةِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " صَدَقَ " . قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا فِي أَمْوَالِنَا الزَّكَاةَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " صَدَقَ " . قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا الْحَجَّ إِلَى الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . فَقَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لاَ أَدَعُ مِنْهُنَّ شَيْئًا وَلاَ أُجَاوِزُهُنَّ . ثُمَّ وَثَبَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنْ صَدَقَ الأَعْرَابِيُّ دَخَلَ الْجَنَّةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِقْهُ هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الْقِرَاءَةَ عَلَى الْعَالِمِ وَالْعَرْضَ عَلَيْهِ جَائِزٌ مِثْلُ السَّمَاعِ . وَاحْتَجَّ بِأَنَّ الأَعْرَابِيَّ عَرَضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَقَرَّ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .