আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৬. সফর-মুসাফিরের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬০
কুসূফ বা সূর্য গ্রহণের নামায।
৫৬০. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) কুসূফের নামায আদায় করলেন। এতে তিনি কিরাআত পাঠ এবং রুকূ করলেন। এরপর দুই সিজদা দিলেন। পরবর্তী রাকআতও তদ্রূপভাবে আদায় করলেন। - বুখারি ও মুসলিম
এই বিষয়ে আলী, আয়িশা, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, নু’মান ইবনে বাশীর, মুগীরা ইবনে শু’বা, আবু মাসউদ, আবু বাকরা, সামুরা ইবনে জুনদুব, ইবনে মাসউদ, আসমা বিনতে আবী বকর, ইবনে উমর, কাবীসা আল-হিলালী, জাবির ইবনে আব্দিল্লাহ, আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা এবং উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ) চার সিজদায় চার রাকআত কুসূফ নামায আদায় করেছেন। এ হল ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর বক্তব্য।
সালাতুল কুসূফের কিরাআত সম্পর্কে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন, দিনে নামাযের রীতি অনুসারে এতে অনুচ্চ স্বরে কিরাআত পাঠ করা হবে। আর কতক আলিম বলেন, সালাতুল ঈদায়ন ও জুমআর মত এতে কিরাআত পাঠ করতে হবে। এ’হল ইমাম মালিক, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর বক্তব্য। তারা এতে সশব্দে কিরাআত পাঠ করতে হবে বলে মনে করেন। ইমাম শাফিঈ বলেন, এতে সশব্দে কিরাআত হবে না। রাসূল (ﷺ) থেকে উভয় ধরনের রিওয়ায়াত সহীহ সনদে প্রমাণিত আছে। রাসূল (ﷺ) থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি চার সিজদায় চার রাক’আত কুসূফ নামায আদায় করেছেন।
আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি চার সিজদায় ছয় রাকআত সালাতুল কুসূফ আদায় করেছেন। কুফূফ বা সূর্য গ্রহণের সময়ের পরিমাণ অনুসারে আলিমদের নিকট তদ্রূপ নামায জায়েয আছে। আর যদি কুসূফ চার সিজদায় চার রাক’আত আদায় করে এবং কিরা’আত দীর্ঘ করে তবে তা-ও জায়েজ আছে। আমাদের ইমামগণ সূর্য গ্রহণ হোক বা চন্দ্র গ্রহণ, উভয় নামাযই জামাআতে আদায় করতে হবে বলে মনে করেন।
এই বিষয়ে আলী, আয়িশা, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, নু’মান ইবনে বাশীর, মুগীরা ইবনে শু’বা, আবু মাসউদ, আবু বাকরা, সামুরা ইবনে জুনদুব, ইবনে মাসউদ, আসমা বিনতে আবী বকর, ইবনে উমর, কাবীসা আল-হিলালী, জাবির ইবনে আব্দিল্লাহ, আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা এবং উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ) চার সিজদায় চার রাকআত কুসূফ নামায আদায় করেছেন। এ হল ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর বক্তব্য।
সালাতুল কুসূফের কিরাআত সম্পর্কে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন, দিনে নামাযের রীতি অনুসারে এতে অনুচ্চ স্বরে কিরাআত পাঠ করা হবে। আর কতক আলিম বলেন, সালাতুল ঈদায়ন ও জুমআর মত এতে কিরাআত পাঠ করতে হবে। এ’হল ইমাম মালিক, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর বক্তব্য। তারা এতে সশব্দে কিরাআত পাঠ করতে হবে বলে মনে করেন। ইমাম শাফিঈ বলেন, এতে সশব্দে কিরাআত হবে না। রাসূল (ﷺ) থেকে উভয় ধরনের রিওয়ায়াত সহীহ সনদে প্রমাণিত আছে। রাসূল (ﷺ) থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি চার সিজদায় চার রাক’আত কুসূফ নামায আদায় করেছেন।
আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি চার সিজদায় ছয় রাকআত সালাতুল কুসূফ আদায় করেছেন। কুফূফ বা সূর্য গ্রহণের সময়ের পরিমাণ অনুসারে আলিমদের নিকট তদ্রূপ নামায জায়েয আছে। আর যদি কুসূফ চার সিজদায় চার রাক’আত আদায় করে এবং কিরা’আত দীর্ঘ করে তবে তা-ও জায়েজ আছে। আমাদের ইমামগণ সূর্য গ্রহণ হোক বা চন্দ্র গ্রহণ, উভয় নামাযই জামাআতে আদায় করতে হবে বলে মনে করেন।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفٍ فَقَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَالأُخْرَى مِثْلُهَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَالْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَبِي مَسْعُودٍ وَأَبِي بَكْرَةَ وَسَمُرَةَ وَأَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَابْنِ عُمَرَ وَقَبِيصَةَ الْهِلاَلِيِّ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفٍ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . قَالَ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقِرَاءَةِ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُسِرَّ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا بِالنَّهَارِ . وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَجْهَرَ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا كَنَحْوِ صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ وَالْجُمُعَةِ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ الْجَهْرَ فِيهَا . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يَجْهَرُ فِيهَا . وَقَدْ صَحَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كِلْتَا الرِّوَايَتَيْنِ صَحَّ عَنْهُ أَنَّهُ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . وَصَحَّ عَنْهُ أَيْضًا أَنَّهُ صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . وَهَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ جَائِزٌ عَلَى قَدْرِ الْكُسُوفِ إِنْ تَطَاوَلَ الْكُسُوفُ فَصَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ فَهُوَ جَائِزٌ وَإِنْ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ وَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ فَهُوَ جَائِزٌ . وَيَرَوْنَ أَصْحَابُنَا أَنْ تُصَلَّى صَلاَةُ الْكُسُوفَ فِي جَمَاعَةٍ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬১
কুসূফ বা সূর্য গ্রহণের নামায।
৫৬১. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দিল মালিক ইবনে আবিশ্ শাওয়ারিব (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূল (ﷺ)-এর যুগে সূর্য গ্রহণ দেখা দেয়। তখন তিনি লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেছিলেন। এতে তিনি দীর্ঘ কিরাআত তিলাওয়াত করেন, এর পর দীর্ঘ রুকূ করেন। পরে মাথা উঠালেন, পরে দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করেন তবে প্রথমবারের তুলনায় কিছু কম দীর্ঘ পরে মাথা তুললেন এবং সিজদা করলেন। এরপর দ্বিতীয় রাক’আতেও অনুরূপ করলেন। - বুখারি ও মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীস অনুসারেই শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা সালাতুল কুসূফ (সুর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ) চার সিজদায় চার রাক’আতে উম্মুল কুরআন সূরা ফাতিহা এবং দিনের বেলায় (সূর্য গ্রহণের সময়) হলে অনুচ্চ শব্দে সূরাতুল বাকারা পরিমাণ কিরাআত করবে এবং কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর দিয়ে মাথা তুলবে এবং সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং উম্মুল কুরআন সূরাতুল ফাতিহা পাঠ করে আলে-ইমরানের পরিমাণ কিরাআত তিলাওয়াত করবে। পরে কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে, পরে মাথা তুলবে বলবে, ‘‘সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’’ এর পর পূর্ণ দুই সিজদা দিবে এবং রুকূতে যতক্ষণ অবস্থান করেছিল, সিজদায়ও ততক্ষণ অবস্থান করবে। পরে সিজদা থেকে দাঁড়াবে। উম্মুল কুরআন ও সূরাতুন নিসা পরিমাণ কিরাআত করবে। এর পর কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর বলে মাথা তুলবে সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং সূরাতুল মায়িদা পরিমাণ কিরা’আত পাঠ করবে, এরপর কিরাআত পরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। অতঃপর মাথা তুলবে। বলবে সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ পরে দুই সিজদা দিবে। এরপর তাশাহ্হুদ পাঠ করবে ও সালাম ফিরাবে।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীস অনুসারেই শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা সালাতুল কুসূফ (সুর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ) চার সিজদায় চার রাক’আতে উম্মুল কুরআন সূরা ফাতিহা এবং দিনের বেলায় (সূর্য গ্রহণের সময়) হলে অনুচ্চ শব্দে সূরাতুল বাকারা পরিমাণ কিরাআত করবে এবং কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর দিয়ে মাথা তুলবে এবং সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং উম্মুল কুরআন সূরাতুল ফাতিহা পাঠ করে আলে-ইমরানের পরিমাণ কিরাআত তিলাওয়াত করবে। পরে কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে, পরে মাথা তুলবে বলবে, ‘‘সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’’ এর পর পূর্ণ দুই সিজদা দিবে এবং রুকূতে যতক্ষণ অবস্থান করেছিল, সিজদায়ও ততক্ষণ অবস্থান করবে। পরে সিজদা থেকে দাঁড়াবে। উম্মুল কুরআন ও সূরাতুন নিসা পরিমাণ কিরাআত করবে। এর পর কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর বলে মাথা তুলবে সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং সূরাতুল মায়িদা পরিমাণ কিরা’আত পাঠ করবে, এরপর কিরাআত পরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। অতঃপর মাথা তুলবে। বলবে সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ পরে দুই সিজদা দিবে। এরপর তাশাহ্হুদ পাঠ করবে ও সালাম ফিরাবে।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ وَهِيَ دُونَ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَسَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَبِهَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ صَلاَةَ الْكُسُوفِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . قَالَ الشَّافِعِيُّ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ سِرًّا إِنْ كَانَ بِالنَّهَارِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا كَمَا هُوَ وَقَرَأَ أَيْضًا بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ تَامَّتَيْنِ وَيُقِيمُ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ نَحْوًا مِمَّا أَقَامَ فِي رُكُوعِهِ ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا ثُمَّ قَرَأَ نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَشَهَّدَ وَسَلَّمَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান