আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৩. বিতর নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩
দ্বিপ্রহরের নামায।
৪৭৩. আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি বার রাকআত সালাতুয্-যুহা (চাশতের নাময) আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি সোনার প্রাসা’দ নির্মাণ করবেন। - ইবনে মাজাহ ১৩৮০

এই বিষয়ে উম্মে হানী, আবু হুরায়রা, নুআয়ম ইবনে হাম্মার, আবু যর, আয়িশা, আবু উমামা, উতবা ইবনে আব্দ আস-সুলামী, ইবনে আবী আওফ, আবু সাঈদ, যায়দ ইবনে আরকাম ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলে আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ব্যতীত এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ فُلاَنِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَمِّهِ، ثُمَامَةَ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى الضُّحَى ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ لَهُ قَصْرًا مِنْ ذَهَبٍ فِي الْجَنَّةِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَنُعَيْمِ بْنِ هَمَّارٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَعَائِشَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ وَعُتْبَةَ بْنِ عَبْدٍ السُّلَمِيِّ وَابْنِ أَبِي أَوْفَى وَأَبِي سَعِيدٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৪
দ্বিপ্রহরের নামায।
৪৭৪. আবু মুসা মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবনে আবী লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ উম্মে হানী (রাযিঃ) ব্যতীত আমার নিকট আর কেউ একথা বর্ণনা করেন নি যে, তিনি রাসূল (ﷺ)-কে এই নামায (আয-যুহা) আদায় করতে দেখেছেন। উম্মে হানী (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূল ফতহে মক্কার দিন (মক্কা বিজয়ের দিন) তাঁর ঘরে এলেন এবং গোসল করলেন। এরপর আট রাকআত নামায আদায় করলেন। এর চেয়ে সংক্ষিপ্ত নামায আদায় করতে আমি তাঁকে আর কখনও দেখিনি। তবে তাঁর এই নামাযে তিনি রুকূ ও সিজদা পূর্ণাঙ্গভাবে আদায় করেছিলেন। - ইবনে মাজাহ ১৩৭৯

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইমাম আহমদ এই বিষয়ে উম্মে হানী (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতটিকেই সর্বাধিক সহীহ বলে মনে করেন। এই বিষয়ে একটি হাদীসসের রাবী অপর এক সাহাবী নুআয়ম (রাযিঃ) (এর পিতার নাম) সম্পর্কে ঐতিহাসিকভাবে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ কেউ বলেনঃ তিনি হচ্ছেন নুআয়ম ইবনে খাম্মার, কারো কারো মত হল ইবনে আম্মার, কেউ কেউ বলেনঃ ইবনে হাব্বার, কারো কারো মতে ইবনে হাম্মাম। তবে শুদ্ধ হল ইবনে হাম্মার। রাবী আবু নু’আয়ম (রাযিঃ) এই বিষয়ে সন্দেহের শিকার হয়েছেন। তিনি তাকে ভুল করে ইবনে ইবনে খাম্মার বলে উল্লেখ করেছিলেন। পরে অবশ্য তিনি এর উল্লেখ ছেড়ে দেন এবং (পিতার নাম উল্লেখ করা ছাড়াই) নু’আয়ম নবী (ﷺ) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) আবু নু’আয়ম (রাহঃ) থেকে আমাকে এই সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ مَا أَخْبَرَنِي أَحَدٌ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الضُّحَى إِلاَّ أُمُّ هَانِئٍ فَإِنَّهَا حَدَّثَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ بَيْتَهَا يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ فَاغْتَسَلَ فَسَبَّحَ ثَمَانَ رَكَعَاتٍ مَا رَأَيْتُهُ صَلَّى صَلاَةً قَطُّ أَخَفَّ مِنْهَا غَيْرَ أَنَّهُ كَانَ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَكَأَنَّ أَحْمَدَ رَأَى أَصَحَّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثَ أُمِّ هَانِئٍ . وَاخْتَلَفُوا فِي نُعَيْمٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ نُعَيْمُ بْنُ خَمَّارٍ وَقَالَ بَعْضُهُمُ ابْنُ هَمَّارٍ وَيُقَالُ ابْنُ هَبَّارٍ وَيُقَالُ ابْنُ هَمَّامٍ وَالصَّحِيحُ ابْنُ هَمَّارٍ . وَأَبُو نُعَيْمٍ وَهِمَ فِيهِ فَقَالَ ابْنُ حِمَازٍ وَأَخْطَأَ فِيهِ ثُمَّ تَرَكَ فَقَالَ نُعَيْمٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَخْبَرَنِي بِذَلِكَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৫
দ্বিপ্রহরের নামায।
৪৭৫. আবু জাফর আস্-সামনানী (রাহঃ) ..... আবু দারদা ও আবু যর (রাযিঃ) এর বরাতে রাসূল (ﷺ) সূত্রে আল্লাহ তাআলা থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ হে আদম সন্তান! তুমি দিনের শুরুতে আমার জন্য চার রাক’আত (নফল) আদায় করে নাও, আমি দিনের শেষ পর্যন্ত তোমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাব।

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ السِّمْنَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، وَأَبِي، ذَرٍّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَنِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ أَنَّهُ قَالَ ابْنَ آدَمَ ارْكَعْ لِي مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ أَكْفِكَ آخِرَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
হাদীস নং:৪৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬
দ্বিপ্রহরের নামায।
৪৭৬. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দিল আ’লা আল-বসরী (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি চাশতের জোড় নামাযে নিত্য সংরক্ষণ করবে, সমূদ্রের ফেনার মতও যদি তার গুনাহ হয়, তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে।

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ ওয়াকী, নযর ইবনে শুমায়ল (রাহঃ) প্রমূখ হাদীসশাস্ত্রের ইমাম নাহ্হাস ইবনে কাহম (রাহঃ) সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। এই হাদীসটি ছাড়া তার অন্য কোন হাদীস সম্পর্কে আমাদের জানা নেই।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ نَهَّاسِ بْنِ قَهْمٍ، عَنْ شَدَّادٍ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَافَظَ عَلَى شُفْعَةِ الضُّحَى غُفِرَ لَهُ ذُنُوبُهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى وَكِيعٌ وَالنَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ نَهَّاسِ بْنِ قَهْمٍ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৭
দ্বিপ্রহরের নামায।
৪৭৭. যিয়াদ ইবনে আইয়ুব আল-বাগদাদী (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূল (ﷺ) এমনভাবে সালাতুয-যুহা আদায় করতেন যে, আমরা বলতামঃ তিনি হয়ত আর পরিত্যাগ করবেন না। আবার যখন তা আদায় করা থেকে বিরত থাকতেন তখন আমরা বলতাম যে, হয়ত তিনি আর তা আদায় করবেন না।

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الضُّحَى حَتَّى نَقُولَ لاَ يَدَعُ وَيَدَعُهَا حَتَّى نَقُولَ لاَ يُصَلِّي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান