আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৩- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ২২১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৬-১
১৫. সাদ্কায় উৎসাহ দান, যদিও তা এক টুকরা খেজুর অথবা উত্তম কথার দ্বারা হয়, সাদ্কা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকবচ
২২১৯। আওন ইবনে সাল্লাম আল কুফী (রাহঃ) ......... আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে সমর্থ, এক টুকরা খেজুর দিয়ে হলেও সেটা তাঁর করা উচিত।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ أَوْ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ وَأَنَّهَا حِجَابٌ مِنْ النَّارِ
حَدَّثَنَا عَوْنُ بْنُ سَلاَّمٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُعْفِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْقِلٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَسْتَتِرَ مِنَ النَّارِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَلْيَفْعَلْ " .
হাদীস নং: ২২২০
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৬-২
১৫. সাদ্কায় উৎসাহ দান, যদিও তা এক টুকরা খেজুর অথবা উত্তম কথার দ্বারা হয়, সাদ্কা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকবচ
২২২০। আলী ইবনে হুজর আস-সা’দী, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আলী ইবনে খাশরাম (রাহঃ) ......... আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকেরই সাথে আল্লাহ নিশ্চয়ই কথা বলবেন। তাঁর ও বান্দার মাঝখানে কোন দোভাষী থাকবে না। অতঃপর বান্দা তাঁর ডানদিকে তাকাবে, কিন্তু কৃতকর্মগুলো ছাড়া আর কোন কিছুই সে দেখবে না। এরপর বান্দা তার বামদিকে তাকবে। কিন্তু কৃতকর্ম ছাড়া আর কিছুই দেখবে না। অতঃপর সামনের দিকে তাকাবে, কিন্তু চোখের সামনে সে আগুন ছাড়া আর কিছুই দেখবে না। সুতরাং এক টুকরা খেজুর সাদ্কা করে হলেও তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ।
ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... খায়সামা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর বর্ণনায়بِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ ″উত্তম কথা হলেও″ কথাটি অতিরিক্ত বর্ণিত আছে। ইসহাক আমর ইবনে মুররা (রাহঃ) সূত্রে খায়সামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... খায়সামা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর বর্ণনায়بِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ ″উত্তম কথা হলেও″ কথাটি অতিরিক্ত বর্ণিত আছে। ইসহাক আমর ইবনে মুররা (রাহঃ) সূত্রে খায়সামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ أَوْ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ وَأَنَّهَا حِجَابٌ مِنْ النَّارِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، قَالَ ابْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيِّ، بْنِ حَاتِمٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ سَيُكَلِّمُهُ اللَّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تُرْجُمَانٌ فَيَنْظُرُ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ مَا قَدَّمَ وَيَنْظُرُ أَشْأَمَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ مَا قَدَّمَ وَيَنْظُرُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلاَ يَرَى إِلاَّ النَّارَ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ فَاتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ " . زَادَ ابْنُ حُجْرٍ قَالَ الأَعْمَشُ وَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ عَنْ خَيْثَمَةَ مِثْلَهُ وَزَادَ فِيهِ " وَلَوْ بِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ " . وَقَالَ إِسْحَاقُ قَالَ الأَعْمَشُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ خَيْثَمَةَ .
হাদীস নং: ২২২১
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৬-৩
১৫. সাদ্কায় উৎসাহ দান, যদিও তা এক টুকরা খেজুর অথবা উত্তম কথার দ্বারা হয়, সাদ্কা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকবচ
২২২১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাহান্নামের আলোচনা করলেন। অতঃপর তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং ভ্রুকুঞ্চিত করলেন। এরপর বললেন, তোমরা আগুন থেকে বাঁচ। এবারও তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং ভ্রূকুঞ্চিত করলেন। এমনকি আমাদের ধারণা হল তিনি যেন আগুন দেখতে পাচ্ছেন। এরপর বললেন, এক টূকরা খেজুর দিয়ে হলেও তোমরা আগুন থেকে বাঁচ। যদি সে তা না পায় তবে একটি উত্তম কথার বিনিময়ে হলেও।
ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বলেন, আবু কুয়ায়ব (রাহঃ) তাঁর বর্ণনায়,كَأَنَّمَا শব্দটি উল্লেখ করেননি এবং বলেন, আমাদের কাছে আবু মুআবিয়া রিওয়ায়াত করেছেন যে, আ’মাশ এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বলেন, আবু কুয়ায়ব (রাহঃ) তাঁর বর্ণনায়,كَأَنَّمَا শব্দটি উল্লেখ করেননি এবং বলেন, আমাদের কাছে আবু মুআবিয়া রিওয়ায়াত করেছেন যে, আ’মাশ এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ أَوْ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ وَأَنَّهَا حِجَابٌ مِنْ النَّارِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّارَ فَأَعْرَضَ وَأَشَاحَ ثُمَّ قَالَ " اتَّقُوا النَّارَ " . ثُمَّ أَعْرَضَ وَأَشَاحَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ كَأَنَّمَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا ثُمَّ قَالَ " اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ " . وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو كُرَيْبٍ كَأَنَّمَا وَقَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ .
হাদীস নং: ২২২২
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৬-৪
১৫. সাদ্কায় উৎসাহ দান, যদিও তা এক টুকরা খেজুর অথবা উত্তম কথার দ্বারা হয়, সাদ্কা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকবচ
২২২২। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাহান্নামের অগ্নি সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এরপর তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন এবং মুখমণ্ডল তিনবার ফিরিয়ে নিলেন। এরপর তিনি বললেন, এক টুকরা খেজুরের বিনিময়ে হলেও তোমরা অগ্নি থেকে বেঁচে থাক। যদি তা না পাও তবে অন্তত একটি ভাল কথার বিনিময়ে হলেও।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ أَوْ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ وَأَنَّهَا حِجَابٌ مِنْ النَّارِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ذَكَرَ النَّارَ فَتَعَوَّذَ مِنْهَا وَأَشَاحَ بِوَجْهِهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ ثُمَّ قَالَ " اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ " .
হাদীস নং: ২২২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৭-১
১৫. সাদ্কায় উৎসাহ দান, যদিও তা এক টুকরা খেজুর অথবা উত্তম কথার দ্বারা হয়, সাদ্কা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকবচ
২২২৩। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না আনাযী (রাহঃ) ......... মুনযির ইবনে জারীর (রাহঃ) কর্তৃক তার পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা দিনের পূর্বভাগে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ছিলাম। এ সময় নগ্নপদ, খালি মাথা, চামড়ার বস্ত্র পরিহিত ও তরবারী গলায় লটকিয়ে এক দল লোক তাঁর নিকট আসল। তাদের অধিকাংশ বরং সকলেই ‘মুযার’ গোত্রের লোক ছিল। তাদের মাঝে অনাহারের নিদর্শন দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর তিনি (গৃহাভ্যন্তরে) প্রবেশ করলেন এবং বেরিয়ে এলেন। এরপর বিলাল (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন। তিনি (বিলাল (রাযিঃ) আযান দিলেন ও ইকামত দিলেন।
নামায আদায় করার পর নবী (ﷺ) ভাষণ দিলেন এবং তিলাওয়াত করলেন, “হে মানব! তোমরা তোমাদের প্রতিপাল কে ভয় কর; যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতেই সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তা থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেন; যিনি তাদের দু’জন থেকে বহু নর নারী ছড়িয়ে দেন এবং আল্লাহকে ভয় কর যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাঞা কর এবং সতর্ক থাক জ্ঞাতি বন্ধন সম্পর্কে। আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন” (সূরা নিসাঃ ১)।
(অন্য আয়াত) ″হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, প্রত্যেকেই ভেবে দেখ আগামী কালের জন্য সে কী অগ্রিম পাঠিয়েছে। (সূরা হাশরঃ ১৮)। পূরুষ তার দীনার হতে, তার দিরহাম হতে, তার বস্ত্র হতে সাদ্কা করুক এবং গম থেকে এক সা’ খেজুর থেকে এক সা’ দান করুক। এমন কি তিনি বললেন, এক টূকরো খেজুর দিয়ে হলেও।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন এক আনসারী ব্যক্তি একটি থলে নিয়ে আসল তার হাত যেন তা তুলতে সক্ষম হচ্ছিলেন না। বরং অপারগই হয়েছিল। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর লোকজন একের পর এক সাদ্কা নিয়ে আসতে লাগল। অবশেষে আমি খাদ্য ও বস্ত্রের দুটি স্তুপ দেখতে পেলাম। তখন আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা সমুজ্জল হল যেন এক টুকরা সোনা।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি ইসলামে কোন নেক প্রথা চালু করবে, সে তার নেককর্মের সাওয়াব পাবে এবং ঐ ব্যক্তির সম পরিমাণ সাওয়াবও লাভ করবে যে ব্যক্তি তার পরে ঐ নেক আমল করবে, এতে তাদের নেকী বিন্দুমাত্র ও কমবে না। পক্ষান্তরে যদি কোন ব্যক্তি ইসলামে কোন কূপ্রথা চালু করে তবে এ অসৎকর্মের গুনাহ তার উপর বর্তাবে এবং ঐ ব্যক্তির গুনাহও, যারা তার পরবর্তীতে সে অসৎকর্ম করবে, এতে তাদের গুনাহ বিন্দু পরিমাণও কমবে না।
নামায আদায় করার পর নবী (ﷺ) ভাষণ দিলেন এবং তিলাওয়াত করলেন, “হে মানব! তোমরা তোমাদের প্রতিপাল কে ভয় কর; যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতেই সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তা থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেন; যিনি তাদের দু’জন থেকে বহু নর নারী ছড়িয়ে দেন এবং আল্লাহকে ভয় কর যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাঞা কর এবং সতর্ক থাক জ্ঞাতি বন্ধন সম্পর্কে। আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন” (সূরা নিসাঃ ১)।
(অন্য আয়াত) ″হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, প্রত্যেকেই ভেবে দেখ আগামী কালের জন্য সে কী অগ্রিম পাঠিয়েছে। (সূরা হাশরঃ ১৮)। পূরুষ তার দীনার হতে, তার দিরহাম হতে, তার বস্ত্র হতে সাদ্কা করুক এবং গম থেকে এক সা’ খেজুর থেকে এক সা’ দান করুক। এমন কি তিনি বললেন, এক টূকরো খেজুর দিয়ে হলেও।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন এক আনসারী ব্যক্তি একটি থলে নিয়ে আসল তার হাত যেন তা তুলতে সক্ষম হচ্ছিলেন না। বরং অপারগই হয়েছিল। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর লোকজন একের পর এক সাদ্কা নিয়ে আসতে লাগল। অবশেষে আমি খাদ্য ও বস্ত্রের দুটি স্তুপ দেখতে পেলাম। তখন আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা সমুজ্জল হল যেন এক টুকরা সোনা।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি ইসলামে কোন নেক প্রথা চালু করবে, সে তার নেককর্মের সাওয়াব পাবে এবং ঐ ব্যক্তির সম পরিমাণ সাওয়াবও লাভ করবে যে ব্যক্তি তার পরে ঐ নেক আমল করবে, এতে তাদের নেকী বিন্দুমাত্র ও কমবে না। পক্ষান্তরে যদি কোন ব্যক্তি ইসলামে কোন কূপ্রথা চালু করে তবে এ অসৎকর্মের গুনাহ তার উপর বর্তাবে এবং ঐ ব্যক্তির গুনাহও, যারা তার পরবর্তীতে সে অসৎকর্ম করবে, এতে তাদের গুনাহ বিন্দু পরিমাণও কমবে না।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ أَوْ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ وَأَنَّهَا حِجَابٌ مِنْ النَّارِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَوْنِ، بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَدْرِ النَّهَارِ قَالَ فَجَاءَهُ قَوْمٌ حُفَاةٌ عُرَاةٌ مُجْتَابِي النِّمَارِ أَوِ الْعَبَاءِ مُتَقَلِّدِي السُّيُوفِ عَامَّتُهُمْ مِنْ مُضَرَ بَلْ كُلُّهُمْ مِنْ مُضَرَ فَتَمَعَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَا رَأَى بِهِمْ مِنَ الْفَاقَةِ فَدَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ وَأَقَامَ فَصَلَّى ثُمَّ خَطَبَ فَقَالَ " ( يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ ( إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا) وَالآيَةَ الَّتِي فِي الْحَشْرِ ( اتَّقُوا اللَّهَ وَلْتَنْظُرْ نَفْسٌ مَا قَدَّمَتْ لِغَدٍ وَاتَّقُوا اللَّهَ) تَصَدَّقَ رَجُلٌ مِنْ دِينَارِهِ مِنْ دِرْهَمِهِ مِنْ ثَوْبِهِ مِنْ صَاعِ بُرِّهِ مِنْ صَاعِ تَمْرِهِ - حَتَّى قَالَ - وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ " . قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ بِصُرَّةٍ كَادَتْ كَفُّهُ تَعْجِزُ عَنْهَا بَلْ قَدْ عَجَزَتْ - قَالَ - ثُمَّ تَتَابَعَ النَّاسُ حَتَّى رَأَيْتُ كَوْمَيْنِ مِنْ طَعَامٍ وَثِيَابٍ حَتَّى رَأَيْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَهَلَّلُ كَأَنَّهُ مُذْهَبَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَنَّ فِي الإِسْلاَمِ سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا بَعْدَهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَىْءٌ وَمَنْ سَنَّ فِي الإِسْلاَمِ سُنَّةً سَيِّئَةً كَانَ عَلَيْهِ وِزْرُهَا وَوِزْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ بَعْدِهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَىْءٌ " .
হাদীস নং: ২২২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৭-২
১৫. সাদ্কায় উৎসাহ দান, যদিও তা এক টুকরা খেজুর অথবা উত্তম কথার দ্বারা হয়, সাদ্কা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকবচ
২২২৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আম্বারী (রাহঃ) ......... জারীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা দিনের প্রথম ভাগে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট ছিলাম। তারা ইবনে জাফরের অনুরূপ এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে মু’আয (রাযিঃ) এর হাদীসের ম্যধ্যثُمَّ صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ خَطَبَ “অতঃপর তিনি যোহরের নামায আদায় করলেন এবং ভাষণ দিলেন” কথাটি অতিরিক্ত বর্ণিত হয়েছে।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ أَوْ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ وَأَنَّهَا حِجَابٌ مِنْ النَّارِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، الْعَنْبَرِيُّ حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي عَوْنُ بْنُ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُنْذِرَ بْنَ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَدْرَ النَّهَارِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ جَعْفَرٍ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ مُعَاذٍ مِنَ الزِّيَادَةِ قَالَ ثُمَّ صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ خَطَبَ .
হাদীস নং: ২২২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৭-৩
১৫. সাদ্কায় উৎসাহ দান, যদিও তা এক টুকরা খেজুর অথবা উত্তম কথার দ্বারা হয়, সাদ্কা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকবচ
২২২৫। উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর কাওয়ারীরী, আবু কামিল এবং মুহাম্মাদ আব্দুল মালিক উমাবী (রাহঃ) ......... জারীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা নবী (ﷺ) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তখন চামড়ার বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় একদল লোক তার নিকট আসল। তারপর তারা পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এতে অতিরিক্ত রয়েছে, তিনি যোহরের নামায আদায় করলেন। এরপর ছোট একটি মিম্বরে আরোহণ করে প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, আম্মা বা’দ! আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে অবর্তীর্ণ করেছেন। ″হে মানব! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর......। (সূরা নিসাঃ ১)
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ أَوْ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ وَأَنَّهَا حِجَابٌ مِنْ النَّارِ
حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الأُمَوِيُّ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَاهُ قَوْمٌ مُجْتَابِي النِّمَارِ وَسَاقُوا الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ وَفِيهِ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ صَعِدَ مِنْبَرًا صَغِيرًا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ فِي كِتَابِهِ ( يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ) الآيَةَ " .
হাদীস নং: ২২২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৭-৪
১৫. সাদ্কায় উৎসাহ দান, যদিও তা এক টুকরা খেজুর অথবা উত্তম কথার দ্বারা হয়, সাদ্কা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকবচ
২২২৬। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, কয়েকজন বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এল। তাদের গায়ে পশমের কাপড় ছিল। ...... রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের এ অবস্থা দেখে বুঝলেন যে, তারা অভাবগ্রস্থ। তারপর তাদের হাদীসের মর্ম বর্ণনা করলেন।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ أَوْ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ وَأَنَّهَا حِجَابٌ مِنْ النَّارِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، يَزِيدَ وَأَبِي الضُّحَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هِلاَلٍ الْعَبْسِيِّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنَ الأَعْرَابِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِمُ الصُّوفُ فَرَأَى سُوءَ حَالِهِمْ . قَدْ أَصَابَتْهُمْ حَاجَةٌ . فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِهِمْ .