আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৭- কুরআনে কারীমের ফাযায়েল ও আদাব-মাসাঈল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ১৭৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৫
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৭৯৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের পর নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন যাবৎ না সূর্য অস্ত যায় এবং ফজরের পর নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন যাবৎ না সূর্যোদয় হয়।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَعَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৬-১
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৭৯৪। দাউদ ইবনে রুশায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বহু সাহাবী হতে শুনেছি, তাঁদের মধ্যে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)ও রয়েছেন। আর তাঁদের মধ্যে তিনিই আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের পর নামায আদায় করা হতে নিষেধ করেছেন, যে পর্যন্ত না সূর্য উদিত হয়। তিনি আসরের পরও (নিষেধ করেছেন) সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، جَمِيعًا عَنْ هُشَيْمٍ، - قَالَ دَاوُدُ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، - أَخْبَرَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ غَيْرَ، وَاحِدٍ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَكَانَ أَحَبَّهُمْ إِلَىَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৬-২
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৭৯৫। যুহাইর ইবনে হারব, আবু গাসসান মিসমায়ী, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) সবাই ......... কাতাদা (রাহঃ) হতে ঐ সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে সাঈদ ও হিশামের বর্ণনায় এ কথাটি অতিরিক্ত আছে ″ফজরের পর সূর্য আলোকোজ্জল না হওয়া পর্যন্ত।″
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ، الْمِسْمَعِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُعَاذُ، بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ سَعِيدٍ وَهِشَامٍ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَشْرُقَ الشَّمْسُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৭
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৭৯৬। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আসরের পর কোন নামায নেই সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর কোন নামায নেই সুর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ اللَّيْثِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ " .
হাদীস নং: ১৭৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৮-১
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৭৯৭। ইয়াইয়া ইবনে ইয়াইয়া (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কেউ যেন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত যাওয়ার সময় নামায আদায় করার ইচ্ছা না করে।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَتَحَرَّى أَحَدُكُمْ فَيُصَلِّي عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَلاَ عِنْدَ غُرُوبِهَا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৮-২
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৭৯৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের নামায সূর্যাদয় ও সূর্যাস্তের সময় আদায় করার ইচ্ছা করবে না। কেননা সূর্য শয়তানের দুটি শিং এর মাঝখানে উদিত হয়।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَحَرَّوْا بِصَلاَتِكُمْ طُلُوعَ الشَّمْسِ وَلاَ غُرُوبَهَا فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بِقَرْنَىْ شَيْطَانٍ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৯
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৭৯৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সূর্যের কিনারা যখন প্রকাশিত হয় তখন তোমরা সূর্য পূরাপূরি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত নামায আদায়ে বিলম্ব কর এবং যখন কিনারা অদৃশ্য হয়ে যায় তখন পুরোপুরি অস্ত যাওয়া পর্যন্ত তোমরা নামায আদায় বিলম্ব কর।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي وَابْنُ، بِشْرٍ قَالُوا جَمِيعًا حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا بَدَا حَاجِبُ الشَّمْسِ فَأَخِّرُوا الصَّلاَةَ حَتَّى تَبْرُزَ وَإِذَا غَابَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَأَخِّرُوا الصَّلاَةَ حَتَّى تَغِيبَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০০
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩০-১
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০০। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু বাসরা আল গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে মুখাম্মাস নামক স্থানে আসরের নামায আদায় করলেন এবং বললেন, এ নামায তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের কাছে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এ নামাযকে বিনষ্ট করল। অতএব যে ব্যক্তি এ নামাযের ব্যাপারে যত্নবান হবে তাকে দ্বিগুণ সওয়ার দেয়া হবে। এ নামাযের পর অন্য কোন নামায নেই 'শাহিদ’ উদয় না হওয়া পর্যন্ত। (শাহিদ হল তারকা)
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ بِالْمُخَمَّصِ فَقَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ عُرِضَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَضَيَّعُوهَا فَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَهَا حَتَّى يَطْلُعَ الشَّاهِدُ " . وَالشَّاهِدُ النَّجْمُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮০১
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩০-২
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০১। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু বাসরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের নামায পড়লেন। তারপর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ السَّبَائِيِّ، - وَكَانَ ثِقَةً - عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ . بِمِثْلِهِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮০২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩১
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০২। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... উলাঈ (রাহঃ) বলেন, আমি উকবা ইবনে আমির জুহানী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিনটি সময়ে নামায আদায় এবং মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করা হতে আমাদেরকে নিষেধ করতেন, সূর্য যখন আলোকজ্জ্বল হয়ে উদয় হতে থাকে তখন থেকে পরিষ্কারভাবে উপরে না উঠা পর্যন্ত। যখন সূর্য ঠিক মধ্যাকাশে থাকে তখন থেকে ঢলে না পড়া পর্যন্ত এবং সূর্য অস্ত যাওয়া শুরু হলে, যাবৎ না সম্পূর্ণরূপে অস্তমিত হয়।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ .
হাদীস নং: ১৮০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩২
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০৩। আহমাদ ইবনে জাফর আল মা’কিরী (রাহঃ) ......... ইকরিমা (রাহঃ) বলেন, শাদ্দাদ, আবু উমামা ও ওয়াসিলার সাথে তার সাক্ষাত হয়েছে এবং সিরিয়া ভ্রমণকালেও আনাস (রাযিঃ) এর সহচর ছিলেন। তিনি তার প্রশংসা করেছেন ও তার মহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন। আবু উমামা (রাযিঃ) বলেন, আমর ইবনে আবাসা সুলামী (রাযিঃ) বলেন, আমি প্রাক ইসলাম যুগে সকল মানুষকে পথভ্রষ্ট বলে ধারণা করতাম। তারা কোন ধর্মের উপর নেই। তারা সবাই মুর্তি পূঁজা, দেব-দেবীর পূঁজা করত। তিনি বলেন, তখন আমি মক্কায় এমন এক ব্যক্তির কথা শুনলাম যিনি বিভিন্ন সংবাদ বর্ণনা করেন। তখন আমি সওয়ারীর উপর আরোহণ করে তাঁর নিকট এলাম এবং আমি জানতে পারলাম যে তিনি জনসমাবেশ থেকে নিজেকে দুরে রাখেন। তাঁর কওম তাঁর উপর নির্যাতন করে। আমি কৌশলে মক্কায় তার নিকট পৌছিলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার পরিচয় কি?
তিনি বললেন, আমি নবী। আমি বললাম, নবী কি? তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম আল্লাহ আপনাকে কি দিয়ে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন, আমাকে আত্মীয়তার বন্ধন সুদূঢ় করা, দেব-দেবী ও মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া, আল্লাহকে এক বলে জানা এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছু শরীক না করা। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কারা আছে? তিনি বললেন, একজন স্বাধীন ব্যক্তি ও একজন কৃতদাস। তিনি বলেন যে, তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিলেন তাদের মধ্যে আবু বকর (রাযিঃ) ও বিলাল (রাযিঃ) ছিলেন। আমি বললাম, আমিও আপনার অনুসারী হাত চাই। তিনি বললেন, বর্তমান অবস্থায় তুমি তা পারবে না। তুমি আমার অবস্থা ও লোকজনের অবস্থা কি দেখছ না? তুমি বরং পরিজনদের কাছে ফিরে যাও। যখন আমি বিজয় লাভ করেছি বলে শুনতে পাবে তখন আমার কাছে এসো।
তিনি বললেন, আমি পরিজনদের কাছে চলে গেলাম। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হিজরত করে মদীনায় গমন করলেন। তখন আমি পরিজনদের মাঝে অবস্থান করছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় গমন করার পর থেকে আমি সর্বদা এ বিষয়ে খোঁজ-খবর এবং মানুষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকলাম। মদীনাবাসীদের একদল লোক আমার কাছে এলেন। তাদেরকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম। যে ব্যক্তি মদীনায় আগমন করেছেন তিনি কি করছেন, তাঁর অবস্থা কি? তারা বললেন, লোকজন অতি দ্রুত তাঁর সাহচর্যে যাচ্ছে তাঁর কওম তাঁকে হত্যা করতে চাচ্ছিল। কিন্তু তারা সফলকাম হয়নি। আমি এ কথা শুলে মদীনায় গেলাম এবং তাঁর কাছে পৌছলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে চিনতে পেরেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, তুমি সে ব্যক্তি যে আমার সাথে মক্কায় সাক্ষাত করেছিলে।
(বর্ণনাকারী) বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। আমি আবার বললাম, ইয়া-নবী আল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আপনাকে যা কিছু শিখিয়েছেন, অথচ আমি তা জানি না, তা আমাকে শিক্ষা দিন। আমাকে নামায সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, ফজরের নামায আদায় করবে। এরপর সূর্য উদিত হয়ে পরিষ্কারভাবে উপরে না উঠা পর্যন্ত তুমি নামায থেকে বিরত থাক। কেননা সূর্য যখন উদিত হয় তখন সেটা উদিত হয় শয়তানের দু’ শিং-এর মাঝখান দিয়ে। সে সময়ে কাফির তাকে সিজদা করে। এরপর নামায আদায় কর, তীরের ছায়া তার সমান না হওয়া পর্যন্ত। নামাযে ফিরিশতাগণের উপস্থিতি এবং সাক্ষ্যের ব্যাপার রয়েছে। এরপর নামায থেকে বিরত থাকো কেননা এ সময়ে জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়। এরপর যখন ছায়ায় পরিবর্তন শুরু হয় তখন নামায পড়তে থাক। ফিরিশতাগণ নামাযে উপস্থিত থাকেন। অর্থাৎ আসরের নামায আদায় করা পর্যন্ত, তারপর নামায হতে বিরত থাক সূর্য অস্তমিত না যাওয়া পর্যন্ত। কেননা সূর্য শয়তানের দু’শিং-এর মধ্যে দিয়ে অস্ত যায়। ঐ সময় কাফিররা তাকে সিজদা করে।
রাবী বলেন,আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! উযু সম্পর্কে আমাকে বলে দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের কোন ব্যক্তির কাছে যখন ওযুর পানি পেশ করা হয়, এরপর সে কুলি করে ও নাকে পানি দেয় ও তা পরিষ্কার করে। তখন তার মুখমণ্ডলের মূখ গহব্বর ও নাকের সকল গুনাহ ঝরে যায়। তারপর যখন সে আল্লাহ পাকের নির্দেশ অনুসারে মুখমণ্ডল ধোয় তখন মুখমণ্ডলের চারিদিক থেকে সকল গুনাহ পানির সাথে ঝরে যায়। এরপর যখন দু’ হাত ধোয় কুনূই পর্যন্ত, তখন তার উভয় হাতের গুনাহসমূহ আঙ্গুল দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর উভয় পা গোড়ালী পর্যন্ত ধৌত করলে উভয় পায়ের গুনাহগুলো আঙ্গুল দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর যদি সে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করে আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করে, যথাযথভাবে ও তাঁর অন্তরকে আল্লাহর জন্য মুক্ত করে নেয়, তাহলে সে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে সেদিনের মত যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করোছিল।
আমর ইবনে আবাসা (রাযিঃ)ও হাদীসটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবী আবু উমামা (রাযিঃ) এর নিকট বর্ণনা করেন। তখন আবু উমামা (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, হে আমর ইবনে আবাসা! ভেবে দেখ, তুমি কি বলছ! একই স্থানে ঐ ব্যক্তিকে এত মর্যাদা দেয়া হবে? তখন আমর (রাযিঃ) বললেন, হে আবু উমামা (রাযিঃ)! আমি বয়োবৃদ্ধ হয়ে গিয়েছি। আমার হাড়গুলো নরম হয়ে গিয়েছে। আমার মৃত্যুকাল নিকটবর্তী হয়ে পড়েছে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর মিথ্যা আরোপের কোন প্রয়োজন আমার নেই। আমি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে না শুনতাম একবার দু’বার, তিনবার এমনকি তিনি সাত বার পর্যন্ত গণনা করলেন। তবে আমি কখনো এ হাদীস বর্ণনা করতাম না। আমি হাদীসটি সাত বারের চেয়েও অনেক বেশীবার শুনেছি।
তিনি বললেন, আমি নবী। আমি বললাম, নবী কি? তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম আল্লাহ আপনাকে কি দিয়ে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন, আমাকে আত্মীয়তার বন্ধন সুদূঢ় করা, দেব-দেবী ও মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া, আল্লাহকে এক বলে জানা এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছু শরীক না করা। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কারা আছে? তিনি বললেন, একজন স্বাধীন ব্যক্তি ও একজন কৃতদাস। তিনি বলেন যে, তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিলেন তাদের মধ্যে আবু বকর (রাযিঃ) ও বিলাল (রাযিঃ) ছিলেন। আমি বললাম, আমিও আপনার অনুসারী হাত চাই। তিনি বললেন, বর্তমান অবস্থায় তুমি তা পারবে না। তুমি আমার অবস্থা ও লোকজনের অবস্থা কি দেখছ না? তুমি বরং পরিজনদের কাছে ফিরে যাও। যখন আমি বিজয় লাভ করেছি বলে শুনতে পাবে তখন আমার কাছে এসো।
তিনি বললেন, আমি পরিজনদের কাছে চলে গেলাম। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হিজরত করে মদীনায় গমন করলেন। তখন আমি পরিজনদের মাঝে অবস্থান করছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় গমন করার পর থেকে আমি সর্বদা এ বিষয়ে খোঁজ-খবর এবং মানুষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকলাম। মদীনাবাসীদের একদল লোক আমার কাছে এলেন। তাদেরকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম। যে ব্যক্তি মদীনায় আগমন করেছেন তিনি কি করছেন, তাঁর অবস্থা কি? তারা বললেন, লোকজন অতি দ্রুত তাঁর সাহচর্যে যাচ্ছে তাঁর কওম তাঁকে হত্যা করতে চাচ্ছিল। কিন্তু তারা সফলকাম হয়নি। আমি এ কথা শুলে মদীনায় গেলাম এবং তাঁর কাছে পৌছলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে চিনতে পেরেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, তুমি সে ব্যক্তি যে আমার সাথে মক্কায় সাক্ষাত করেছিলে।
(বর্ণনাকারী) বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। আমি আবার বললাম, ইয়া-নবী আল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আপনাকে যা কিছু শিখিয়েছেন, অথচ আমি তা জানি না, তা আমাকে শিক্ষা দিন। আমাকে নামায সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, ফজরের নামায আদায় করবে। এরপর সূর্য উদিত হয়ে পরিষ্কারভাবে উপরে না উঠা পর্যন্ত তুমি নামায থেকে বিরত থাক। কেননা সূর্য যখন উদিত হয় তখন সেটা উদিত হয় শয়তানের দু’ শিং-এর মাঝখান দিয়ে। সে সময়ে কাফির তাকে সিজদা করে। এরপর নামায আদায় কর, তীরের ছায়া তার সমান না হওয়া পর্যন্ত। নামাযে ফিরিশতাগণের উপস্থিতি এবং সাক্ষ্যের ব্যাপার রয়েছে। এরপর নামায থেকে বিরত থাকো কেননা এ সময়ে জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়। এরপর যখন ছায়ায় পরিবর্তন শুরু হয় তখন নামায পড়তে থাক। ফিরিশতাগণ নামাযে উপস্থিত থাকেন। অর্থাৎ আসরের নামায আদায় করা পর্যন্ত, তারপর নামায হতে বিরত থাক সূর্য অস্তমিত না যাওয়া পর্যন্ত। কেননা সূর্য শয়তানের দু’শিং-এর মধ্যে দিয়ে অস্ত যায়। ঐ সময় কাফিররা তাকে সিজদা করে।
রাবী বলেন,আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! উযু সম্পর্কে আমাকে বলে দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের কোন ব্যক্তির কাছে যখন ওযুর পানি পেশ করা হয়, এরপর সে কুলি করে ও নাকে পানি দেয় ও তা পরিষ্কার করে। তখন তার মুখমণ্ডলের মূখ গহব্বর ও নাকের সকল গুনাহ ঝরে যায়। তারপর যখন সে আল্লাহ পাকের নির্দেশ অনুসারে মুখমণ্ডল ধোয় তখন মুখমণ্ডলের চারিদিক থেকে সকল গুনাহ পানির সাথে ঝরে যায়। এরপর যখন দু’ হাত ধোয় কুনূই পর্যন্ত, তখন তার উভয় হাতের গুনাহসমূহ আঙ্গুল দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর উভয় পা গোড়ালী পর্যন্ত ধৌত করলে উভয় পায়ের গুনাহগুলো আঙ্গুল দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর যদি সে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করে আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করে, যথাযথভাবে ও তাঁর অন্তরকে আল্লাহর জন্য মুক্ত করে নেয়, তাহলে সে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে সেদিনের মত যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করোছিল।
আমর ইবনে আবাসা (রাযিঃ)ও হাদীসটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবী আবু উমামা (রাযিঃ) এর নিকট বর্ণনা করেন। তখন আবু উমামা (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, হে আমর ইবনে আবাসা! ভেবে দেখ, তুমি কি বলছ! একই স্থানে ঐ ব্যক্তিকে এত মর্যাদা দেয়া হবে? তখন আমর (রাযিঃ) বললেন, হে আবু উমামা (রাযিঃ)! আমি বয়োবৃদ্ধ হয়ে গিয়েছি। আমার হাড়গুলো নরম হয়ে গিয়েছে। আমার মৃত্যুকাল নিকটবর্তী হয়ে পড়েছে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর মিথ্যা আরোপের কোন প্রয়োজন আমার নেই। আমি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে না শুনতাম একবার দু’বার, তিনবার এমনকি তিনি সাত বার পর্যন্ত গণনা করলেন। তবে আমি কখনো এ হাদীস বর্ণনা করতাম না। আমি হাদীসটি সাত বারের চেয়েও অনেক বেশীবার শুনেছি।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو عَمَّارٍ، وَيَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، - قَالَ عِكْرِمَةُ وَلَقِيَ شَدَّادٌ أَبَا أُمَامَةَ وَوَاثِلَةَ وَصَحِبَ أَنَسًا إِلَى الشَّامِ وَأَثْنَى عَلَيْهِ فَضْلاً وَخَيْرًا - عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ قَالَ عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ السُّلَمِيُّ كُنْتُ وَأَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَظُنُّ أَنَّ النَّاسَ عَلَى ضَلاَلَةٍ وَأَنَّهُمْ لَيْسُوا عَلَى شَىْءٍ وَهُمْ يَعْبُدُونَ الأَوْثَانَ فَسَمِعْتُ بِرَجُلٍ بِمَكَّةَ يُخْبِرُ أَخْبَارًا فَقَعَدْتُ عَلَى رَاحِلَتِي فَقَدِمْتُ عَلَيْهِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَخْفِيًا جُرَءَاءُ عَلَيْهِ قَوْمُهُ فَتَلَطَّفْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ بِمَكَّةَ فَقُلْتُ لَهُ مَا أَنْتَ قَالَ " أَنَا نَبِيٌّ " . فَقُلْتُ وَمَا نَبِيٌّ قَالَ " أَرْسَلَنِي اللَّهُ " . فَقُلْتُ وَبِأَىِّ شَىْءٍ أَرْسَلَكَ قَالَ " أَرْسَلَنِي بِصِلَةِ الأَرْحَامِ وَكَسْرِ الأَوْثَانِ وَأَنْ يُوَحَّدَ اللَّهُ لاَ يُشْرَكُ بِهِ شَىْءٌ " . قُلْتُ لَهُ فَمَنْ مَعَكَ عَلَى هَذَا قَالَ " حُرٌّ وَعَبْدٌ " . قَالَ وَمَعَهُ يَوْمَئِذٍ أَبُو بَكْرٍ وَبِلاَلٌ مِمَّنْ آمَنَ بِهِ . فَقُلْتُ إِنِّي مُتَّبِعُكَ . قَالَ " إِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ يَوْمَكَ هَذَا أَلاَ تَرَى حَالِي وَحَالَ النَّاسِ وَلَكِنِ ارْجِعْ إِلَى أَهْلِكَ فَإِذَا سَمِعْتَ بِي قَدْ ظَهَرْتُ فَأْتِنِي " . قَالَ فَذَهَبْتُ إِلَى أَهْلِي وَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَكُنْتُ فِي أَهْلِي فَجَعَلْتُ أَتَخَبَّرُ الأَخْبَارَ وَأَسْأَلُ النَّاسَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ حَتَّى قَدِمَ عَلَىَّ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ يَثْرِبَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَقُلْتُ مَا فَعَلَ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَقَالُوا النَّاسُ إِلَيْهِ سِرَاعٌ وَقَدْ أَرَادَ قَوْمُهُ قَتْلَهُ فَلَمْ يَسْتَطِيعُوا ذَلِكَ . فَقَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَعْرِفُنِي قَالَ " نَعَمْ أَنْتَ الَّذِي لَقِيتَنِي بِمَكَّةَ " . قَالَ فَقُلْتُ بَلَى . فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَمَّا عَلَّمَكَ اللَّهُ وَأَجْهَلُهُ . أَخْبِرْنِي عَنِ الصَّلاَةِ قَالَ " صَلِّ صَلاَةَ الصُّبْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ حِينَ تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ ثُمَّ صَلِّ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى يَسْتَقِلَّ الظِّلُّ بِالرُّمْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّ حِينَئِذٍ تُسْجَرُ جَهَنَّمُ فَإِذَا أَقْبَلَ الْفَىْءُ فَصَلِّ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ " . قَالَ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَالْوُضُوءُ حَدِّثْنِي عَنْهُ قَالَ " مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوءَهُ فَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ فَيَنْتَثِرُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيهِ وَخَيَاشِيمِهِ ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِي هُوَ لَهُ أَهْلٌ وَفَرَّغَ قَلْبَهُ لِلَّهِ إِلاَّ انْصَرَفَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " . فَحَدَّثَ عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَبَا أُمَامَةَ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ أَبُو أُمَامَةَ يَا عَمْرَو بْنَ عَبَسَةَ انْظُرْ مَا تَقُولُ فِي مَقَامٍ وَاحِدٍ يُعْطَى هَذَا الرَّجُلُ فَقَالَ عَمْرٌو يَا أَبَا أُمَامَةَ لَقَدْ كَبِرَتْ سِنِّي وَرَقَّ عَظْمِي وَاقْتَرَبَ أَجَلِي وَمَا بِي حَاجَةٌ أَنْ أَكْذِبَ عَلَى اللَّهِ وَلاَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا - حَتَّى عَدَّ سَبْعَ مَرَّاتٍ - مَا حَدَّثْتُ بِهِ أَبَدًا وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ .
হাদীস নং: ১৮০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৩-১
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০৪। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) এর ধারণা হয়েছিল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্যোদয় ও সূর্যস্তের সময়কালে নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ وَهِمَ عُمَرُ إِنَّمَا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُتَحَرَّى طُلُوعُ الشَّمْسِ وَغُرُوبُهَا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৩-২
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০৫। হাসান হুলওয়ানী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের পর দু’রাকআত নামায ত্যাগ করেননি। রাবী বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) আরো বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ের অপেক্ষায় থেকো না এবং সে সময় নামায আদায় করো না।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ لَمْ يَدَعْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ . قَالَ فَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَتَحَرَّوْا طُلُوعَ الشَّمْسِ وَلاَ غُرُوبَهَا فَتُصَلُّوا عِنْدَ ذَلِكَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৪
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০৬। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া তুজীবী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্দুর রহমান ইবনে আযহার এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) সবাই তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট প্রেরণ করলেন এবং বলে দিলেন, তাকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে সালাম জানাবে এবং তাঁকে আসরের পরের দু’রাকআত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে এবং এ কথাও বলবে যে আমরা জানতে পেরেছি, আপনিও সে দু রাকআত নামায আদায় করে থাকেন, অথচ আমাদের নিকট হাদীস পৌছেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা নিষেধ করেছেন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর সঙ্গে এ নামায হতে লোকদের ফিরিয়ে রাখতাম। কুরায়ব (রাযিঃ) বলেন, আমি তার নিকট গেলাম এবং তাঁরা যে সব কথা বলে দিয়ে আমাকে প্রেরণ করেছিলেন তা সব পৌছে দিলাম। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, উম্মে সালামাকে (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা কর। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে যারা আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁদের কাছে এলাম এবং তাঁদেরকে আয়িশা (রাযিঃ) যা বলেছিলেন তা অবহিত করলাম। তারা আমাকে পূনরায় উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর নিকট প্রেরণ করলেন, যেভাবে আমাকে পাঠিয়েছিলেন আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে।
(আমার বক্তব্য শুনে) উম্মে সালামা (রাযিঃ) বললেন, আমিও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ নামায নিষেধ করতে শুনেছি, পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ নামায আদায় করতে দেখেছি। যে দু’রাকআত নামায আদায় করেছিলেন (তার ব্যাপার এই) তিনি আসরের নামায আদায় করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার হুজরায় প্রবেশ করলেন তখন আমার কাছে আনসারের বনী হারাম গোত্রের কতিপয় মহিলা বসাছিলেন। এরপর দু- রাকআত নামায আদায় করলেন। আমি দাসীকে তাঁর নিকট পাঠালাম এবং বলে দিলাম, তুমি তার পার্শ্বে দাঁড়াবে এবং তাঁকে বলবে ইয়া রাসুলাল্লাহ! উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেছেন যে, আপনাকে এ দু- রাক’আত হতে নিষেধ করতে শুনেছেন। অথচ এখন দেখছি আপনি সে দু’রাকআত আদায় করেছেন। তখন তিনি যদি হাত দ্বারা ইশারা করেন তাহলে পিছনে সরে দাঁড়াবে। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, দাসী তাই করল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাত দ্বারা ইশারা করলেন। দাসী পিছনে সরে দাঁড়াল। নামায শেষ করে যখন বললেন, হে আবু উমাইয়ার কন্যা! তুমি আমাকে আসরের পরের দু’রাকআত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ? (ঘটনা হল) আমার নিকট আব্দুল কায়স গোত্রের কতিপয় লোক ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছিল। তাদের সাথে ব্যস্ততার কারণে যোহরের পরের দু’ রাক’আত আদায় করতে পারিনি। এ হল সেই দু’রাকআত।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর সঙ্গে এ নামায হতে লোকদের ফিরিয়ে রাখতাম। কুরায়ব (রাযিঃ) বলেন, আমি তার নিকট গেলাম এবং তাঁরা যে সব কথা বলে দিয়ে আমাকে প্রেরণ করেছিলেন তা সব পৌছে দিলাম। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, উম্মে সালামাকে (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা কর। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে যারা আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁদের কাছে এলাম এবং তাঁদেরকে আয়িশা (রাযিঃ) যা বলেছিলেন তা অবহিত করলাম। তারা আমাকে পূনরায় উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর নিকট প্রেরণ করলেন, যেভাবে আমাকে পাঠিয়েছিলেন আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে।
(আমার বক্তব্য শুনে) উম্মে সালামা (রাযিঃ) বললেন, আমিও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ নামায নিষেধ করতে শুনেছি, পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ নামায আদায় করতে দেখেছি। যে দু’রাকআত নামায আদায় করেছিলেন (তার ব্যাপার এই) তিনি আসরের নামায আদায় করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার হুজরায় প্রবেশ করলেন তখন আমার কাছে আনসারের বনী হারাম গোত্রের কতিপয় মহিলা বসাছিলেন। এরপর দু- রাকআত নামায আদায় করলেন। আমি দাসীকে তাঁর নিকট পাঠালাম এবং বলে দিলাম, তুমি তার পার্শ্বে দাঁড়াবে এবং তাঁকে বলবে ইয়া রাসুলাল্লাহ! উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেছেন যে, আপনাকে এ দু- রাক’আত হতে নিষেধ করতে শুনেছেন। অথচ এখন দেখছি আপনি সে দু’রাকআত আদায় করেছেন। তখন তিনি যদি হাত দ্বারা ইশারা করেন তাহলে পিছনে সরে দাঁড়াবে। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, দাসী তাই করল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাত দ্বারা ইশারা করলেন। দাসী পিছনে সরে দাঁড়াল। নামায শেষ করে যখন বললেন, হে আবু উমাইয়ার কন্যা! তুমি আমাকে আসরের পরের দু’রাকআত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ? (ঘটনা হল) আমার নিকট আব্দুল কায়স গোত্রের কতিপয় লোক ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছিল। তাদের সাথে ব্যস্ততার কারণে যোহরের পরের দু’ রাক’আত আদায় করতে পারিনি। এ হল সেই দু’রাকআত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ - عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ، بْنَ أَزْهَرَ وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَقُلْ إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُمَا . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكُنْتُ أَصْرِفُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ النَّاسَ عَنْهَا . قَالَ كُرَيْبٌ فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا وَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي بِهِ . فَقَالَتْ سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ . فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ . فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْهُمَا ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا أَمَّا حِينَ صَلاَّهُمَا فَإِنَّهُ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَخَلَ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَصَلاَّهُمَا فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ فَقُلْتُ قُومِي بِجَنْبِهِ فَقُولِي لَهُ تَقُولُ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَسْمَعُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ - قَالَ - فَفَعَلَتِ الْجَارِيَةُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ إِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ بِالإِسْلاَمِ مِنْ قَوْمِهِمْ فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৫-১
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০৭। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব, কুতায়বা ও আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আবু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের পর যে দু’রাকআত নামায আদায় করতেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ দু’রাকআত আসরের পূর্বেই আদায় করতেন। অবশ্য অধিক ব্যস্ততা অথবা ভুলে যাওয়ার ক্যরণে ঐ দু’রাকআত আদায় করতে না পারায় তা আসরের পর আদায় করলেন।
তারপর থেকে এ দু’ রাক’আত নিয়মিত আদায় করতে লাগলেন। তাঁর নিয়ম ছিল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন নামায আদায় করলে তা নিয়মিত আদায় করতেন। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) বলেন, ইসমাঈল বলেছেন যে, তিনি তা সর্বদা আদায় করতেন।
তারপর থেকে এ দু’ রাক’আত নিয়মিত আদায় করতে লাগলেন। তাঁর নিয়ম ছিল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন নামায আদায় করলে তা নিয়মিত আদায় করতেন। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) বলেন, ইসমাঈল বলেছেন যে, তিনি তা সর্বদা আদায় করতেন।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ - قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنِ السَّجْدَتَيْنِ اللَّتَيْنِ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّيهِمَا بَعْدَ الْعَصْرِ فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّيهِمَا قَبْلَ الْعَصْرِ ثُمَّ إِنَّهُ شُغِلَ عَنْهُمَا أَوْ نَسِيَهُمَا فَصَلاَّهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ ثُمَّ أَثْبَتَهُمَا وَكَانَ إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَثْبَتَهَا . قَالَ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ قَالَ إِسْمَاعِيلُ تَعْنِي دَاوَمَ عَلَيْهَا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৫-২
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০৮। যুহাইর ইবনে হারব ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকটে (অবস্থানকালে) আসরের পরের দু’রাকআত কখনো ত্যাগ করেন নি।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي جَمِيعًا، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ عِنْدِي قَطُّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৫-৩
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০৯। আবু বকর ইবনে শায়বা (রাহঃ), আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দুটি নামায আমার গৃহে অবস্থানকালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনো ত্যাগ করেননি গোপনেও নয় প্রকাশ্যে নয়; ফজরের (ফরযের) পূর্বে দু- রাক’আত ও আসরের (ফরযের) পর দু’রাক’আত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الأَسْوَدِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ صَلاَتَانِ مَا تَرَكَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي قَطُّ سِرًّا وَلاَ عَلاَنِيَةً رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮১০
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৫-৪
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮১০। ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আসওয়াদ ও মাসরুক (রাহঃ) বলেন, আমরা আয়িশা (রাযিঃ) এর সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, তিনি বলেন, আমার নিকট পালাক্রমে অবস্থানের দিনটিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার গৃহে ঐ দু’ রাক’আত অবশ্যই আদায় করতেন। অর্থাৎ আসরের পরের দু’রাকআত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، وَمَسْرُوقٍ، قَالاَ نَشْهَدُ عَلَى عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ مَا كَانَ يَوْمُهُ الَّذِي كَانَ يَكُونُ عِنْدِي إِلاَّ صَلاَّهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي . تَعْنِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ .

তাহকীক: