আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৭- কুরআনে কারীমের ফাযায়েল ও আদাব-মাসাঈল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ১৭৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৮২২-১
১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা
১৭৮১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) একত্রে ......... আবু ওয়াইল (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নাহীক ইবনে সিনান নামের এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) এর কাছে এসে বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! এ শব্দটি আপনি কি ভাবে পাঠ করে থাকেন ″আলিফ″ সহকারে নাকি ″ইয়া″ সহকারে অর্থাৎمِنْ مَاءٍ غَيْرِ آسِنٍ নাمِنْ مَاءٍ غَيْرِ يَاسِنٍ আবু ওয়াইল (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, আর এ শব্দটি ছাড়া বাকী কুরআনের সবটাই তুমি আয়ত্ত করে ফেলেছ? সে বলল, আমি তো মুফাসসাল (সূরাসমূহ) এক রাকআতেই পড়ে থাকি। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, কবিতার ফড়ফড়ানির ন্যায় ফড়ফড় করে কী?

একদল লোক কুরআন পাঠ করে থাকে যা তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করে না। তবে যখন তা কলবে পতিত হয় এবং তা তাতে দৃঢ় অবস্থান নেয় তখনই তা উপকারে আসে। উত্তম নামায হল রুকু ও সিজদা (-র আধিক্য)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রাকআতে যে সদৃশ্য দু’টি দু’টি সূরা মিলিয়ে পাঠ করতেন আমি সেগুলোর কথা ভালভাবেই জানি।

অতঃপর আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) উঠে দাঁড়ালে আলকামা (রাহঃ) তাঁর পিছনে পিছনে প্রবেশ করলেন। পরে বের হায় এসে বললেন, তিনি আমাকে সেগুলো সম্পর্কে অবগত করেছেন। (এ ছিল আবু বকর (রাহঃ) এর বিবরণ) আর ইবনে নুমাইর (রাহঃ) তাঁর বর্ণনায় বলেছেন, বনু বাজীলার এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর সাথে আসল। তিনি নাহীক ইবনে সিনান (নামটি) বলেন নি।
باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَيْفَ تَقْرَأُ هَذَا الْحَرْفَ أَلِفًا تَجِدُهُ أَمْ يَاءً مِنْ مَاءٍ غَيْرِ آسِنٍ أَوْ مِنْ مَاءٍ غَيْرِ يَاسِنٍ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَكُلَّ الْقُرْآنِ قَدْ أَحْصَيْتَ غَيْرَ هَذَا قَالَ إِنِّي لأَقْرَأُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إِنَّ أَقْوَامًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ وَلَكِنْ إِذَا وَقَعَ فِي الْقَلْبِ فَرَسَخَ فِيهِ نَفَعَ إِنَّ أَفْضَلَ الصَّلاَةِ الرُّكُوعُ وَالسُّجُودُ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ . ثُمَّ قَامَ عَبْدُ اللَّهِ فَدَخَلَ عَلْقَمَةُ فِي إِثْرِهِ ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ قَدْ أَخْبَرَنِي بِهَا . قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَجِيلَةَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ وَلَمْ يَقُلْ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ .
হাদীস নং: ১৭৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৮২২-২
১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা
১৭৮২। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাহীক ইবনে সিনান নামে এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর কাছে এলেন (পূর্ববর্তী সনদের) ওয়াকী (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ। তবে তিনি বলেছেন, পরে আলকামা (রাহঃ) তাঁর কাছে প্রবেশ করার জন্য আসলেন। আমরা তাকে বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রাক’আতে যে সদৃশ সূরাগুলো (র দু’টি করে) তিলাওয়াত করতেন সে বিষয় আপনি তাকে (আব্দুল্লাহকে) জিজ্ঞাসা করুন। তখন আলকামা (রাহঃ) তাঁর কাছে গেলেন এবং পরে আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে বললেন, তা হল আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর কুরআন সংকলনের বিশটি মুফাসসাল সূরা।
باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ يُقَالُ لَهُ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِ وَكِيعٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَجَاءَ عَلْقَمَةُ لِيَدْخُلَ عَلَيْهِ فَقُلْنَا لَهُ سَلْهُ عَنِ النَّظَائِرِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهَا فِي رَكْعَةٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ فَسَأَلَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ عِشْرُونَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ فِي تَأْلِيفِ عَبْدِ اللَّهِ .
হাদীস নং: ১৭৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮২২-৩
১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা
১৭৮৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে এই সনদে পূর্ববর্তী দু’জনের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বললেন, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেছেন, আমি সে নযীর সূরাগুলো জানি যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাঠ করতেন, দুই সূরা প্রতি রাক’আতে, বিশটি সূরা দশ রাক’আতে।
باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ . بِنَحْوِ حَدِيثِهِمَا وَقَالَ إِنِّي لأَعْرِفُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ يَقْرَأُ بِهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اثْنَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ . عِشْرِينَ سُورَةً فِي عَشْرِ رَكَعَاتٍ .
হাদীস নং: ১৭৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮২২-৪
১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা
১৭৮৪। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন, একদিন সকালে (ফজরের) নামায আদায়ের পরে আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। আমরা দরজায় দাঁড়িয়ে সালাম করলে তিনি আমাদের অনুমতি দিলেন। রাবী আবু ওয়াইল (রাহঃ) বলেন, আমরা কিছুক্ষণ দরজায় অবস্থান করলাম। রাবী বলেন, তখন বেরিয়ে এসে বলল, আপনারা প্রবেশ করছেন না কেন? আমরা তখন প্রবেশ করলাম। তিনি (আব্দুল্লাহ) বসে বসে তাসবীহ পড়ছেন। তিনি বললেন, তোমাদের অনুমতি দেওয়া সত্ত্বেও কিসে তোমাদের প্রবেশে বাধা দিয়েছিল? তখন আমরা বললাম, না (তেমন কিছু নয়) তবে কিনা আমরা ধারণা করেছিলাম যে, ঘরের কেউ হয়ত ঘুমিয়ে রয়েছে।

তিনি বললেন, ইবনে উম্মু আব্দ এর পরিবারে তোমরা আলসেমী ও উদাসীনতার ধারণা করলে? রাবী (ওয়াইল) বলেন, তারপর তিনি তাসবীহ পাঠ শুরু করলেন। পরে যখন ধারণা করলেন যে সূর্য উদিত হয়েছে, তখন বললেন, হে দাসী! দেখ তো সূর্য উঠেছে কি না? রাবী বলেন, সে নযর করে দেখল যে, তখনও সূর্য উঠেনি। তিনি আবার তাসবীহ পাঠ শুরু করলেন। অবশেষে যখন তাঁর ধারণা হল যে সূর্য উদিত হয়েছে, তখন বললেন, হে দাসী! দেখ তো সূর্য উঠেছে কি? তখন সে নযর করে দেখতে পেল যে, তা উদিত হয়েছে। তখন তিনি বললেন, সমস্ত প্রশংসা সেই সত্তার যিনি আমাদের এ দিনটি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

[মাহদী (রাহঃ) বলেন, আমার ধারণা যে, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) আরও বলেছেন] এবং তিনি আমাদের পাপের কারণে আমাদের ধ্বংস করে দেননি। রাবী বলেন, তখন (উপস্থিত) দলের একজন বলল, গতরাতে আমি (নামাযে) মূফাসসাল সম্পূর্ণটা পাঠ করেছি। রাবী বলেন, তখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, কবিতার মত দ্রুত? আমর তো সেই জোড়া জোড়া সূরাগুলো আছে যেগুলো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাঠ করতেন। মুফাসসালের আঠারটি সূরা এবং হা-মীম শ্রেণীর দু’টি সূরা।
باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا وَاصِلٌ الأَحْدَبُ، عَنْ أَبِي، وَائِلٍ قَالَ غَدَوْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ يَوْمًا بَعْدَ مَا صَلَّيْنَا الْغَدَاةَ فَسَلَّمْنَا بِالْبَابِ فَأَذِنَ لَنَا - قَالَ - فَمَكَثْنَا بِالْبَابِ هُنَيَّةً - قَالَ - فَخَرَجَتِ الْجَارِيَةُ فَقَالَتْ أَلاَ تَدْخُلُونَ فَدَخَلْنَا فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ يُسَبِّحُ فَقَالَ مَا مَنَعَكُمْ أَنْ تَدْخُلُوا وَقَدْ أُذِنَ لَكُمْ فَقُلْنَا لاَ إِلاَّ أَنَّا ظَنَنَّا أَنَّ بَعْضَ أَهْلِ الْبَيْتِ نَائِمٌ . قَالَ ظَنَنْتُمْ بِآلِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ غَفْلَةً قَالَ ثُمَّ أَقْبَلَ يُسَبِّحُ حَتَّى ظَنَّ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ طَلَعَتْ فَقَالَ يَا جَارِيَةُ انْظُرِي هَلْ طَلَعَتْ قَالَ فَنَظَرَتْ فَإِذَا هِيَ لَمْ تَطْلُعْ فَأَقْبَلَ يُسَبِّحُ حَتَّى إِذَا ظَنَّ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ طَلَعَتْ قَالَ يَا جَارِيَةُ انْظُرِي هَلْ طَلَعَتْ فَنَظَرَتْ فَإِذَا هِيَ قَدْ طَلَعَتْ . فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَقَالَنَا يَوْمَنَا هَذَا - فَقَالَ مَهْدِيٌّ وَأَحْسِبُهُ قَالَ - وَلَمْ يُهْلِكْنَا بِذُنُوبِنَا - قَالَ - فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ الْبَارِحَةَ كُلَّهُ - قَالَ - فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إِنَّا لَقَدْ سَمِعْنَا الْقَرَائِنَ وَإِنِّي لأَحْفَظُ الْقَرَائِنَ الَّتِي كَانَ يَقْرَؤُهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ مِنَ الْمُفَصَّلِ وَسُورَتَيْنِ مِنْ آلِ حم.
হাদীস নং: ১৭৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮২২-৫
১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা
১৭৮৫। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাহিক ইবনে সিনান (রাহঃ) নামে পরিচিত বনু বাজীলার এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর কাছে এসে বলল, আমি এক রাকআতেই মুফাসসাল সূরা পাঠ করে থাকি। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, কবিতা আবৃতি করার ন্যায় (তাড়াতাড়ি)? আমি তো সে সদৃশ সূরাগুলোর কথা জানি, যেগুলো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রতি রাক’আতে দুই সূরা করে পাঠ করতেন।
باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَجِيلَةَ يُقَالُ لَهُ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ إِنِّي أَقْرَأُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ لَقَدْ عَلِمْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهِنَّ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ .
হাদীস নং: ১৭৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮২২-৬
১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা
১৭৮৬। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আমর ইবনে মুররা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবু ওয়াইল (রাহঃ) কে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, এক ব্যক্তি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর কাছে এসে বলল, আজ (গত)রাতে আমি মুফাসসাল (সূরাগুলো) সম্পূর্ণই এক রাক’আতে পড়ে ফেলেছি। তখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, কবিতা আবৃতি করার মত তাড়াতাড়ি করে? পরে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) আরো বললেন, আমি তো সে সদৃশ (সূরা) গুলো জানি, যেগুলো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিলিয়ে পাঠ করতেন। রাবী বলেন, তিনি তখন মুফাসসালভুক্ত বিশটি সূরার নাম উল্লেখ করলেন (যার) দুই দুই সূরা প্রতি রাক’আতে (পাঠ করা হত)।
باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا وَائِلٍ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ اللَّيْلَةَ كُلَّهُ فِي رَكْعَةٍ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ - قَالَ - فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ سُورَتَيْنِ سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ .