আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৭- কুরআনে কারীমের ফাযায়েল ও আদাব-মাসাঈল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ১৭৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৮১৮-১
১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ
১৭৭২। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আব্দ কারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনুূল খাত্তাব (রাযিঃ) কে আমি বলতে শুনেছি যে, আমি যেভাবে সূরা ফূরকান তিলাওয়াত করি, হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হিযাম (রাযিঃ) কে তা থেকে ভিন্ন কায়দায় তিলাওয়াত করতে শুনলাম। অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ই এ সূরাটি এভাবে পড়তে আমাকে শিখিয়েছেন। আমি তখনই তাকে পাকড়াও করতে উদ্যত হয়েছিলাম। কিন্তু তাকে অবকাশ দিলাম। তিনি নামায সমাপ্ত করলেন। এরপরই আমি তার চাঁদর দিয়ে তাঁকে পেঁচিয়ে ধরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে নিয়ে এসে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি একে সূরা ফুরকান পাঠ করতে শুনেছি। আপনি আমাকে যেমন পাঠ করতে শিক্ষা দিয়েছেন, তা থেকে ভিন্নরূপ।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (আমাকে) বললেন, তাঁকে ছেড়ে দাও, (এবং তাকে বললেন) পড় তো। সে তখন ওই কিরা’আতই পড়ে শোনাল, যেমন তাঁকে আমি পড়তে শুনেছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, (আয়াতটি) অনুরূপ নাযিল করা হয়েছে। অতঃপর আমাকে বললেন, তুমি পড়! আমি তিলাওয়াত করলাম, তিনি বললেন, এভাবেই নাযিল করা হয়েছে। এ কুরআন সাত হরফে (ধরণে) নাযিল করা হয়েছে। সুতরাং যার যেভাবে সহজ হয় তোমরা তা (সেভাবে) পাঠ করবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (আমাকে) বললেন, তাঁকে ছেড়ে দাও, (এবং তাকে বললেন) পড় তো। সে তখন ওই কিরা’আতই পড়ে শোনাল, যেমন তাঁকে আমি পড়তে শুনেছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, (আয়াতটি) অনুরূপ নাযিল করা হয়েছে। অতঃপর আমাকে বললেন, তুমি পড়! আমি তিলাওয়াত করলাম, তিনি বললেন, এভাবেই নাযিল করা হয়েছে। এ কুরআন সাত হরফে (ধরণে) নাযিল করা হয়েছে। সুতরাং যার যেভাবে সহজ হয় তোমরা তা (সেভাবে) পাঠ করবে।
باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ، حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَؤُهَا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْرَأَنِيهَا فَكِدْتُ أَنْ أَعْجَلَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَمْهَلْتُهُ حَتَّى انْصَرَفَ ثُمَّ لَبَّبْتُهُ بِرِدَائِهِ فَجِئْتُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَأْتَنِيهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْسِلْهُ اقْرَأْ " . فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَكَذَا أُنْزِلَتْ " . ثُمَّ قَالَ لِيَ " اقْرَأْ " . فَقَرَأْتُ فَقَالَ " هَكَذَا أُنْزِلَتْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮১৮-২
১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ
১৭৭৩। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... মিসওয়ার ইবনে মাখরামা ও আব্দুর রহমান ইবনে আব্দ কারী (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তারা দু’জন শুনেছেন যে, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জীবিত থাকাকালে একবার হিশাম ইবনে হাকীম (রাযিঃ) কে সূরা ফুরকান তিলাওয়াত করতে শুনলাম। হাদীসটির পূর্বানুরূপ বিবরণ দিয়েছেন। তবে তিনি এতে আরো বলেছেন, ″নামাযের মাঝেই আমি তাকে পাকড়াও করতে উদ্যত হয়েছিলাম। পরে সালাম করা পর্যন্ত কোন রকমে সবর করে থাকলাম।″
باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدٍ الْقَارِيَّ، أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا، سَمِعَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمٍ، يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ وَزَادَ فَكِدْتُ أُسَاوِرُهُ فِي الصَّلاَةِ فَتَصَبَّرْتُ حَتَّى سَلَّمَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮১৮-৩
১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ
১৭৭৪। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে ইউনূস (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ তারই সনদে বর্ণনা করেছেন।
باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، كَرِوَايَةِ يُونُسَ بِإِسْنَادِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮১৯-১
১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ
১৭৭৫। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) (প্রথমে) আমাকে এক হরফে কুরআন পাঠ করালে আমি তাঁর কাছে (আরো বৃদ্ধির) আব্দার জানালাম। এভাবে আমি তাঁর কাছে কিরা’আতের ধরন বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করতে থাকি তিনিও প্রতিবার বাড়াতে থাকেন। অবশেষে সাত হরফে গিয়ে পরিসমাপ্তি হয়।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেছেন, আমার কাছে রিওয়ায়াত পৌছেছে যে, সে সাত হরফ সে সব নির্দেশের ব্যাপারে প্রযোজ্য যেখানে অর্থ এক হয়, হালাল-হারামের ব্যাপারে কোনো বিরোধ সৃষ্টি করে না।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেছেন, আমার কাছে রিওয়ায়াত পৌছেছে যে, সে সাত হরফ সে সব নির্দেশের ব্যাপারে প্রযোজ্য যেখানে অর্থ এক হয়, হালাল-হারামের ব্যাপারে কোনো বিরোধ সৃষ্টি করে না।
باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَقْرَأَنِي جِبْرِيلُ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - عَلَى حَرْفٍ فَرَاجَعْتُهُ فَلَمْ أَزَلْ أَسْتَزِيدُهُ فَيَزِيدُنِي حَتَّى انْتَهَى إِلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ " . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ بَلَغَنِي أَنَّ تِلْكَ السَّبْعَةَ الأَحْرُفَ إِنَّمَا هِيَ فِي الأَمْرِ الَّذِي يَكُونُ وَاحِدًا لاَ يَخْتَلِفُ فِي حَلاَلٍ وَلاَ حَرَامٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮১৯-২
১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ
১৭৭৬। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে ঐ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন
باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮২০-১
১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ
১৭৭৭। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মসজিদে ছিলাম। এক ব্যক্তি প্রবেশে করে নামায আদায় করতে লাগল। সে এমন এক ধরনের কিরাআত করতে লাগল আমার কাছে অভিনব মনে হল। পরে আর একজন প্রবেশ করে তার পূর্ববর্তী ব্যক্তি হতে ভিন্ন ধরনের কিরা’আত করতে লাগল। নামায শেষে আমরা সবাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গেলাম। আমি বললাম, এ ব্যক্তি এমন কিরা’আত করেছে যা আমার কাছে অভিনব ঠেকেছে এবং অন্যজন প্রবেশ করে তার পূর্ববর্তী জন হতে ভিন্ন কিরা’আত পাঠ করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের উভয়কে (কিরা’আত পাঠ করতে) নির্দেশ দিলেন। তারা উভয়েই কিরা’আত পাঠ করল। নবী (ﷺ) তাদের দু’ জনের (কিরা’আতের) ধরনকে সুন্দর বললেন। ফলে আমার মনে নবী (ﷺ) এর কুরআনের প্রতি মিথ্যা অবিশ্বাস ও সন্দেহের উন্মেষ দেখা দিল। এমন কি জাহিলী যুগেও আমার এমন খটকা জাগেনি।
আমার ভেতরে সৃষ্ট খটকা অবলোকন করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার বুকে সজোরে আঘাত করলেন। ফলে আমি ঘর্মাক্ত হয়ে গেলাম এবং যেন আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মহা মহীয়ান আল্লাহকে দেখছিলাম। নবী (ﷺ) আমাকে বললেন, ওহে উবাই! আমার কাছে[(জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)] কে প্রেরণ করা হয়েছে যে, আমি যেন কুরআন এক হরফে তিলাওয়াত করি। আমি তখন তাঁর কাছে পূনরায় অনুরোধ করলাম আমার উম্মতের জন্য সহজ করুন। দ্বিতীয়বার আমাকে বলা হল যে, দুই হরফে তা তিলাওয়াত করবে। তখন তাঁর কাছে আবার অনুরোধ করলাম, আমার উম্মতের জন্য সহজ করে দিতে। তৃতীয়বার আমাকে বলা হল যে সাত হরফে তা তিলাওয়াত করবে এবং যতবার আপনাকে জবাব দিয়েছি তার প্রতিটির বদলে আপনার জন্য একটি প্রার্থনা বরাদ্দ করা হল যা আপনি করতে পারতেন। আমি বললাম হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। আর তৃতীয় প্রার্থনাটি বিলম্বিত করে রেখেছি সে দিনের জন্য যে দিন সারা সৃষ্টি এমন কি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)ও আমার প্রতি আকৃষ্ট হবেন।
আমার ভেতরে সৃষ্ট খটকা অবলোকন করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার বুকে সজোরে আঘাত করলেন। ফলে আমি ঘর্মাক্ত হয়ে গেলাম এবং যেন আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মহা মহীয়ান আল্লাহকে দেখছিলাম। নবী (ﷺ) আমাকে বললেন, ওহে উবাই! আমার কাছে[(জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)] কে প্রেরণ করা হয়েছে যে, আমি যেন কুরআন এক হরফে তিলাওয়াত করি। আমি তখন তাঁর কাছে পূনরায় অনুরোধ করলাম আমার উম্মতের জন্য সহজ করুন। দ্বিতীয়বার আমাকে বলা হল যে, দুই হরফে তা তিলাওয়াত করবে। তখন তাঁর কাছে আবার অনুরোধ করলাম, আমার উম্মতের জন্য সহজ করে দিতে। তৃতীয়বার আমাকে বলা হল যে সাত হরফে তা তিলাওয়াত করবে এবং যতবার আপনাকে জবাব দিয়েছি তার প্রতিটির বদলে আপনার জন্য একটি প্রার্থনা বরাদ্দ করা হল যা আপনি করতে পারতেন। আমি বললাম হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। আর তৃতীয় প্রার্থনাটি বিলম্বিত করে রেখেছি সে দিনের জন্য যে দিন সারা সৃষ্টি এমন কি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)ও আমার প্রতি আকৃষ্ট হবেন।
باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ الْقَنَّادُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى ، عَنْ جَدِّهِ ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ ، قَالَ : كُنْتُ فِي الْمَسْجِدِ ، فَدَخَلَ رَجُلٌ يُصَلِّي ، فَقَرَأَ قِرَاءَةً أَنْكَرْتُهَا عَلَيْهِ ، ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ آخَرُ ، فَقَرَأَ قِرَاءَةً غَيْرَ قِرَاءَةِ صَاحِبِهِ ، فَدَخَلْنَا جَمِيعًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنَّ هَذَا قَرَأَ قِرَاءَةً أَنْكَرْتُهَا عَلَيْهِ ، ثُمَّ دَخَلَ هَذَا فَقَرَأَ قِرَاءَةً غَيْرَ قِرَاءَةِ صَاحِبِهِ . فَأَمَرَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَرَءَا ، فَحَسَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَأْنَهُمَا ، فَوَقَعَ فِي نَفْسِي مِنَ التَّكْذِيبِ ، وَلا إِذْ كُنْتُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا غَشِيَنِي ضَرَبَ فِي صَدْرِي ، فَفِضْتُ عَرَقًا ، كَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلَى اللَّهِ فَرَقًا ، فَقَالَ لِي : " يَا أُبَيُّ ، أُرْسِلَ إِلَيَّ : أَنِ اقْرَأِ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفٍ ، فَرَدَدْتُ عَلَيْهِ : أَنْ هَوِّنْ عَلَى أُمَّتِي ، فَرَدَّ عَلَيَّ فِي الثَّانِيَةِ : أَنِ اقْرَأِ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفٍ ، فَرَدَدْتُ عَلَيْهِ : أَنْ هَوِّنْ عَلَى أُمَّتِي ، فَرَدَّ عَلَيَّ فِي الثَّالِثَةِ : أَنِ اقْرَأْهُ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ ، وَلَكَ بِكُلِّ رَدَّةٍ رَدَدْتُكَهَا مَسْأَلَةٌ تَسْأَلَنِيهَا ، فَقُلْتُ : اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأُمَّتِي ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأُمَّتِي ، وَأَخَّرْتُ الثَّالِثَةَ لِيَوْمٍ يَرْغَبُ إِلَيَّ فِيهِ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ "

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৭৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮২০-২
১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ
১৭৭৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) খরব দিয়েছেন যে, তিনি মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন। তখনই এ ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল, নামায পড়ল এবং কিরা’আত পাঠ করলেন যে...... ইবনে নুমাইর (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ।
باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي، خَالِدٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، أَخْبَرَنِي أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى فَقَرَأَ قِرَاءَةً وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৭৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮২১-১
১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ
১৭৭৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে নবী (ﷺ) বনু গিফারের জলাভূমি (ডোবা) এর কাছে ছিলেন। উবাই (রাযিঃ) বলেন, তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাঁর নিকটে এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে আদেশ করেছেন যে আপনার উম্মত এক ধরনের কুরআন পাঠ করবে। তখন নবী (ﷺ) বললেন, আমি আল্লাহর কাছে তার মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার উম্মততো এ হুকুম পালনে সমর্থ হবে না। পরে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) দ্বিতীয়বার তার কাছে আগমন করে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মত দু’ধরনের কুরআন পাঠ করবে।
নবী (ﷺ) বললেন, আমি আল্লাহর সকাশে তার মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমার উম্মততো তা পালনে সমর্থ হবে না। তারপর তিনি তাঁর কাছে তৃতীয়বার এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মত তিন হরফে কুরআন পাঠ করবে। নবী (ﷺ) বললেন, আমি আল্লাহর সমীপে তাঁর মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আমার উম্মত তো এটি পালনের সমর্থ রাখে না। তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) চতুর্থবার নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মত সাত হরফে কুরআন পাঠ করবে এবং এর যে কোন হরফ ও ধরন অনুসারে তারা পাঠ করলে তা-ই যথার্থ হবে।
নবী (ﷺ) বললেন, আমি আল্লাহর সকাশে তার মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমার উম্মততো তা পালনে সমর্থ হবে না। তারপর তিনি তাঁর কাছে তৃতীয়বার এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মত তিন হরফে কুরআন পাঠ করবে। নবী (ﷺ) বললেন, আমি আল্লাহর সমীপে তাঁর মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আমার উম্মত তো এটি পালনের সমর্থ রাখে না। তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) চতুর্থবার নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মত সাত হরফে কুরআন পাঠ করবে এবং এর যে কোন হরফ ও ধরন অনুসারে তারা পাঠ করলে তা-ই যথার্থ হবে।
باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ عِنْدَ أَضَاةِ بَنِي غِفَارٍ - قَالَ - فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفٍ . فَقَالَ " أَسْأَلُ اللَّهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ وَإِنَّ أُمَّتِي لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ " . ثُمَّ أَتَاهُ الثَّانِيَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفَيْنِ فَقَالَ " أَسْأَلُ اللَّهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ وَإِنَّ أُمَّتِي لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ " . ثُمَّ جَاءَهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى ثَلاَثَةِ أَحْرُفٍ . فَقَالَ " أَسْأَلُ اللَّهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ وَإِنَّ أُمَّتِي لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ " . ثُمَّ جَاءَهُ الرَّابِعَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَأَيُّمَا حَرْفٍ قَرَءُوا عَلَيْهِ فَقَدْ أَصَابُوا .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৭৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৮২১-২
১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ
১৭৮০। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ......... শু’বা (রাহঃ) সূত্রে সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ
وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: