আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৬- মুসাফিরের নামায - কসর নামায - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ১৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৭-১
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৩৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি পূর্বাহ্নে নামায আদায় করতেন? তিনি বললেন, না, কিন্তু সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করলে আদায় করতেন।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ هَلْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الضُّحَى قَالَتْ لاَ إِلاَّ أَنْ يَجِيءَ مِنْ مَغِيبِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৭-২
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৩৪। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি দু’হার (চাশতের) নামায আদায় করতেন? তিনি বললেন, না। কিন্তু সফর থেকে ফিরে এলে (আদায় করতেন)।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَيْسِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الضُّحَى قَالَتْ لاَ إِلاَّ أَنْ يَجِيءَ مِنْ مَغِيبِهِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৮
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৩৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দু’হার সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কখনো নামায আদায় করতে দেখিনি। কিন্তু আমি তা আদায় করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন কোন কাজ পছন্দ করতেন; কিন্তু পাছে লোকেরা তা আকড়ে ধরবে এবং তাদের উপর তা ফরয হয়ে পড়বে এ আশঙ্কায় তা ছেড়ে দিতেন।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي سُبْحَةَ الضُّحَى قَطُّ . وَإِنِّي لأُسَبِّحُهَا وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَدَعُ الْعَمَلَ وَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ خَشْيَةَ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ النَّاسُ فَيُفْرَضَ عَلَيْهِمْ .
হাদীস নং: ১৫৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৯-১
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৩৬। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... মু’আয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’হার নামায কত রাক’আত আদায় করতেন? তিনি বললেন, চার রাক’আত। ইচ্ছে হলে বেশীও পড়তেন।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي الرِّشْكَ - حَدَّثَتْنِي مُعَاذَةُ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ - رضى الله عنها - كَمْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلاَةَ الضُّحَى قَالَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَيَزِيدُ مَا شَاءَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৯-২
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৩৭। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইয়াযীদের সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি তাঁর বর্ণনায় يَزِيدُ مَا شَاءَ اللَّهُ উল্লেখ করেছেন।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ وَقَالَ يَزِيدُ مَا شَاءَ اللَّهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৯-৩
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৩৮। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব আল হারিসী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’হার নামায চার রাকআত আদায় করতেন। আল্লাহর ইচ্ছায় বেশীও পড়তেন।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةَ، حَدَّثَتْهُمْ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الضُّحَى أَرْبَعًا وَيَزِيدُ مَا شَاءَ اللَّهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৯-৪
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৩৯। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... কাতাদা (রাহঃ) থেকে উক্ত সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنْ مُعَاذِ بْنِ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৬-৪
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৪০। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) দু’হার নামায আদায় করতে দেখেছেন বলে উম্মে হানী (রাযিঃ) ব্যতীত কেউ আমাকে বলেন নি। তিনি বলেছেন যে, নবী (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন তাঁর ঘরে আসেন এবং আট রাকআত নামায আদায় করেন। আমি আর কখনও তাঁকে এর চাইতে সংক্ষিপ্ত নামায আদায় করতে দেখিনি। তবে তিনি রুকু ও সিজদা ঠিক মতো আদায় করেছিলেন। তবে ইবনে বাশশার (রাহঃ) তার বর্ণনা قَطُّ (কখনও) শব্দটি উল্লেখ করেননি।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ مَا أَخْبَرَنِي أَحَدٌ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الضُّحَى إِلاَّ أُمُّ هَانِئٍ فَإِنَّهَا حَدَّثَتْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ بَيْتَهَا يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مَا رَأَيْتُهُ صَلَّى صَلاَةً قَطُّ أَخَفَّ مِنْهَا غَيْرَ أَنَّهُ كَانَ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ بَشَّارٍ فِي حَدِيثِهِ قَوْلَهُ قَطُّ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৫৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৬-৫
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৪১। হারামালা ইবনে ইয়াহিয়া (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনে সালামা আল-মুরাদী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস ইবনে নাওফল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করতাম এবং কৌতূহলী হতাম যাতে এমন কাউকে পাই যে আমাকে বলে দেবে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’হার নামায আদায় করেছেন। কিন্তু আমি উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব (রাযিঃ) ব্যতীত আর কাউকে এই বিষয়ে বর্ণনাকারী পাইনি।
উম্মে হানী (রাযিঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন পূর্বাহ্নে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলেন এবং একটি কাপড় এনে তাঁর জন্য পর্দা করা হল। তিনি গোসল করলেন এবং দাঁড়িয়ে আট রাক’আত নামায আদায় করলেন। আমি জানি না, তাঁর নামাযে দাঁড়ানো, অথবা তার রুকু অথবা তার সিজদা কোনটা দীর্ঘ ছিল। এর প্রত্যেকটই প্রায় সমান ছিল। তিনি বলেন, এর পূর্বে বা পরে তাঁকে আর দু’হার (চাশতের) নামায আদায় করতে দেখি নি।
উম্মে হানী (রাযিঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন পূর্বাহ্নে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলেন এবং একটি কাপড় এনে তাঁর জন্য পর্দা করা হল। তিনি গোসল করলেন এবং দাঁড়িয়ে আট রাক’আত নামায আদায় করলেন। আমি জানি না, তাঁর নামাযে দাঁড়ানো, অথবা তার রুকু অথবা তার সিজদা কোনটা দীর্ঘ ছিল। এর প্রত্যেকটই প্রায় সমান ছিল। তিনি বলেন, এর পূর্বে বা পরে তাঁকে আর দু’হার (চাশতের) নামায আদায় করতে দেখি নি।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، قَالَ سَأَلْتُ وَحَرَصْتُ عَلَى أَنْ أَجِدَ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ يُخْبِرُنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبَّحَ سُبْحَةَ الضُّحَى فَلَمْ أَجِدْ أَحَدًا يُحَدِّثُنِي ذَلِكَ غَيْرَ أَنَّ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَتْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَى بَعْدَ مَا ارْتَفَعَ النَّهَارُ يَوْمَ الْفَتْحِ فَأُتِيَ بِثَوْبٍ فَسُتِرَ عَلَيْهِ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ لاَ أَدْرِي أَقِيَامُهُ فِيهَا أَطْوَلُ أَمْ رُكُوعُهُ أَمْ سُجُودُهُ كُلُّ ذَلِكَ مِنْهُ مُتَقَارِبٌ - قَالَتْ - فَلَمْ أَرَهُ سَبَّحَهَا قَبْلُ وَلاَ بَعْدُ . قَالَ الْمُرَادِيُّ عَنْ يُونُسَ . وَلَمْ يَقُلْ أَخْبَرَنِي .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৫৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৬-৬
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৪২। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহিয়া (রাহঃ) ......... আবু মুররা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উম্মে হানী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, আমি মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গেলাম এবং আমি তাঁকে গোসল করতে পেলাম। তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) একটি কাপড় দিয়ে তাকে আড়াল করে রেখেছিলেন। আমি সালাম করলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এ কে? আমি জবাব দিলাম, উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব। তিনি বললেন, মারহাবা হে উম্মে হানী!
তারপর তিনি গোসল সেরে দাঁড়িয়ে আট রাকআত নামায আদায় করলেন। তখন তিনি একই কাপড় জড়িয়ে ছিলেন। তিনি যখন নামায শেষ করলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার সহোদর আলী ইবনে আবু তালিব, হুরায়রার পূত্র অমুককে কতল করার সংকল্প করেছে, যাকে আমি নিরাপত্তা দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে উম্মে হানী! তুমি যাকে নিরাপত্তা দিয়েছ আমিও তাকে নিরাপত্তা দিলাম। উম্মে হানী (রাযিঃ) বললেন, এ ছিল চাশতের সময়।
তারপর তিনি গোসল সেরে দাঁড়িয়ে আট রাকআত নামায আদায় করলেন। তখন তিনি একই কাপড় জড়িয়ে ছিলেন। তিনি যখন নামায শেষ করলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার সহোদর আলী ইবনে আবু তালিব, হুরায়রার পূত্র অমুককে কতল করার সংকল্প করেছে, যাকে আমি নিরাপত্তা দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে উম্মে হানী! তুমি যাকে নিরাপত্তা দিয়েছ আমিও তাকে নিরাপত্তা দিলাম। উম্মে হানী (রাযিঃ) বললেন, এ ছিল চাশতের সময়।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ، تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ - قَالَتْ - فَسَلَّمْتُ فَقَالَ " مَنْ هَذِهِ " . قُلْتُ أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ . قَالَ " مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ " . فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ . فَلَمَّا انْصَرَفَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلاً أَجَرْتُهُ فُلاَنُ بْنُ هُبَيْرَةَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ " . قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ وَذَلِكَ ضُحًى .
হাদীস নং: ১৫৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৬-৭
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৪৩। হাজ্জাজ ইবনে শাইর (রাহঃ) ......... উম্মে হানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ঘরে একটি কাপড় পরে আট রাকআত নামায আদায় করেন। তিনি সে কাপড়ের দুআঁচল বিপরীত দিকে জড়িয়েছিলেন।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي بَيْتِهَا عَامَ الْفَتْحِ ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ قَدْ خَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৫৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭২০
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৪৪। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসমা আয-যুবাঈ (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন ভোরে উঠে, তখন তার প্রতিটি জোড়ার উপর একটি সাদ্কা রয়েছে। প্রতি সূবহানাল্লাহ সাদ্কা, প্রতি আলহামদুলিল্লাহ সাদ্কা, প্রতি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ সাদ্কা, প্রতি আল্লাহু আকবার সাদ্কা, আমর বিল মা’রুফ (সৎকাজের আদেশ) সাদ্কা, নাহী আনিল মুনকার (অসৎকাজের নিষেধ) সাদ্কা। অবশ্য চাশতের সময় দু রাকআত নামায আদায় করা এ সবের পক্ষ থেকে যথেষ্ট।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ، - وَهُوَ ابْنُ مَيْمُونٍ - حَدَّثَنَا وَاصِلٌ، مَوْلَى أَبِي عُيَيْنَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " يُصْبِحُ عَلَى كُلِّ سُلاَمَى مِنْ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ فَكُلُّ تَسْبِيحَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلُّ تَحْمِيدَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلُّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلُّ تَكْبِيرَةٍ صَدَقَةٌ وَأَمْرٌ بِالْمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ وَنَهْىٌ عَنِ الْمُنْكَرِ صَدَقَةٌ وَيُجْزِئُ مِنْ ذَلِكَ رَكْعَتَانِ يَرْكَعُهُمَا مِنَ الضُّحَى " .
হাদীস নং: ১৫৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭২১-১
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৪৫। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু নবী (ﷺ) আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন। প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা পালন করা, চাশতের দু’ রাক’আত নামায আদায় করা এবং নিন্দ্রা যাওয়ার আগে যেন আমি বিতর নামায আদায় করে নেই।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ، حَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي صلى الله عليه وسلم بِثَلاَثٍ بِصِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَكْعَتَىِ الضُّحَى وَأَنْ أُوتِرَ قَبْلَ أَنْ أَرْقُدَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭২১-২
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৪৬। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُرَيْرِيِّ، وَأَبِي، شِمْرٍ الضُّبَعِيِّ قَالاَ سَمِعْنَا أَبَا عُثْمَانَ النَّهْدِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭২১-৩
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৪৭। সুলাইমান ইবনে মাবাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু আবুল কাসিম (ﷺ) আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন। অতঃপর আবু উসমান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ مَعْبَدٍ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُخْتَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الدَّانَاجِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو رَافِعٍ الصَّائِغُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم بِثَلاَثٍ . فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭২২
১৩. চাশতের (পূর্বাহ্নের) নামায মুস্তাহাব হওয়া
১৫৪৮। হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি’ (রাহঃ) ......... আবুদ দারদা (রাযিঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু নবী (ﷺ) আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন। যতদিন আমি জীবিত থাকব, ততদিন তা ছাড়ব না। প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখা, চাশতের নামায আদায় করা এবং বিতর আদায় না করা পর্যন্ত যেন আমি নিদ্রায় না যাই।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي حَبِيبِي صلى الله عليه وسلم بِثَلاَثٍ لَنْ أَدَعَهُنَّ مَا عِشْتُ بِصِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَصَلاَةِ الضُّحَى وَبِأَنْ لاَ أَنَامَ حَتَّى أُوتِرَ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: