আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১৪১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৫-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪১৩। আবু তাহির ও হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন ফজরের নামাযে কিরা’আত শেষ করতেন ও তাকবীর বলতেন এবং (রুকু থেকে) মাথা উঠাতেন, তখন ″সামি’আল্লাহু লিমান হামিদা″ ″রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ″ বলতেন। পরে দাঁড়ানো অবস্থায় বলতেন, হে আল্লাহ! তুমি ওয়ালীদ ইবনুল ওয়ালীদ, সালামা ইবনে হিশাম এবং আয়্যাশ ইবনে আবু রাবী’আকে মুক্তি দাও এবং অন্যান্য দূর্বল মুমিনদের নাজাত দাও। হে আল্লাহ! মুদার গোত্রের উপর কঠোর শাস্তি অবতীর্ণ কর। তাদের উপর ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ের দুর্ভিক্ষের বছরগুলোর ন্যায় দুর্ভিক্ষ নাযিল কর। হে আল্লাহ! লা’নত কর লিহয়ান, রি’ল, যাকওয়ানের উপর এবং উসায়্য গোত্রের উপরও, যারা আল্লাহ ও রাসুলের অবাধ্যতা করেছে। কিন্তু আমাদের কাছে পরে খবর পৌছেছে যে, কুরআনের এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর তিনি লানত করা বাদ দিয়েছেনঃ
لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَىْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ
″আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন না শাস্তি দিবেন তা আপনার ইখতিয়ারভুক্ত নয়; তারা নিশ্চয়ই যালিম।″
لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَىْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ
″আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন না শাস্তি দিবেন তা আপনার ইখতিয়ারভুক্ত নয়; তারা নিশ্চয়ই যালিম।″
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهُمَا سَمِعَا أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ حِينَ يَفْرُغُ مِنْ صَلاَةِ الْفَجْرِ مِنَ الْقِرَاءَةِ وَيُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ قَائِمٌ " اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ كَسِنِي يُوسُفَ اللَّهُمَّ الْعَنْ لِحْيَانَ وَرِعْلاً وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ " . ثُمَّ بَلَغَنَا أَنَّهُ تَرَكَ ذَلِكَ لَمَّا أُنْزِلَ ( لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَىْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ) .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৫-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪১৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ও আমর আন-নাকিদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাহঃ)-এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, ″হে আল্লাহ! তাদের উপর ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ের বছরগুলোর অনুরূপ দুর্ভিক্ষ আপতিত কর।″ কিন্তু তিনি এর পরের অংশ বর্ণনা করেন নি।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْلِهِ " وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ كَسِنِي يُوسُفَ " . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৫-৩
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪১৫। মুহাম্মাদ ইবনে মিহরান আর-রাযী (রাহঃ) ......... আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাদের কাছে হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে রুকুর পর একমাস ব্যাপী কুনূত পড়েছেন। সামি’আল্লাহু লিমান হামিদা বলার পর কুনূতে তিনি বলতেনঃ হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনুল ওয়ালীদকে মুক্তি দাও; হে আল্লাহ! সালামা ইবনে হিশামকে নাজাত দাও; হে আল্লাহ! আয়্যাশ ইবনে আবু রাবী’আকে মুক্তি দান কর; হে আল্লাহ! অত্যাচারিত দুর্বল মুমিনদের মুক্তি দাও; হে আল্লাহ! মুদার গোত্রের শাস্তি কঠোর কর। হে আল্লাহ! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ের দুর্ভিক্ষের বছরগুলোর মত তাদের উপর সেইরূপ দুর্ভিক্ষ নাযিল কর।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমি দেখতে পেলাম যে, পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই দুআ ছেড়ে দিয়েছেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, আমি মনে করি, রাসূলূল্লাহ (ﷺ) তাদের জন্য দুআ করা ছেড়ে দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, বলা হল, তুমি কি দেখতে পারছ না যে, তারা এসে গেছে (অর্থাৎ কাফিরগণ ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং নির্যাতিত মুসলিমগণ মুক্তি পেয়ে মদীনায় এসে গেছে)।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমি দেখতে পেলাম যে, পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই দুআ ছেড়ে দিয়েছেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, আমি মনে করি, রাসূলূল্লাহ (ﷺ) তাদের জন্য দুআ করা ছেড়ে দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, বলা হল, তুমি কি দেখতে পারছ না যে, তারা এসে গেছে (অর্থাৎ কাফিরগণ ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং নির্যাতিত মুসলিমগণ মুক্তি পেয়ে মদীনায় এসে গেছে)।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ بَعْدَ الرَّكْعَةِ فِي صَلاَةٍ شَهْرًا إِذَا قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . يَقُولُ فِي قُنُوتِهِ " اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ اللَّهُمَّ نَجِّ سَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ اللَّهُمَّ نَجِّ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ اللَّهُمَّ نَجِّ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ " . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرَكَ الدُّعَاءَ بَعْدُ فَقُلْتُ أُرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ تَرَكَ الدُّعَاءَ لَهُمْ - قَالَ - فَقِيلَ وَمَا تَرَاهُمْ قَدْ قَدِمُوا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৫-৪
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪১৬। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আবু হুরায়রা (রাহঃ) তাকে বলেছেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সামনে ইশার নামায আদায় করছিলেন। তিনি ’সামিআল্লাহু-লিমান হামিদা’ বললেন, তারপর সিজদা করার আগে বললেনঃ হে আল্লাহ! আয়্যাশ ইবনে আবু রাবী’আকে (কাফিরদের হাত থেকে) মুক্তি দান কর। অতঃপর আওযাঈর হাদীসের অনুরূপ ...... ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ের বছরগুলোর মত দুর্ভিক্ষ নাযিল কর’ পর্যন্ত বর্ণনা করেন; কিন্তু এর পরের অংশটি বর্ণনা করেন নি।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَمَا هُوَ يُصَلِّي الْعِشَاءَ إِذْ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ قَالَ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ " اللَّهُمَّ نَجِّ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ " . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ الأَوْزَاعِيِّ إِلَى قَوْلِهِ " كَسِنِي يُوسُفَ " . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৬
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪১৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ), আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কে বলতে শোনেন যে, আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামাযের অনুরূপ চিত্র পেশ করব। সুতরাং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যোহর, এশা ও ফজরের নামাযে কুনুত পড়তেন। মুসলমানদের জন্য দুআ করতেন এবং কাফিরদেরকে অভিশাপ দিতেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ وَاللَّهِ لأُقَرِّبَنَّ بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقْنُتُ فِي الظُّهْرِ وَالْعِشَاءِ الآخِرَةِ وَصَلاَةِ الصُّبْحِ وَيَدْعُو لِلْمُؤْمِنِينَ وَيَلْعَنُ الْكُفَّارَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪১৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বির-ই মাউনার মুবাল্লিগদের হত্যাকারীদের প্রতি ক্রমাগত ত্রিশদিন ফজরের নামাযে বদ দুআ করেছেন। তিনি বদ দুআ করতেন, রিল যাকওয়ান, লিহয়ান ও উসায়্যা গোত্রের প্রতিও, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্যতা করেছে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, বির-ই মাউনায় শাহাদাত বরণকারীদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনের আয়াত নাযিল করেন। আর আমরা সেই আয়াতটি পাঠ করতাম, অবশেষে তা মানসূখ হয়ে যায়। আয়াতটি হলঃ أَنْ بَلِّغُوا قَوْمَنَا أَنْ قَدْ لَقِينَا رَبَّنَا فَرَضِيَ عَنَّا وَرَضِينَا عَنْهُ ″আমার কওমের কাছে সংবাদ পৌঁছে দাও যে, আমরা আমাদের প্রভুর সঙ্গে মিলিত হয়েছি; তিনি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট। আমরাও তার প্রতি খুশি।″
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الَّذِينَ قَتَلُوا أَصْحَابَ بِئْرِ مَعُونَةَ ثَلاَثِينَ صَبَاحًا يَدْعُو عَلَى رِعْلٍ وَذَكْوَانَ وَلِحْيَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ . قَالَ أَنَسٌ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي الَّذِينَ قُتِلُوا بِبِئْرِ مَعُونَةَ قُرْآنًا قَرَأْنَاهُ حَتَّى نُسِخَ بَعْدُ أَنْ بَلِّغُوا قَوْمَنَا أَنْ قَدْ لَقِينَا رَبَّنَا فَرَضِيَ عَنَّا وَرَضِينَا عَنْهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪১৯। আমর আন-নাকিদ ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি ফজরের নামাযে কুনূত পাঠ করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, রুকু করার পর কিছু সময়।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ هَلْ قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ قَالَ نَعَمْ بَعْدَ الرُّكُوعِ يَسِيرًا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-৩
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২০। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আল আনবারী, আবু কুরায়ব, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের নামাযে রুকুর পরে এক মাস কুনূত পাঠ করেছেন। রি’ল ও যাকওয়ান গোত্রদ্বয়ের উপর বদ দুআ করেছেন। উসায়্যা গোত্র সম্পর্কে বলেছেন, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ অমান্য করেছে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ - حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَهْرًا بَعْدَ الرُّكُوعِ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ يَدْعُو عَلَى رِعْلٍ وَذَكْوَانَ وَيَقُولُ " عُصَيَّةُ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-৪
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২১। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের নামাযের রুকুর পর একমাস পর্যন্ত কুনুত পাঠ করেছেন। উসায়্যা গোত্রের উপর বদদুআ করেছেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ شَهْرًا بَعْدَ الرُّكُوعِ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ يَدْعُو عَلَى بَنِي عُصَيَّةَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-৫
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আসিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ) কে কুনুত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তা কি রুকুর আগে না পরে? তিনি বললেন, রুকুর আগে। আসিম (রাহঃ) বলেন, আমি বললাম, লোকেরা মনে করে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুকুর পরে কুনূত পাঠ করেছেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক মাস কুনূত পাঠ করেছেন, তিনি সেই সমস্ত লোকদের প্রতি বদ দুআ করেছেন, যারা তাঁর একদল সাহাবীকে হত্যা করেছিল যাদেরকে ″ক্বারী″ বলা হতো।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَأَلْتُهُ عَنِ الْقُنُوتِ، قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَ الرُّكُوعِ فَقَالَ قَبْلَ الرُّكُوعِ . قَالَ قُلْتُ فَإِنَّ نَاسًا يَزْعُمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ . فَقَالَ إِنَّمَا قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَهْرًا يَدْعُو عَلَى أُنَاسٍ قَتَلُوا أُنَاسًا مِنْ أَصْحَابِهِ يُقَالُ لَهُمُ الْقُرَّاءُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-৬
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২৩। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কোন সারিয়্যার (বাহিনীর) সম্বন্ধে এত বেশী দুঃখিত হতে দেখিনি, যতখানি দুঃখিত হয়েছিলেন সেই সত্তরজন সাহাবীর জন্য যাদের বির-ই মাউনা-র দিন শহীদ করা হয়েছিল, তাঁদের ’কারী’ বলা হতো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই হত্যাকারীদের এক মাস ধরে বদদুআ করতে থাকলেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ عَلَى سَرِيَّةٍ مَا وَجَدَ عَلَى السَّبْعِينَ الَّذِينَ أُصِيبُوا يَوْمَ بِئْرِ مَعُونَةَ كَانُوا يُدْعَوْنَ الْقُرَّاءَ فَمَكَثَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَى قَتَلَتِهِمْ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-৭
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২৪। আবু কুরায়ব এবং ইবনে উমর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) উক্ত হাদীসটি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের কেউ কারো অপেক্ষা কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، وَابْنُ، فُضَيْلٍ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، كُلُّهُمْ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ . يَزِيدُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-৮
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২৫। আমর আন নাকিদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক মাস পর্যন্ত কুনূত পাঠ করেন। এতে তিনি লা’নত করেন রি’ল, যাকওয়ান ও উসায়্যা গোত্রের পতি যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের নাফরমানী করেছে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ شَهْرًا يَلْعَنُ رِعْلاً وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-৯
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২৬। আমর আন-নাকিদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-১০
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২৭। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক মাস পর্যন্ত কুনূত পাঠ করেন। এতে তিনি আরবের কয়েকটি গোত্রের উপর বদদুআ করেন। এরপর তিনি তা পরিত্যাগ করেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَى أَحْيَاءٍ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ ثُمَّ تَرَكَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৮-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২৮। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজর ও মাগরিবে কুনূত পাঠ করতেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْنُتُ فِي الصُّبْحِ وَالْمَغْرِبِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৮-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪২৯। ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজর ও মাগরিবে কুনূত পাঠ করেছেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفَجْرِ وَالْمَغْرِبِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৯-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪৩০। আবু তাহির আহমাদ ইবনে আমর ইবনে সারাহ আল মিসরী (রাহঃ) ......... খুফাফ ইবনে ঈমা আল-গিফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে এই দুআ পাঠ করেছেন, হে আল্লাহ! আপনি লানত করুন বনু লিহয়ান, রি’ল ও যাকওয়ানকে এবং উসায়্যাকে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নাফরমানী করেছে। আর গিফার গোত্র, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করুন এবং আসলাম গোত্র, আল্লাহ তাদের নিরাপত্তা দান করুন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ الْمِصْرِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ خُفَافِ بْنِ إِيمَاءٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةٍ " اللَّهُمَّ الْعَنْ بَنِي لِحْيَانَ وَرِعْلاً وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৯-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪৩১। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... হারিস ইবনে খুফাফ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খুফাফ ইবনে ঈমা বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুকু করে মাথা উঠানোর পর বলেনঃ গিফার, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করুন; আসলাম, আল্লাহ তাদের নিরাপত্তা দান করুন। আর উসায়্যা তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথা অমান্য করেছে। হে আল্লাহ! বনু লিহয়ানের প্রতি লানত কর এবং রি’ল ও যাকওয়ানের প্রতি লানত কর। তারপর নবী (ﷺ) সিজদায় যান। খুফাফ বলেন, এ কারণে কাফিরদের লানত দেওয়া হয়।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ عَمْرٍو - عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ خُفَافٍ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ خُفَافُ بْنُ إِيمَاءٍ رَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَعُصَيَّةُ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ اللَّهُمَّ الْعَنْ بَنِي لِحْيَانَ وَالْعَنْ رِعْلاً وَذَكْوَانَ " . ثُمَّ وَقَعَ سَاجِدًا . قَالَ خُفَافٌ فَجُعِلَتْ لَعْنَةُ الْكَفَرَةِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৪৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৯-৩
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৯. যখন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে, তখন সকল নামাযে কুনুতে নাযিলা পাঠ মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ
১৪৩২। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) ......... খূফাফ ঈমা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তাতে ″এ কারণে কাফিরদের লানত করা হয়″ উল্লেখ করেন নি।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقُنُوتِ فِي جَمِيعِ الصَّلاَةِ إِذَا نزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ نَازِلَةٌ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ وَأَخْبَرَنِيهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَرْمَلَةَ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الأَسْقَعِ، عَنْ خُفَافِ بْنِ إِيمَاءٍ، . بِمِثْلِهِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ فَجُعِلَتْ لَعْنَةُ الْكَفَرَةِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: