আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৪- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৮৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২১-১
২২. ইমামের আসাতে দেরী হলে এবং ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কা না থাকলে উপস্থিত লোকজন কর্তৃক অন্য কাউকে ইমাম বানানো
৮৩৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ আস-সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমর ইবনে আওফ গোত্রে তাদের পরস্পরের মধ্যে মীমাংসার কাজে গমন করলেন। ইত্যবসরে নামাযের ওয়াক্ত উপস্থিত হলে মুয়াযযিন (আযান দিয়ে) আবু বকর (রাযিঃ) এর নিকট গিয়ে বললেন, আপনি কি ইমামত করবেন? আমি ইকামত বলছি। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন , হ্যাঁ। আবু বকর (রাযিঃ) নামায পড়াচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে রাসূল (ﷺ) পিছন দিক হতে আগমন করেন এবং মানুষের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে নামাযের কাতারে শরীক হলেন। মুক্তাদীগণ তালি বাজাতে লাগলেন। কিন্তু আবু বকর (রাযিঃ) নামাযের মধ্যে অন্য কোন দিকে মনোযোগ দিতেন না।
যখন মুক্তাদীগণ অধিক তালি বাজাতে লাগলে তখন তিনি ফিরে তাকালেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখতে পেয়ে পিছনে হটতে চাইলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশারা করে বললেন, তুমি তোমার জায়গায় দণ্ডায়মান থাক। আবু বকর (রাযিঃ) দুই হাত উপরে তুলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক তাকে এই ইমামতির মর্যাদা প্রদানে আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করলেন এবং পশ্চাতে হটে এসে মুক্তাদীর কাতারে দাঁড়ালেন।
রাসূল (ﷺ) সামনে অগ্রসর হয়ে নামায আদায় করলেন। নামাযের পর জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু বকর! তুমি তোমার জায়গায় দণ্ডায়মান থাকলে না কেন? আমি তো তোমাকে দণ্ডায়মান থাকতেই বলেছিলাম।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আবু কুহাফার পূত্রের এমন দুঃসাহস নেই যে, আল্লাহর রাসূলের সামনে ইমামত করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (মুক্তাদীদের প্রতি তাকিয়ে) বললেন, কী ব্যাপার! তোমরা এত তালি বাজালে কেন? তোমাদের কারো নামাযের মধ্যে যখন কোন সমস্যা দেখা দেয়, তখন তোমরা ‘সূবহানাল্লাহ’ বলবে, তোমরা ‘সুবহানাল্লাহ’ বললেই ইমাম তোমাদের প্রতি মনোযোগ দিবেন। তালি বাজানোর বিধান তো নারীদের জন্য।
যখন মুক্তাদীগণ অধিক তালি বাজাতে লাগলে তখন তিনি ফিরে তাকালেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখতে পেয়ে পিছনে হটতে চাইলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশারা করে বললেন, তুমি তোমার জায়গায় দণ্ডায়মান থাক। আবু বকর (রাযিঃ) দুই হাত উপরে তুলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক তাকে এই ইমামতির মর্যাদা প্রদানে আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করলেন এবং পশ্চাতে হটে এসে মুক্তাদীর কাতারে দাঁড়ালেন।
রাসূল (ﷺ) সামনে অগ্রসর হয়ে নামায আদায় করলেন। নামাযের পর জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু বকর! তুমি তোমার জায়গায় দণ্ডায়মান থাকলে না কেন? আমি তো তোমাকে দণ্ডায়মান থাকতেই বলেছিলাম।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আবু কুহাফার পূত্রের এমন দুঃসাহস নেই যে, আল্লাহর রাসূলের সামনে ইমামত করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (মুক্তাদীদের প্রতি তাকিয়ে) বললেন, কী ব্যাপার! তোমরা এত তালি বাজালে কেন? তোমাদের কারো নামাযের মধ্যে যখন কোন সমস্যা দেখা দেয়, তখন তোমরা ‘সূবহানাল্লাহ’ বলবে, তোমরা ‘সুবহানাল্লাহ’ বললেই ইমাম তোমাদের প্রতি মনোযোগ দিবেন। তালি বাজানোর বিধান তো নারীদের জন্য।
باب تَقْدِيمِ الْجَمَاعَةِ مَنْ يُصَلِّي بِهِمْ إِذَا تَأَخَّرَ الإِمَامُ وَلَمْ يَخَافُوا مَفْسَدَةً بِالتَّقْدِيمِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَهَبَ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ لِيُصْلِحَ بَيْنَهُمْ فَحَانَتِ الصَّلاَةُ فَجَاءَ الْمُؤَذِّنُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ أَتُصَلِّي بِالنَّاسِ فَأُقِيمُ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ فِي الصَّلاَةِ فَتَخَلَّصَ حَتَّى وَقَفَ فِي الصَّفِّ فَصَفَّقَ النَّاسُ - وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لاَ يَلْتَفِتُ فِي الصَّلاَةِ - فَلَمَّا أَكْثَرَ النَّاسُ التَّصْفِيقَ الْتَفَتَ فَرَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِ امْكُثْ مَكَانَكَ فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ يَدَيْهِ فَحَمِدَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى مَا أَمَرَهُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ذَلِكَ ثُمَّ اسْتَأْخَرَ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى اسْتَوَى فِي الصَّفِّ وَتَقَدَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ " يَا أَبَا بَكْرٍ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَثْبُتَ إِذْ أَمَرْتُكَ " . قَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا كَانَ لاِبْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يُصَلِّيَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لِي رَأَيْتُكُمْ أَكْثَرْتُمُ التَّصْفِيقَ مَنْ نَابَهُ شَىْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيُسَبِّحْ فَإِنَّهُ إِذَا سَبَّحَ الْتُفِتَ إِلَيْهِ وَإِنَّمَا التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ " .
হাদীস নং: ৮৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২১-২
২২. ইমামের আসাতে দেরী হলে এবং ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কা না থাকলে উপস্থিত লোকজন কর্তৃক অন্য কাউকে ইমাম বানানো
৮৩৪। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... সুহাঈল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এবং এদের উভয়ের বর্ণনায় আছে, আবু বকর (রাযিঃ) তার হস্তদয় উত্তোলন করে আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং পিছনে সরে এসে সারিতে দণ্ডায়মান হলেন।
باب تَقْدِيمِ الْجَمَاعَةِ مَنْ يُصَلِّي بِهِمْ إِذَا تَأَخَّرَ الإِمَامُ وَلَمْ يَخَافُوا مَفْسَدَةً بِالتَّقْدِيمِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَازِمٍ - وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيُّ - كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ . وَفِي حَدِيثِهِمَا فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ يَدَيْهِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَرَجَعَ الْقَهْقَرَى وَرَاءَهُ حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ .
হাদীস নং: ৮৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২১-৩
২২. ইমামের আসাতে দেরী হলে এবং ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কা না থাকলে উপস্থিত লোকজন কর্তৃক অন্য কাউকে ইমাম বানানো
৮৩৫। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাযী (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ আস-সাঈদী (রাযিঃ) থেকে পূর্বোক্ত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেনঃ নবী (ﷺ) আমর ইবনে আওফ গোত্রে একটি আপোস-মীমাংসার কাজে গমন করেন। সেখান হতে প্রত্যাবর্তন করে পিছনের কাতারসমুহ ভেদ করে সামনের কাতারে এসে দাঁড়ালেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) পাশ্চাৎ দিকে হটে আসলেন।
باب تَقْدِيمِ الْجَمَاعَةِ مَنْ يُصَلِّي بِهِمْ إِذَا تَأَخَّرَ الإِمَامُ وَلَمْ يَخَافُوا مَفْسَدَةً بِالتَّقْدِيمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ ذَهَبَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصْلِحُ بَيْنَ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ وَزَادَ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَقَ الصُّفُوفَ حَتَّى قَامَ عِنْدَ الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ . وَفِيهِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجَعَ الْقَهْقَرَى .
হাদীস নং: ৮৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪-১
২২. ইমামের আসাতে দেরী হলে এবং ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কা না থাকলে উপস্থিত লোকজন কর্তৃক অন্য কাউকে ইমাম বানানো
৮৩৬। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ও হাসান ইবনে আলী আল হূলওয়ানী (রাহঃ) ......... মুগীরা ইবনে শুবা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ছিলেন। মুগীরা (রাযিঃ) বলেন, একদিন ফজরের নামাযের পূর্বে (উক্ত তাবূক নামক স্থানে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (প্রাতঃকৃত) সমাধার্থে নিম্নভুমির দিকে রওয়ানা হলে আমি পানির পাত্র নিয়ে তার সঙ্গে গেলাম। যখন তিনি আমার নিকট ফিরে আসলেন আমি তাঁর হাতে পানি ঢেলে দিতে লাগলাম। তিনি প্রথমে তিনবার হাত ধৌত করলেন, অতঃপর মুখমণ্ডল। তারপর তাঁর জুব্বার আস্তিন হাতের উপর দিকে উঠাতে চাইলেন। কিন্তু আস্তিন ছোট ছিল বিধায় তিনি জুব্বার নীচের দিক দিয়ে হাত ঢূকিয়ে দুই হাত জুব্বার নিচ দিয়ে বের করলেন। তারপর দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন। তারপর উভয় মোজার উপর মাসাহ করলেন।
তারপর রওয়ানা হলেন এবং আমিও তার সাথে রওয়ানা হলাম। ফিরে এসে দেখতে পেলাম, লোকজন আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) কে আগে বাড়িয়ে দিয়েছে, তিনি তাদেরকে নিয়ে নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রাক’আত পেলেন এবং লোকজনের সাথে দ্বিতীয় রাক’আত আদায় করলেন। আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) যখন সালাম ফিরালেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নামায পূর্ণ করার নিমিত্তে দাঁড়ালেন। মুসলমানগণ এই দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে গেলেন এবং বেশী করে তাসবীহ পড়তে লাগলেন। নবী (ﷺ) নামায শেষ করে তাদের লক্ষ্য করে বললেন তোমরা উত্তম কাজ করেছ। সঠিক ওয়াক্তে নামায আদায় করার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে লাগলেন।
তারপর রওয়ানা হলেন এবং আমিও তার সাথে রওয়ানা হলাম। ফিরে এসে দেখতে পেলাম, লোকজন আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) কে আগে বাড়িয়ে দিয়েছে, তিনি তাদেরকে নিয়ে নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রাক’আত পেলেন এবং লোকজনের সাথে দ্বিতীয় রাক’আত আদায় করলেন। আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) যখন সালাম ফিরালেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নামায পূর্ণ করার নিমিত্তে দাঁড়ালেন। মুসলমানগণ এই দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে গেলেন এবং বেশী করে তাসবীহ পড়তে লাগলেন। নবী (ﷺ) নামায শেষ করে তাদের লক্ষ্য করে বললেন তোমরা উত্তম কাজ করেছ। সঠিক ওয়াক্তে নামায আদায় করার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে লাগলেন।
باب تَقْدِيمِ الْجَمَاعَةِ مَنْ يُصَلِّي بِهِمْ إِذَا تَأَخَّرَ الإِمَامُ وَلَمْ يَخَافُوا مَفْسَدَةً بِالتَّقْدِيمِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حَدِيثِ، عَبَّادِ بْنِ زِيَادٍ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَبُوكَ - قَالَ الْمُغِيرَةُ - فَتَبَرَّزَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ الْغَائِطِ فَحَمَلْتُ مَعَهُ إِدَاوَةً قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ فَلَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَىَّ أَخَذْتُ أُهَرِيقُ عَلَى يَدَيْهِ مِنَ الإِدَاوَةِ وَغَسَلَ يَدَيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثُمَّ ذَهَبَ يُخْرِجُ جُبَّتَهُ عَنْ ذِرَاعَيْهِ فَضَاقَ كُمَّا جُبَّتِهِ فَأَدْخَلَ يَدَيْهِ فِي الْجُبَّةِ حَتَّى أَخْرَجَ ذِرَاعَيْهِ مِنْ أَسْفَلِ الْجُبَّةِ . وَغَسَلَ ذِرَاعَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثُمَّ تَوَضَّأَ عَلَى خُفَّيْهِ ثُمَّ أَقْبَلَ - قَالَ الْمُغِيرَةُ - فَأَقْبَلْتُ مَعَهُ حَتَّى نَجِدُ النَّاسَ قَدْ قَدَّمُوا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَصَلَّى لَهُمْ فَأَدْرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِحْدَى الرَّكْعَتَيْنِ فَصَلَّى مَعَ النَّاسِ الرَّكْعَةَ الآخِرَةَ فَلَمَّا سَلَّمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُتِمُّ صَلاَتَهُ فَأَفْزَعَ ذَلِكَ الْمُسْلِمِينَ فَأَكْثَرُوا التَّسْبِيحَ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ ثُمَّ قَالَ " أَحْسَنْتُمْ " . أَوْ قَالَ " قَدْ أَصَبْتُمْ " . يَغْبِطُهُمْ أَنْ صَلَّوُا الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪-২
২২. ইমামের আসাতে দেরী হলে এবং ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কা না থাকলে উপস্থিত লোকজন কর্তৃক অন্য কাউকে ইমাম বানানো
৮৩৭। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ও আল হূলয়ানী (রাহঃ) ......... হামযা ইবনুল মুগীরা (রাযিঃ) থেকে আব্বাদ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস সদৃশ বর্ণনা করেছেন। মুগীরা (রাযিঃ) বলেন, আমি অবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) কে পিছনে সরিয়ে নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু নবী (ﷺ) বললেন, তাকে ছেড়ে দাও।
باب تَقْدِيمِ الْجَمَاعَةِ مَنْ يُصَلِّي بِهِمْ إِذَا تَأَخَّرَ الإِمَامُ وَلَمْ يَخَافُوا مَفْسَدَةً بِالتَّقْدِيمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَالْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، نَحْوَ حَدِيثِ عَبَّادٍ قَالَ الْمُغِيرَةُ فَأَرَدْتُ تَأْخِيرَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " دَعْهُ " .

তাহকীক: