আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৪- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৮২১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮-১
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮২১। আহমাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ......... উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ) -এর নিকট উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অসুখের বৃত্তান্ত জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, নবী (ﷺ) রোগাক্রান্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন লোকজন কি নামায আদায় করেছে? আমি বললাম, জী না। তারা আপনার প্রতীক্ষায় আছে। তিনি বললেন আমার জন্য গামলায় পানি রাখ। আমি পানি দিলাম। তিনি গোসল করলেন। অতঃপর গমনোদ্যত হলে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন। চেতনা পেয়ে পূনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, লোকেরা কি নামায আদায় করেছে? আমি বললাম জী না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা আপনার অপেক্ষা করছে।

তিনি বললেন, গামলায় পানি দাও আমি তাই করলাম। তিনি গোসল করলেন। অতঃপর গমনোদ্যত হলে পূনরায় সংজ্ঞাহারা হলেন। সংজ্ঞা পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, লোকেরা কি নামায আদায় করেছে? আমি বললাম, জী না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা আপনার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বললেন, গামলায় পানি দাও। আমি তাই করলাম। তিনি গোসল করলেন এবং গমনোদ্যত হয়ে বেহুশ হয়ে পড়লেন। অতঃপর হুশ হলে পূনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, লোকেরা কি নামায আদায় করেছে। আমি বললাম জী না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, লোকেরা ইশার নামায আদায়ের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আগমনের অপেক্ষায় মসজিদে বসেছিল। অবশেষে তিনি লোক মারফত আবু বকর (রাযিঃ) কে নামায আদায় করতে বলে পাঠালেন। লোকটি আবু বকর (রাযিঃ) এর নিকট এসে বললেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে লোকদের নামাযে ইমামত করার আদেশ করেছেন। আবু বকর (রাযিঃ) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। তাই উমর (রাযিঃ) কে বললেন হে উমর! তুমি নামায পড়িয়ে দাও। উমর (রাযিঃ) বললেন জী না, আপনিই এই কাজের অধিক যোগ্য ব্যক্তি।

আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, সুতরাং আবু বকর (রাযিঃ) ঐ কয়েক দিন নামাযে ইমামত করেন। ইত্যবসরে একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিঞ্চিত সুস্থবোধ করলেন। এবং দুই জন মানুষের কাঁধে ভর করে যোহরের নামায আদায় করতে মসজিদে গেলেন। ঐ দু’জনের একজন ছিলেন আব্বাস (রাযিঃ)। রাসুলূল্লাহ মসজিদে পৌছে দেখেন যে, আবু বকর (রাযিঃ) ইমাম হিসাবে নামায আদায় করছেন। তিনি তাঁকে দেখে পিছে হাটতে চাইলেন। কিন্তু নবী (ﷺ) ইঙ্গিতে তাঁকে পিছে হটতে বারণ করলেন। এবং স্বীয় সঙ্গী দু’জনকে বললেন যে, আমাকে আবু বকর (রাযিঃ) এর পাশে বসিয়ে দাও তারা তাঁকে আবু বকর (রাযিঃ) এর পাশে বসিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসে বসে নামায আদায় করতে লাগলেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর নামাযের অনুসরণ করতে লাগলেন। লোকজন নামায আদায়ে আবু বকর (রাযিঃ) এর অনুসরণ করছিল।

উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট পৌঁছে বললাম, আমি কি আপনাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রোগকালীন নামাযের আয়েশা (রাযিঃ) কতৃক বর্ণিত হাদীসটি শোনাবো? তিনি বললেন, বর্ণনা কর। আমি তাঁকে হাদীসটি শোনালাম, তিনি পুরা হাদীসের কোথাও আপত্তি করলেন না বটে, কিন্তু আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন আব্বাস (রাযিঃ) এর সাথে অপর ব্যক্তিটির নাম কি তোমার কাছে আয়েশা (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন? আমি বললাম, জী না! তিনি বললেন, সেই ব্যক্তি ছিলেন আলী (রাযিঃ)।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ لَهَا أَلاَ تُحَدِّثِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ بَلَى ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَصَلَّى النَّاسُ " . قُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ " . فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ " أَصَلَّى النَّاسُ " . قُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ " . فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ " أَصَلَّى النَّاسُ " . قُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ " . فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ " أَصَلَّى النَّاسُ " . فَقُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَتْ وَالنَّاسُ عُكُوفٌ فِي الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِصَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ - قَالَتْ - فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَأَتَاهُ الرَّسُولُ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُكَ أَنْ تُصَلِّيَ بِالنَّاسِ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ رَجُلاً رَقِيقًا يَا عُمَرُ صَلِّ بِالنَّاسِ . قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ . قَالَتْ فَصَلَّى بِهِمْ أَبُو بَكْرٍ تِلْكَ الأَيَّامَ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا الْعَبَّاسُ لِصَلاَةِ الظُّهْرِ وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ يَتَأَخَّرَ وَقَالَ لَهُمَا " أَجْلِسَانِي إِلَى جَنْبِهِ " . فَأَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي وَهُوَ قَائِمٌ بِصَلاَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ . قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَدَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ لَهُ أَلاَ أَعْرِضُ عَلَيْكَ مَا حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ هَاتِ . فَعَرَضْتُ حَدِيثَهَا عَلَيْهِ فَمَا أَنْكَرَ مِنْهُ شِيْئًا غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ أَسَمَّتْ لَكَ الرَّجُلَ الَّذِي كَانَ مَعَ الْعَبَّاسِ قُلْتُ لاَ . قَالَ هُوَ عَلِيٌّ .
হাদীস নং: ৮২২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮-২
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮২২। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সর্বপ্রথম মায়মুনা (রাযিঃ) এর গৃহে অসুস্থ হয়ে পড়েন! অতঃপর তাঁর সকল সহধর্মিনীর নিকট আয়েশা (রাযিঃ) এর গৃহে পরিচর্যা লাভের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। তারা সকলেই অমুমতি প্রকাশ করলেন। একদিন তিনি মসজিদে যাওয়ার জন্য বের হলেন। তার একখানা হাত ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর কাঁধের উপর এবং অপর হাত খানা অন্য এক ব্যক্তির কাঁধের উপর ছিল। দুর্বলতার জন্য মাটিতে পা হেঁচড়িয়ে হেঁচড়িয়ে চলছিলেন। উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমি এই হাদীসটি ইবনে আব্বাস (রাহঃ) কে শোনালে তিনি বললেন, আয়েশা (রাযিঃ) অন্য যে ব্যক্তির নাম উচ্চারণ করেননি, তাঁর নাম কি তুমি জানো? তিনি ছিলেন আলী (রাযিঃ)।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ، أَوَّلُ مَا اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ فَاسْـتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِهَا وَأَذِنَّ لَهُ - قَالَتْ - فَخَرَجَ وَيَدٌ لَهُ عَلَى الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ وَيَدٌ لَهُ عَلَى رَجُلٍ آخَرَ وَهُوَ يَخُطُّ بِرِجْلَيْهِ فِي الأَرْضِ . فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ أَتَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ هُوَ عَلِيٌّ .
হাদীস নং: ৮২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮-৩
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮২৩। আব্দুল মালিক ইবনে শুআয়ব ইবনুল লাঈস (রাহঃ) ......... রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পত্নী আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পীড়িত হয়ে পড়লেন এবং ক্রমেই পীড়া বৃদ্ধি পেয়ে চলল, তখন তিনি আমার ঘরে পরিচর্যা লাভের জন্য তার স্ত্রীগণের নিকট অনুমতি চাইলেন। তারা সকলেই তাঁকে অনুমতি প্রদান করলেন। (ঐ সময়ে একদিন) তিনি দুই ব্যক্তির সহায়তায় মাটিতে দুই পা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে বের হলেন। একজন আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) এবং আরেকজন অন্য ব্যক্তি। উবাইদুল্লাহ বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) এর এই বর্ণনাটি আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে অবহিত করলে তিনি বললেন, আয়েশা (রাযিঃ) যে ব্যক্তির নাম উচ্চারণ করেননি, তার নাম কি তুমি জানো? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি আলী (রাযিঃ)।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي فَأَذِنَّ لَهُ فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجْلاَهُ فِي الأَرْضِ بَيْنَ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ . قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَأَخْبَرْتُ عَبْدَ اللَّهِ بِالَّذِي قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ هَلْ تَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الآخَرُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قَالَ قُلْتُ لاَ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هُوَ عَلِيٌّ .
হাদীস নং: ৮২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮-৪
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮২৪। আব্দুল মালিক ইবনে শুআয়ব ইবনুল লাঈস (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর পত্নী আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন আমার পিতা আবু বকর (রাযিঃ) কে নামায পড়াবার আদেশ দিলেন তখন আমি এই নির্দেশ প্রত্যাহারের ব্যাপারে তাঁকে বারবার অনুরোধ করতে লাগলাম। আমার এই পুনঃপুনঃ অনুরোধের কারণ ছিল- আমার মনে এই ধারণার উদ্রেক হয় নি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স্থানে যে দাঁড়াবে (ইমামত করবে) লোকেরা তাকে সর্বদা ভালবাসবে, বরং আমার ধারণা হল যে, তাঁর পরে যে ব্যক্তি তাঁর স্থানে দাঁড়িয়ে যে ইমামত করবে লোকেরা তাকে অপয়া বলবে। তাই আমি চেয়েছিলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এই নির্দেশ আবু বকর (রাযিঃ) হতে অন্যত্র সরে যাক।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَقَدْ رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ وَمَا حَمَلَنِي عَلَى كَثْرَةِ مُرَاجَعَتِهِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ فِي قَلْبِي أَنْ يُحِبَّ النَّاسُ بَعْدَهُ رَجُلاً قَامَ مَقَامَهُ أَبَدًا وَإِلاَّ أَنِّي كُنْتُ أَرَى أَنَّهُ لَنْ يَقُومَ مَقَامَهُ أَحَدٌ إِلاَّ تَشَاءَمَ النَّاسُ بِهِ فَأَرَدْتُ أَنْ يَعْدِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَبِي بَكْرٍ .
হাদীস নং: ৮২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮-৫
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮২৫। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (পীড়িত অবস্থায়) আমার গৃহে প্রবেশ করে পরে বললেন, আবু বকরকে আদেশ (শুনিয়ে) দাও, সে যেন লোকদের নামাযের ইমামত করে। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আবু বকর (রাযিঃ) অত্যন্ত কোমল হৃদয় ব্যক্তি। তিনি যখন কুরআন পাঠ করেন, তখন অশ্রু সংবরণ করতে পারেননা। আপনি যদি আবু বকর (রাযিঃ) কে ব্যতীত অন্য কাউকে আদেশ করতেন (তবে উত্তম হতো)। আল্লাহর কসম! আমার এ কথা বলার উদ্দেশ্য ছিল, যেন লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স্থানে সর্বপ্রথম দাঁড়ানোর কারণে তাঁর সম্পর্কে অপয়া হবার ধারণা করতে না পারে। তাই আমি এ ব্যাপারে তাঁর সাথে দু-তিন বার অনুরোধের পীড়াপীড়ি করেছি। এরপরেও তিনি বললেন, আবু বকর যেন লোকের নামাযে ইমামতি করে। (এবং বললেন) তোমরা হচ্ছ ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সঙ্গিনীদের অনুরূপ।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، - أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْتِي قَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ إِذَا قَرَأَ الْقُرْآنَ لاَ يَمْلِكُ دَمْعَهُ فَلَوْ أَمَرْتَ غَيْرَ أَبِي بَكْرٍ . قَالَتْ وَاللَّهِ مَا بِي إِلاَّ كَرَاهِيَةُ أَنْ يَتَشَاءَمَ النَّاسُ بِأَوَّلِ مَنْ يَقُومُ فِي مَقَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فَرَاجَعْتُهُ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَقَالَ " لِيُصَلِّ بِالنَّاسِ أَبُو بَكْرٍ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ " .
হাদীস নং: ৮২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮-৬
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮২৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ও ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অসুস্থ অবস্থায় বিলাল (রাযিঃ) তাঁকে নামাযের ইমামতের জন্য ডাকতে আসলেন। তিনি বললেন, যাও, আবু বকরকে ইমামতি করতে বল। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি নিতান্ত নরম মানুষ। তিনি আপনার স্থানে দাড়িয়ে লোকদেরকে কুরআন পাঠ করে শোনাতে পারবেন না। আপনি উমরকে আদেশ করলে উত্তম হবে। কিন্তু তিনি তবুও বললেন, যাও, আবু বকরকে ইমামতি করতে বল।

এরপর আমি হাফসাকে বললাম, তুমি তাঁকে বল যে, আবু বকর অতি নরম লোক। তিনি আপনার স্থানে দাঁড়িয়ে মানুষকে কুরআন শোনাতে পারবেন না! আপনি উমরকে আদেশ করলে ভাল হবে। হাফসা তাঁকে তাই বললেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন যে, তোমরা অবশ্যই ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সঙ্গিনীদের ন্যায়। যাও, আবু বকরকে ইমামত করতে বল। শেষ পর্যন্ত লোকেরা আবু বকর (রাযিঃ) -কে নির্দেশ শোনালেন এবং তিনি লোকদের ইমামত করলেন।

তিনি নামায আরম্ভ করার এক পর্যায়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিঞ্চিৎ সুস্থবোধ করলেন। তিনি দুই জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে পা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে মসজিদে প্রবেশ করলে তাঁর আগমন শব্দ পেয়ে আবু বকর (রাযিঃ) পিছনে সরে আসার উপক্রম করলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইঙ্গিতে তাকে তাঁর স্থানে দণ্ডায়মান থাকতে বললেন এবং নিজে এসে আবু বকর (রাযিঃ) এর বামপাশে বসে পড়লেন। রাসূল (ﷺ) বসে বসে নামাযের ইমামত করছিলেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) দন্দায়মান অবস্থায় নবী (ﷺ) এর অনুসরণ করছিলেন। আর অন্য মুসল্লীগণ আবু বকর (রাযিঃ) এর নামাযের অনুসরণ করছিল।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَ بِلاَلٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ إِنَّهُ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعِ النَّاسَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ . فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . قَالَتْ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ وَإِنَّهُ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعِ النَّاسَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ . فَقَالَتْ لَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّكُنَّ لأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ . مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . قَالَتْ فَأَمَرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ - قَالَتْ - فَلَمَّا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ وَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَقَامَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلاَهُ تَخُطَّانِ فِي الأَرْضِ - قَالَتْ - فَلَمَّا دَخَلَ الْمَسْجِدَ سَمِعَ أَبُو بَكْرٍ حِسَّهُ ذَهَبَ يَتَأَخَّرُ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُمْ مَكَانَكَ . فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ - قَالَتْ - فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ جَالِسًا وَأَبُو بَكْرٍ قَائِمًا يَقْتَدِي أَبُو بَكْرٍ بِصَلاَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَيَقْتَدِي النَّاسُ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ .
হাদীস নং: ৮২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮-৭
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮২৭। মিনজাব ইবনুল হারিস আত-তামীমী (রাহঃ) ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আমাশ (রাহঃ) থেকে উপরোক্তরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। এদের বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যু রোগে যখন আক্রান্ত হলেন। ইবনে মুসহিরের হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে নিয়ে এসে তার [আবু বকর (রাযিঃ) এর] পাশে বসিয়ে দেওয়া হল। নবী (ﷺ) লোকদের ইমামতি করছিলেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) তাদেরকে তাকবীর শোনাচ্ছিলেন। ঈসার হাদীসে আছে, রাসূল (ﷺ) বসে বসে লোকদের নামায পড়াচ্ছিলেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর পাশে থেকে লোকদেরকে শোনাচ্ছিলেন।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِهِمَا لَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَضَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ فَأُتِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أُجْلِسَ إِلَى جَنْبِهِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُهُمُ التَّكْبِيرَ . وَفِي حَدِيثِ عِيسَى فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَبُو بَكْرٍ إِلَى جَنْبِهِ وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُ النَّاسَ .
হাদীস নং: ৮২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮-৮
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮২৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ), আবু কুরায়ব (রাহঃ) এবং ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পীড়িত অবস্থায় আবু বকর (রাযিঃ) কে ইমামতি করার নির্দেশ দান করেন। সে মতে তিনি ইমামতি করতে থাকেন। রাবী উরওয়া (রাহঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিঞ্চিৎ সুস্থ বোধ করলে মসজিদে গমন করেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) লোকদের ইমামতি করছিলেন। তাঁকে দেখতে পেয়ে আবু বকর (রাযিঃ) পশ্চাতে সরে আসার প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইশারায় তাঁর স্থানে থাকতে বললেন এবং নিজে তাঁর বরাবর পাশে বসে পড়লেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইমামতিতে আবু বকর (রাযিঃ) নামায আদায় করলেন এবং অন্যান্য মুসল্লীগণ আবু বকরের ইমামতিতে নামায আদায় করলেন।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فِي مَرَضِهِ فَكَانَ يُصَلِّي بِهِمْ . قَالَ عُرْوَةُ فَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ وَإِذَا أَبُو بَكْرٍ يَؤُمُّ النَّاسَ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ اسْتَأْخَرَ فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىْ كَمَا أَنْتَ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ حِذَاءَ أَبِي بَكْرٍ إِلَى جَنْبِهِ . فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ .
হাদীস নং: ৮২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৯-২
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮২৯। আমর আন নাকিদ (রাহঃ), হাসান আল হুলওয়ানী (রাহঃ) ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যুরোগ শয্যায় শায়িতাবস্থায় আবু বকর (রাযিঃ) তাদের নামাযে ইমামতি করতে থাকেন। এভাবে যখন সোমবার দিন সকলে সারিবদ্ধ হয়ে নামায আদায় করছিলেন তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় কক্ষের পর্দা উত্তোলন করে দাঁড়ানো অবস্থায় আমাদের দিকে তাকালেন। (উজ্জ্বলতায়) তাঁর পবিত্র মুখমণ্ডল যেন কুরআনের পৃষ্ঠা। তিনি ঈষৎ হাসলেন। এদিকে আমরাও নামাযের মধ্যেই তাঁর আগমনের খুশিতে অভিভুত হয়ে উঠলাম।

আবু বকর (রাযিঃ) মনে করলেন যে, তিনি নামাযের জন্য বের হচ্ছেন। তাই পিছনে সরে আসতে উদ্যত হলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশারা করে বললেন যে, তোমরা তোমাদের নামায সম্পন্ন কর। অতঃপর তিনি তাঁর কক্ষে প্রবেশ করে দরজার পর্দা ফেলে দিলেন। এবং ঐ দিনই তিনি ইন্‌তিকাল করেন। আমর আন-নাকিদ (রাহঃ) ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে শেষ বারের মত দেখেছিলাম যখন তিনি সোমবার দিন হুজরার পর্দা উত্তোলন করেছিলেন। এবং এ প্রসঙ্গে রাবী সালিহ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি অধিক পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فِي وَجَعِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ الاِثْنَيْنِ - وَهُمْ صُفُوفٌ فِي الصَّلاَةِ - كَشَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِتْرَ الْحُجْرَةِ فَنَظَرَ إِلَيْنَا وَهُوَ قَائِمٌ كَأَنَّ وَجْهَهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ . ثُمَّ تَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَاحِكًا - قَالَ - فَبُهِتْنَا وَنَحْنُ فِي الصَّلاَةِ مِنْ فَرَحٍ بِخُرُوجِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَكَصَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى عَقِبَيْهِ لِيَصِلَ الصَّفَّ وَظَنَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَارِجٌ لِلصَّلاَةِ فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ أَنْ أَتِمُّوا صَلاَتَكُمْ - قَالَ - ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْخَى السِّتْرَ - قَالَ - فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ .
وَحَدَّثَنِيهِ عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ آخِرُ نَظْرَةٍ نَظَرْتُهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَشَفَ السِّتَارَةَ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ وَحَدِيثُ صَالِحٍ أَتَمُّ وَأَشْبَعُ .
হাদীস নং: ৮৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৯-৩
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮৩০। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যখন সোমবার হল, তারপর উপরোক্তরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الاِثْنَيْنِ . بِنَحْوِ حَدِيثِهِمَا .
হাদীস নং: ৮৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৯-৪
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮৩১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও হারূন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) আমাদের নিকট তিন দিন যাবত বের হননি। (তিন দিনের পরের ঘটনা) এক নামাযে ইকামত দেয়া হল। আবু বকর (রাযিঃ) সামনে অগ্রসর হবেন ইত্যবসরে আল্লাহর নবী (ﷺ) পর্দা উত্তোলন করলেন। আমরা তাঁর চেহারা মুবারক অবলোকন করলাম তাকে এমন দেখা যাচ্ছিল যে, সেরূপ অপূর্ব দৃশ্য আগে আর আমরা ইতিপূর্বে কখনো দেখি নি। তিনি হাতের ইশারায় আবু বকর (রাযিঃ) কে সামনে অগ্রসর হয়ে নামায আদায় করতে বললেন এবং পর্দা ফেলে দিলেন। এরপর আর তিনি ওফাত পর্যন্ত আর বের হতে পারেননি।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمْ يَخْرُجْ إِلَيْنَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثًا فَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَذَهَبَ أَبُو بَكْرٍ يَتَقَدَّمُ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحِجَابِ فَرَفَعَهُ فَلَمَّا وَضَحَ لَنَا وَجْهُ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا نَظَرْنَا مَنْظَرًا قَطُّ كَانَ أَعْجَبَ إِلَيْنَا مِنْ وَجْهِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ وَضَحَ لَنَا - قَالَ - فَأَوْمَأَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَتَقَدَّمَ وَأَرْخَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْحِجَابَ فَلَمْ نَقْدِرْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ .
হাদীস নং: ৮৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২০
২১. ইমাম কর্তৃক রোগ, সফর ইত্যাদি ওযরের কারণে নামায আদায়ে স্বীয় প্রতিনিধি নিযুক্তকরণ; ইমাম যদি কোন ওযরে বসে নামায আদায় করেন এবং মুক্তাদী দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে; কেননা দণ্ডায়মানাক্ষম মুক্তাদীর বসে নামায আদায় করার হুকুম রহিত হয়ে গেছে
৮৩২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পীড়িত হয়ে পড়লেন। ক্রমেই তার পীড়া বৃদ্ধি পেতে লাগল। তিনি বললেন, আবু বকরকে নির্দেশ শুনিয়ে দাও, যেন সে লোকদের নামাযে ইমামতি করে। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আবু বকর হচ্ছেন নরম মানুষ। তিনি আপনার স্থানে দাঁড়িয়ে নামায পড়াতে পারবেন না। তবু তিনি বললেন, যাও, আবু বকরকেই ইমামতি করতে বল। তোমরা হচ্ছো ইউসুফের সঙ্গিনীদের অনুরূপ। এরপর থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় আবু বকর (রাযিঃ)-ই লোকদের নামাযে ইমামতি করেন।
باب اسْتِخْلاَفِ الإِمَامِ إِذَا عَرَضَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ وَسَفَرٍ وَغَيْرِهِمَا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَنَّ مَنْ صَلَّى خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ لِعَجْزِهِ عَنِ الْقِيَامِ لَزِمَهُ الْقِيَامُ إِذَا قَدَرَ عَلَيْهِ وَنَسْخِ الْقُعُودِ خَلْفَ الْقَاعِدِ فِي حَقِّ مَنْ قَدَرَ عَلَى الْقِيَامِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاشْتَدَّ مَرَضُهُ فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَقَالَ " مُرِي أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ " . قَالَ فَصَلَّى بِهِمْ أَبُو بَكْرٍ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .