আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬-১
৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমাণ
৪১৩। আব্দুর রহমান ইবনে সাল্লাম ইবনে উবাইদুল্লাহ জুমাহী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমার উম্মতের সত্তর হাজার লোক হিসাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। জনৈক সাহাবী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, আমাকে যেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুআ করলেন, ইয়া আল্লাহ! ওকে এদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন। তারপর আরেকজন সাহাবী দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার জন্যও আল্লাহর কাছে দুআ করুন, যেন আমাকেও তাঁদের অন্তভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এই সুযোগ লাভে উক্কাশা তোমার অগ্রগামী হয়ে গেছে।
باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَلاَّمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي الْجَنَّةَ سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ " . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . قَالَ " اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ مِنْهُمْ " . ثُمَّ قَامَ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . قَالَ " سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ " .
হাদীস নং: ৪১৪
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬-২
৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমাণ
৪১৪। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি ......... পরবর্তী অংশ উপরোল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ।
باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ زِيَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ . بِمِثْلِ حَدِيثِ الرَّبِيعِ .
হাদীস নং: ৪১৫
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬-৩
৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমাণ
৪১৫। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মতের একটি দল জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের সংখ্যা হবে সত্তর হাজার। তাঁরা পূর্ণিমার চাঁদের মত চমকাতে থাকবে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, তখন উক্কাশা ইবনে মিহসান আসাদী দাঁড়ালেন। তার গায়ে একটি চাঁদর ছিল। বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ! একে তাঁদের অন্তভুক্ত করে নিন। এরপর আরেকজন আনসারী দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এই সুযোগ লাভে উক্কাশা তোমার অগ্রগামী হয়ে গেছে।
باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي زُمْرَةٌ هُمْ سَبْعُونَ أَلْفًا تُضِيءُ وُجُوهُهُمْ إِضَاءَةَ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ " . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ الأَسَدِيُّ يَرْفَعُ نَمِرَةً عَلَيْهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ مِنْهُمْ " ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ " .
হাদীস নং: ৪১৬
আন্তর্জাতিক নং: ২১৭
৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমাণ
৪১৬। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজারের একটি দল জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর তাদের একটি দলের চেহারা হবে চাঁদের মত (উজ্জ্বল)।
باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو يُونُسَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا زُمْرَةٌ وَاحِدَةٌ مِنْهُمْ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ " .
হাদীস নং: ৪১৭
আন্তর্জাতিক নং: ২১৮-১
৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমাণ
৪১৭। ইয়াহয়া ইবনে খালাফ বাহিলী (রাহঃ) ......... ইমরান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক হিসাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা কে? রাসুল (ﷺ) বললেনঃ যারা লোহার দাগ লাগায় না এবং ঝাড়ফুক করায় না; বরং তাদের রবের উপর নির্ভরশীল থাকে।
তখন উক্কাশা (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তাদেরই একজন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আরেক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর নবী! আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, যেন আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করে দেন। রাসুল বললেনঃ এই সূযোগ লাভে উক্কাশা তোমার অগ্রগামী হয়ে গেছে।
তখন উক্কাশা (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তাদেরই একজন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আরেক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর নবী! আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, যেন আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করে দেন। রাসুল বললেনঃ এই সূযোগ লাভে উক্কাশা তোমার অগ্রগামী হয়ে গেছে।
باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، - يَعْنِي ابْنَ سِيرِينَ - قَالَ حَدَّثَنِي عِمْرَانُ، قَالَ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ " . قَالُوا وَمَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " هُمُ الَّذِينَ لاَ يَكْتَوُونَ وَلاَ يَسْتَرْقُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ " . فَقَامَ عُكَّاشَةُ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . قَالَ " أَنْتَ مِنْهُمْ " . قَالَ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . قَالَ " سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ " .
হাদীস নং: ৪১৮
আন্তর্জাতিক নং: ২১৮-২
৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমাণ
৪১৮। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক হিসাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এরা কারা? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যারা ঝাড়ফুক করায় না, শুভাগমনের লক্ষণ মেনে চলে না, অগ্নি দাগ গ্রহণ করে না বরং সর্বদাই আল্লাহর উপর নির্ভর করে (তারাই)।
باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا حَاجِبُ بْنُ عُمَرَ أَبُو خُشَيْنَةَ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ الأَعْرَجِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ " . قَالُوا مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " هُمُ الَّذِينَ لاَ يَسْتَرْقُونَ وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ وَلاَ يَكْتَوُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ " .
হাদীস নং: ৪১৯
আন্তর্জাতিক নং: ২১৯
৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমাণ
৪১৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার বা সাত লক্ষ (এখানে রাবী আবু হাযিম কোন সংখ্যাই নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি) লোক পাশাপাশি দাঁড়িয়ে একে অন্যের হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের প্রথম ব্যক্তি শেষ ব্যক্তির প্রবেশের আগে প্রবেশ করবে না, বরং সবাই একত্রে প্রবেশ করবে! তাদের চেহারা পূর্মিমার চাঁদের মত চমকাবে।
باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَازِمٍ - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا أَوْ سَبْعُمِائَةِ أَلْفٍ - لاَ يَدْرِي أَبُو حَازِمٍ أَيَّهُمَا قَالَ - مُتَمَاسِكُونَ آخِذٌ بَعْضُهُمْ بَعْضًا لاَ يَدْخُلُ أَوَّلُهُمْ حَتَّى يَدْخُلَ آخِرُهُمْ وُجُوهُهُمْ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ " .
হাদীস নং: ৪২০
আন্তর্জাতিক নং: ২২০-১
৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমাণ
৪২০। সাঈদ ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... হুসাইন ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনে আব্দুর রহমানের কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, গতকাল রাতে যে তারকাটি বিচ্যুত হয়োছিল তা তোমরা কেউ দেখেছ কি? আমি বললাম, আমি দেখেছি। অবশ্য আমি রাতের নামায রত ছিলাম না; আমাকে বিচ্ছু দংশন করেছিল। সাঈদ বললেন, দংশন করার পরে তুমি কি করেছিলে? আমি বললাম, ঝাড়-ফুঁক করিয়েছি। তিনি বললেন, তোমাকে এই ঝাড়-ফুঁক গ্রহণে কিসে উদ্বুদ্ধ করল? আমি বললাম, সেই হাদীস যা আমি শাবী থেকে শুনেছি। তিনি বললেন, শাবী কী হাদীস বর্ণনা করেছেন?
আমি বললাম, শাবী বুরায়দা ইবনে হুসাইন আল আসলামী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, কুদৃষ্টি বা বিচ্ছু দংশন ব্যতীত অন্য বিষয়ে ঝাঁড়-ফুঁক করান উচিত নয়। তিনি বললেন, ভাল বলেছেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, স্বপ্নে আমার সামনে সকল উম্মতকে উপস্থিত করা হয়, তখন কোন কোন নবী (ﷺ) কে দেখলাম যে, তাঁর সঙ্গে ছোট্ট একটি দল রয়েছে; আর কাউকে দেখলাম, তাঁর সঙ্গে একজন কিংবা দুজন লোক; আবার কেউ এমনও ছিলেন যে, তাঁর সাথে কেউ নেই। হঠাৎ আমার সামনে এক বিরাট দল দেখা গেল। মনে হল, এরা আমার উম্মত। তখন আমাকে বলা হল, ইনি . মুসা (আলাইহিস সালাম) ও তাঁর উম্মত; তবে আপনি উপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন। আমি ওদিকে তাকালাম, দেখি বিরাট এক দল। আবার বলা হল, আপনি উপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন, (আমি ওদিকে তাকালাম) এক বিরাট দল।
বলা হলো, এরা আপনার উম্মত। এদের মধ্যে সত্তর হাজার এমন লোক আছে যারা শাস্তি ব্যতীত হিসাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এই বলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ঘরে চলে গেলেন। আর উপস্থিত সাহাবীগণ তখন এই হিসাব ও আযাব বিহীন জান্নাতে প্রবেশকারী কারা হবেন, এই নিয়ে বিতর্ক শুরু করলেন। কেউ বললেন, তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবী। কেউ বললেন, তাঁরা সেসব লোক যারা ইসলামের উপর জন্মলাভ করেছে এবং আল্লাহর সঙ্গে কোন প্রকার শিরক করেনি। এসব বিতর্ক শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং বললেন, তোমরা কি নিয়ে বিতর্ক করছ? সবাই বিষয়টি খুলে বললেন।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এরা সেই সব লোক, যারা ঝাঁড়-ফুক করে না বা তা গ্রহণও করে না, অশুভ লক্ষণ মানে না বরং সর্বদাই আল্লাহর উপর নির্ভর করে। তখন উক্কাশা ইবনে মিহসান (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার জন্য দুআ করুন, আল্লাহ যেন আমাকে তাঁদের অন্তভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তাদেরই একজন থাকবে। তারপর আরেক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমার জন্যও দুআ করুন, আল্লাহ যেন আমাকেও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উত্তর করলেনঃ এই সুযোগ লাভে উক্কাশা তোমার চাইতে অগ্রগামী হয়ে গেছে।
আমি বললাম, শাবী বুরায়দা ইবনে হুসাইন আল আসলামী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, কুদৃষ্টি বা বিচ্ছু দংশন ব্যতীত অন্য বিষয়ে ঝাঁড়-ফুঁক করান উচিত নয়। তিনি বললেন, ভাল বলেছেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, স্বপ্নে আমার সামনে সকল উম্মতকে উপস্থিত করা হয়, তখন কোন কোন নবী (ﷺ) কে দেখলাম যে, তাঁর সঙ্গে ছোট্ট একটি দল রয়েছে; আর কাউকে দেখলাম, তাঁর সঙ্গে একজন কিংবা দুজন লোক; আবার কেউ এমনও ছিলেন যে, তাঁর সাথে কেউ নেই। হঠাৎ আমার সামনে এক বিরাট দল দেখা গেল। মনে হল, এরা আমার উম্মত। তখন আমাকে বলা হল, ইনি . মুসা (আলাইহিস সালাম) ও তাঁর উম্মত; তবে আপনি উপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন। আমি ওদিকে তাকালাম, দেখি বিরাট এক দল। আবার বলা হল, আপনি উপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন, (আমি ওদিকে তাকালাম) এক বিরাট দল।
বলা হলো, এরা আপনার উম্মত। এদের মধ্যে সত্তর হাজার এমন লোক আছে যারা শাস্তি ব্যতীত হিসাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এই বলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ঘরে চলে গেলেন। আর উপস্থিত সাহাবীগণ তখন এই হিসাব ও আযাব বিহীন জান্নাতে প্রবেশকারী কারা হবেন, এই নিয়ে বিতর্ক শুরু করলেন। কেউ বললেন, তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবী। কেউ বললেন, তাঁরা সেসব লোক যারা ইসলামের উপর জন্মলাভ করেছে এবং আল্লাহর সঙ্গে কোন প্রকার শিরক করেনি। এসব বিতর্ক শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং বললেন, তোমরা কি নিয়ে বিতর্ক করছ? সবাই বিষয়টি খুলে বললেন।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এরা সেই সব লোক, যারা ঝাঁড়-ফুক করে না বা তা গ্রহণও করে না, অশুভ লক্ষণ মানে না বরং সর্বদাই আল্লাহর উপর নির্ভর করে। তখন উক্কাশা ইবনে মিহসান (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার জন্য দুআ করুন, আল্লাহ যেন আমাকে তাঁদের অন্তভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তাদেরই একজন থাকবে। তারপর আরেক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমার জন্যও দুআ করুন, আল্লাহ যেন আমাকেও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উত্তর করলেনঃ এই সুযোগ লাভে উক্কাশা তোমার চাইতে অগ্রগামী হয়ে গেছে।
باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ أَيُّكُمْ رَأَى الْكَوْكَبَ الَّذِي انْقَضَّ الْبَارِحَةَ قُلْتُ أَنَا . ثُمَّ قُلْتُ أَمَا إِنِّي لَمْ أَكُنْ فِي صَلاَةٍ وَلَكِنِّي لُدِغْتُ . قَالَ فَمَاذَا صَنَعْتَ قُلْتُ اسْتَرْقَيْتُ . قَالَ فَمَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ قُلْتُ حَدِيثٌ حَدَّثَنَاهُ الشَّعْبِيُّ . فَقَالَ وَمَا حَدَّثَكُمُ الشَّعْبِيُّ قُلْتُ حَدَّثَنَا عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ حُصَيْبٍ الأَسْلَمِيِّ أَنَّهُ قَالَ لاَ رُقْيَةَ إِلاَّ مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ . فَقَالَ قَدْ أَحْسَنَ مَنِ انْتَهَى إِلَى مَا سَمِعَ وَلَكِنْ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عُرِضَتْ عَلَىَّ الأُمَمُ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ وَمَعَهُ الرُّهَيْطُ وَالنَّبِيَّ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَالرَّجُلاَنِ وَالنَّبِيَّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ إِذْ رُفِعَ لِي سَوَادٌ عَظِيمٌ فَظَنَنْتُ أَنَّهُمْ أُمَّتِي فَقِيلَ لِي هَذَا مُوسَى صلى الله عليه وسلم وَقَوْمُهُ وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ . فَنَظَرْتُ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ الآخَرِ . فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي هَذِهِ أُمَّتُكَ وَمَعَهُمْ سَبْعُونَ أَلْفًا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ " . ثُمَّ نَهَضَ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ فَخَاضَ النَّاسُ فِي أُولَئِكَ الَّذِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمُ الَّذِينَ صَحِبُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمُ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي الإِسْلاَمِ وَلَمْ يُشْرِكُوا بِاللَّهِ . وَذَكَرُوا أَشْيَاءَ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا الَّذِي تَخُوضُونَ فِيهِ " . فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ " هُمُ الَّذِينَ لاَ يَرْقُونَ وَلاَ يَسْتَرْقُونَ وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ " . فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . فَقَالَ " أَنْتَ مِنْهُمْ " ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . فَقَالَ " سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ " .
হাদীস নং: ৪২১
আন্তর্জাতিক নং: ২২০-২
৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমাণ
৪২১। আবু বকর আবু ইবনে শায়বা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ স্বপ্নে আমার সামনে সকল উম্মতকে পেশ করা হয়... এভাবে বর্ণনাকারী হুসাইন বর্ণিত হাদীসের অনুরূপই বর্ণনা করেন। কিন্তু হাদীসটির প্রথমাংশ উল্লেখ করেন নাই।
باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عُرِضَتْ عَلَىَّ الأُمَمُ " . ثُمَّ ذَكَرَ بَاقِيَ الْحَدِيثِ نَحْوَ حَدِيثِ هُشَيْمٍ وَلَمْ يَذْكُرْ أَوَّلَ حَدِيثِهِ .