আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৩৬০
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৮
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খূদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ নিম্নতম জান্নাতী ঐ ব্যক্তি, যার মুখমণ্ডলটি আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের দিক থেকে সরিয়ে জান্নাতের দিকে করে দিবেন। তার সামনে একটি ছায়াযুক্ত বৃক্ষ উদ্ভাসিত করা হবে। সে ব্যক্তি প্রার্থনা জানাবে, হে প্রতিপালক। আমাকে এ বৃক্ষ পর্যন্ত এগিয়ে দিন। আমি এ ছায়ায় অবস্থান করতে চাই... এভাবে তিনি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
তবে এ হাদীসে يَا ابْنَ آدَمَ مَا يَصْرِينِي مِنْكَ এর উল্লেখ নেই। অবশ্য এতটুকু বলেছেন যে, আল্লাহ তাঁকে বিভিন্ন নিআমতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলবেনঃ এটা চাও। এভাবে যখন তার সকল আকাঙ্ক্ষা সমাপ্ত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ বলবেনঃ যাও, তোমাকে এসব সস্পদ প্রদান করলাম সে সাথে আরও দশগুণ দান করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তখন লোকটি জান্নাতে তার গৃহে প্রবেশ করবে। তার সাথে ডাগর চোখ বিশিষ্ট দু-জন হুর পত্নী প্রবেশ করবে। আর তারা বলবে, সকল প্রশংসা সে আল্লাহর জন্য, যিনি আপনাকে আমাদের জন্য জীবন দান করেছেন এবং আমাদেরকে আপনার জন্য জীবন দান করেছেন। লোকটি বলবে, আমাকে যা দেয়া হয়েছে, এমন আর কাউকে দেওয়া হয়নি।
তবে এ হাদীসে يَا ابْنَ آدَمَ مَا يَصْرِينِي مِنْكَ এর উল্লেখ নেই। অবশ্য এতটুকু বলেছেন যে, আল্লাহ তাঁকে বিভিন্ন নিআমতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলবেনঃ এটা চাও। এভাবে যখন তার সকল আকাঙ্ক্ষা সমাপ্ত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ বলবেনঃ যাও, তোমাকে এসব সস্পদ প্রদান করলাম সে সাথে আরও দশগুণ দান করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তখন লোকটি জান্নাতে তার গৃহে প্রবেশ করবে। তার সাথে ডাগর চোখ বিশিষ্ট দু-জন হুর পত্নী প্রবেশ করবে। আর তারা বলবে, সকল প্রশংসা সে আল্লাহর জন্য, যিনি আপনাকে আমাদের জন্য জীবন দান করেছেন এবং আমাদেরকে আপনার জন্য জীবন দান করেছেন। লোকটি বলবে, আমাকে যা দেয়া হয়েছে, এমন আর কাউকে দেওয়া হয়নি।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً رَجُلٌ صَرَفَ اللَّهُ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ قِبَلَ الْجَنَّةِ وَمَثَّلَ لَهُ شَجَرَةً ذَاتَ ظِلٍّ فَقَالَ أَىْ رَبِّ قَدِّمْنِي إِلَى هَذِهِ الشَّجَرَةِ أَكُونُ فِي ظِلِّهَا " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَلَمْ يُذْكُرْ " فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ مَا يَصْرِينِي مِنْكَ " . إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ وَزَادَ فِيهِ " وَيُذَكِّرُهُ اللَّهُ سَلْ كَذَا وَكَذَا فَإِذَا انْقَطَعَتْ بِهِ الأَمَانِيُّ قَالَ اللَّهُ هُوَ لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ - قَالَ - ثُمَّ يَدْخُلُ بَيْتَهُ فَتَدْخُلُ عَلَيْهِ زَوْجَتَاهُ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ فَتَقُولاَنِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَاكَ لَنَا وَأَحْيَانَا لَكَ - قَالَ - فَيَقُولُ مَا أُعْطِيَ أَحَدٌ مِثْلَ مَا أُعْطِيتُ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯-১
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬১। সাঈদ ইবনে আমর আল আশআসী, ইবনে আবু উমর এবং বিশর ইবনে হাকাম (রাহঃ) ......... মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর প্রতিপালককে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, জান্নাতে সবচেয়ে নিম্নস্তরের লোকটি কে হবে? আল্লাহ বললেনঃ সে হল এমন এক ব্যক্তি, যে জান্নাতীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর পর আসবে। তাকে বলা হবে, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলবে, হে প্রতিপালক! তা কিরূপে হবে? জান্নাতীগণ তো নিজ নিজ আবাসের অধিকারী হয়ে গেছেন। তারা তাদের প্রাপ্য নিয়েছেন। তাকে বলা হবে, পৃথিবীর কোন সম্রাটের সামরাজ্যের সমপরিমাণ সম্পদ নিয়ে কি তুমি সন্তুষ্ট হবে? সে বলবে, হে প্রভু! আমি এতে খুশি।
আল্লাহ বলবেনঃ তোমাকে উক্ত পরিমাণ সস্পদ দেওয়া হলো। সাথে দেওয়া হল আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ। পঞ্চমবারে সে বলে উঠবে, আমি পরিতৃপ্ত, হে আমার রব! আল্লাহ বলবেন, আরো দশগুণ দেওয়া হল। এ সবই তোমার জন্য। তাছাড়া তোমার জন্য রয়েছে এমন জিনিস, যদ্বারা মন তৃপ্ত হয়, চোখ জুড়ায়। লোকটি বলবে, হে আমার প্রভু! আমি পরিতৃপ্ত। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ কে? আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ এরা তারাই যাদের মর্যাদা আমি চূড়ান্তভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছি। এমন জিনিস তাদের জন্য রেখেছি, যা কোন চক্ষু কখনো দেখেনি, কোন কান কখনও শুনেনি, কারো অন্তরে কখনও কল্পনায়ও উদয় হয়নি। বর্ণনাকারী বলেন, কুরআনের এ আয়াতটি এর প্রমাণ বহন করেঃ (অর্থ) “কেউ জানেনা, তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কি লুকায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পূরস্কারস্বরূপ। ” (সূরা সাজদাঃ ১৭)
আল্লাহ বলবেনঃ তোমাকে উক্ত পরিমাণ সস্পদ দেওয়া হলো। সাথে দেওয়া হল আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ। পঞ্চমবারে সে বলে উঠবে, আমি পরিতৃপ্ত, হে আমার রব! আল্লাহ বলবেন, আরো দশগুণ দেওয়া হল। এ সবই তোমার জন্য। তাছাড়া তোমার জন্য রয়েছে এমন জিনিস, যদ্বারা মন তৃপ্ত হয়, চোখ জুড়ায়। লোকটি বলবে, হে আমার প্রভু! আমি পরিতৃপ্ত। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ কে? আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ এরা তারাই যাদের মর্যাদা আমি চূড়ান্তভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছি। এমন জিনিস তাদের জন্য রেখেছি, যা কোন চক্ষু কখনো দেখেনি, কোন কান কখনও শুনেনি, কারো অন্তরে কখনও কল্পনায়ও উদয় হয়নি। বর্ণনাকারী বলেন, কুরআনের এ আয়াতটি এর প্রমাণ বহন করেঃ (অর্থ) “কেউ জানেনা, তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কি লুকায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পূরস্কারস্বরূপ। ” (সূরা সাজদাঃ ১৭)
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، وَابْنِ، أَبْجَرَ عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، رِوَايَةً إِنْ شَاءَ اللَّهُ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفُ بْنُ طَرِيفٍ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ سَعِيدٍ، سَمِعَا الشَّعْبِيَّ، يُخْبِرُ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُهُ عَلَى الْمِنْبَرِ، يَرْفَعُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
قَالَ وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفٌ، وَابْنُ، أَبْجَرَ سَمِعَا الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يُخْبِرُ بِهِ النَّاسَ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سُفْيَانُ رَفَعَهُ أَحَدُهُمَا - أُرَاهُ ابْنَ أَبْجَرَ - قَالَ " سَأَلَ مُوسَى رَبَّهُ مَا أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً قَالَ هُوَ رَجُلٌ يَجِيءُ بَعْدَ مَا أُدْخِلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ فَيُقَالُ لَهُ ادْخُلِ الْجَنَّةَ . فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ كَيْفَ وَقَدْ نَزَلَ النَّاسُ مَنَازِلَهُمْ وَأَخَذُوا أَخَذَاتِهِمْ فَيُقَالُ لَهُ أَتَرْضَى أَنْ يَكُونَ لَكَ مِثْلُ مُلْكِ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ رَضِيتُ رَبِّ . فَيَقُولُ لَكَ ذَلِكَ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ . فَقَالَ فِي الْخَامِسَةِ رَضِيتُ رَبِّ . فَيَقُولُ هَذَا لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ وَلَكَ مَا اشْتَهَتْ نَفْسُكَ وَلَذَّتْ عَيْنُكَ . فَيَقُولُ رَضِيتُ رَبِّ . قَالَ رَبِّ فَأَعْلاَهُمْ مَنْزِلَةً قَالَ أُولَئِكَ الَّذِينَ أَرَدْتُ غَرَسْتُ كَرَامَتَهُمْ بِيَدِي وَخَتَمْتُ عَلَيْهَا فَلَمْ تَرَ عَيْنٌ وَلَمْ تَسْمَعْ أُذُنٌ وَلَمْ يَخْطُرْ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ " . قَالَ وَمِصْدَاقُهُ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ( فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ) الآيَةَ .
قَالَ وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفٌ، وَابْنُ، أَبْجَرَ سَمِعَا الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يُخْبِرُ بِهِ النَّاسَ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سُفْيَانُ رَفَعَهُ أَحَدُهُمَا - أُرَاهُ ابْنَ أَبْجَرَ - قَالَ " سَأَلَ مُوسَى رَبَّهُ مَا أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً قَالَ هُوَ رَجُلٌ يَجِيءُ بَعْدَ مَا أُدْخِلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ فَيُقَالُ لَهُ ادْخُلِ الْجَنَّةَ . فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ كَيْفَ وَقَدْ نَزَلَ النَّاسُ مَنَازِلَهُمْ وَأَخَذُوا أَخَذَاتِهِمْ فَيُقَالُ لَهُ أَتَرْضَى أَنْ يَكُونَ لَكَ مِثْلُ مُلْكِ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ رَضِيتُ رَبِّ . فَيَقُولُ لَكَ ذَلِكَ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ . فَقَالَ فِي الْخَامِسَةِ رَضِيتُ رَبِّ . فَيَقُولُ هَذَا لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ وَلَكَ مَا اشْتَهَتْ نَفْسُكَ وَلَذَّتْ عَيْنُكَ . فَيَقُولُ رَضِيتُ رَبِّ . قَالَ رَبِّ فَأَعْلاَهُمْ مَنْزِلَةً قَالَ أُولَئِكَ الَّذِينَ أَرَدْتُ غَرَسْتُ كَرَامَتَهُمْ بِيَدِي وَخَتَمْتُ عَلَيْهَا فَلَمْ تَرَ عَيْنٌ وَلَمْ تَسْمَعْ أُذُنٌ وَلَمْ يَخْطُرْ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ " . قَالَ وَمِصْدَاقُهُ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ( فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ) الآيَةَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯-২
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬২। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) থেঁকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহ তাআলাকে জান্নাতের সর্বনিম্ন ব্যক্তিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন... এরপর বর্ণনাকারী পূর্ববর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ إِنَّ مُوسَى - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - سَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَنْ أَخَسِّ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنْهَا حَظًّا . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০-১
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬৩। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ জাহান্নাম হতে সবার শেষে উদ্ধারপ্রাপ্ত ও জান্নাতে সবার শেষে প্রবেশকারী লোকটিকে আমি অবশ্যই জানি। কিয়ামতের দিন তাকে উপস্থিত করে ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দেয়া হবে যে, এ ব্যক্তির সগীরা গুনাহগুলো তার সামনে পেশ কর, আর কবীরা গুনাহগুলো আলাদা তুলে রাখ। ফিরিশতাগণ তার সম্মুখে সগীরা গুনাহগুলো উপস্থিত করবেন। ঐ ব্যক্তিকে বলা হবে, তুমি অমুক দিন এ পাপ কাজ করেছিলে? অমুক দিন এ কাজ করেছিলে? সে বলবে, হ্যাঁ। সে কোনটার অস্বীকার করতে পারবে না। আর কবীরা গুনাহগুলো পেশ করা হলে সে ভয় করতে থাকবে। অতঃপর তাকে বলা হবে, তোমার এক একটি গুনাহর স্থলে একটি নেকী দেওয়া হল। লোকটি বলবে, হে প্রতিপালক! আমি আরও অনেক অন্যায় কাজ করেছি, যেগুলো এখানে দেখছি না। এখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এমনভাবে হাসতে দেখেছি যে, তাঁর মাড়ির দাঁতগুলো পর্যন্ত ভেসে উঠল।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي لأَعْلَمُ آخِرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ دُخُولاً الْجَنَّةَ وَآخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجًا مِنْهَا رَجُلٌ يُؤْتَى بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ اعْرِضُوا عَلَيْهِ صِغَارَ ذُنُوبِهِ وَارْفَعُوا عَنْهُ كِبَارَهَا . فَتُعْرَضُ عَلَيْهِ صِغَارُ ذُنُوبِهِ فَيُقَالُ عَمِلْتَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا كَذَا وَكَذَا وَعَمِلْتَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا كَذَا وَكَذَا . فَيَقُولُ نَعَمْ . لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يُنْكِرَ وَهُوَ مُشْفِقٌ مِنْ كِبَارِ ذُنُوبِهِ أَنْ تُعْرَضَ عَلَيْهِ . فَيُقَالُ لَهُ فَإِنَّ لَكَ مَكَانَ كُلِّ سَيِّئَةٍ حَسَنَةً . فَيَقُولُ رَبِّ قَدْ عَمِلْتُ أَشْيَاءَ لاَ أَرَاهَا هَا هُنَا " . فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০-২
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬৪। ইবনে নুমাইর, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব ......... আ’মাশ (রাহঃ) সূত্রে এ সনদে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯১-১
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬৫। উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ ও ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ......... আবু যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে الْوُرُودِ অর্থাৎ “অতিক্রম করতে হবে” সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন, কিয়ামতের দিন সকল মানুষ একত্রিত হবে। আমি মানুষের উপর থেকে তা দেখব। (এ উম্মতকে একত্র করা হবে একটি টিলায়) এরপর একে একে প্রতিটি জাতিকে তাদের নিজ নিজ দেব-দেবী ও উপাস্যের নামসহ ডাকা হবে। তারপর আল্লাহ আমাদের (মুমিনদের) কাছে এসে জিজ্ঞাসা করবেন, তোমরা কার অপেক্ষায় রয়েছ? মুমিনগণ বলবে, আমাদের প্রতিপালকের অপেক্ষায় আছি। তিনি বলবেন, আমিই তো তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে না দেখব (আমরা তা মানছি না)। এরপর আল্লাহ তখন সহাস্যে স্বীয় তাজাল্লীতে উদ্ভাসিত হবেন। অনন্তর তিনি তাদের নিয়ে চলবেন এবং মুমিনগণ তাঁর অনুসরণ করবে। মুনাফিক কি মুমিন, প্রতিটি মানুষ কেই নূর প্রদান করা হবে। তারপর তারা এর অনুসরণ করবে। জাহান্নামের পূলের উপর থাকবে কাটাযুক্ত লৌহ শলাকা। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তাকে সেগুলো পাকড়াও করবে।
মুনাফিকদের নূর নিভে যাবে। আর মুমিনগণ নাজাত পাবেন। প্রথম দল হবে সত্তর হাজার লোকের, তাদের কোন হিসাবই নেয়া হবে না। তাঁদের চেহারা হবে পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল। তারপর আরেক দল আসবে, তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত দীপ্ত। এভাবে পর্বায়ক্রমে সকলে পার হয়ে যাবে। তারপর শাফাআতের অনুমতি প্রদান করা হবে। ফলে সকলেই শাফাআত লাভ করবে। এমন কি যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ স্বীকার করেছে, এবং যার অন্তরে সামান্য যব পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে। পরে এদেরকে জান্নাতের আঙ্গিনায় জমায়েত করা হবে, আর জান্নাতিগণ তাদের গায়ে পানি সিঞ্চন করবেন, ফলে তারা এমন সতেজ হয়ে উঠবেন, যেমন কোন উদ্ভিদ স্রোতবাহিত পানিতে সতেজ হয়ে ওঠে। আগুনে পোড়া দাগসমূহ মুছে যাবে। এরপর তারা আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা জানাবে। আল্লাহ তাদের প্রার্থনা কবুল করবেন। তাদের প্রত্যেককে পৃথিবীর মত এবং তৎসহ আরো পৃথিবীর দশগুণ প্রতিদান দেওয়া হবে।
মুনাফিকদের নূর নিভে যাবে। আর মুমিনগণ নাজাত পাবেন। প্রথম দল হবে সত্তর হাজার লোকের, তাদের কোন হিসাবই নেয়া হবে না। তাঁদের চেহারা হবে পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল। তারপর আরেক দল আসবে, তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত দীপ্ত। এভাবে পর্বায়ক্রমে সকলে পার হয়ে যাবে। তারপর শাফাআতের অনুমতি প্রদান করা হবে। ফলে সকলেই শাফাআত লাভ করবে। এমন কি যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ স্বীকার করেছে, এবং যার অন্তরে সামান্য যব পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে। পরে এদেরকে জান্নাতের আঙ্গিনায় জমায়েত করা হবে, আর জান্নাতিগণ তাদের গায়ে পানি সিঞ্চন করবেন, ফলে তারা এমন সতেজ হয়ে উঠবেন, যেমন কোন উদ্ভিদ স্রোতবাহিত পানিতে সতেজ হয়ে ওঠে। আগুনে পোড়া দাগসমূহ মুছে যাবে। এরপর তারা আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা জানাবে। আল্লাহ তাদের প্রার্থনা কবুল করবেন। তাদের প্রত্যেককে পৃথিবীর মত এবং তৎসহ আরো পৃথিবীর দশগুণ প্রতিদান দেওয়া হবে।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، كِلاَهُمَا عَنْ رَوْحٍ، قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ الْقَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُسْأَلُ عَنِ الْوُرُودِ، فَقَالَ نَجِيءُ نَحْنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَنْ كَذَا، وَكَذَا، انْظُرْ أَىْ ذَلِكَ فَوْقَ النَّاسِ - قَالَ - فَتُدْعَى الأُمَمُ بِأَوْثَانِهَا وَمَا كَانَتْ تَعْبُدُ الأَوَّلُ فَالأَوَّلُ ثُمَّ يَأْتِينَا رَبُّنَا بَعْدَ ذَلِكَ فَيَقُولُ مَنْ تَنْظُرُونَ فَيَقُولُونَ نَنْظُرُ رَبَّنَا . فَيَقُولُ أَنَا رَبُّكُمْ . فَيَقُولُونَ حَتَّى نَنْظُرَ إِلَيْكَ . فَيَتَجَلَّى لَهُمْ يَضْحَكُ - قَالَ - فَيَنْطَلِقُ بِهِمْ وَيَتَّبِعُونَهُ وَيُعْطَى كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ - مُنَافِقٍ أَوْ مُؤْمِنٍ - نُورًا ثُمَّ يَتَّبِعُونَهُ وَعَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ كَلاَلِيبُ وَحَسَكٌ تَأْخُذُ مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ يَطْفَأُ نُورُ الْمُنَافِقِينَ ثُمَّ يَنْجُو الْمُؤْمِنُونَ فَتَنْجُو أَوَّلُ زُمْرَةٍ وُجُوهُهُمْ كَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ سَبْعُونَ أَلْفًا لاَ يُحَاسَبُونَ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ كَأَضْوَإِ نَجْمٍ فِي السَّمَاءِ ثُمَّ كَذَلِكَ ثُمَّ تَحِلُّ الشَّفَاعَةُ وَيَشْفَعُونَ حَتَّى يَخْرُجَ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ شَعِيرَةً فَيُجْعَلُونَ بِفِنَاءِ الْجَنَّةِ وَيَجْعَلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ يَرُشُّونَ عَلَيْهِمُ الْمَاءَ حَتَّى يَنْبُتُوا نَبَاتَ الشَّىْءِ فِي السَّيْلِ وَيَذْهَبُ حُرَاقُهُ ثُمَّ يَسْأَلُ حَتَّى تُجْعَلَ لَهُ الدُّنْيَا وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهَا مَعَهَا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯১-২
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬৬। আবু বকর ইবনে শায়বা (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (ﷺ) কে ইরশাদ করতে শুনেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কতিপয় লোককে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ سَمِعَهُ مِنَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم بِأُذُنِهِ يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ يُخْرِجُ نَاسًا مِنَ النَّارِ فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৯১-৩
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬৭। আবু রাবী (রাহঃ) ......... হাম্মাদ ইবনে যায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমর ইবনে দীনারকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বরাত দিয়ে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, আল্লাহ তাআলা কতিপয় মানুষকে শাফাআতের ম্যধ্যমে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। তখন তিনি বললেন- হ্যাঁ।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَسَمِعْتَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ يُخْرِجُ قَوْمًا مِنَ النَّارِ بِالشَّفَاعَةِ " . قَالَ نَعَمْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯১-৪
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬৮। হাজ্জাজ ইবনে শাইর (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ তাআলা কতিপয় মানুষকে এমতাবস্থায় জাহান্নাম থেকে বের করবেন, যখন জাহান্নামে তাদের মুখমণ্ডলের চারপাশ ব্যতীত অন্য সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, অবশেষে তারা (আল্লাহর অনুগ্রহে) জান্নাতে প্রবেশ করবে।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ سُلَيْمٍ الْعَنْبَرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ الْفَقِيرُ، حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ قَوْمًا يُخْرَجُونَ مِنَ النَّارِ يَحْتَرِقُونَ فِيهَا إِلاَّ دَارَاتِ وُجُوهِهِمْ حَتَّى يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৯১-৫
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৬৯। হাজ্জাজ ইবনে শাইর (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ আল ফাকীর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, খারিজীদের একটি মত*, আমাকে বড়ই আকৃষ্ট করছিল। আমরা একবার একটি দলের সাথে বের হই। উদ্দেশ্য ছিল হজ্জ করা তারপর মানুষের সাথে যোগাযোগ করা। আমরা মদীনা দিয়ে যাচ্ছিলাম দেখি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) একটি খুঁটির পাশে বসে লোকদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদীস বর্ণনা করছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আর একটু এগিয়ে দেখি, তিনি জাহান্নামীদের আলোচনা তুলেছেন। আমি বললাম, হে রাসুলের সাহাবী! আপনারা এ কি বলছেন? অথচ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ (অর্থ) “কাকেও আপনি অগ্নিতে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয়ই হেয় করলেন” (সূরা আলে ইমরানঃ ১১২)। আরো ইরশাদ করেনঃ (অর্থ) যখনই তারা জাহান্নাম হতে বের হবার চেষ্টা করবে, তখনই ফিরিয়ে দেয়া হবে।” (সূরা সাজদাঃ ২৫)
জাবির (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কুরআন পাঠ কর? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তা হলে কুরআনে তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সে সম্মানিত আসন, যেখানে আল্লাহ তাঁকে (কিয়ামত দিবসে) সমাসীন করবেন, সে আসনের কথা শুননি? বললাম, হ্যাঁ। জাবির (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সে আসনটি হচ্ছে “মাকামে মাহমুদ” যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাকে জাহান্নাম থেকে বের করার, বের করবেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর জাবির (রাযিঃ) পুলসিরাত স্থাপন ও মানুষ তা অতিক্রম করার কথা বর্ণনা করেন।
বর্ণনাকারী আরো বলেন, আলোচনাটি পুরোপুরি সংরক্ষণ করতে পারিনি বলে আমার আশঙ্কা হয়। তবে তিনি অনশ্যই একথা উল্লেখ করেছেন যে, কতিপয় মানুষ কিছু কাল জাহান্নামে অবস্থান করার পর, তাদেরকে বের করা হবে। জাহান্নামে আগ্নি দগ্ন হয়ে রোদেপোড়া তিল গাছের মত কালো বর্ণ ধারণ করবে, তখন তাদেরকে বের করে আনা হবে। এরপর তারা জান্নাতের একটি নহরে নেমে গোসল করবে। পরে সকলে কাগজের মত সাদা ধবধবে হয়ে সে নহর থেকে উঠে আসবে। ইয়াযীদ (রাহঃ) বলেন, এ হাদীস নিয়ে আমরা আমাদের এলাকায় ফিরে এলাম এবং সকলকে বললাম, অমঙ্গল হোক তোমাদের! তোমরা কি মনে কর যে, এ বৃদ্ধ (জাবির) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর ওপর মিথ্যা আরোপ করতে পারেন? পরিশেষে আমাদের সকলেই (ঐ ভ্রান্ত বিশ্বাস) থেকে ফিরে আসে। আল্লাহর কসম! মাত্র এক ব্যক্তি ছাড়া কেউ আমাদের এ সঠিক আকীদা পরিত্যাগ করে নাই, বা আবু নূয়ায়ম যা বলেছেন তার অনুরূপ।
*নবী (ﷺ) এর শাফাআত অস্বীকার করা।
জাবির (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কুরআন পাঠ কর? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তা হলে কুরআনে তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সে সম্মানিত আসন, যেখানে আল্লাহ তাঁকে (কিয়ামত দিবসে) সমাসীন করবেন, সে আসনের কথা শুননি? বললাম, হ্যাঁ। জাবির (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সে আসনটি হচ্ছে “মাকামে মাহমুদ” যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাকে জাহান্নাম থেকে বের করার, বের করবেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর জাবির (রাযিঃ) পুলসিরাত স্থাপন ও মানুষ তা অতিক্রম করার কথা বর্ণনা করেন।
বর্ণনাকারী আরো বলেন, আলোচনাটি পুরোপুরি সংরক্ষণ করতে পারিনি বলে আমার আশঙ্কা হয়। তবে তিনি অনশ্যই একথা উল্লেখ করেছেন যে, কতিপয় মানুষ কিছু কাল জাহান্নামে অবস্থান করার পর, তাদেরকে বের করা হবে। জাহান্নামে আগ্নি দগ্ন হয়ে রোদেপোড়া তিল গাছের মত কালো বর্ণ ধারণ করবে, তখন তাদেরকে বের করে আনা হবে। এরপর তারা জান্নাতের একটি নহরে নেমে গোসল করবে। পরে সকলে কাগজের মত সাদা ধবধবে হয়ে সে নহর থেকে উঠে আসবে। ইয়াযীদ (রাহঃ) বলেন, এ হাদীস নিয়ে আমরা আমাদের এলাকায় ফিরে এলাম এবং সকলকে বললাম, অমঙ্গল হোক তোমাদের! তোমরা কি মনে কর যে, এ বৃদ্ধ (জাবির) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর ওপর মিথ্যা আরোপ করতে পারেন? পরিশেষে আমাদের সকলেই (ঐ ভ্রান্ত বিশ্বাস) থেকে ফিরে আসে। আল্লাহর কসম! মাত্র এক ব্যক্তি ছাড়া কেউ আমাদের এ সঠিক আকীদা পরিত্যাগ করে নাই, বা আবু নূয়ায়ম যা বলেছেন তার অনুরূপ।
*নবী (ﷺ) এর শাফাআত অস্বীকার করা।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
وَحَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، - يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي أَيُّوبَ - قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ الْفَقِيرُ، قَالَ كُنْتُ قَدْ شَغَفَنِي رَأْىٌ مِنْ رَأْىِ الْخَوَارِجِ فَخَرَجْنَا فِي عِصَابَةٍ ذَوِي عَدَدٍ نُرِيدُ أَنْ نَحُجَّ ثُمَّ نَخْرُجَ عَلَى النَّاسِ - قَالَ - فَمَرَرْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَإِذَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ الْقَوْمَ - جَالِسٌ إِلَى سَارِيَةٍ - عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَإِذَا هُوَ قَدْ ذَكَرَ الْجَهَنَّمِيِّينَ - قَالَ - فَقُلْتُ لَهُ يَا صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ مَا هَذَا الَّذِي تُحَدِّثُونَ وَاللَّهُ يَقُولُ ( إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ) وَ ( كُلَّمَا أَرَادُوا أَنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا أُعِيدُوا فِيهَا) فَمَا هَذَا الَّذِي تَقُولُونَ قَالَ فَقَالَ أَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ فَهَلْ سَمِعْتَ بِمَقَامِ مُحَمَّدٍ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - يَعْنِي الَّذِي يَبْعَثُهُ اللَّهُ فِيهِ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ فَإِنَّهُ مَقَامُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم الْمَحْمُودُ الَّذِي يُخْرِجُ اللَّهُ بِهِ مَنْ يُخْرِجُ . - قَالَ - ثُمَّ نَعَتَ وَضْعَ الصِّرَاطِ وَمَرَّ النَّاسِ عَلَيْهِ - قَالَ - وَأَخَافُ أَنْ لاَ أَكُونَ أَحْفَظُ ذَاكَ - قَالَ - غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ زَعَمَ أَنَّ قَوْمًا يَخْرُجُونَ مِنَ النَّارِ بَعْدَ أَنْ يَكُونُوا فِيهَا - قَالَ - يَعْنِي فَيَخْرُجُونَ كَأَنَّهُمْ عِيدَانُ السَّمَاسِمِ . قَالَ فَيَدْخُلُونَ نَهْرًا مِنْ أَنْهَارِ الْجَنَّةِ فَيَغْتَسِلُونَ فِيهِ فَيَخْرُجُونَ كَأَنَّهُمُ الْقَرَاطِيسُ . فَرَجَعْنَا قُلْنَا وَيْحَكُمْ أَتُرَوْنَ الشَّيْخَ يَكْذِبُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَجَعْنَا فَلاَ وَاللَّهِ مَا خَرَجَ مِنَّا غَيْرُ رَجُلٍ وَاحِدٍ أَوْ كَمَا قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৯২
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭০। হাম্মাদ ইবনে খালিদ আল আযদী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ চার ব্যক্তিকে (বিচারের জন্য) জাহান্নাম থেকে বের করে আল্লাহর সমীপে উপস্থিত করা হবে। তন্মধ্যে একজন বারবার পশ্চাৎ দিকে ফিরে তাকারে আর বলবে, হে আমার রব! যখন আমাকে এ জাহান্নাম থেকে বের করেছেন, তখন আমাকে আর সেখানে ফিরিয়ে নেবেন না। আল্লাহ তাআলা এ লোকটিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে দিবেন।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، وَثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ أَرْبَعَةٌ فَيُعْرَضُونَ عَلَى اللَّهِ فَيَلْتَفِتُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ إِذْ أَخْرَجْتَنِي مِنْهَا فَلاَ تُعِدْنِي فِيهَا . فَيُنْجِيهِ اللَّهُ مِنْهَا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩-১
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭১। আবু কামিল ফূযায়ল ইবনে হুসাইন আল জাহদারী ও মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ আল শুবারী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ হাশরের মাঠে আল্লাহ তাআলা সকল মানুষকে একত্র করবেন। তখন সংকটমুক্তির জন্য সুপারিশ প্রার্থনার ব্যাপারে তারা তৎপর হবে। এখানে বর্ণনাকারী ইবনে উবাইদ يُلْهَمُونَ শব্দ ব্যবহার করেছেন। অর্থ, অন্তরে উৎসারিত করা হবে। তারা বলবে, আমরা যদি কাউকে আল্লাহর কাছে সুপারিশের জন্য অনুরোধ করতাম, যেন তিনি আমাদের সংকটময় স্থান থেকে মুক্তি দেন।
সে মতে তারা আদম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে এসে বলবে, আপনি আদম (আলাইহিস সালাম), আপনি মানুষের আদি পিতা, আল্লাহ তাআলা স্বহস্তে আপনাকে করেছেন, আপনার দেহে আত্মা ফুঁকেছেন, আপনাকে সিজদা করার জন্য ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা আপনাকে সিজদাও করেছেন। সুতরাং আপনি আমাদের জন্য প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করুন, যেন তিনি আমাদেরকে এ সংকটময় স্থান থেকে মুক্তি দেন। তিনি তাঁর ক্রটির কথা স্মরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন। তিনি বলবেন, আমি এর যোগ্য নই। তোমরা নূহের কাছে যাও। তিনি প্রথম রাসুল। আল্লাহ তাআলা তাঁকেই সর্বপ্রথম রাসুলরূপে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।
তখন সকল মানুষ নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এসে অনুরোধ করবে। তিনিও তার ক্রটির কথা স্মরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন। বলবেনঃ আমি এর যোগ্য নই। তোমরা ইবরাহীমের কাছে যাও। তাকে আল্লাহ তাআলা বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। তখন সবাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি স্বীয় ক্রটির কথা স্মরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন এবং বলবেন, আমি এর যোগ্য নই, তোমরা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। আল্লাহ তার সাথে কথোপকথন করেছেন। তাঁকে আল্লাহ তাওরাত প্রদান করেছেন। তখন সবাই মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি তাঁর ক্রটির কথা স্বরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন এবং বলবেন, আমি এর উপযুক্ত নই।
তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও, তিনি আল্লাহ প্রদত্ত “কালিমা”। তখন সবাই ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই, তবে তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও। তিনি আল্লাহর এমন বান্দা যে, তার পূর্বাপর সকল ক্রটি ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তখন সবাই আমার কাছে আসবে, আর আমি আল্লাহর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করব। আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে। তখন আমি তাঁকে দেখামাত্র সিজদাবনত হয়ে যাব। যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করবেন আমাকে এ অবস্থায় রেখে দিবেন।
তারপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার অনুরোধ শোনা হবে, আপনি প্রার্থনা করুন, তা পূর্ণ করা হবে, আপনি শাফা’আত করুন, আপনার শাফাআত কবুল করা হবে। তারপর আমি মাথা তুলব এবং আমার প্রতিপালকের এমন প্রশংসা করব, যা আমার রব আমাকে শিখিয়ে দিবেন। এরপর আমি সুপারিশ করব। আমার জন্য (শাফাআতের) সীমা নির্ধারিত করে দেয়া হবে। সেমতে আমি তাদেরকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে এনে জান্নাতে প্রবেশ করাব। পূনরায় আমি শাফাআতের জন্য আসব এবং সিজদাবনত হব। যতক্ষণ আল্লাহ এ অবস্থায় আমাকে রাখতে ইচ্ছা করবেন ততক্ষণ রেখে দিবেন। পরে বলা “হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার অনুরোধ শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, তা পূর্ণ করা হরে; সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ কবুল করা হবে।
তারপর আমি মাথা তুলব এবং আমার প্রতিপালকের এমন প্রশংসা করব, যা আমার রব আমাকে শিখিয়ে দিবেন। আমার জন্য (শাফা’আতের) সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সে মতে আমি এদেরকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে জান্নাতে প্রবেশ করাব। বর্ণনাকারী বলেন, নিশ্চিতভাবে স্মরণ নেই, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তৃতীয় কিংবা চতূর্থবারে এ কথা উল্লেখ করেছিলেন যে, আমি বলবঃ হে আমার প্রতিপালক! কুরআন যাদেরকে আটকে দিয়েছে (অর্থাৎ কুরআনের আলোকে যারা চিরদিন জাহান্নামে থাকা নির্ধারিত) তারা ছাড়া জাহান্নামে আর কেউ অবশিষ্ট নেই। ইবনে উবাইদ-এর বর্ণনায় রয়েছে (অর্থাৎ তার জন্য চিরদিন জাহান্নামে থাকা অবধারিত)।
সে মতে তারা আদম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে এসে বলবে, আপনি আদম (আলাইহিস সালাম), আপনি মানুষের আদি পিতা, আল্লাহ তাআলা স্বহস্তে আপনাকে করেছেন, আপনার দেহে আত্মা ফুঁকেছেন, আপনাকে সিজদা করার জন্য ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা আপনাকে সিজদাও করেছেন। সুতরাং আপনি আমাদের জন্য প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করুন, যেন তিনি আমাদেরকে এ সংকটময় স্থান থেকে মুক্তি দেন। তিনি তাঁর ক্রটির কথা স্মরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন। তিনি বলবেন, আমি এর যোগ্য নই। তোমরা নূহের কাছে যাও। তিনি প্রথম রাসুল। আল্লাহ তাআলা তাঁকেই সর্বপ্রথম রাসুলরূপে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।
তখন সকল মানুষ নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এসে অনুরোধ করবে। তিনিও তার ক্রটির কথা স্মরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন। বলবেনঃ আমি এর যোগ্য নই। তোমরা ইবরাহীমের কাছে যাও। তাকে আল্লাহ তাআলা বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। তখন সবাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি স্বীয় ক্রটির কথা স্মরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন এবং বলবেন, আমি এর যোগ্য নই, তোমরা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। আল্লাহ তার সাথে কথোপকথন করেছেন। তাঁকে আল্লাহ তাওরাত প্রদান করেছেন। তখন সবাই মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি তাঁর ক্রটির কথা স্বরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন এবং বলবেন, আমি এর উপযুক্ত নই।
তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও, তিনি আল্লাহ প্রদত্ত “কালিমা”। তখন সবাই ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই, তবে তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও। তিনি আল্লাহর এমন বান্দা যে, তার পূর্বাপর সকল ক্রটি ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তখন সবাই আমার কাছে আসবে, আর আমি আল্লাহর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করব। আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে। তখন আমি তাঁকে দেখামাত্র সিজদাবনত হয়ে যাব। যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করবেন আমাকে এ অবস্থায় রেখে দিবেন।
তারপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার অনুরোধ শোনা হবে, আপনি প্রার্থনা করুন, তা পূর্ণ করা হবে, আপনি শাফা’আত করুন, আপনার শাফাআত কবুল করা হবে। তারপর আমি মাথা তুলব এবং আমার প্রতিপালকের এমন প্রশংসা করব, যা আমার রব আমাকে শিখিয়ে দিবেন। এরপর আমি সুপারিশ করব। আমার জন্য (শাফাআতের) সীমা নির্ধারিত করে দেয়া হবে। সেমতে আমি তাদেরকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে এনে জান্নাতে প্রবেশ করাব। পূনরায় আমি শাফাআতের জন্য আসব এবং সিজদাবনত হব। যতক্ষণ আল্লাহ এ অবস্থায় আমাকে রাখতে ইচ্ছা করবেন ততক্ষণ রেখে দিবেন। পরে বলা “হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার অনুরোধ শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, তা পূর্ণ করা হরে; সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ কবুল করা হবে।
তারপর আমি মাথা তুলব এবং আমার প্রতিপালকের এমন প্রশংসা করব, যা আমার রব আমাকে শিখিয়ে দিবেন। আমার জন্য (শাফা’আতের) সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সে মতে আমি এদেরকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে জান্নাতে প্রবেশ করাব। বর্ণনাকারী বলেন, নিশ্চিতভাবে স্মরণ নেই, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তৃতীয় কিংবা চতূর্থবারে এ কথা উল্লেখ করেছিলেন যে, আমি বলবঃ হে আমার প্রতিপালক! কুরআন যাদেরকে আটকে দিয়েছে (অর্থাৎ কুরআনের আলোকে যারা চিরদিন জাহান্নামে থাকা নির্ধারিত) তারা ছাড়া জাহান্নামে আর কেউ অবশিষ্ট নেই। ইবনে উবাইদ-এর বর্ণনায় রয়েছে (অর্থাৎ তার জন্য চিরদিন জাহান্নামে থাকা অবধারিত)।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَهْتَمُّونَ لِذَلِكَ - وَقَالَ ابْنُ عُبَيْدٍ فَيُلْهَمُونَ لِذَلِكَ - فَيَقُولُونَ لَوِ اسْتَشْفَعْنَا عَلَى رَبِّنَا حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا - قَالَ - فَيَأْتُونَ آدَمَ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُونَ أَنْتَ آدَمُ أَبُو الْخَلْقِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ اشْفَعْ لَنَا عِنْدَ رَبِّكَ حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا . فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - فَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي رَبَّهُ مِنْهَا - وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا أَوَّلَ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ - قَالَ - فَيَأْتُونَ نُوحًا صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - فَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي رَبَّهُ مِنْهَا - وَلَكِنِ ائْتُوا إِبْرَاهِيمَ صلى الله عليه وسلم الَّذِي اتَّخَذَهُ اللَّهُ خَلِيلاً . فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي رَبَّهُ مِنْهَا - وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى صلى الله عليه وسلم الَّذِي كَلَّمَهُ اللَّهُ وَأَعْطَاهُ التَّوْرَاةَ . قَالَ فَيَأْتُونَ مُوسَى - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي رَبَّهُ مِنْهَا - وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى رُوحَ اللَّهِ وَكَلِمَتَهُ . فَيَأْتُونَ عِيسَى رُوحَ اللَّهِ وَكَلِمَتَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ . وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم عَبْدًا قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ " . قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَيَأْتُونِي فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ لِي فَإِذَا أَنَا رَأَيْتُهُ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ فَيُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ قُلْ تُسْمَعْ سَلْ تُعْطَهْ اشْفَعْ تُشَفَّعْ . فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُ رَبِّي بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ رَبِّي ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُخْرِجُهُمْ مِنَ النَّارِ وَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ فَأَقَعُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا مُحَمَّدُ قُلْ تُسْمَعْ سَلْ تُعْطَهْ اشْفَعْ تُشَفَّعْ . فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُ رَبِّي بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُخْرِجُهُمْ مِنَ النَّارِ وَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ - قَالَ فَلاَ أَدْرِي فِي الثَّالِثَةِ أَوْ فِي الرَّابِعَةِ قَالَ - فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ أَىْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ " . - قَالَ ابْنُ عُبَيْدٍ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ قَتَادَةُ أَىْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩-২
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭২। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ কিয়ামতের দিন মুমিনগণ (হাশরের ময়দানে) একত্র হবে। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এখানে يُلْهَمُونَ শব্দ ব্যবহার করেছেন। তারপর বর্ণনাকারী পূর্বোল্লিখিত আবু আওয়ানার হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে এ হাদীসে বলা হয়েছে যে, এরপর আমি চতুর্থবার এসে বলবঃ হে প্রভূ! আর কেউ অবশিষ্ট নেই, কেবল তারাই আছে, যাদেরকে কুরআন আটকে রেখেছে।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَجْتَمِعُ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَهْتَمُّونَ بِذَلِكَ أَوْ يُلْهَمُونَ ذَلِكَ " . بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ " ثُمَّ آتِيهِ الرَّابِعَةَ - أَوْ أَعُودُ الرَّابِعَةَ - فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩-৩
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাদেরকে একত্র করবেন। বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদীসদ্বয়ের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ রেওয়ায়েতে চতুর্থবারের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ (চতুর্থবারে) তারপর আমি বলবঃ হে প্রতিপালক! আর কেউ অবশিষ্ট নেই, তবে তারাই আছে, যাদেরকে পবিত্র কুরআন আটকে রেখেছে। অর্থাৎ যাদের ব্যাপারে চিরকালের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গেছে।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَجْمَعُ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُلْهَمُونَ لِذَلِكَ " بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا وَذَكَرَ فِي الرَّابِعَةِ " فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ أَىْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩-৪
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭৪। মুহাম্মাদ ইবনে মিনহাল আয যারীর, আবু গাসসান আল মিসমাঈ ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ ঐ ব্যক্তিকেও জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে আনা হবে, যে বলেছে “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং তার অন্তরে একটি যবের পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে। এরপর তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে, যে বলেছে, “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং তার অন্তরে সামান্য একটি গমের পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে। এরপর তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে, যে বলেছে “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই” আর তার অন্তরে অণু পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে।
ইবনে মিনহাল তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করেন যে, ইয়াযীদ (রাহঃ) বলেছেন, এরপর আমি শু’বার সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে এ হাদীস শোনলাম। তখন তিনি বললেন, আমাদেরকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন কাতাদা (রাহঃ), আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সূত্রে। তবে শু’বা الذَّرَّةِ (অণু) শব্দের স্থলে ذُرَةً (ভুট্টা) বর্ণনা করেছেন। ইয়াযীদ (রাহঃ) বলেন, আবু বিসতাম এতে তাসহীফ (এক শব্দ স্থলে অন্য শব্দ ব্যবহার) করেছেন।
ইবনে মিনহাল তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করেন যে, ইয়াযীদ (রাহঃ) বলেছেন, এরপর আমি শু’বার সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে এ হাদীস শোনলাম। তখন তিনি বললেন, আমাদেরকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন কাতাদা (রাহঃ), আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সূত্রে। তবে শু’বা الذَّرَّةِ (অণু) শব্দের স্থলে ذُرَةً (ভুট্টা) বর্ণনা করেছেন। ইয়াযীদ (রাহঃ) বলেন, আবু বিসতাম এতে তাসহীফ (এক শব্দ স্থলে অন্য শব্দ ব্যবহার) করেছেন।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، وَهِشَامٌ، صَاحِبُ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ - قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ شَعِيرَةً ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ بُرَّةً ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ ذَرَّةً " . زَادَ ابْنُ مِنْهَالٍ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ يَزِيدُ فَلَقِيتُ شُعْبَةَ فَحَدَّثْتُهُ بِالْحَدِيثِ فَقَالَ شُعْبَةُ حَدَّثَنَا بِهِ قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْحَدِيثِ . إِلاَّ أَنَّ شُعْبَةَ جَعَلَ مَكَانَ الذَّرَّةِ ذُرَةً قَالَ يَزِيدُ صَحَّفَ فِيهَا أَبُو بِسْطَامٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩-৫
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭৫। আবু রাবী আল আতাকী, সাঈদ ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... মা’বাদ ইবনে হিলাল আল আনাযী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) এর সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি এবং সুপারিশকারী হিসাবে সাবিতকে সাথে নিয়ে যাই। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা যখন আনাসের কাছে গিয়ে পৌছি, তখন তিনি সালাতুদ্দোহা আদায় করছিলেন। সাবিত (রাযিঃ) প্রার্থনা করলেন, অনুমতি হল। আমরা আনাস (রাযিঃ) এর মজলিসে প্রবেশ করলাম। আনাস (রাযিঃ) সাবিতকে চৌকিতে তাঁর পাশে বসালেন। তারপর সাবিত (রাযিঃ) আনাস (রাযিঃ) কে বললেন, হে আবু হামযা! আপনার এ বসরী ভাইয়েরা আপনার কাছ থেকে শাফাআত বিষয়ক হাদীস জানতে চাচ্ছে।
তখন আনাস (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষ বিপর্যস্ত অবস্থায় এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকবে। অবশেষে সবাই আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এসে বসবে, আপনার বংশধরদের জন্য সুপারিশ করুন। তিনি বলবেনঃ আমি এর উপযুক্ত নই, বরং তোমরা ইবরাহীমের কাছে যাও। কেননা তিনি আল্লাহর বন্ধু।
সবাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসলে, তিনি বলবেনঃ আমি এর যোগ্য নই, তবে তোমরা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। কেননা তিনি আল্লাহর সাথে কথোপকথনকারী। তখন সকলে তার কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি এর উপযুক্ত নই, তবে তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তিনি আল্লাহ প্রদত্ত রুহ ও তাঁর কালিমা। এরপর তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি এর যোগ্য নই, তবে তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও। এরপর তারা আমার কাছে আসবে। আমি বলবঃ আমিই এর জন্য, আমি যাচ্ছি। অনন্তর আমি আমার পরওয়ারদিগারের অনুমতি প্রার্থনা করব। আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে। আমি তাঁর সন্মুখে দাঁড়াব এবং এমন প্রশংসাসূচক বাক্যে তার প্রশংসা করতে থাকব, যা তখনই আল্লাহ আমার প্রতি ইলহাম করবেন; এখন আমি তা বর্ণনা করতে পারছি না।
এরপর আমি সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবেঃ হে মুহাম্মাদ! বলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, কবুল করা হবে; শাফা’আত করুন, আপনার শাফা’আত গ্রহণ করা হবে। তখন আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার, উাম্মাতী” উম্মতী’ (আমার উম্মত, আমার উম্মত)। এরপর আমাকে বলা হবেঃ চলূন, যার অন্তরে গম বা যবের পরিমাণও ঈমান অবশিষ্ট পাবেন তাকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে আনুন। আমি যাব এবং তদনূসারে উদ্ধার করব।
পূনরায় আমার পরওয়ারদিগারের নিকটে ফিরে যাব এবং পূর্বরূপ প্রশংসাসূচক বাক্যে তার প্রশংসা করব, এরপর আমি সিজদায় লূটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবেঃ হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, কবুল করা হবে; সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গৃহীত হবে। তখন আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! উম্মতী , উম্মতী আমার উম্মত (আমার উম্মত, আমার উম্মত)। আল্লাহ বলবেনঃ যান, যে ব্যক্তির অন্তরে একটি সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও অবশিষ্ট থাকবে, তাকেও জাহান্নাম থেকে মুক্ত করুন।
এরপর আমি যাব এবং তাদের উদ্ধার করে আনব। পুনরায় আমি পরওয়ারদিগারের নিকটে ফিরে যাব এবং পূর্বরূপ প্রশংসাসূচক বাক্যে তাঁর প্রশংসা করব। এরপর আমি সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, কবুল করা হবে; শাফাআত করুন, শাফা’আত গৃহীত হবে। আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! উম্মতী, উম্মতী (আমার উম্মত, আমার উম্মত)। আল্লাহ বলবেন, যান, যে ব্যক্তির অন্তরে সরিষার দানার চেয়েও আরো আরো কম পরিমাণ ঈমান পারেন, তাকেও জাহান্নাম থেকে মুক্ত করুন। এরপর আমি যাব এবং তাদের উদ্ধার করে আনব।
বর্ণনাকারী বলেন, আনাস (রাযিঃ) এ পর্যন্ত আমাদেরকে বলেছেন। এরপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে পথ চলতে শুরু করলাম। এভাবে যখন “জাব্বান” এলাকায় পৌছলাম, তখন নিজেরা বললাম, আমরা যদি হাসান বসরীর সাথে সাক্ষাত করতাম এবং তাঁকে সালাম পেশ করতাম, কতই না ভাল হতো! সে সময় তিনি আবু খলীফার ঘরে আত্মগোপন করেছিলেন। আমরা তাঁর বাড়িতে গেলাম এবং তাঁকে সালাম পেশ করলাম। আমরা তাঁকে বললাম, আবু সাঈদ! আমরা আপনার ভাই আবু হামযার নিকট থেকে আসছি। আজ তিনি আমাদেরকে শাফা’আত সম্পর্কে এমন একটি হাদীস শুনিয়েছেন, যা আর কখনও শুনিনি। তিনি বললেন, আচ্ছা শোনাও তো? তখন আমরা তাঁকে হাদীসটি শোনালাম। তারপর তিনি বললেন, আরও বল। আমরা বললাম, এর চেয়ে বেশী কিছু তো আনাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেননি। তখন তিনি বললেন, আনাস (রাযিঃ) আমাদের কাছে আজ থেকে বিশ বছর পূর্বে যখন তিনি সুস্থ-সবল ছিলেন, তখন এ হাদীসটি শুনিয়েছেন। কিন্তু আজ তোমাদের কাছে কিছু ছেড়ে দিয়েছেন মনে হচ্ছে। জানিনা, তিনি তা ভুলে গেছেন, না তোমরা এর উপর ভরসা করে আমলের ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শন করবে, আশঙ্কায় তিনি তা বর্ণনা করাটা পছন্দ করেননি।
আমরা বললাম আমাদের তা বর্ণনা করুন। তিনি ঈষৎ হেসে উত্তর করলেন, মানূষ তো খুব ত্বরাপ্রিয়। তোমাদের তা বর্ণনা করব বলেই তো এর উল্লেখ করলাম। তারপর তিনি হাদীসটির অবশিষ্ট অংশ এরূপ বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এরপর আমি পুনরায় আমার পরওয়ারদিগারের কাছে ফিরে আসব এবং চতুর্থবারও উক্তরূপ প্রশংসাসূচক বাক্যে তাঁর প্রশংসা করব। এরপর আমি সিজদায় লূটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! আপনার মাথা তুলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, তা কবুল করা হবে; সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গৃহীত হবে।
আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! আমাকে সেসব মানুষের জন্য অনুমতি দিন, যারা “আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই” একথা স্বীকার করেছে। আল্লাহ বলবেনঃ না, এটা আপনার দায়িত্বে নয়; বরং আমার ইজ্জত, প্রতিপত্তি, মহত্ত্ব ও পরাক্রমশীলতার কসম! আমি নিজেই অবশ্য এদের মুক্তি দেব, যারা একথার স্বীকৃতি দিয়েছে যে, “আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই”। হাদীসটি শেষ করে বর্ণনাকারী বলেন, আমি এ কথার সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হাসান আমাদেরকে হাদীসটি আনাস (রাযিঃ) থেকে শুনেছেন বলে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য আমার বিশ্বাস তিনি এ কথা বলেছেন যে, বিশ বছর পূর্বে যখন তিনি পূর্ণ সুস্থ-সবল ছিলেন।
তখন আনাস (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষ বিপর্যস্ত অবস্থায় এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকবে। অবশেষে সবাই আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এসে বসবে, আপনার বংশধরদের জন্য সুপারিশ করুন। তিনি বলবেনঃ আমি এর উপযুক্ত নই, বরং তোমরা ইবরাহীমের কাছে যাও। কেননা তিনি আল্লাহর বন্ধু।
সবাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসলে, তিনি বলবেনঃ আমি এর যোগ্য নই, তবে তোমরা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। কেননা তিনি আল্লাহর সাথে কথোপকথনকারী। তখন সকলে তার কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি এর উপযুক্ত নই, তবে তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তিনি আল্লাহ প্রদত্ত রুহ ও তাঁর কালিমা। এরপর তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি এর যোগ্য নই, তবে তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও। এরপর তারা আমার কাছে আসবে। আমি বলবঃ আমিই এর জন্য, আমি যাচ্ছি। অনন্তর আমি আমার পরওয়ারদিগারের অনুমতি প্রার্থনা করব। আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে। আমি তাঁর সন্মুখে দাঁড়াব এবং এমন প্রশংসাসূচক বাক্যে তার প্রশংসা করতে থাকব, যা তখনই আল্লাহ আমার প্রতি ইলহাম করবেন; এখন আমি তা বর্ণনা করতে পারছি না।
এরপর আমি সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবেঃ হে মুহাম্মাদ! বলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, কবুল করা হবে; শাফা’আত করুন, আপনার শাফা’আত গ্রহণ করা হবে। তখন আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার, উাম্মাতী” উম্মতী’ (আমার উম্মত, আমার উম্মত)। এরপর আমাকে বলা হবেঃ চলূন, যার অন্তরে গম বা যবের পরিমাণও ঈমান অবশিষ্ট পাবেন তাকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে আনুন। আমি যাব এবং তদনূসারে উদ্ধার করব।
পূনরায় আমার পরওয়ারদিগারের নিকটে ফিরে যাব এবং পূর্বরূপ প্রশংসাসূচক বাক্যে তার প্রশংসা করব, এরপর আমি সিজদায় লূটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবেঃ হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, কবুল করা হবে; সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গৃহীত হবে। তখন আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! উম্মতী , উম্মতী আমার উম্মত (আমার উম্মত, আমার উম্মত)। আল্লাহ বলবেনঃ যান, যে ব্যক্তির অন্তরে একটি সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও অবশিষ্ট থাকবে, তাকেও জাহান্নাম থেকে মুক্ত করুন।
এরপর আমি যাব এবং তাদের উদ্ধার করে আনব। পুনরায় আমি পরওয়ারদিগারের নিকটে ফিরে যাব এবং পূর্বরূপ প্রশংসাসূচক বাক্যে তাঁর প্রশংসা করব। এরপর আমি সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, কবুল করা হবে; শাফাআত করুন, শাফা’আত গৃহীত হবে। আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! উম্মতী, উম্মতী (আমার উম্মত, আমার উম্মত)। আল্লাহ বলবেন, যান, যে ব্যক্তির অন্তরে সরিষার দানার চেয়েও আরো আরো কম পরিমাণ ঈমান পারেন, তাকেও জাহান্নাম থেকে মুক্ত করুন। এরপর আমি যাব এবং তাদের উদ্ধার করে আনব।
বর্ণনাকারী বলেন, আনাস (রাযিঃ) এ পর্যন্ত আমাদেরকে বলেছেন। এরপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে পথ চলতে শুরু করলাম। এভাবে যখন “জাব্বান” এলাকায় পৌছলাম, তখন নিজেরা বললাম, আমরা যদি হাসান বসরীর সাথে সাক্ষাত করতাম এবং তাঁকে সালাম পেশ করতাম, কতই না ভাল হতো! সে সময় তিনি আবু খলীফার ঘরে আত্মগোপন করেছিলেন। আমরা তাঁর বাড়িতে গেলাম এবং তাঁকে সালাম পেশ করলাম। আমরা তাঁকে বললাম, আবু সাঈদ! আমরা আপনার ভাই আবু হামযার নিকট থেকে আসছি। আজ তিনি আমাদেরকে শাফা’আত সম্পর্কে এমন একটি হাদীস শুনিয়েছেন, যা আর কখনও শুনিনি। তিনি বললেন, আচ্ছা শোনাও তো? তখন আমরা তাঁকে হাদীসটি শোনালাম। তারপর তিনি বললেন, আরও বল। আমরা বললাম, এর চেয়ে বেশী কিছু তো আনাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেননি। তখন তিনি বললেন, আনাস (রাযিঃ) আমাদের কাছে আজ থেকে বিশ বছর পূর্বে যখন তিনি সুস্থ-সবল ছিলেন, তখন এ হাদীসটি শুনিয়েছেন। কিন্তু আজ তোমাদের কাছে কিছু ছেড়ে দিয়েছেন মনে হচ্ছে। জানিনা, তিনি তা ভুলে গেছেন, না তোমরা এর উপর ভরসা করে আমলের ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শন করবে, আশঙ্কায় তিনি তা বর্ণনা করাটা পছন্দ করেননি।
আমরা বললাম আমাদের তা বর্ণনা করুন। তিনি ঈষৎ হেসে উত্তর করলেন, মানূষ তো খুব ত্বরাপ্রিয়। তোমাদের তা বর্ণনা করব বলেই তো এর উল্লেখ করলাম। তারপর তিনি হাদীসটির অবশিষ্ট অংশ এরূপ বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এরপর আমি পুনরায় আমার পরওয়ারদিগারের কাছে ফিরে আসব এবং চতুর্থবারও উক্তরূপ প্রশংসাসূচক বাক্যে তাঁর প্রশংসা করব। এরপর আমি সিজদায় লূটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! আপনার মাথা তুলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, তা কবুল করা হবে; সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গৃহীত হবে।
আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! আমাকে সেসব মানুষের জন্য অনুমতি দিন, যারা “আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই” একথা স্বীকার করেছে। আল্লাহ বলবেনঃ না, এটা আপনার দায়িত্বে নয়; বরং আমার ইজ্জত, প্রতিপত্তি, মহত্ত্ব ও পরাক্রমশীলতার কসম! আমি নিজেই অবশ্য এদের মুক্তি দেব, যারা একথার স্বীকৃতি দিয়েছে যে, “আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই”। হাদীসটি শেষ করে বর্ণনাকারী বলেন, আমি এ কথার সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হাসান আমাদেরকে হাদীসটি আনাস (রাযিঃ) থেকে শুনেছেন বলে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য আমার বিশ্বাস তিনি এ কথা বলেছেন যে, বিশ বছর পূর্বে যখন তিনি পূর্ণ সুস্থ-সবল ছিলেন।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا مَعْبَدُ بْنُ هِلاَلٍ الْعَنَزِيُّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا مَعْبَدُ بْنُ هِلاَلٍ الْعَنَزِيُّ، قَالَ انْطَلَقْنَا إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَتَشَفَّعْنَا بِثَابِتٍ فَانْتَهَيْنَا إِلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي الضُّحَى فَاسْتَأْذَنَ لَنَا ثَابِتٌ فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ وَأَجْلَسَ ثَابِتًا مَعَهُ عَلَى سَرِيرِهِ فَقَالَ لَهُ يَا أَبَا حَمْزَةَ إِنَّ إِخْوَانَكَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ يَسْأَلُونَكَ أَنْ تُحَدِّثَهُمْ حَدِيثَ الشَّفَاعَةِ . قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ مَاجَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ لَهُ اشْفَعْ لِذُرِّيَّتِكَ . فَيَقُولُ لَسْتُ لَهَا وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِإِبْرَاهِيمَ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَإِنَّهُ خَلِيلُ اللَّهِ . فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُ لَسْتُ لَهَا وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِمُوسَى - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَإِنَّهُ كَلِيمُ اللَّهِ . فَيُؤْتَى مُوسَى فَيَقُولُ لَسْتُ لَهَا وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِعِيسَى - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَإِنَّهُ رُوحُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ . فَيُؤْتَى عِيسَى فَيَقُولُ لَسْتُ لَهَا وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَأُوتَى فَأَقُولُ أَنَا لَهَا . فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ لِي فَأَقُومُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَأَحْمَدُهُ بِمَحَامِدَ لاَ أَقْدِرُ عَلَيْهِ الآنَ يُلْهِمُنِيهِ اللَّهُ ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا فَيُقَالُ لِي يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَقُولُ رَبِّ أُمَّتِي أُمَّتِي . فَيُقَالُ انْطَلِقْ فَمَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ بُرَّةٍ أَوْ شَعِيرَةٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجْهُ مِنْهَا . فَأَنْطَلِقُ فَأَفْعَلُ ثُمَّ أَرْجِعُ إِلَى رَبِّي فَأَحْمَدُهُ بِتِلْكَ الْمَحَامِدِ ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا فَيُقَالُ لِي يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ . فَأَقُولُ أُمَّتِي أُمَّتِي . فَيُقَالُ لِي انْطَلِقْ فَمَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجْهُ مِنْهَا . فَأَنْطَلِقُ فَأَفْعَلُ ثُمَّ أَعُودُ إِلَى رَبِّي فَأَحْمَدُهُ بِتِلْكَ الْمَحَامِدِ ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا فَيُقَالُ لِي يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُمَّتِي أُمَّتِي . فَيُقَالُ لِي انْطَلِقْ فَمَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ أَدْنَى أَدْنَى أَدْنَى مِنْ مِثْقَالِ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجْهُ مِنَ النَّارِ فَأَنْطَلِقُ فَأَفْعَلُ " . هَذَا حَدِيثُ أَنَسٍ الَّذِي أَنْبَأَنَا بِهِ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ فَلَمَّا كُنَّا بِظَهْرِ الْجَبَّانِ قُلْنَا لَوْ مِلْنَا إِلَى الْحَسَنِ فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ وَهُوَ مُسْتَخْفٍ فِي دَارِ أَبِي خَلِيفَةَ - قَالَ - فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَقُلْنَا يَا أَبَا سَعِيدٍ جِئْنَا مِنْ عِنْدِ أَخِيكَ أَبِي حَمْزَةَ فَلَمْ نَسْمَعْ مِثْلَ حَدِيثٍ حَدَّثَنَاهُ فِي الشَّفَاعَةِ قَالَ هِيهِ . فَحَدَّثْنَاهُ الْحَدِيثَ . فَقَالَ هِيهِ . قُلْنَا مَا زَادَنَا . قَالَ قَدْ حَدَّثَنَا بِهِ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً وَهُوَ يَوْمَئِذٍ جَمِيعٌ وَلَقَدْ تَرَكَ شَيْئًا مَا أَدْرِي أَنَسِيَ الشَّيْخُ أَوْ كَرِهَ أَنْ يُحَدِّثَكُمْ فَتَتَّكِلُوا . قُلْنَا لَهُ حَدِّثْنَا . فَضَحِكَ وَقَالَ خُلِقَ الإِنْسَانُ مِنْ عَجَلٍ مَا ذَكَرْتُ لَكُمْ هَذَا إِلاَّ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُحَدِّثَكُمُوهُ " ثُمَّ أَرْجِعُ إِلَى رَبِّي فِي الرَّابِعَةِ فَأَحْمَدُهُ بِتِلْكَ الْمَحَامِدِ ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا فَيُقَالُ لِي يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ وَسَلْ تُعْطَ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ . فَأَقُولُ يَا رَبِّ ائْذَنْ لِي فِيمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . قَالَ لَيْسَ ذَاكَ لَكَ - أَوْ قَالَ لَيْسَ ذَاكَ إِلَيْكَ - وَلَكِنْ وَعِزَّتِي وَكِبْرِيَائِي وَعَظَمَتِي وَجِبْرِيَائِي لأُخْرِجَنَّ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . قَالَ فَأَشْهَدُ عَلَى الْحَسَنِ أَنَّهُ حَدَّثَنَا بِهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أُرَاهُ قَالَ قَبْلَ عِشْرِينَ سَنَةً وَهُوَ يَوْمَئِذٍ جَمِيعٌ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৪-১
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরে কিছু গোশত (হাদিয়া) এল, তার সামনে সামনের রান পেশ করা হলো। (ছাগলের) গোশত তার কাছে খুবই পছন্দনীয় ছিল। এরপর তিনি তা থেকে এক কামড় গ্রহণ করলেন। তারপর বললেন, কিয়ামত দিবসে আমিই হব সকল মানুষের সর্দার। তা কিভাবে তোমরা জানো? কিয়ামত দিবসে যখন আল্লাহ তাআলা শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সকল মানুষকে একই মাঠে এমনভাবে জমায়েত করবেন যে, একজনের আহবান সকলে শুনতে পাবে, একজনের আহবান সকলকে দেখতে পাবে। সূর্য নিকটবতী হবে। মানুষ অসহনীয় ও চরম দুঃখ-কটূ ও পেরেশানীতে নিপতিত হবে। নিজেরা পরস্পর বলাবলি করবে, কী দুর্দশায় তোমরা আছ, দেখছ না? কী অবস্থায় তোমরা পৌছেছ উপলব্ধি করছ না? এমন কাউকে দেখছ না, যিনি তোমাদের পরওয়ারদিগারের কাছে তোমাদের জন্য সুপারিশ করবেন?
তারপর একজন আরেকজনকে বলবে, চল, আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাই। অনন্তর তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে এবং বলবে, হে আদম! আপনি মানবকূলের পিতা, আল্লাহ স্বহস্তে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনার দেহে রুহ ফুকে দিয়েছেন। আপনাকে সিজদা করার জন্য ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন; তাঁরা আপনাকে সিজদা করেছে। আপনি দেখছেন না আমরা কি কষ্টে আছি? আপনি দেখছেন না আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি? আদম (আলাইহিস সালাম) উত্তরে বলবেনঃ আজ পরওয়ারদিগার এত বেশী ক্রোধাম্বিত আছেন যা পূর্বে কখনো হননি, আর পরেও কখনও হবেন না। তিনি আমাকে একটি বৃক্ষের ফল খেতে নিষেধ করেছিলেন, আর আমি সেই নিষেধ লঙ্ঘন করে ফেলেছি, ‘নফসী’, নফসী’, আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো কাছে গিয়ে চেষ্টা কর, তোমরা নূহের কাছে যাও।
তখন তারা নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে; বলবে, হে নূহ! আপনি আমাদের প্রথম রাসুল। আল্লাহ আপনাকে “চির কৃতজ্ঞ বান্দা” বলে উপাধি দিয়েছেন। আপনার পরুওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি? আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? নূহ (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আজ আমার পরওয়ারদিগার এত ক্রোধানিত আছেন যে এমন পূর্বেও কখনো হননি আর কখনও হবেন না। আমাকে তিনি একটি দু'আ কবুলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আর তা আমি আমার জাতির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে ফেলেছি ‘নফসী’, ‘নফসী’, (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও।
তখন তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। বলবে, হে ইবরাহীম! আপনি আল্লাহর নবী পৃথিবীবাসীর মধ্যে আপনি আল্লাহর খলীল ও অন্তরং্গ বন্ধু। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বলবেনঃ আল্লাহ আজ এতই ক্রোধানিত আছেন যে, পূর্বে এমন কখনও হন নাই আর পরেও কখনও হবেন না। তিনি তাঁর কিছু বাহ্যিক অসত্য কথনের বিষয় উল্লেখ করবেন। বলবেন, ‘নফসী”, ‘নফসী’ (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা অন্য কারো কাছে যাও। মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও।
তারা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে, বলবে, হে মুসা! আপনি আল্লাহর রাসুল, আপনাকে তিনি তাঁর রিসালাত ও কালাম দিয়ে মানুষের উপর মর্যাদা দিয়েছেন। আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? মুসা (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বলবেনঃ আজ আল্লাহ এতই ক্রোধানিত অবস্থায় আছেন যে, পূর্বে এমন কখনো হন নাই আর পরেও কখনো হবেন না। আমি তার হুকুমের পূর্বে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে ফেলেছিলাম। ‘নফসী’, ‘নফসী’ (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও।
তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে এবং বলবে, হে ঈসা! আপনি আল্লাহর রাসূল, দোলনায় অবস্থানকালেই আপনি মানুষের সাথে বাক্যালাপ করেছেন, আপনি আল্লাহর দেওয়া বাণী, যা তিনি মারইয়ামের গর্ভে ঢেলে দিয়েছিলেন, আপনি তাঁর দেওয়া আত্মা। সুতরাং আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন অবস্থায় পৌছেছে? ঈসা (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আজ আল্লাহ তাআলা এতই ক্রোধান্বিত অবস্থায় আছেন যে, এরূপ না পূর্বে কখনও হয়েছেন, আর না পরে কখনো হবেন। উল্লেখ্য, তিনি কোন অপরাধের কথা উল্লেখ করবেন না। তিনি বলবেন, ‘নফসী’, ‘নফসী’ (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা জন্য কারো কাছে যাও।
মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তখন তারা আমার কাছে আসবে এবং বলবে, হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর রাসুল, শেষ নবী (ﷺ), আল্লাহ আপনার পূর্বাপর সকল ক্রটি ক্ষমা করে দিয়েছেন। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? তখন আমি সুপারিশের জন্য যাব এবং আরশের নীচে এসে পরওয়ারদিগারের উদ্দেশে সিজদাবনত হব। আল্লাহ আমার অন্তরকে সূপ্রশস্ত করে দিবেন এবং সর্বোত্তম প্রশংসা ও হামদ জ্ঞাপনের ইলহাম করবেন, যা ইতিপূর্বে কাউকেই দেয়া হয়নি। এরপর আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মাদ! মাথা উত্তোলন করুন, প্রার্থনা করুন, আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।
অনন্তর আমি। মাথা তুলব। বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! উম্মতী, উম্মতী, (আমার উাম্মাত, আমার উম্মত, এদেরকে মুক্তি দান করুন)। আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মতের যাদের উপর কোন হিসাব নেই, তাদেরকে জান্নাতের ডান দরজা দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিন। অবশ্য অন্য তোরণ দিয়েও অন্যান্য লোকের সঙ্গে তারা প্রবেশ করতে পারবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ শপথ সে সত্তার, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, জান্নাতের দুই চৌকাঠের মধ্যকার দূরত্ব মক্কার ও হাজরের দূরত্বের মত; অথবা বর্ণনাকারী বলেন, মক্কা ও বসরার দূরত্বের মত।*
* হাজার- বাহরায়ানের একটি শহর। বুসর- দামেশকের নিকটবর্তী একটি শহর।
তারপর একজন আরেকজনকে বলবে, চল, আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাই। অনন্তর তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে এবং বলবে, হে আদম! আপনি মানবকূলের পিতা, আল্লাহ স্বহস্তে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনার দেহে রুহ ফুকে দিয়েছেন। আপনাকে সিজদা করার জন্য ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন; তাঁরা আপনাকে সিজদা করেছে। আপনি দেখছেন না আমরা কি কষ্টে আছি? আপনি দেখছেন না আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি? আদম (আলাইহিস সালাম) উত্তরে বলবেনঃ আজ পরওয়ারদিগার এত বেশী ক্রোধাম্বিত আছেন যা পূর্বে কখনো হননি, আর পরেও কখনও হবেন না। তিনি আমাকে একটি বৃক্ষের ফল খেতে নিষেধ করেছিলেন, আর আমি সেই নিষেধ লঙ্ঘন করে ফেলেছি, ‘নফসী’, নফসী’, আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো কাছে গিয়ে চেষ্টা কর, তোমরা নূহের কাছে যাও।
তখন তারা নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে; বলবে, হে নূহ! আপনি আমাদের প্রথম রাসুল। আল্লাহ আপনাকে “চির কৃতজ্ঞ বান্দা” বলে উপাধি দিয়েছেন। আপনার পরুওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি? আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? নূহ (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আজ আমার পরওয়ারদিগার এত ক্রোধানিত আছেন যে এমন পূর্বেও কখনো হননি আর কখনও হবেন না। আমাকে তিনি একটি দু'আ কবুলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আর তা আমি আমার জাতির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে ফেলেছি ‘নফসী’, ‘নফসী’, (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও।
তখন তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। বলবে, হে ইবরাহীম! আপনি আল্লাহর নবী পৃথিবীবাসীর মধ্যে আপনি আল্লাহর খলীল ও অন্তরং্গ বন্ধু। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বলবেনঃ আল্লাহ আজ এতই ক্রোধানিত আছেন যে, পূর্বে এমন কখনও হন নাই আর পরেও কখনও হবেন না। তিনি তাঁর কিছু বাহ্যিক অসত্য কথনের বিষয় উল্লেখ করবেন। বলবেন, ‘নফসী”, ‘নফসী’ (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা অন্য কারো কাছে যাও। মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও।
তারা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে, বলবে, হে মুসা! আপনি আল্লাহর রাসুল, আপনাকে তিনি তাঁর রিসালাত ও কালাম দিয়ে মানুষের উপর মর্যাদা দিয়েছেন। আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? মুসা (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বলবেনঃ আজ আল্লাহ এতই ক্রোধানিত অবস্থায় আছেন যে, পূর্বে এমন কখনো হন নাই আর পরেও কখনো হবেন না। আমি তার হুকুমের পূর্বে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে ফেলেছিলাম। ‘নফসী’, ‘নফসী’ (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও।
তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে এবং বলবে, হে ঈসা! আপনি আল্লাহর রাসূল, দোলনায় অবস্থানকালেই আপনি মানুষের সাথে বাক্যালাপ করেছেন, আপনি আল্লাহর দেওয়া বাণী, যা তিনি মারইয়ামের গর্ভে ঢেলে দিয়েছিলেন, আপনি তাঁর দেওয়া আত্মা। সুতরাং আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন অবস্থায় পৌছেছে? ঈসা (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আজ আল্লাহ তাআলা এতই ক্রোধান্বিত অবস্থায় আছেন যে, এরূপ না পূর্বে কখনও হয়েছেন, আর না পরে কখনো হবেন। উল্লেখ্য, তিনি কোন অপরাধের কথা উল্লেখ করবেন না। তিনি বলবেন, ‘নফসী’, ‘নফসী’ (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা জন্য কারো কাছে যাও।
মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তখন তারা আমার কাছে আসবে এবং বলবে, হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর রাসুল, শেষ নবী (ﷺ), আল্লাহ আপনার পূর্বাপর সকল ক্রটি ক্ষমা করে দিয়েছেন। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? তখন আমি সুপারিশের জন্য যাব এবং আরশের নীচে এসে পরওয়ারদিগারের উদ্দেশে সিজদাবনত হব। আল্লাহ আমার অন্তরকে সূপ্রশস্ত করে দিবেন এবং সর্বোত্তম প্রশংসা ও হামদ জ্ঞাপনের ইলহাম করবেন, যা ইতিপূর্বে কাউকেই দেয়া হয়নি। এরপর আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মাদ! মাথা উত্তোলন করুন, প্রার্থনা করুন, আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।
অনন্তর আমি। মাথা তুলব। বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! উম্মতী, উম্মতী, (আমার উাম্মাত, আমার উম্মত, এদেরকে মুক্তি দান করুন)। আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মতের যাদের উপর কোন হিসাব নেই, তাদেরকে জান্নাতের ডান দরজা দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিন। অবশ্য অন্য তোরণ দিয়েও অন্যান্য লোকের সঙ্গে তারা প্রবেশ করতে পারবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ শপথ সে সত্তার, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, জান্নাতের দুই চৌকাঠের মধ্যকার দূরত্ব মক্কার ও হাজরের দূরত্বের মত; অথবা বর্ণনাকারী বলেন, মক্কা ও বসরার দূরত্বের মত।*
* হাজার- বাহরায়ানের একটি শহর। বুসর- দামেশকের নিকটবর্তী একটি শহর।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاتَّفَقَا فِي سِيَاقِ الْحَدِيثِ إِلاَّ مَا يَزِيدُ أَحَدُهُمَا مِنَ الْحَرْفِ بَعْدَ الْحَرْفِ - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا بِلَحْمٍ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا نَهْسَةً فَقَالَ " أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَهَلْ تَدْرُونَ بِمَ ذَاكَ يَجْمَعُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَيُسْمِعُهُمُ الدَّاعِي وَيَنْفُذُهُمُ الْبَصَرُ وَتَدْنُو الشَّمْسُ فَيَبْلُغُ النَّاسَ مِنَ الْغَمِّ وَالْكَرْبِ مَا لاَ يُطِيقُونَ وَمَا لاَ يَحْتَمِلُونَ فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ لِبَعْضٍ أَلاَ تَرَوْنَ مَا أَنْتُمْ فِيهِ أَلاَ تَرَوْنَ مَا قَدْ بَلَغَكُمْ أَلاَ تَنْظُرُونَ مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ لِبَعْضٍ ائْتُوا آدَمَ . فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ آدَمُ إِنَّ رَبِّي غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنَّهُ نَهَانِي عَنِ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُهُ نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى نُوحٍ . فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُونَ يَا نُوحُ أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى الأَرْضِ وَسَمَّاكَ اللَّهُ عَبْدًا شَكُورًا اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنَّهُ قَدْ كَانَتْ لِي دَعْوَةٌ دَعَوْتُ بِهَا عَلَى قَوْمِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ صلى الله عليه وسلم . فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ نَبِيُّ اللَّهِ وَخَلِيلُهُ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ إِبْرَاهِيمُ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلاَ يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ . وَذَكَرَ كَذَبَاتِهِ نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى مُوسَى . فَيَأْتُونَ مُوسَى صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُونَ يَا مُوسَى أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ فَضَّلَكَ اللَّهُ بِرِسَالاَتِهِ وَبِتَكْلِيمِهِ عَلَى النَّاسِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ مُوسَى صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنِّي قَتَلْتُ نَفْسًا لَمْ أُومَرْ بِقَتْلِهَا نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى عِيسَى صلى الله عليه وسلم . فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُونَ يَا عِيسَى أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلَّمْتَ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَلِمَةٌ مِنْهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ فَاشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ عِيسَى صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ - وَلَمْ يَذْكُرْ لَهُ ذَنْبًا - نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَيَأْتُونِّي فَيَقُولُونَ يَا مُحَمَّدُ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ وَخَاتَمُ الأَنْبِيَاءِ وَغَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَأَنْطَلِقُ فَآتِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَأَقَعُ سَاجِدًا لِرَبِّي ثُمَّ يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَىَّ وَيُلْهِمُنِي مِنْ مَحَامِدِهِ وَحُسْنِ الثَّنَاءِ عَلَيْهِ شَيْئًا لَمْ يَفْتَحْهُ لأَحَدٍ قَبْلِي ثُمَّ يُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ سَلْ تُعْطَهْ اشْفَعْ تُشَفَّعْ . فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُمَّتِي أُمَّتِي . فَيُقَالُ يَا مُحَمَّدُ أَدْخِلِ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِكَ مَنْ لاَ حِسَابَ عَلَيْهِ مِنَ الْبَابِ الأَيْمَنِ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ وَهُمْ شُرَكَاءُ النَّاسِ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الأَبْوَابِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّ مَا بَيْنَ الْمِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ لَكَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَهَجَرٍ أَوْ كَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَبُصْرَى " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৪-২
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭৭। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেঁন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সম্মুখে সারীদ ও গোশতের একটি পেয়ালা পেশ করা হলে তিনি তা থেকে গোশতের একটি বাহু নিয়ে এক কামড় গ্রহণ করলেন। আর বকরীর গোশতের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে বাহু অধিকতর পছন্দনীয় ছিল। তিনি ইরশাদ করলেনঃ কিয়ামতের দিন আমি হব সকল মানুষের সর্দার। এরপর আরেক কামড় গ্রহণ করে বললেনঃ কিয়ামতের দিন আমি হব সকল মানুষের সর্দার। তিনি যখন দেখলেন সাহাবীগণ কোন প্রশ্ন করছেন না, তখন নিজেই বললেন, তোমরা কেন জিজ্ঞাসা করছ না যে তা কেমন করে হবে? সাহাবীগণ বললেন, বলুন হে আল্লাহর রাসুল! তা কিভাবে হবে? রাসূলুল্লাহ(ﷺ) উত্তর করলেনঃ হাশরের ময়দানে সকল মানুষ আল্লাহর সম্মুখে উপস্থিত হবে। অবশিষ্টাংশ আবু হায়্যান ......... আবু যুর’আ সূত্রে বর্ণিত হাদীসেরই অনুরূপ।
তবে এ হাদীসে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) প্রসঙ্গে তিনি নক্ষত্র সম্পর্কে বলেছিলেন, এটি আমার প্রতিপালক; দেব-দেবীর সম্পর্কে বলেছিলেন, ″বরঞ্চ এদের বড়টাই তো হত্যা করেছে ও আমি অসুস্থ″-এ কথা অতিরিক্ত আছে। শপথ সে সত্তার, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, জান্নাতের দু’চৌকাঠের মধ্যকার দূরত্ব মক্কা ও হাজরের দূরত্বের মত বা হাজর ও মক্কার দূরত্বের মত, কোনটি বলেছেন আমি জানিনা।
তবে এ হাদীসে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) প্রসঙ্গে তিনি নক্ষত্র সম্পর্কে বলেছিলেন, এটি আমার প্রতিপালক; দেব-দেবীর সম্পর্কে বলেছিলেন, ″বরঞ্চ এদের বড়টাই তো হত্যা করেছে ও আমি অসুস্থ″-এ কথা অতিরিক্ত আছে। শপথ সে সত্তার, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, জান্নাতের দু’চৌকাঠের মধ্যকার দূরত্ব মক্কা ও হাজরের দূরত্বের মত বা হাজর ও মক্কার দূরত্বের মত, কোনটি বলেছেন আমি জানিনা।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ وُضِعَتْ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَصْعَةٌ مِنْ ثَرِيدٍ وَلَحْمٍ فَتَنَاوَلَ الذِّرَاعَ وَكَانَتْ أَحَبَّ الشَّاةِ إِلَيْهِ فَنَهَسَ نَهْسَةً فَقَالَ " أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . ثُمَّ نَهَسَ أُخْرَى فَقَالَ " أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . فَلَمَّا رَأَى أَصْحَابَهُ لاَ يَسْأَلُونَهُ قَالَ " أَلاَ تَقُولُونَ كَيْفَهْ " . قَالُوا كَيْفَهْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي حَيَّانَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ وَزَادَ فِي قِصَّةِ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ وَذَكَرَ قَوْلَهُ فِي الْكَوْكَبِ هَذَا رَبِّي . وَقَوْلَهُ لآلِهَتِهِمْ بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا . وَقَوْلَهُ إِنِّي سَقِيمٌ . قَالَ " وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّ مَا بَيْنَ الْمِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ إِلَى عِضَادَتَىِ الْبَابِ لَكَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَهَجَرٍ أَوْ هَجَرٍ وَمَكَّةَ " . قَالَ لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৫
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭৮। মুহাম্মাদ ইবনে তারীফ ইবনে খলীফা আল-বাজালী ও আবু মালিক (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ তাআলা সকল মানুষকে একত্র করবেন। মুমিনগণ দাঁড়িয়ে থাকবে। জান্নাত তাদের নিকটবতী করা হবে। অবশেষে সবাই আদমের কাছে এসে বলবে, আমাদের জন্য জান্নাত খুলে দেওয়ার প্রার্থনা করুন। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেন, তোমাদের পিতা আদমের পদন্থলনের কারণেই তোমাদেরকে জান্নাত হতে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং আমি এর যোগ্য নই। তোমরা আমার পুত্র ইবরাহীমের কাছে যাও। তিনি আল্লাহর বন্ধু।
[এরপর সবাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এলে] তিনি বলবেনঃ না, আমিও এর যোগ্য নই, আমি আল্লাহর বন্ধু ছিলাম বটে, তবে তা ছিল অন্তরাল থেকে। তোমরা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। কারণ তিনি আল্লাহর সাথে সরাসরি বাক্যালাপ করতেন। সবাই মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। বলবেনঃ আমিও এর যোগ্য নই; বরং তোমরা ঈসার কাছে যাও। আল্লাহর দেওয়া কালিমা ও রুহ। সবাই তাঁর কাছে আসলে তিনি বলবেনঃ আমিও তার উপযুক্ত নই। তখন সকলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে আসবে। তিনি দুআর নিমিত্তে দাড়াবেন এবং তাঁকে অনুমতি প্রদান করা হবে। আমানতকারী আত্মীয়তার সম্পর্ক পুলসিরাতের ডানে-বামে এসে দাঁড়াবে। আর তোমাদের প্রথম দলটি এ সিরাত বিদ্যুৎ গতিতে পার হয়ে যাবে।
সাহাবী বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার জন্য আমার পিতামাতা উৎসর্গ হউক। আমাকে বলে দিন “বিদ্যুৎ গতির ন্যায়” কথাটির অর্থ কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আকাশের বিদ্যুৎ চমক কি কখনো দেখনি? চক্ষের পলকে এখান থেকে সেখানে চলে যায় আবার ফিরে আসে। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এর পরবর্তী দলগুলি যথাক্রমে বায়ুর বেগে, পাখির গতিতে, তারপর লম্বা দৌড়ের গতিতে পার হয়ে! যাবে। প্রত্যেকেই তার আমল হিসাবে তা অতিক্রম করবে। আর তোমাদের নবী (ﷺ) সে অবস্থায় পুলসিরাতের উপর দাঁড়িয়ে এ দুআ করতে থাকবেঃ আল্লাহ এদেরকে নিরাপদে পৌছে দিন, এদেরকে নিরাপদে পৌছে দিন, এদেরকে নিরাপদে পৌছে দিন। এরূপে মানুষের আমল মানুষকে চলতে অক্ষম করে দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত তারা এ সিরাত অতিক্রম করতে থাকবে।
শেষে এক ব্যক্তিকে দেখা যাবে, সে নিতম্বের উপর ভর করে পথ অতিক্রম করছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো ইরশাদ করেনঃ সিরাতের উভয় পার্শের ঝুলানো থাকবে কাঁটাযুক্ত লৌহশলাকা। এরা আল্লাহর নির্দেশক্রমে চিহ্নিত পাপীদেরকে পাকড়াও করবে। তন্মধ্যে কাউকে তো ক্ষত-বিক্ষত করেই ছেড়ে দিবে; সে নাজাত পাবে। আর কতক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জাহান্নামের গর্ভে নিক্ষিপ্ত হবে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, শপথ সে সত্তার, যার হাতে আবু হুরায়রার প্রাণ। জেনে রাখ, জাহান্নামের গভীরতা সত্তর খারীফ (অর্থাৎ সত্তর হাজার বছরের পথ তুল্য।)
[এরপর সবাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এলে] তিনি বলবেনঃ না, আমিও এর যোগ্য নই, আমি আল্লাহর বন্ধু ছিলাম বটে, তবে তা ছিল অন্তরাল থেকে। তোমরা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। কারণ তিনি আল্লাহর সাথে সরাসরি বাক্যালাপ করতেন। সবাই মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। বলবেনঃ আমিও এর যোগ্য নই; বরং তোমরা ঈসার কাছে যাও। আল্লাহর দেওয়া কালিমা ও রুহ। সবাই তাঁর কাছে আসলে তিনি বলবেনঃ আমিও তার উপযুক্ত নই। তখন সকলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে আসবে। তিনি দুআর নিমিত্তে দাড়াবেন এবং তাঁকে অনুমতি প্রদান করা হবে। আমানতকারী আত্মীয়তার সম্পর্ক পুলসিরাতের ডানে-বামে এসে দাঁড়াবে। আর তোমাদের প্রথম দলটি এ সিরাত বিদ্যুৎ গতিতে পার হয়ে যাবে।
সাহাবী বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার জন্য আমার পিতামাতা উৎসর্গ হউক। আমাকে বলে দিন “বিদ্যুৎ গতির ন্যায়” কথাটির অর্থ কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আকাশের বিদ্যুৎ চমক কি কখনো দেখনি? চক্ষের পলকে এখান থেকে সেখানে চলে যায় আবার ফিরে আসে। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এর পরবর্তী দলগুলি যথাক্রমে বায়ুর বেগে, পাখির গতিতে, তারপর লম্বা দৌড়ের গতিতে পার হয়ে! যাবে। প্রত্যেকেই তার আমল হিসাবে তা অতিক্রম করবে। আর তোমাদের নবী (ﷺ) সে অবস্থায় পুলসিরাতের উপর দাঁড়িয়ে এ দুআ করতে থাকবেঃ আল্লাহ এদেরকে নিরাপদে পৌছে দিন, এদেরকে নিরাপদে পৌছে দিন, এদেরকে নিরাপদে পৌছে দিন। এরূপে মানুষের আমল মানুষকে চলতে অক্ষম করে দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত তারা এ সিরাত অতিক্রম করতে থাকবে।
শেষে এক ব্যক্তিকে দেখা যাবে, সে নিতম্বের উপর ভর করে পথ অতিক্রম করছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো ইরশাদ করেনঃ সিরাতের উভয় পার্শের ঝুলানো থাকবে কাঁটাযুক্ত লৌহশলাকা। এরা আল্লাহর নির্দেশক্রমে চিহ্নিত পাপীদেরকে পাকড়াও করবে। তন্মধ্যে কাউকে তো ক্ষত-বিক্ষত করেই ছেড়ে দিবে; সে নাজাত পাবে। আর কতক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জাহান্নামের গর্ভে নিক্ষিপ্ত হবে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, শপথ সে সত্তার, যার হাতে আবু হুরায়রার প্রাণ। জেনে রাখ, জাহান্নামের গভীরতা সত্তর খারীফ (অর্থাৎ সত্তর হাজার বছরের পথ তুল্য।)
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفِ بْنِ خَلِيفَةَ الْبَجَلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبُو مَالِكٍ عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَجْمَعُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى النَّاسَ فَيَقُومُ الْمُؤْمِنُونَ حَتَّى تُزْلَفَ لَهُمُ الْجَنَّةُ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ يَا أَبَانَا اسْتَفْتِحْ لَنَا الْجَنَّةَ . فَيَقُولُ وَهَلْ أَخْرَجَكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ خَطِيئَةُ أَبِيكُمْ آدَمَ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ اذْهَبُوا إِلَى ابْنِي إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ اللَّهِ - قَالَ - فَيَقُولُ إِبْرَاهِيمُ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ إِنَّمَا كُنْتُ خَلِيلاً مِنْ وَرَاءَ وَرَاءَ اعْمِدُوا إِلَى مُوسَى صلى الله عليه وسلم الَّذِي كَلَّمَهُ اللَّهُ تَكْلِيمًا . فَيَأْتُونَ مُوسَى صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ اذْهَبُوا إِلَى عِيسَى كَلِمَةِ اللَّهِ وَرُوحِهِ . فَيَقُولُ عِيسَى صلى الله عليه وسلم لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ . فَيَأْتُونَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَيَقُومُ فَيُؤْذَنُ لَهُ وَتُرْسَلُ الأَمَانَةُ وَالرَّحِمُ فَتَقُومَانِ جَنَبَتَىِ الصِّرَاطِ يَمِينًا وَشِمَالاً فَيَمُرُّ أَوَّلُكُمْ كَالْبَرْقِ " . قَالَ قُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَىُّ شَىْءٍ كَمَرِّ الْبَرْقِ قَالَ " أَلَمْ تَرَوْا إِلَى الْبَرْقِ كَيْفَ يَمُرُّ وَيَرْجِعُ فِي طَرْفَةِ يْنٍ ثُمَّ كَمَرِّ الرِّيحِ ثُمَّ كَمَرِّ الطَّيْرِ وَشَدِّ الرِّجَالِ تَجْرِي بِهِمْ أَعْمَالُهُمْ وَنَبِيُّكُمْ قَائِمٌ عَلَى الصِّرَاطِ يَقُولُ رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ حَتَّى تَعْجِزَ أَعْمَالُ الْعِبَادِ حَتَّى يَجِيءَ الرَّجُلُ فَلاَ يَسْتَطِيعُ السَّيْرَ إِلاَّ زَحْفًا - قَالَ - وَفِي حَافَتَىِ الصِّرَاطِ كَلاَلِيبُ مُعَلَّقَةٌ مَأْمُورَةٌ بِأَخْذِ مَنْ أُمِرَتْ بِهِ فَمَخْدُوشٌ نَاجٍ وَمَكْدُوسٌ فِي النَّارِ " . وَالَّذِي نَفْسُ أَبِي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ إِنَّ قَعْرَ جَهَنَّمَ لَسَبْعُونَ خَرِيفًا .
হাদীস নং: ৩৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৬-১
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৭৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ আমি প্রথম ব্যক্তি যে জান্নাত সম্পর্কে আল্লাহর কাছে শাফা’আত করব। নবীগণের মধ্যে আমার অনুসারীর সংখ্যাই হবে সবচেয়ে বেশী।
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا أَوَّلُ النَّاسِ يَشْفَعُ فِي الْجَنَّةِ وَأَنَا أَكْثَرُ الأَنْبِيَاءِ تَبَعًا " .

তাহকীক: