আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ২২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২৫
৫৭. মনের কল্পনা বা খটকা আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেন; যদি সে তাতে স্থির না হয়; মানুষের সামর্থ্যানুযায়ীই আল্লাহ তাকে দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং ভালো বা মন্দ কর্মের অভিপ্রায় প্রসঙ্গ
২২৯। মুহাম্মাদ ইবনে মিনহাল আয যারীর ও উমাইয়া ইবনে বিসতাম আল আয়শী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, (মহান আল্লাহর বাণী) “আসমান ও যমীনে যত কিছু আছে, সমস্ত আল্লাহরই। তোমাদের মনের অভ্যন্তরে যা আছে তা প্রকাশ কর কিংবা গোপন রাখ, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব গ্রহণ করবেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন, যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। ” (২ঃ ২৮৪) এ আয়াত নাযিল হলে বিষয়টি সাহাবীদের কাছে খুবই কঠিন মনে হল। তাই সবাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে আসলেন এবং হাটু গেড়ে বসে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! নামায, রোযা, জিহাদ, সাদ্কা প্রভৃতি যে সমস্ত আমল আমাদের সামর্থ্যানুযায়ী ছিল এ যাবত আমাদেরকে সেগুলোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এ আয়াত নাযিল হয়েছে। এ বিষয়টি তো আমাদের ক্ষমতার বাইরে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আহলে কিতাব- ইহুদি ও খৃষ্টানের মত তোমরাও কি এমন কথা বলবে যে, শুনলাম কিন্তু মানলাম না! বরং তোমরা বলো; শুনলাম ও মানলাম। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর তুমিই আমাদের শেষ প্রত্যাবর্তন স্থল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ নির্দেশ শুনে সাহাবা কিরাম বললেন, আমরা শুনেছি ও মেনেছি, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, তুমিই আমাদের শেষ প্রত্যাবর্তন স্থল।
রাবী বলেন, সাহাবীদের সকলে এ আয়াত পাঠ করলেন এবং বিনয়াপূত হয়ে মনেপ্রাণে তা গ্রহণ করে নিলেন। অনন্তর আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ রাসুল, তাঁর প্রতি তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তিনি ঈমান আনয়ন করেছেন এবং মুমিনগণও। তাদের সকলে আল্লাহতে, তার ফিরিশতাগণে, তাঁর কিতাবসমুহে এবং তাঁর রাসুলগণে ঈমান আনয়ন করেছেন তারা বলে, আমরা তাঁর রাসুলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। আর তাঁরা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম! হে আমাদের রব! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা চাই আর তোমারই কাছে আমাদের প্রত্যাবর্তন স্থল। (২ঃ ২৮৪)
যখন তাঁরা সর্বতোভাবে আনুগত্য জ্ঞাপন করলেন তখন আল্লাহ তাআলা উক্ত আয়াতের হুকুম রহিত করে নাযিল করলেনঃ “আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়-দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার জন্য সাধ্যাতীত। সে ভাল যা উপার্জন করে তা তারই এবং মন্দ যা উপার্জন করে তাও তারই। হে আমাদের রব! যদি আমরা বিম্মৃত হই কিংবা ভুল করে ফেলি তবে তুমি আমাদেরকে পাকড়াও করো না।” আল্লাহ বললেনঃ হ্যাঁ তাই হবে।
″হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না।” আল্লাহ বললেনঃ হ্যাঁ, তাই হবে।
″হে আমাদের রব! এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আল্লাহ বললেনঃ হ্যাঁ, তাই হবে।
“আমাদের পাপ মোচন কর, আমাদেরকে মাফ কর, রহম কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদিগকে জয়যুক্ত কর।” আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ, মঞ্জুর করা হল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আহলে কিতাব- ইহুদি ও খৃষ্টানের মত তোমরাও কি এমন কথা বলবে যে, শুনলাম কিন্তু মানলাম না! বরং তোমরা বলো; শুনলাম ও মানলাম। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর তুমিই আমাদের শেষ প্রত্যাবর্তন স্থল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ নির্দেশ শুনে সাহাবা কিরাম বললেন, আমরা শুনেছি ও মেনেছি, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, তুমিই আমাদের শেষ প্রত্যাবর্তন স্থল।
রাবী বলেন, সাহাবীদের সকলে এ আয়াত পাঠ করলেন এবং বিনয়াপূত হয়ে মনেপ্রাণে তা গ্রহণ করে নিলেন। অনন্তর আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ রাসুল, তাঁর প্রতি তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তিনি ঈমান আনয়ন করেছেন এবং মুমিনগণও। তাদের সকলে আল্লাহতে, তার ফিরিশতাগণে, তাঁর কিতাবসমুহে এবং তাঁর রাসুলগণে ঈমান আনয়ন করেছেন তারা বলে, আমরা তাঁর রাসুলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। আর তাঁরা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম! হে আমাদের রব! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা চাই আর তোমারই কাছে আমাদের প্রত্যাবর্তন স্থল। (২ঃ ২৮৪)
যখন তাঁরা সর্বতোভাবে আনুগত্য জ্ঞাপন করলেন তখন আল্লাহ তাআলা উক্ত আয়াতের হুকুম রহিত করে নাযিল করলেনঃ “আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়-দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার জন্য সাধ্যাতীত। সে ভাল যা উপার্জন করে তা তারই এবং মন্দ যা উপার্জন করে তাও তারই। হে আমাদের রব! যদি আমরা বিম্মৃত হই কিংবা ভুল করে ফেলি তবে তুমি আমাদেরকে পাকড়াও করো না।” আল্লাহ বললেনঃ হ্যাঁ তাই হবে।
″হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না।” আল্লাহ বললেনঃ হ্যাঁ, তাই হবে।
″হে আমাদের রব! এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আল্লাহ বললেনঃ হ্যাঁ, তাই হবে।
“আমাদের পাপ মোচন কর, আমাদেরকে মাফ কর, রহম কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদিগকে জয়যুক্ত কর।” আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ, মঞ্জুর করা হল।
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ الضَّرِيرُ، وَأُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ الْعَيْشِيُّ، - وَاللَّفْظُ لأُمَيَّةَ - قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، - وَهُوَ ابْنُ الْقَاسِمِ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ( لِلَّهِ مَا فِي السَّمَوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ وَإِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ فَيَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ) قَالَ فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ بَرَكُوا عَلَى الرُّكَبِ فَقَالُوا أَىْ رَسُولَ اللَّهِ كُلِّفْنَا مِنَ الأَعْمَالِ مَا نُطِيقُ الصَّلاَةُ وَالصِّيَامُ وَالْجِهَادُ وَالصَّدَقَةُ وَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيْكَ هَذِهِ الآيَةُ وَلاَ نُطِيقُهَا . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتُرِيدُونَ أَنْ تَقُولُوا كَمَا قَالَ أَهْلُ الْكِتَابَيْنِ مِنْ قَبْلِكُمْ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا بَلْ قُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ " . قَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ . فَلَمَّا اقْتَرَأَهَا الْقَوْمُ ذَلَّتْ بِهَا أَلْسِنَتُهُمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِي إِثْرِهَا ( آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ) فَلَمَّا فَعَلُوا ذَلِكَ نَسَخَهَا اللَّهُ تَعَالَى فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( لاَ يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا) قَالَ نَعَمْ ( رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا) قَالَ نَعَمْ ( رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ) قَالَ نَعَمْ ( وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلاَنَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ) قَالَ نَعَمْ .
হাদীস নং: ২৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬
৫৭. মনের কল্পনা বা খটকা আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেন; যদি সে তাতে স্থির না হয়; মানুষের সামর্থ্যানুযায়ীই আল্লাহ তাকে দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং ভালো বা মন্দ কর্মের অভিপ্রায় প্রসঙ্গ
২৩০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আবু কুরায়ব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, (মহান আল্লাহর বাণী) “তোমাদের মনে যা আছে, তা প্রকাশ কর কিংবা গোপন রাখ, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব গ্রহণ করবেন।” (২ঃ ২৮৪) আয়াতটি নাযিল হলে সাহাবীগণ খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। আর কোন বিষয়ে তারা এমন উদ্বিগ্ন হননি। তখন নবী (ﷺ) ইরশাদ করলেনঃ বরং তোমরা বলোঃ শুনলাম, আনুগত্য স্বীকার করলাম এবং মেনে নিলাম।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ তাআলা তাঁদের অন্তরে ঈমান ঢেলে দিলেন। তিনি নাযিল করলেনঃ আল্লাহ তাআলা কারও উপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না, যা তার সাধ্যাতীত। সে ভাল যা উপার্জন করে তা তারই, আর মন্দ যা উপার্জন করে, তাও তারই। হে আমাদের রব! যদি আমরা বিম্মৃত হই অথবা ভুল করে ফেলি তবে আমাদের পাকড়াও করো না। আল্লাহ বললেনঃ আমি গ্রহণ করলাম।
″হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না।″ আল্লাহ বললেনঃ আমি গ্রহণ করলাম।
“আমাদের পাপ মোচন কর, আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের রব।” আল্লাহ বললেনঃ আমি তা করলাম।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ তাআলা তাঁদের অন্তরে ঈমান ঢেলে দিলেন। তিনি নাযিল করলেনঃ আল্লাহ তাআলা কারও উপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না, যা তার সাধ্যাতীত। সে ভাল যা উপার্জন করে তা তারই, আর মন্দ যা উপার্জন করে, তাও তারই। হে আমাদের রব! যদি আমরা বিম্মৃত হই অথবা ভুল করে ফেলি তবে আমাদের পাকড়াও করো না। আল্লাহ বললেনঃ আমি গ্রহণ করলাম।
″হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না।″ আল্লাহ বললেনঃ আমি গ্রহণ করলাম।
“আমাদের পাপ মোচন কর, আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের রব।” আল্লাহ বললেনঃ আমি তা করলাম।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا - وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ آدَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ، مَوْلَى خَالِدٍ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( وَإِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ) قَالَ دَخَلَ قُلُوبَهُمْ مِنْهَا شَىْءٌ لَمْ يَدْخُلْ قُلُوبَهُمْ مِنْ شَىْءٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " قُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَسَلَّمْنَا " . قَالَ فَأَلْقَى اللَّهُ الإِيمَانَ فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( لاَ يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا) قَالَ قَدْ فَعَلْتُ ( رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا) - قَالَ قَدْ فَعَلْتُ ( وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلاَنَا) قَالَ قَدْ فَعَلْتُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭-১
৫৭. মনের কল্পনা বা খটকা আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেন; যদি সে তাতে স্থির না হয়; মানুষের সামর্থ্যানুযায়ীই আল্লাহ তাকে দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং ভালো বা মন্দ কর্মের অভিপ্রায় প্রসঙ্গ
২৩১। সাঈদ ইবনে মানসুর, কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনে জুবায়দ আল-গুবারি (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ কথা বা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের মনের কল্পনাগুলো মাফ করে দিয়েছেন।
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، - وَاللَّفْظُ لِسَعِيدٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ يَتَكَلَّمُوا أَوْ يَعْمَلُوا بِهِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭-২
৫৭. মনের কল্পনা বা খটকা আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেন; যদি সে তাতে স্থির না হয়; মানুষের সামর্থ্যানুযায়ীই আল্লাহ তাকে দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং ভালো বা মন্দ কর্মের অভিপ্রায় প্রসঙ্গ
২৩২। আমর আবু নাকিদ ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের ক্ষেত্রে কথা বা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত তাদের মনের কল্পনাগুলো মাফ করে দিয়েছেন।
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَعَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، كُلُّهُمْ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي عَمَّا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ بِهِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭-৩
৫৭. মনের কল্পনা বা খটকা আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেন; যদি সে তাতে স্থির না হয়; মানুষের সামর্থ্যানুযায়ীই আল্লাহ তাকে দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং ভালো বা মন্দ কর্মের অভিপ্রায় প্রসঙ্গ
২৩৩। যুহাইর ইবনে হারব, ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ......... কাতাদা (রাহঃ) সূত্রেও হাদীসটি অনুরূপভাবে বর্ণিত আছে।
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، وَهِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ شَيْبَانَ، جَمِيعًا عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

তাহকীক: