আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

১- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ১৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৯৫-১
৪১. যে কাফির ব্যক্তি ’لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৭৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ (রাহঃ) ......... মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ ব্যাপারে আপনি কি মনে করেন, যদি আমি কোন কাফিরের সম্মুখীন হই এবং সে আমার সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তার তলোয়ার দ্বারা আমার একটি হাত উড়িয়ে দেয়, এরপর কোন গাছের আড়ালে গিয়ে বলে আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করলাম। তা হলে ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ কথা বলার পরও আমি কি তাকে কতল করতে পারি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তাকে হত্যা করো না। আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে আমার একটি হাত কেটে ফেলে এ কথা বলেছে, তবুও কি আমি তাকে হত্যা করব না? তিনি বললেনঃ না, হত্যা করতে পারবে না। যদি তুমি তাকে হত্যা কর (তবে) এ হত্যার পূর্বে তোমার যে অবস্থান ছিল সে ব্যক্তি সে স্থানে পৌছবে এবং কালিমা পড়ার আগে সে ব্যক্তি যে অবস্থানে ছিল তুমি সে স্থানে পৌছবে।
باب تَحْرِيمِ قَتْلِ الْكَافِرِ بَعْدَ أَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، - وَاللَّفْظُ مُتَقَارِبٌ - أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ لَقِيتُ رَجُلاً مِنَ الْكُفَّارِ فَقَاتَلَنِي فَضَرَبَ إِحْدَى يَدَىَّ بِالسَّيْفِ فَقَطَعَهَا . ثُمَّ لاَذَ مِنِّي بِشَجَرَةٍ فَقَالَ أَسْلَمْتُ لِلَّهِ . أَفَأَقْتُلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَعْدَ أَنْ قَالَهَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَقْتُلْهُ " . قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ قَدْ قَطَعَ يَدِي ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ بَعْدَ أَنْ قَطَعَهَا أَفَأَقْتُلُهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَقْتُلْهُ فَإِنْ قَتَلْتَهُ فَإِنَّهُ بِمَنْزِلَتِكَ قَبْلَ أَنْ تَقْتُلَهُ وَإِنَّكَ بِمَنْزِلَتِهِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ كَلِمَتَهُ الَّتِي قَالَ " .
হাদীস নং: ১৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৯৫-২
৪১. যে কাফির ব্যক্তি ’لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৭৭। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম, আব্দ ইবনে হুমায়দ, ইসহাক ইবনে মুসা আনসারী ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... যুহুরি (রাহঃ) থেকে এ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে আওযাঈ ও ইবনে জুরায়জ তাদের হাদীসে বলেন, সে লোকটি বলেছিল, আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করলাম, যেমন পূর্বোক্ত হাদীসে লাঈস বর্ণনা করেছেন। আর মা’মার বর্ণিত হাদীসে যখন আমি তাকে হত্যা করার জন্য উদ্যত হলাম, তখন সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলল, কথাটির উল্লেখ আছে।
باب تَحْرِيمِ قَتْلِ الْكَافِرِ بَعْدَ أَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، جَمِيعًا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَمَّا الأَوْزَاعِيُّ وَابْنُ جُرَيْجٍ فَفِي حَدِيثِهِمَا قَالَ أَسْلَمْتُ لِلَّهِ . كَمَا قَالَ اللَّيْثُ فِي حَدِيثِهِ . وَأَمَّا مَعْمَرٌ فَفِي حَدِيثِهِ فَلَمَّا أَهْوَيْتُ لأَقْتُلَهُ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ .
হাদীস নং: ১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯৫-৩
৪১. যে কাফির ব্যক্তি ’لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৭৮। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... মিকদাদ ইবনে আমর ইবনে আসওয়াদ আল কিন্দী (রাযিঃ) যিনি বনী যোহরার মিত্র এবং বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে হাযির ছিলেন তার থেকে বর্ণিত। তিনি আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি যদি (যুদ্ধের ময়দানে) কোন কাফিরের সমুখীন হই। বাকি অংশ লাঈস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
باب تَحْرِيمِ قَتْلِ الْكَافِرِ بَعْدَ أَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ اللَّيْثِيُّ، ثُمَّ الْجُنْدَعِيُّ أَنَّ عُبَيْدَ، اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِقْدَادَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الأَسْوَدِ الْكِنْدِيَّ - وَكَانَ حَلِيفًا لِبَنِي زُهْرَةَ وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ لَقِيتُ رَجُلاً مِنَ الْكُفَّارِ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ اللَّيْثِ .
হাদীস নং: ১৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯৬-১
৪১. যে কাফির ব্যক্তি ’لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৭৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আবু কুরায়ব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের এক সেনাভিযানে পাঠালেন। আমরা অতি প্রত্যুষে জুহায়ানা গোত্রের হুরাকা শাখার উপর হামলা করলাম। যুদ্ধে আমি এক ব্যক্তিকে মুখোমুখি পেয়ে গেলাম। সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলে উঠল আমি তাকে বর্শা দ্বারা আঘাত হানলাম। এতে আমার অন্তরে খটকা সৃষ্টি হল। পরে আমি রাসুল এর খেদমতে ঘটনাটি উল্লেখ করি। তিনি বললেনঃ সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলেছিল, আর তুমি তাকে হত্যা করে ফেললে? আমি আরয করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে তো এ কথা আমার অস্ত্রের ভয়ে বলেছিল।

তিনি বললেনঃ তুমি কি তার অন্তর ফেড়ে দেখেছ, যাতে তুমি জানতে পারলে যে, সে এ কথাটি ভয়ে বলেছিল? তিনি বারবার এ কথাটির পুনরাবৃত্তি করছিলেন। ফলে আমার মনে হচ্ছিল যে, আজই যদি আমি ইসলাম কবুল করতাম! সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমি কোন মুসলমানকে হত্যা করবনা, যতক্ষণ না “যুল বুতায়ন” (ভুড়িওয়ালা) উসামা তাকে হত্যা করে। এক ব্যক্তি আরয করল, আল্লাহ কি ইরশাদ করেননিঃ وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ “তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাও যতক্ষণ পর্যন্ত ফিতনা বিদুরিত না হয় এবং এবং দ্বীন পরিপূর্ণ রূপে আল্লাহর জন্য প্রতিষ্ঠিত না হয়।” (বাকারাঃ ১৯৩) সা’দ বললেন, আমরা তো কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি ,যাতে ফিতনা যেন দূর হয়। আর তুমি ও তোমার সঙ্গীরা (খারিজী সম্প্রদায়) তো এজন্যই লড়ছ, যাতে ফিতনা সৃষ্টি হয়।
باب تَحْرِيمِ قَتْلِ الْكَافِرِ بَعْدَ أَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي ظِبْيَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، وَهَذَا، حَدِيثُ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَصَبَّحْنَا الْحُرَقَاتِ مِنْ جُهَيْنَةَ فَأَدْرَكْتُ رَجُلاً فَقَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . فَطَعَنْتُهُ فَوَقَعَ فِي نَفْسِي مِنْ ذَلِكَ فَذَكَرْتُهُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَقَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَقَتَلْتَهُ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا قَالَهَا خَوْفًا مِنَ السِّلاَحِ . قَالَ " أَفَلاَ شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ حَتَّى تَعْلَمَ أَقَالَهَا أَمْ لاَ " . فَمَازَالَ يُكَرِّرُهَا عَلَىَّ حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنِّي أَسْلَمْتُ يَوْمَئِذٍ . قَالَ فَقَالَ سَعْدٌ وَأَنَا وَاللَّهِ لاَ أَقْتُلُ مُسْلِمًا حَتَّى يَقْتُلَهُ ذُو الْبُطَيْنِ . يَعْنِي أُسَامَةَ قَالَ قَالَ رَجُلٌ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ ( وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ) فَقَالَ سَعْدٌ قَدْ قَاتَلْنَا حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ وَأَنْتَ وَأَصْحَابُكَ تُرِيدُونَ أَنْ تُقَاتِلُوا حَتَّى تَكُونَ فِتْنَةٌ .
হাদীস নং: ১৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৯৬-২
৪১. যে কাফির ব্যক্তি ’لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৮০। ইয়াকুব আল দাওরাকী (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ ইবনে হারিছা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জুহায়না গোত্রের হুরাকা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমাদের পাঠালেন। আমরা অতি প্রত্যুষে সে সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করলাম এবং আমরা তাদের পরাজিত করলাম। আমি এবং একজন আনসার এক ব্যক্তির পশ্চাদ্ধাবন করলাম। আমরা যখন তা কে ঘিরে ফেললাম তখন সে “لاَ اِلٰهَ اِلاَّ اللهُ” বলল আনসার তার মুখে কালিমা শুনে নিবৃত্ত হলেন। কিন্তু আমি তাকে বল্লম দ্বারা এমন আঘাত করলাম যে, তাকে মেরেই ফেললাম।

আমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এলে নবী (ﷺ) -এর কাছে এ খবরটি পৌছল। তিনি আমাকে ডেকে বললেনঃ হে উসামা! তুমি কি তাকে لاَ اِلٰهَ اِلاَّ اللهُ বলার পরেও হত্যা করে ফেলেছ? আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে ব্যক্তি তো আত্মরক্ষার জন্য একথা বলেছিল। রাসুল(ﷺ) আবার বললেনঃ তুমি কি তাকে لاَ اِلٰهَ اِلاَّ اللهُ বলার পরে হত্যা করেছ? এভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বারবার আমার প্রতি একথা বলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আমার মনে এ আকাঙ্ক্ষা উদয় হল যে হায়! যদি আজকের দিনের আগে আমি ইসলাম গ্রহণ না করতাম।
باب تَحْرِيمِ قَتْلِ الْكَافِرِ بَعْدَ أَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنٌ، حَدَّثَنَا أَبُو ظِبْيَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، يُحَدِّثُ قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ فَصَبَّحْنَا الْقَوْمَ فَهَزَمْنَاهُمْ وَلَحِقْتُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ رَجُلاً مِنْهُمْ فَلَمَّا غَشَيْنَاهُ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . فَكَفَّ عَنْهُ الأَنْصَارِيُّ وَطَعَنْتُهُ بِرُمْحِي حَتَّى قَتَلْتُهُ . قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا بَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي " يَا أُسَامَةُ أَقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا كَانَ مُتَعَوِّذًا . قَالَ فَقَالَ " أَقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . قَالَ فَمَازَالَ يُكَرِّرُهَا عَلَىَّ حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ أَسْلَمْتُ قَبْلَ ذَلِكَ الْيَوْمِ .
হাদীস নং: ১৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭
৪১. যে কাফির ব্যক্তি ’لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৮১। আহমাদ ইবনে হাসান ইবনে খিরাশ (রাহঃ) ......... জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের ফিতনার যুগে আস’আস ইবনে সালামাকে বলে পাঠালেন যে, তুমি তোমার কিছু বন্ধু আমার জন্য একত্র করবে, আমি তাদের সাথে কথা বলব। আসআস তাদের কাছে লোক পাঠালেন। তারা যখন সমবেত হল, জুনদুব তখন হলুদ বর্ণের বুরনূস (এক ধরনের টূপি) পরে উপস্থিত হলেন এবং বললেন, তোমরা আগের মত কথাবার্তা বলতে থাক। সুতরাং তারা চক্রাকারে কথা বলতে থাকল। অবশেষে যখন তার পালা আসল তিনি তাঁর মাথার বুরনূস নামিয়ে ফেললেন। বললেন, আমি তোমাদের কাছে যখন এসেছি তখন আমি তোমাদের কাছে নবী (ﷺ) -এর হাদীস বর্ণনা করতে চাইনি, কিন্তু এখন শোনঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসলমানদের একটি বাহিনী মুশরিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পাঠালেন। উভয় দল পরস্পর সম্মুর্খীন হল। মুশরিক বাহিনীতে এক ব্যক্তি ছিল। সে যখনই কোন মুসলিমকে হামলা করতে ইচ্ছা করত, সে তাকে লক্ষ করে ঝাপিয়ে পড়ত এবং শহীদ করে ফেলত। একজন মুসলিম তার অসতর্ক মূহৃর্তের অপেক্ষা করতে লাগলেন। জুনদুব বললেন, আমাদের বলা হলো যে, সে ব্যক্তি ছিল উসামা ইবনে যায়দ। তিনি যখনঁ তার উপর তলোয়ার উত্তোলন করলেন তখন সে বলল, لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ তবুও উসামা (রাযিঃ) তাকে হত্যা করলেন।

দূত যুদ্ধে জয়লাভের সুসংবাদ নিয়ে নবী (ﷺ) এর খেদমতে হাযির হল। তিনি তার কাছে যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। সে সব ঘটনাই বর্ণনা করল, এমন কি সে ব্যক্তির ঘটনাটিও বলল যে, তিনি কি করেছিলেন। নবী (ﷺ) উসামাকে ডেকে পাঠালেন এবং প্রশ্ন করলেন, তুমি সে ব্যক্তিকে হত্যা করলে কেন? উসামা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! সে অনেক মুসলিমকে ঘায়েল করেছে এবং অমুক অমুককে শহীদ করে দিয়েছে। এ বলে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করলেন।

আমি যখন তাকে আক্রমণ করলাম এবং সে তলোয়ার দেখল অমনি সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলে উঠল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কি তাকে মেরে ফেললে? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ। রাসুল (ﷺ) বললেনঃ কিয়ামত দিবসে যখন সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (কালিমা) নিয়ে আসবে, তখন তুমি কি করবে? তিনি আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মাগফিরাতের জন্য দুআ করুন। রাসুল বললেনঃ কিয়ামত দিবসে যখন সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (কালিমা) নিয়ে আসবে তখন তুমি কি করবে? তারপর তিনি কেবল এ কথাই বলছিলেনঃ কিয়ামতের দিন যখন সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (কালিমা) নিয়ে আসবে, তখন তুমি কি করবে? তিনি এর অতিরিক্ত কিছু বলেন নি।
باب تَحْرِيمِ قَتْلِ الْكَافِرِ بَعْدَ أَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ خِرَاشٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، أَنَّ خَالِدًا الأَثْبَجَ ابْنَ أَخِي، صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ حَدَّثَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ، أَنَّهُ حَدَّثَ أَنَّ جُنْدَبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ بَعَثَ إِلَى عَسْعَسِ بْنِ سَلاَمَةَ زَمَنَ فِتْنَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَقَالَ اجْمَعْ لِي نَفَرًا مِنْ إِخْوَانِكَ حَتَّى أُحَدِّثَهُمْ . فَبَعَثَ رَسُولاً إِلَيْهِمْ فَلَمَّا اجْتَمَعُوا جَاءَ جُنْدَبٌ وَعَلَيْهِ بُرْنُسٌ أَصْفَرُ فَقَالَ تَحَدَّثُوا بِمَا كُنْتُمْ تَحَدَّثُونَ بِهِ . حَتَّى دَارَ الْحَدِيثُ فَلَمَّا دَارَ الْحَدِيثُ إِلَيْهِ حَسَرَ الْبُرْنُسَ عَنْ رَأْسِهِ فَقَالَ إِنِّي أَتَيْتُكُمْ وَلاَ أُرِيدُ أَنْ أُخْبِرَكُمْ عَنْ نَبِيِّكُمْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ بَعْثًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَى قَوْمٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَإِنَّهُمُ الْتَقَوْا فَكَانَ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِذَا شَاءَ أَنْ يَقْصِدَ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ قَصَدَ لَهُ فَقَتَلَهُ وَإِنَّ رَجُلاً مِنَ الْمُسْلِمِينَ قَصَدَ غَفْلَتَهُ قَالَ وَكُنَّا نُحَدَّثُ أَنَّهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَلَمَّا رَفَعَ عَلَيْهِ السَّيْفَ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . فَقَتَلَهُ فَجَاءَ الْبَشِيرُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ فَأَخْبَرَهُ حَتَّى أَخْبَرَهُ خَبَرَ الرَّجُلِ كَيْفَ صَنَعَ فَدَعَاهُ فَسَأَلَهُ فَقَالَ " لِمَ قَتَلْتَهُ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهَ أَوْجَعَ فِي الْمُسْلِمِينَ وَقَتَلَ فُلاَنًا وَفُلاَنًا - وَسَمَّى لَهُ نَفَرًا - وَإِنِّي حَمَلْتُ عَلَيْهِ فَلَمَّا رَأَى السَّيْفَ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَقَتَلْتَهُ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " فَكَيْفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ إِذَا جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَغْفِرْ لِي . قَالَ " وَكَيْفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ إِذَا جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ فَجَعَلَ لاَ يَزِيدُهُ عَلَى أَنْ يَقُولَ " كَيْفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ إِذَا جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .