আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৫৭- কুরআনে কারীমের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৭২৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৬
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৪৩। আমর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে বুকায়র আন-নাকিদ, হাসান ইবনে আলী আল-হুলওয়ানী ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওফাতের পূর্ব (সময়) হতে ওফাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি অনবরত ওহী নাযিল করেন। যে দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকাল করেন সেদিন তাঁর প্রতি বিপুল পরিমাণ ওহী নাযিল হয়।
حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بُكَيْرٍ النَّاقِدُ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ، حُمَيْدٍ - قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنُونَ ابْنَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، - وَهُوَ ابْنُ كَيْسَانَ - عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ، مَالِكٍ أَنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ تَابَعَ الْوَحْىَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ وَفَاتِهِ حَتَّى تُوُفِّيَ وَأَكْثَرُ مَا كَانَ الْوَحْىُ يَوْمَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
হাদীস নং: ৭২৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৭-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৪৪। আবু খায়সামা যুহাইর ইবনে হারব ও মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... তারিক ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহুদী লোকেরা উমর (রাযিঃ) কে বললো, তোমরা এমন একটি আয়াত পাঠ করে থাকো তা যদি আমাদের সম্পর্কে নাযিল হতো, তবে এ দিনটিকে আমরা উৎসবের দিন হিসাবে গ্রহণ করতাম। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি জানি, ঐ আয়াতটি কখন (কোথায়) ও কোন দিন নাযিল হয়েছিল। আর যখন তা নাযিল হয়েছিল তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোথায় কোথায় অবস্থান করছিলেন (তাও জানি)। আয়াতটি আরাফার দিন নাযিল হয়েছিল; রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন আরাফাতে অবস্থান করছিলেন।

রাবী সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, আয়াতটি যেদিন নাযিল হয়েছে তা জুমআর দিন ছিল কিনা এ ব্যাপারে আমি সন্দিহান। অর্থাৎ এ আয়াতالْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي (আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং পূর্ণ করে দিলাম তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহকে।)
حَدَّثَنِي أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - وَهُوَ ابْنُ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ، بْنِ شِهَابٍ أَنَّ الْيَهُودَ، قَالُوا لِعُمَرَ إِنَّكُمْ تَقْرَءُونَ آيَةً لَوْ أُنْزِلَتْ فِينَا لاَتَّخَذْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيدًا . فَقَالَ عُمَرُ إِنِّي لأَعْلَمُ حَيْثُ أُنْزِلَتْ وَأَىَّ يَوْمٍ أُنْزِلَتْ وَأَيْنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَيْثُ أُنْزِلَتْ أُنْزِلَتْ بِعَرَفَةَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ . قَالَ سُفْيَانُ أَشُكُّ كَانَ يَوْمَ جُمُعَةٍ أَمْ لاَ . يَعْنِي ( الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৭-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৪৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... তারিক ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহুদী উমর (রাযিঃ) কে বললো, الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا (আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং পূর্ণ করে দিলাম তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহকে...) এ আয়াতটি আমাদের ইয়াহুদী সম্প্রদায় সম্পর্কে নাযিল হলে এ দিনটিকে আমরা উৎসব দিবস হিসাবে পালন করতাম। আমরা জানি, কোন দিন এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে। রাবী বলেন, এ কথা শুনে উমর (রাযিঃ) বললেন, যে দিন, যে সময় এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে সে দিন ও সে সময় সম্পর্কে আমি সম্যক অবগত আছি। এ আয়াতটি নাযিল হওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোথায় ছিলেন, তাও আমি জানি। এ আয়াতটি মুযদালিফার রাতে নাযিল হয়েছে। তখন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে আরাফাতে ছিলাম।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ، اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ قَالَتِ الْيَهُودُ لِعُمَرَ لَوْ عَلَيْنَا مَعْشَرَ يَهُودَ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا) نَعْلَمُ الْيَوْمَ الَّذِي أُنْزِلَتْ فِيهِ لاَتَّخَذْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيدًا . قَالَ فَقَالَ عُمَرُ فَقَدْ عَلِمْتُ الْيَوْمَ الَّذِي أُنْزِلَتْ فِيهِ وَالسَّاعَةَ وَأَيْنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ نَزَلَتْ نَزَلَتْ لَيْلَةَ جَمْعٍ وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَرَفَاتٍ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৭-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৪৬। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... তারিক ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহুদী ব্যক্তি উমর (রাযিঃ) এর নিকট এসে বললো, হে আমীরুল মু'মিনীন! আপনাদের কিতাবের মধ্যে এমন একটি আয়াত আপনারা পাঠ করে থাকেন। যদি তা আমাদের ইয়াহুদী সম্প্রদায় সম্পর্কে নাযিল হত তাহলে ঐ দিনটিকে আমরা উৎসব দিবস হিসাবে গ্রহণ করতাম। উমর (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, আয়াতটি কি? সে বলল, আয়াতটি হলঃالْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا (আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং পূর্ণ করে দিলাম তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহকে।)

এ কথা শুনে উমর (রাযিঃ) বললেন, যে দিন, যে স্থানে আয়াতটি নাযিল হয়েছে অবশ্যই আমি তা জানি। আয়াতটি জুমআর দিন আরাফাতের ময়দানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে।
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عُمَيْسٍ، عَنْ قَيْسِ، بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ إِلَى عُمَرَ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ آيَةٌ فِي كِتَابِكُمْ تَقْرَءُونَهَا لَوْ عَلَيْنَا نَزَلَتْ مَعْشَرَ الْيَهُودِ لاَتَّخَذْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيدًا . قَالَ وَأَىُّ آيَةٍ قَالَ ( الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا) فَقَالَ عُمَرُ إِنِّي لأَعْلَمُ الْيَوْمَ الَّذِي نَزَلَتْ فِيهِ وَالْمَكَانَ الَّذِي نَزَلَتْ فِيهِ نَزَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَرَفَاتٍ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৮-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৪৭। আবু তাহির আহমাদ ইবনে আমর ইবনে সারহ ও হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) কে মহান আল্লাহর ইরশাদঃ তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের মনঃপুত হয়, দুই, তিন অথবা চার এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, হে ভাগ্নে! যে সব ইয়াতীম মেয়েরা তাদের (তত্ত্বাবধানকারী) অভিভাবকদের লালন পালনে থাকত এবং তার সম্পদের অংশীদার হতো তার সম্পদের লোভ ও রূপ-যৌবনের আকর্ষণ হেতু উক্ত অভিভাবাকারা তাকে অন্যরা যে পরিমাণ মোহরানা দিয়ে বিয়ে করতে প্রস্তুত ইনসাফের দাবী অনুযায়ী উক্ত পরিমাণ মোহরানা দিয়ে বিয়ে করতে চাইতো না। এ আয়াতে তাদেরকে ঐসব ইয়াতীমদের বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে।

তবে তাদের মোহরানা প্রদানের ব্যাপারে সর্বোত্তম রীতি (মোহরে মিছাল) অনুসরণ করলে তা স্বতন্ত্র কথা। অন্যথায় তাদের পছন্দমত অন্য মেয়েদের বিয়ে করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উরওয়া (রাযিঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর কিছু লোক বিষয়টি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট জানতে চাইলে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ এবং লোকেরা আপনার নিকট নারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা জানতে চায়। বলুন, আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্বন্ধে আইনের ব্যবস্থা জানাচ্ছেন এবং ইয়াতীম নারী সম্পর্কে-যাদের প্রাপ্য তোমরা প্রদান কর না অথচ তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে চাও ও অসহায় শিশুদের সম্বন্ধে এবং ইয়াতীমদের প্রতি তোমাদের ন্যায়বিচার সম্পর্কে যা কিতাবে তোমাদেরকে শুনান হয় তাও পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেন। এবং যে সৎকাজ তোমরা কর আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত।”

আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর ইরশাদঃ وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ এর দ্বারা প্রথম আয়াতটিকে বুঝানো হয়েছে, যার মধ্যে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে দুই, তিন অথবা চার।

আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর ইরশাদঃ وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ এর মানে হচ্ছে, অর্থ-সম্পদ ও রূপ-যৌবন কম থাকার কারণে তোমাদের লালন পালনে থাকা ইয়াতীম মেয়েদেরকে বিবাহ করতে অপছন্দ করলে-তাদেরকে অর্থ সম্পদ ও রূপ যৌবনবতী ইয়াতীম নারীদের পছন্দ হলেও বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইনসাফের ভিত্তিতে (মোহরানা দেয়া হয়) তবে বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ বিধান (ধনহীনা, রূপহীনা) ইয়াতিম মেয়ের প্রতি অনীহার কারণে দেয়া হয়েছে।
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ - قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ حَدَّثَنَا وَقَالَ، حَرْمَلَةُ أَخْبَرَنَا - ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ، ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ، تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ مَثْنَى وَثُلاَثَ وَرُبَاعَ) قَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِي هِيَ الْيَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حَجْرِ وَلِيِّهَا تُشَارِكُهُ فِي مَالِهِ فَيُعْجِبُهُ مَالُهَا وَجَمَالُهَا فَيُرِيدُ وَلِيُّهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِغَيْرِ أَنْ يُقْسِطَ فِي صَدَاقِهَا فَيُعْطِيَهَا مِثْلَ مَا يُعْطِيهَا غَيْرُهُ فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوهُنَّ إِلاَّ أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ وَيَبْلُغُوا بِهِنَّ أَعْلَى سُنَّتِهِنَّ مِنَ الصَّدَاقِ وَأُمِرُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا طَابَ لَهُمْ مِنَ النِّسَاءِ سِوَاهُنَّ . قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ اسْتَفْتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ هَذِهِ الآيَةِ فِيهِنَّ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاءِ اللاَّتِي لاَ تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ) . قَالَتْ وَالَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى أَنَّهُ يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ الآيَةُ الأُولَى الَّتِي قَالَ اللَّهُ فِيهَا ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ) . قَالَتْ عَائِشَةُ وَقَوْلُ اللَّهِ فِي الآيَةِ الأُخْرَى ( وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ) رَغْبَةَ أَحَدِكُمْ عَنِ الْيَتِيمَةِ الَّتِي تَكُونُ فِي حَجْرِهِ حِينَ تَكُونُ قَلِيلَةَ الْمَالِ وَالْجَمَالِ فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا رَغِبُوا فِي مَالِهَا وَجَمَالِهَا مِنْ يَتَامَى النِّسَاءِ إِلاَّ بِالْقِسْطِ مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৮-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৪৮। হাসান হুলওয়ানী ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) কে আল্লাহর ইরশাদঃ ″তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না″ এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। ...... অতঃপর রাবী ইউনুসের সূত্রে যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে হাদীসের শেষাংশে তিনি مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ إِذَا كُنَّ قَلِيلاَتِ الْمَالِ وَالْجَمَالِ বাক্যটি অধিক বর্ণনা করেছেন। (অর্থাৎ তারা (ইয়াতীম মেয়েরা) কম সম্পদ ও কম রূপ-গুণের হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রতি তাদের অনীহার কারণে এ বিধান।)
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ، (وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ، تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى) وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَزَادَ فِي آخِرِهِ مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ إِذَا كُنَّ قَلِيلاَتِ الْمَالِ وَالْجَمَالِ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৮-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৪৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুবায়র (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর ইরশাদ, “তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবেনা” সম্পর্কে বলেন, এ আয়াতটি ঐ পুরুষ সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে; যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে একজন ইয়াতীম মহিলা এবং এ পুরুষই হচ্ছে তাঁর অভিভাবক ও ওয়ারীস। আর এ মেয়েটির আছে কিছু ধন-সম্পদ। কিন্তু তার পক্ষ অবলম্বন করার জন্য তার কেউই অভিভাবক (অলী) এই ধরনের মেয়েকে তার সম্পদের উদ্দেশ্যে বিয়ে করে তাকে কষ্ট দিতে এবং তার সাথে নিষ্ঠুরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে না। এ ব্যক্তি সম্পর্কেই আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে দুই, তিন অথবা চার অর্থাৎ যে মহিলাদেরকে আমি তোমদের জন্য হালাল করেছি তাদেরকে বিবাহ কর এবং এই (ইয়াতীম মেয়েকে) ছেড়ে দাও যার প্রতি তুমি নিষ্ঠুর আচরণ করেছ।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي قَوْلِهِ ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى) قَالَتْ أُنْزِلَتْ فِي الرَّجُلِ تَكُونُ لَهُ الْيَتِيمَةُ وَهُوَ وَلِيُّهَا وَوَارِثُهَا وَلَهَا مَالٌ وَلَيْسَ لَهَا أَحَدٌ يُخَاصِمُ دُونَهَا فَلاَ يُنْكِحُهَا لِمَالِهَا فَيَضُرُّ بِهَا وَيُسِيءُ صُحْبَتَهَا فَقَالَ ( إِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ) يَقُولُ مَا أَحْلَلْتُ لَكُمْ وَدَعْ هَذِهِ الَّتِي تَضُرُّ بِهَا .
হাদীস নং: ৭২৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৮-৪
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর ইরশাদ করেছেনঃ “এবং ইয়াতীম নারী সম্পর্কে তাদের প্রাপ্য তোমরা প্রদান কর না- অথচ তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে চাও ও অসহায় শিশুদের সম্বন্ধে এবং ইয়াতীমদের প্রতি তোমাদের ন্যায় বিচার সম্পর্কে যা কিতাবে তোমাদেরকে শুনান হয় তাও পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেয়” সম্পর্কে বলেন, এ আয়াতটি ঐ ইয়াতীম মেয়ে সম্বন্ধে অবতীর্ণ হয়েছে, যে এমন এক পুরুষের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, যার সাথে সে সম্পদের মধ্যে শরীক আছে। কিন্তু সে তাকে বিয়ে করা পছন্দ করছে না এবং অন্য কোন ব্যক্তির সাথে তার বিবাহ হোক এটাও পছন্দ করছে না এই আশঙ্কায় যে, সে তার সস্পদের অংশীদার হয়ে যাবে। অবশেষে সে তাকে এমনই ছেড়ে রাখছে; নিজেও তাকে বিয়ে করছে না এবং অন্য কারো নিকট বিবাহ দিচ্ছেও না।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي قَوْلِهِ ( وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاءِ اللاَّتِي لاَ تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ) قَالَتْ أُنْزِلَتْ فِي الْيَتِيمَةِ تَكُونُ عِنْدَ الرَّجُلِ فَتَشْرَكُهُ فِي مَالِهِ فَيَرْغَبُ عَنْهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا وَيَكْرَهُ أَنْ يُزَوِّجَهَا غَيْرَهُ فَيَشْرَكُهُ فِي مَالِهِ فَيَعْضِلُهَا فَلاَ يَتَزَوَّجُهَا وَلاَ يُزَوِّجُهَا غَيْرَهُ .
হাদীস নং: ৭২৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৮-৫
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫১। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর বাণীঃ ″এবং লোকেরা আপনার নিকট নারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা জানতে চায়, বলুন, আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্বন্ধে ব্যবস্থা জানিয়ে দিচ্ছেন″ এর ব্যাখ্যায় বলেন, আয়াতটি ঐ ইয়াতীম মেয়ে সম্পর্কে নাযিল হয়েছে, যে রয়েছে এমন এক পুরুষের তত্ত্বাবধানে যার সম্পদের এমনকি খেজুর বাগানেরও উক্ত নারী অংশীদার। সে তাকে বিয়ে করতেও আগ্রহী নয় এবং অন্যের নিকট বিয়ে দিতেও ইচ্ছ্বুক নয়। কেননা তাহলে সে তার সম্পদের অংশীদার হয়ে যাবে। ফলে সে তাকে (এমনিই) ফেলে রাখছে।
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي قَوْلِهِ ( ويَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ) الآيَةَ قَالَتْ هِيَ الْيَتِيمَةُ الَّتِي تَكُونُ عِنْدَ الرَّجُلِ لَعَلَّهَا أَنْ تَكُونَ قَدْ شَرِكَتْهُ فِي مَالِهِ حَتَّى فِي الْعَذْقِ فَيَرْغَبُ يَعْنِي أَنْ يَنْكِحَهَا وَيَكْرَهُ أَنْ يُنْكِحَهَا رَجُلاً فَيَشْرَكُهُ فِي مَالِهِ فَيَعْضِلُهَا .
হাদীস নং: ৭২৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৯-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর ইরশাদঃ ″এবং যে বিত্তহীন সে যেন সঙ্গত পরিমাণ ভোগ করে″ এর ব্যাখ্যায় বলেন- এ আয়াতটি ইয়াতীমের মালের ঐ অবিভাবক সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে, যে তার সম্পদের তত্ত্বাবধান করছে এবং উহা দেখাশুনা করছে। যদি তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তি মুখাপেক্ষী হয় তবে সে তা হতে সঙ্গত পরিমাণ ভোগ করবে।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي قَوْلِهِ ( وَمَنْ كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوفِ) قَالَتْ أُنْزِلَتْ فِي وَالِي مَالِ الْيَتِيمِ الَّذِي يَقُومُ عَلَيْهِ وَيُصْلِحُهُ إِذَا كَانَ مُحْتَاجًا أَنْ يَأْكُلَ مِنْهُ .
হাদীস নং: ৭২৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৯-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫৩। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর ইরশাদঃ ″যে সচ্ছল সে যেন নিবৃত থাকে এবং যে বিত্তহীন সে যেন সঙ্গত পরিমাণ ভোগ করে″ এর ব্যাখ্যায় বলেন, এ আয়াতটি ইয়াতীমের তত্তাবধানকারী ব্যক্তি সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, সে যদি বিত্তহীন হয় তবে সে যেন তার সম্পদ হতে সঙ্গত পরিমাণ ভোগ করতে পারে।
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى ( وَمَنْ كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ وَمَنْ كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوفِ) قَالَتْ أُنْزِلَتْ فِي وَلِيِّ الْيَتِيمِ أَنْ يُصِيبَ مِنْ مَالِهِ إِذَا كَانَ مُحْتَاجًا بِقَدْرِ مَالِهِ بِالْمَعْرُوفِ .
হাদীস নং: ৭২৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৯-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫৪। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... হিশামের সূত্রে এ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২০
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর ইরশাদঃ ″যখন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল উচ্চাঞ্চল ও নিন্মাঞ্চল হতে- তোমাদের চক্ষু বিস্ফারিত হয়েছিল, তোমাদের প্রাণ হয়েছিল কণ্ঠাগত এবং তোমরা আল্লাহ সম্বন্ধে নানাবিধ ধারণা পোষণ করছিলে″ এর ব্যাখ্যায় বলেন, এ আয়াতটি খন্দকের দিন অবতীর্ণ হয়েছে।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ( إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الأَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ) قَالَتْ كَانَ ذَلِكَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ .
হাদীস নং: ৭২৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২১-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি (আল্লাহর ইরশাদঃ) ″কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর দুর্ব্যবহার ও উপেক্ষার আশঙ্কা করে তবে তারা আপোষ-নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন দোষ নেই এবং আপোষ-নিষ্পত্তিই শ্রেয়″ এর ব্যাখ্যায় বলেন, এ আয়াতটি ঐ মহিলা সম্বন্ধে অবতীর্ণ হয়েছে, যে এমন একজন পুরুষের নিকট ছিল, যার সাহচর্যে সে দীর্ঘ দিন ছিল। এখন সে তাকে তালাক দিতে চাচ্ছে আর মছিলা বলছে, আমাকে তালাক দিওনা বরং আমাকে তোমার কাছে থাকতে দাও। তবে তুমি আমার পক্ষ হতে মুক্ত। তখন এ আয়াতটি নাযিল হয়।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، ( وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِنْ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا) الآيَةَ قَالَتْ أُنْزِلَتْ فِي الْمَرْأَةِ تَكُونُ عِنْدَ الرَّجُلِ فَتَطُولُ صُحْبَتُهَا فَيُرِيدُ طَلاَقَهَا فَتَقُولُ لاَ تُطَلِّقْنِي وَأَمْسِكْنِي وَأَنْتَ فِي حِلٍّ مِنِّي . فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ .
হাদীস নং: ৭২৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২১-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫৭। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর বাণীঃ “কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর দুর্ব্যবহার ও উপেক্ষার আশঙ্কা করে তবে তারা আপোষ-নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন দোষ নেই এবং আপোষ-নিষ্পত্তিই শ্রেয়” এর ব্যাখ্যায় বলেন, এ আয়াতটি ঐ মহিলা সম্পর্কে নাযিল হয়েছে, যে এমন একজন পুরুষের নিকট ছিল, সম্ভবত সে তার প্রতি বড় একটা ভালবাসা ও আকর্ষণ অনুভব করে না। অথচ সে তার দীর্ঘ সাহচর্যে ছিল এবং তার সন্তান-সন্ততিও রয়েছে। এদিকে স্বামীও তাকে তালাক দিক, তাও সে পছন্দ করছে না। তখন সে (স্ত্রী) তাকে বলছে, তুমি আমার পক্ষ হতে দায় মুক্ত।
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ( وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِنْ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا) قَالَتْ نَزَلَتْ فِي الْمَرْأَةِ تَكُونُ عِنْدَ الرَّجُلِ فَلَعَلَّهُ أَنْ لاَ يَسْتَكْثِرَ مِنْهَا وَتَكُونُ لَهَا صُحْبَةٌ وَوَلَدٌ فَتَكْرَهُ أَنْ يُفَارِقَهَا فَتَقُولُ لَهُ أَنْتَ فِي حِلٍّ مِنْ شَأْنِي .
হাদীস নং: ৭২৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২২-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) আমাকে বলেছেনঃ হে ভাগ্নে! লোকদেরকে নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা তাদের সমালোচনা করেছে।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَتْ لِي عَائِشَةُ يَا ابْنَ أُخْتِي أُمِرُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا، لأَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَبُّوهُمْ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২২-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৫৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... হিশামের সূত্রে এ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৩-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৬০। উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআয আনবারী (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কুফাবাসী লোকেরা আল্লাহর ইরশাদঃ “কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম; সেখানে সে স্থায়ি হবে এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন, তাকে লানত করবেন এবং তার জন্য মহা শাস্তি প্রস্তুত করবেন ” সম্পর্কে মতবিরোধ করলে আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট আসলাম এবং তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, এ আয়াত শেষ পর্যায়ে অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং কোন আয়াত উহাকে রহিত করতে পারেনি।
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْكُوفَةِ فِي هَذِهِ الآيَةِ ( وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ) فَرَحَلْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْهَا فَقَالَ لَقَدْ أُنْزِلَتْ آخِرَ مَا أُنْزِلَ ثُمَّ مَا نَسَخَهَا شَىْءٌ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৩-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৬১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (অন্য সনদে) ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... শু’বা (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে মুহাম্মাদ ইবনে জা’ফারের বর্ণনায় আছে آخِرِ مَا أُنْزِلَ আর নযরের হাদীসের মধ্যে রয়েছে إِنَّهَا لَمِنْ آخِرِ مَا أُنْزِلَتْ --।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . فِي حَدِيثِ ابْنِ جَعْفَرٍ نَزَلَتْ فِي آخِرِ مَا أُنْزِلَ . وَفِي حَدِيثِ النَّضْرِ إِنَّهَا لَمِنْ آخِرِ مَا أُنْزِلَتْ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৩-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭২৬২। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আবযা (রাযিঃ) আমাকে নিম্ন বর্ণিত আয়াত দুটি সম্পর্কে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করার জন্য নির্দেশ দিলেন। তন্মধ্যে প্রথমটি হলোঃ ″কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করলে″ এর হুকুম সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন কোন আয়াত এ আয়াতটিকে রহিত করেনি।

আর দ্বিতীয় আয়াতটি হচ্ছে, ″এবং তারা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহকে ডাকে না। আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যে এ গুলো করে সে শাস্তি ভোগ করবে″। এ সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এ আয়াতটি মুশরিকদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিল।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ أَمَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبْزَى أَنْ أَسْأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ، عَنْ هَاتَيْنِ الآيَتَيْنِ، ( وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا) فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ لَمْ يَنْسَخْهَا شَىْءٌ . وَعَنْ هَذِهِ الآيَةِ ( وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ) قَالَ نَزَلَتْ فِي أَهْلِ الشِّرْكِ .
tahqiq

তাহকীক: