আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫৫- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৭০৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২৪-১
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৮০। উসমান ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ছিলাম। এ সময় আমরা কতিপয় বালকের নিকট দিয়ে গেলাম। তাদের মধ্যে ইবনে সাইয়্যাদও বিদ্যমান ছিল। বালকেরা পালিয়ে গেল এবং ইবনে সাইয়্যাদ বসে রইল। এ দেথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছুটা বিরক্তিবোধ করলেন। অতঃপর নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ তোমার দুই হাত ধুলায় ধুসরিত হোক। তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসুল! সে বলল, না। বরং আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে আমি আল্লাহর রাসুল। একথা শুনে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে ছেড়ে দিন। আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি যা মনে করছ, যদি সে সে-ই হয়, তবে তো তুমি তাকে হত্যা করতে সক্ষম হবে না।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِعُثْمَانَ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَرْنَا بِصِبْيَانٍ فِيهِمُ ابْنُ صَيَّادٍ فَفَرَّ الصِّبْيَانُ وَجَلَسَ ابْنُ صَيَّادٍ فَكَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَرِهَ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " تَرِبَتْ يَدَاكَ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ " . فَقَالَ لاَ . بَلْ تَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ذَرْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ حَتَّى أَقْتُلَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ يَكُنِ الَّذِي تَرَى فَلَنْ تَسْتَطِيعَ قَتْلَهُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭০৮১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২৪-২
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৮১। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর সাথে হ্যাঁটছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি ইবনে সাইয়্যাদের নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ তোমার জন্য আমি একটি কথা গোপন রেখেছি। বল তো তা কি? সে (ইবনে সাইয়্যাদ) বলল, (আপনার অন্তরে) دخ (ধুঁয়া) শব্দটি লুকায়িত আছে। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দুর্ভাগা! তুই তোর পরিমণ্ডল অতিক্রম করতে পারবি না। তখন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে ছেড়ে দিন। এক্ষণি আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তাকে রেখে দাও, যার সম্পর্কে তুমি আশঙ্কা করছ সে যদি ঐ ব্যক্তিই হয়ে থাকে তবে তুমি তাকে হত্যা করতে পারবে না।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ - قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نَمْشِي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّ بِابْنِ صَيَّادٍ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا " . فَقَالَ دُخٌّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اخْسَأْ فَلَنْ تَعْدُوَ قَدْرَكَ " . فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ دَعْنِي فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعْهُ فَإِنْ يَكُنِ الَّذِي تَخَافُ لَنْ تَسْتَطِيعَ قَتْلَهُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭০৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২৫
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৮২। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার মদীনার কোন এক গলিতে ইবনে সাইয়্যাদের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) এর সামনাসামনি দেখা হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও, আমি আল্লাহর রাসুল? জবাবে সে বলল, আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি তো আল্লাহর প্রতি, তার ফিরিশতাগণের প্রতি ও তার কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান আনয়ন করেছি। অতঃপর তিনি বললেন, তুমি কি দেখতে পাও? সে বলল, আমি পানির উপর আরশ দেখতে পাই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তো সমুদ্রে ইবলীসের আরশ (সিংহাসন) দেখতে পাও। আচ্ছা তুমি আর কি দেখতে পাচ্ছ? সে বলল, আমি দুজন সত্যবাদী ও একজন মিথ্যাবাদীকে অথবা দুইজন মিথ্যাবাদী ও একজন সত্যবাদীকে দেখতে পাচ্ছি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ একে ছেড়ে দাও। সে অস্পষ্টতার শিকার।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ لَقِيَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فِي بَعْضِ طُرُقِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ " . فَقَالَ هُوَ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ مَا تَرَى " . قَالَ أَرَى عَرْشًا عَلَى الْمَاءِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَرَى عَرْشَ إِبْلِيسَ عَلَى الْبَحْرِ وَمَا تَرَى " . قَالَ أَرَى صَادِقَيْنِ وَكَاذِبًا أَوْ كَاذِبَيْنِ وَصَادِقًا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لُبِسَ عَلَيْهِ دَعُوهُ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭০৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২৬
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৮৩। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী (ﷺ) ইবনে সাইয়্যাদকে দেখলেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) ও ছিলেন। এবং ইবনে সাইয়্যাদ ছিল কতিপয় বালকের সাথে ...... অতঃপর জুরায়রী (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَقِيَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ابْنَ صَائِدٍ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَابْنُ صَائِدٍ مَعَ الْغِلْمَانِ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ الْجُرَيْرِيِّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭০৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২৭-১
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৮৪। উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর আল কাওয়ারীরী ও মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (মক্কা যাওয়ার পথে) ইবনে সাইয়্যাদ মক্কা পর্যন্ত আমার সফর সঙ্গী ছিল। পথিমধ্যে সে আমায় বলল, মানুষের কানাঘুষায় আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তারা মনে করছে, আমিই দাজ্জাল। আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেননি যে, দাজ্জালের কোন সন্তান হবে না? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ শুনেছি। তখন সে বলল, আমার তো সন্তানাদি রয়েছে। আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেননি যে, দাজ্জাল মক্কা ও মদীনা প্রবেশ করতে পারবে না? আমি বললাম, হ্যাঁ, শুনেছি। সে বলল, দেখুন, আমি তো মদীনায় জন্মগ্রহণ করেছি এবং এখন মক্কা যাবার ইচ্ছা করছি। এ সব কথা বলার পর উপসংহারে সে বলল, আল্লাহর কসম! তবে আমি জানি, দাজ্জাল কোথায় জন্মগ্রহণ করেছে, তার বাড়ী কোথায় এবং এখন সে কোথায় আছে। আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন, (এহেন কথা বলে) সে আমাকে মহা ফাঁপরে ফেলে দিল।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ صَائِدٍ إِلَى مَكَّةَ فَقَالَ لِي أَمَا قَدْ لَقِيتُ مِنَ النَّاسِ يَزْعُمُونَ أَنِّي الدَّجَّالُ أَلَسْتَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّهُ لاَ يُولَدُ لَهُ " . قَالَ قُلْتُ بَلَى . قَالَ فَقَدْ وُلِدَ لِي . أَوَلَيْسَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَدْخُلُ الْمَدِينَةَ وَلاَ مَكَّةَ " . قُلْتُ بَلَى . قَالَ فَقَدْ وُلِدْتُ بِالْمَدِينَةِ وَهَذَا أَنَا أُرِيدُ مَكَّةَ - قَالَ - ثُمَّ قَالَ لِي فِي آخِرِ قَوْلِهِ أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ مَوْلِدَهُ وَمَكَانَهُ وَأَيْنَ هُوَ . قَالَ فَلَبَسَنِي .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭০৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২৭-২
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৮৫। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আলা (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ইবনে সাইয়্যাদ আমার সাথে কিছু কথাবার্তা বলল। এতে আমি লজ্জিত হচ্ছিলাম। (সে বলল), লোকদের নিকট ওযর পেশ করছি, হে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সাথীরা! আমার ব্যাপারে তোমাদের কি হয়েছে? আল্লাহর নবী (ﷺ) কি এ কথা বলেননি যে, দাজ্জাল ইয়াহুদী হবে? আমি তো মুসলমান হয়েছি। তিনি তো বলেছেনঃ দাজ্জালের কোন সন্তান হবে না। আমার তো সন্তানাদি রয়েছে। তিনি তো এও বলেছেন যে আল্লাহ তাআলা দাজ্জালের উপর মক্কায় প্রবেশ করা হারাম করে দিয়েছেন। অথচ আমি তো হজ্জও করেছি। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, সে অনর্গল এমনভাবে বলে যেতে লাগল, যার ফলে আমি তাকে সত্যবাদী মনে করার কাছাকাছি পৌছে গেলাম। অতঃপর সে বলল, আল্লাহর শপথ! অবশ্যই আমি জানি, দাজ্জাল এখন কোথায় আছে। আমি তার পিতামাতাকেও চিনি। লোকেরা ইবনে সাইয়্যাদকে প্রশ্ন করল, তুমি দাজ্জাল হও, একি তুমি পছন্দ কর? জবাবে সে বলল, যদি আমাকে দাজ্জাল হওয়ার প্রস্তাব করা হয়, তবে আমি তা অপছন্দ করব না।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ لِيَ ابْنُ صَائِدٍ وَأَخَذَتْنِي مِنْهُ ذَمَامَةٌ هَذَا عَذَرْتُ النَّاسَ مَا لِي وَلَكُمْ يَا أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ أَلَمْ يَقُلْ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهُ يَهُودِيٌّ " . وَقَدْ أَسْلَمْتُ . قَالَ " وَلاَ يُولَدُ لَهُ " . وَقَدْ وُلِدَ لِي . وَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَيْهِ مَكَّةَ " . وَقَدْ حَجَجْتُ . قَالَ فَمَا زَالَ حَتَّى كَادَ أَنْ يَأْخُذَ فِيَّ قَوْلُهُ . قَالَ فَقَالَ لَهُ أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ الآنَ حَيْثُ هُوَ وَأَعْرِفُ أَبَاهُ وَأُمَّهُ . قَالَ وَقِيلَ لَهُ أَيَسُرُّكَ أَنَّكَ ذَاكَ الرَّجُلُ قَالَ فَقَالَ لَوْ عُرِضَ عَلَىَّ مَا كَرِهْتُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭০৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২৮-১
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৮৭। নসর ইবনে আলী আল জাহযামী (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইবনে সাইয়্যাদকে প্রশ্ন করেছেন, জান্নাতের মাটি কিরূপ হবে? সে বলল, হে আবুল কাসিম! (জান্নাতের মাটি) সাদা ময়দা এবং মিশকের মত সুগন্ধিযুক্ত হবে। তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) বললেনঃ তুমি সত্য বলেছ।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ - عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاِبْنِ صَائِدٍ " مَا تُرْبَةُ الْجَنَّةِ " . قَالَ دَرْمَكَةٌ بَيْضَاءُ مِسْكٌ يَا أَبَا الْقَاسِمِ . قَالَ " صَدَقْتَ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭০৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২৮-২
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৮৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইবনে সাইয়্যাদ জান্নাতের মাটি সম্পর্কে নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ জান্নাতের মাটি ময়দার মত সাদা এবং খাঁটি মিশকের ন্যায় সুগন্ধিযুক্ত হবে।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ ابْنَ صَيَّادٍ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ تُرْبَةِ الْجَنَّةِ فَقَالَ " دَرْمَكَةٌ بَيْضَاءُ مِسْكٌ خَالِصٌ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭০৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২৯
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৮৯। উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআয আল আনবারী (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে মুনকাদির (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহকে আল্লাহর নামে শপথ করে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ইবনে সাইয়্যাদই হলো দাজ্জাল। আমি বললাম, আপনি আল্লাহর নামে শপথ করে এ কথা বলছেন? তিনি বললেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে নবী (ﷺ) এর নিকট শপথ করে এ বিষয়ে শপথ করতে শুনেছি। তখন নবী (ﷺ) তার এ কথাকে প্রত্যাখ্যান করেননি।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ رَأَيْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَحْلِفُ بِاللَّهِ أَنَّ ابْنَ صَائِدٍ الدَّجَّالُ، فَقُلْتُ أَتَحْلِفُ بِاللَّهِ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ عُمَرَ يَحْلِفُ عَلَى ذَلِكَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُنْكِرْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭০৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯-৪
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৯০। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হারামালা ইবনে ইমরান আত-তুজীবী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) একদল মানুষ সহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ইবনে সাইয়্যাদের নিকট গেলেন। তখন তাকে বনী মাগলার কিল্লার নিকট একদল বালকের সাথে ক্রীড়ারত অবস্থায় পেলেন। তখন ইবনে সাইয়্যাদ বালিগ হবার কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। কিন্তু সে তা জানত না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর হাত দ্বারা তার পৃষ্ঠে আঘাত করে বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আমি আল্লাহর রাসুল? এ কথা শুনে ইবনে সাইয়্যাদ তার প্রতি তাকাল এবং বলল যে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রাসূল। অতঃপর ইবনে সাইয়্যাদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করল যে, আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসুল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ছেড়ে দিলেন এবং (এর সরাসরি উত্তর না দিয়ে) বললেন আমি ঈমান আনয়ন করেছি আল্লাহর প্রতি ও তার রাসুলগণের প্রতি।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ তুমি কি দেখতে পাও? ইবনে সাইয়্যাদ বলল, আমার নিকট সত্যবাদী ও মিথ্যাবদী লোক আসে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার বিষয়টি সঠিক-বেঠিক মিশ্রিত (হযবরল) হয়ে গিয়েছে। তোমাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য একটি কথা আমি মনে মনে গোপন রেখেছি। ইবনে সাইয়্যাদ বলল, তা হচ্ছে دخ (ধুয়া)। তৎপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দূর হয়ে যা। তুই তোর পরিধি অতিক্রম করতে পারবি না। অতঃপর উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে ছেড়ে দিন। আমি এক্ষণি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। রাসুল(ﷺ) বললেনঃ যদি সে দাজ্জাল হয়, তবে তো তাকে হত্যা করতে সক্ষম হবে না। আর যদি সে দাজ্জাল না হয় তবে তাকে হত্যা করার মাঝে কোন কল্যাণ নেই।
সালাম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, পরবর্তী সময়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং উবাই ইবনে কাব (রাযিঃ) সেই খেজুর বাগানের দিকে চললেন, যেখানে ইবনে সাইয়্যাদ বসবাস করত। বাগানের মধ্যে এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করতে চেষ্টা করছিলেন, যাতে ইবনে সাইয়্যাদ তাঁকে দেখার পূর্বে তিনি তার কথা শুনে নেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে দেখলেন যে, সে তার বিছানায় একটি চাঁদরে আবৃত অবস্থায় গুণগুণ করে কি যেন বলছিল। এদিকে ইবনে সাইয়্যাদের মা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখল যে, তিনি বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপনের চেষ্টা করছেন। সে ততক্ষণাৎ ইবনে সাইয়্যাদকে বলে উঠলঃ হে সাফ! এটা ইবনে সাইয়্যাদের নাম। মুহাম্মাদ এসে গেছে। (এ কথা শুনতেই) ইবনে সাইয়্যাদ বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তার মা তাকে সাবধান না করলে সে পরিষ্কার বলে ফেলত।
সালিম (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসলমানদের উদ্দেশ্যে একটি বক্তৃতা দিলেন। তাতে আল্লাহ তাআলার যথাযোগ্য প্রশংসা ও গুণকীর্তনের পর দাজ্জালের কথা উল্লেখ করলেন এবং বললেনঃ আমি তোমাদেরকে দাজ্জালের ফিত্না সম্পর্কে সতর্ক করছি যেমন প্রত্যেক নবী তাঁর সম্প্রদায়কে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এমনকি নূহ (আলাইহিস সালাম) ও তাঁর কওমকে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তবে এ সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে একটি বিষয় পরিস্কারভাবে বলে দিচ্ছি যা কোন নবী তার সম্প্রদায়কে বলেননি। তা হল এই যে, তোমরা জেনে রাখ, দাজ্জাল কানা হবে। আর আল্লাহ তাআলা কানা নন।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জনৈক সাহাবী তাকে অবহিত করেছেন যে, যে দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। সে দিন তিনি বলেছেন, যে তাঁর চক্ষুদ্বয়ের মাঝখানে কাফির (كافر) অথবা (ك ف ر) লেখা থাকবে। যে ব্যক্তি তার কার্যক্রম অপছন্দ করবে সে তা পাঠ করতে পারবে অথবা প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তি তা পাঠ করতে সক্ষম হবে। তিনি এও বলেছেন যে, তোমরা জেনে রাখ যে, তোমাদের কোন ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে তার প্রতিপালককে দেখতে সক্ষম হবে না।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ তুমি কি দেখতে পাও? ইবনে সাইয়্যাদ বলল, আমার নিকট সত্যবাদী ও মিথ্যাবদী লোক আসে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার বিষয়টি সঠিক-বেঠিক মিশ্রিত (হযবরল) হয়ে গিয়েছে। তোমাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য একটি কথা আমি মনে মনে গোপন রেখেছি। ইবনে সাইয়্যাদ বলল, তা হচ্ছে دخ (ধুয়া)। তৎপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দূর হয়ে যা। তুই তোর পরিধি অতিক্রম করতে পারবি না। অতঃপর উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে ছেড়ে দিন। আমি এক্ষণি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। রাসুল(ﷺ) বললেনঃ যদি সে দাজ্জাল হয়, তবে তো তাকে হত্যা করতে সক্ষম হবে না। আর যদি সে দাজ্জাল না হয় তবে তাকে হত্যা করার মাঝে কোন কল্যাণ নেই।
সালাম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, পরবর্তী সময়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং উবাই ইবনে কাব (রাযিঃ) সেই খেজুর বাগানের দিকে চললেন, যেখানে ইবনে সাইয়্যাদ বসবাস করত। বাগানের মধ্যে এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করতে চেষ্টা করছিলেন, যাতে ইবনে সাইয়্যাদ তাঁকে দেখার পূর্বে তিনি তার কথা শুনে নেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে দেখলেন যে, সে তার বিছানায় একটি চাঁদরে আবৃত অবস্থায় গুণগুণ করে কি যেন বলছিল। এদিকে ইবনে সাইয়্যাদের মা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখল যে, তিনি বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপনের চেষ্টা করছেন। সে ততক্ষণাৎ ইবনে সাইয়্যাদকে বলে উঠলঃ হে সাফ! এটা ইবনে সাইয়্যাদের নাম। মুহাম্মাদ এসে গেছে। (এ কথা শুনতেই) ইবনে সাইয়্যাদ বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তার মা তাকে সাবধান না করলে সে পরিষ্কার বলে ফেলত।
সালিম (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসলমানদের উদ্দেশ্যে একটি বক্তৃতা দিলেন। তাতে আল্লাহ তাআলার যথাযোগ্য প্রশংসা ও গুণকীর্তনের পর দাজ্জালের কথা উল্লেখ করলেন এবং বললেনঃ আমি তোমাদেরকে দাজ্জালের ফিত্না সম্পর্কে সতর্ক করছি যেমন প্রত্যেক নবী তাঁর সম্প্রদায়কে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এমনকি নূহ (আলাইহিস সালাম) ও তাঁর কওমকে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তবে এ সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে একটি বিষয় পরিস্কারভাবে বলে দিচ্ছি যা কোন নবী তার সম্প্রদায়কে বলেননি। তা হল এই যে, তোমরা জেনে রাখ, দাজ্জাল কানা হবে। আর আল্লাহ তাআলা কানা নন।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জনৈক সাহাবী তাকে অবহিত করেছেন যে, যে দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। সে দিন তিনি বলেছেন, যে তাঁর চক্ষুদ্বয়ের মাঝখানে কাফির (كافر) অথবা (ك ف ر) লেখা থাকবে। যে ব্যক্তি তার কার্যক্রম অপছন্দ করবে সে তা পাঠ করতে পারবে অথবা প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তি তা পাঠ করতে সক্ষম হবে। তিনি এও বলেছেন যে, তোমরা জেনে রাখ যে, তোমাদের কোন ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে তার প্রতিপালককে দেখতে সক্ষম হবে না।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنِي ابْنُ، وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ انْطَلَقَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ قِبَلَ ابْنِ صَيَّادٍ حَتَّى وَجَدَهُ يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ عِنْدَ أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ وَقَدْ قَارَبَ ابْنُ صَيَّادٍ يَوْمَئِذٍ الْحُلُمَ فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ظَهْرَهُ بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاِبْنِ صَيَّادٍ " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ " . فَنَظَرَ إِلَيْهِ ابْنُ صَيَّادٍ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ . فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَرَفَضَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرُسُلِهِ " . ثُمَّ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَاذَا تَرَى " . قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ " . ثُمَّ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي قَدْ خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا " . فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ " هُوَ الدُّخُّ " . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اخْسَأْ فَلَنْ تَعْدُوَ قَدْرَكَ " . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ذَرْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَضْرِبْ عُنُقَهُ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ يَكُنْهُ فَلَنْ تُسَلَّطَ عَلَيْهِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْهُ فَلاَ خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ " . وَقَالَ سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ انْطَلَقَ بَعْدَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ الأَنْصَارِيُّ إِلَى النَّخْلِ الَّتِي فِيهَا ابْنُ صَيَّادٍ حَتَّى إِذَا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّخْلَ طَفِقَ يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ وَهُوَ يَخْتِلُ أَنْ يَسْمَعَ مِنِ ابْنِ صَيَّادٍ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَرَاهُ ابْنُ صَيَّادٍ فَرَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُضْطَجِعٌ عَلَى فِرَاشٍ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ فِيهَا زَمْزَمَةٌ فَرَأَتْ أُمُّ ابْنِ صَيَّادٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ فَقَالَتْ لاِبْنِ صَيَّادٍ يَا صَافِ - وَهُوَ اسْمُ ابْنِ صَيَّادٍ - هَذَا مُحَمَّدٌ . فَثَارَ ابْنُ صَيَّادٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ تَرَكَتْهُ بَيَّنَ " . قَالَ سَالِمٌ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ " إِنِّي لأُنْذِرُكُمُوهُ مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ وَقَدْ أَنْذَرَهُ قَوْمَهُ لَقَدْ أَنْذَرَهُ نُوحٌ قَوْمَهُ وَلَكِنْ أَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلاً لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ تَعَلَّمُوا أَنَّهُ أَعْوَرُ وَأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى لَيْسَ بِأَعْوَرَ " . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَأَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيُّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَوْمَ حَذَّرَ النَّاسَ الدَّجَّالَ " إِنَّهُ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ يَقْرَؤُهُ مَنْ كَرِهَ عَمَلَهُ أَوْ يَقْرَؤُهُ كُلُّ مُؤْمِنٍ " . وَقَالَ " تَعَلَّمُوا أَنَّهُ لَنْ يَرَى أَحَدٌ مِنْكُمْ رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَتَّى يَمُوتَ " .
হাদীস নং: ৭০৯১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৩০-২
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৯১। হাসান আল-হুলওয়ানি ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদল সাহাবীসহ চললেন। এতে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তিনি ইবনে সাইয়্যাদকে বালিগ হওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় বালক রূপে অন্য বালকদের সাথে ক্রীড়ারত অবস্থায় বনী মুআবিয়্যার কিল্লার নিকট দেখতে পেলেন। ...... অতঃপর তিনি উমর ইবনে সাবিতের হাদীসের শেষ পর্যন্ত ইউনুসের অনুরূপ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসে ইয়াকুব থেকে অধিক বর্ণিত রয়েছে যে, আমার পিতা لَوْ تَرَكَتْهُ بَيَّنَ এর স্থলেلَوْ تَرَكَتْهُ أُمُّهُ بَيَّنَ أَمْرَهُ (যদি তার মা তাকে তার অবস্থায় রেখে দিত তবে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যেতো) বর্ণিত আছে।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّالله عليه وسلم وَمَعَهُ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ حَتَّى وَجَدَ ابْنَ صَيَّادٍ غُلاَمًا قَدْ نَاهَزَ الْحُلُمَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ عِنْدَ أُطُمِ بَنِي مُعَاوِيَةَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ إِلَى مُنْتَهَى حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ وَفِي الْحَدِيثِ عَنْ يَعْقُوبَ قَالَ قَالَ أُبَىٌّ - يَعْنِي فِي قَوْلِهِ لَوْ تَرَكَتْهُ بَيَّنَ - قَالَ لَوْ تَرَكَتْهُ أُمُّهُ بَيَّنَ أَمْرَهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭০৯২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৩০-৩
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৯২। আব্দ ইবনে হুমায়দ ও সালামা ইবনে শাবীব (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুল(ﷺ) একদল সাহাবীসহ ইবনে সাইয়্যাদের পাশ দিয়ে গেলেন। এদের মধ্যে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)ও ছিলেন। এ সময় সে বনী মাগালার কিল্লার নিকট এক দল বালকের সাথে খেলাধূলা করছিল। তখন সে বালক ছিল। বর্ণনাকারী এ হাদীসটি ইউনূস এবং সালিহ (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) এর হাদীস তথা উবাই ইবনে কা’বের সাথে নবী (ﷺ) এর বাগানের দিকে যাওয়ার হাদীসটি উল্লেখ করেননি।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَسَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِابْنِ صَيَّادٍ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ عِنْدَ أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ وَهُوَ غُلاَمٌ . بِمَعْنَى حَدِيثِ يُونُسَ وَصَالِحٍ غَيْرَ أَنَّ عَبْدَ بْنَ حُمَيْدٍ لَمْ يَذْكُرْ حَدِيثَ ابْنِ عُمَرَ فِي انْطِلاَقِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَعَ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ إِلَى النَّخْلِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭০৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৩২-১
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৯৩। আব্দ ইবনে হুমায়দ ও উবাদা (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনার কোন রাস্তায় ইবনে উমর (রাযিঃ) ইবনে সাইয়্যাদের সাক্ষাত পান। তিনি তাকে এমন কিছু কথা বলেন, যার ফলে সে রাগে ফুলতে থাকে। সে এমন ফুলল যে, সমগ্র গলি যেন পূর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর ইবনে উমর (রাযিঃ) হাফসা (রাযিঃ) এর নিকট গেলেন। তাঁর কাছে এ ঘটনার সংবাদ পৌঁছে গেল। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন।ইবনে সাইয়্যাদের কাছে তোমার এমন কি প্রয়োজন ছিল? তুমি কেন তাকে খোঁচা দিতে গেলে? তুমি কি জানেন না যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন ব্যাপারে ক্রুদ্ধ হওয়ার কারণেই দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ لَقِيَ ابْنُ عُمَرَ ابْنَ صَائِدٍ فِي بَعْضِ طُرُقِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهُ قَوْلاً أَغْضَبَهُ فَانْتَفَخَ حَتَّى مَلأَ السِّكَّةَ فَدَخَلَ ابْنُ عُمَرَ عَلَى حَفْصَةَ وَقَدْ بَلَغَهَا فَقَالَتْ لَهُ رَحِمَكَ اللَّهُ مَا أَرَدْتَ مِنِ ابْنِ صَائِدٍ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّمَا يَخْرُجُ مِنْ غَضْبَةٍ يَغْضَبُهَا " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: