আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৪৬- ফাযায়েল ও শামাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৫৯০২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৭-২
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯০২। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া তুজিবী (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ও সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলতেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন, আমি তোমাদের যা নিষেধ করেছি, তা থেকে বিরত থাক এবং যা তোমাদের আদেশ করেছি, তা থেকে যা সম্ভব তা পালন কর। কারণ তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করেছে তাদের প্রশ্নের আধিক্য এবং নিজ নবীদের সাথে বিরোধ।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، قَالاَ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا نَهَيْتُكُمْ عَنْهُ فَاجْتَنِبُوهُ وَمَا أَمَرْتُكُمْ بِهِ فَافْعَلُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنَّمَا أَهْلَكَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ كَثْرَةُ مَسَائِلِهِمْ وَاخْتِلاَفُهُمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ " .
হাদীস নং: ৫৯০৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৭-৩
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯০৩। মুহাম্মাদ ইবনে আহমদ ইবনে আবু খালফ (রাহঃ) ......... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، - وَهُوَ مَنْصُورُ بْنُ سَلَمَةَ الْخُزَاعِيُّ - أَخْبَرَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ سَوَاءً .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৯০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৭-৪
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯০৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আবু কুরায়ব, ইবনে নুমাইর, কুতায়বা ইবনে সাঈদ, ইবনে আবু উমর, উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআয ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা সকলেই বলেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমি তোমাদের যার উপর ছেড়ে রেখেছি, তোমরা আমাকে তাতে রেখে দাও অর্থাৎ তা নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন বা বাড়াবাড়ি করো না। হাম্মাম (রাহঃ) এর হাদীসে রয়েছে, ″যে অবস্থায় তোমাদের ছাড়ে রাখা হয়েছে।″ কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা ধ্বংস হয়েছে ...... তারপর তাঁরা যুহরী এবং আবু সালামা (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي كِلاَهُمَا، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ يَعْنِي الْحِزَامِيَّ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح

وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، ح

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، كُلُّهُمْ قَالَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " ذَرُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ " . وَفِي حَدِيثِ هَمَّامٍ " مَا تُرِكْتُمْ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ " . ثُمَّ ذَكَرُوا نَحْوَ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدٍ وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
হাদীস নং: ৫৯০৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৮-১
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯০৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুসলমানদের মধ্যে মুসলমানদের ব্যাপারে সবচেয়ে বড় অপরাধী সে ব্যক্তি, যে এমন বিষয়ে প্রশ্ন করে যা মুসলমানদের জন্য হারাম করা হয়েছিল না, কিন্তু তার প্রশ্ন করার কারণে সে বিষয়টি তাদের উপর হারাম করে দেয়া হল।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ، سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَعْظَمَ الْمُسْلِمِينَ فِي الْمُسْلِمِينَ جُرْمًا مَنْ سَأَلَ عَنْ شَىْءٍ لَمْ يُحَرَّمْ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَحُرِّمَ عَلَيْهِمْ مِنْ أَجْلِ مَسْأَلَتِهِ " .
হাদীস নং: ৫৯০৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৮-৩
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯০৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, ইবনে আবু উমর ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপরাধী মুসলমান সে-ই, যে মুসলমানদের জন্য যা হারাম নয়, এমন বিষয়ে প্রশ্ন করে আর সে বিষয়টি তার প্রশ্ন করার কারণে লোকদের উপর হারাম করে দেওয়া হয়।

হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) থেকে ভিন্ন সনদে আব্দ ইবনে হুমায়দ ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেন। তবে মা’মার এর হাদীসে যুহরীর রিওয়ায়াতে অতিরিক্ত রয়েছে, ″কোন ব্যক্তি কোন বিষয়ে প্রশ্ন করে এবং তার খুঁটিনাটি জানতে চায়।″ ইবনে সা’দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত ইউনুসের হাদীসে রয়েছে যে, (যুহরী (রাহঃ) বলেছেন), আমের ইবনে সা’দ থেকে, তিনি সা’দ (রাহঃ) থেকে শুনেছেন।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ - أَحْفَظُهُ كَمَا أَحْفَظُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ - الزُّهْرِيُّ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعْظَمُ الْمُسْلِمِينَ فِي الْمُسْلِمِينَ جُرْمًا مَنْ سَأَلَ عَنْ أَمْرٍ لَمْ يُحَرَّمْ فَحُرِّمَ عَلَى النَّاسِ مِنْ أَجْلِ مَسْأَلَتِهِ " .
وَحَدَّثَنِيهِ حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ، حُمَيْدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَزَادَ فِي حَدِيثِ مَعْمَرٍ " رَجُلٌ سَأَلَ عَنْ شَىْءٍ وَنَقَّرَ عَنْهُ " . وَقَالَ فِي حَدِيثِ يُونُسَ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدًا .
হাদীস নং: ৫৯০৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৯-১
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯০৭। মাহমুদ ইবনে গায়লান, মুহাম্মাদ ইবনে কুদামাহ সুলামী এবং ইয়াহয়া ইবনে মুহাম্মাদ লুলুঈ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন তাঁর সাহাবীদের কোন কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে পৌছলো। তখন তিনি এক ভাষণ দিলেন এবং বললেনঃ আমার সন্মুখে জান্নাত ও জাহান্নাম পেশ করা হয়। আজকের মতো ভাল এবং মন্দ আমি আর দেখি নি। আমি যা জানতে পেরেছি তা যদি তোমরা জানতে, তবে অবশ্যই তোমরা খুবই কম হাসতে এবং বেশী কাদতে।

আনাস (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীদের উপর এর চেয়ে ভয়াবহ কোন দিন আর আসে নি। তারা নিজেদের মাথা ঢেকে ফেলল এবং তাদের ভেতর থেকে কান্নার শব্দ আসতে লাগলো। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তারপর উমর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আমরা সন্তুষ্ট চিত্তে আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) কে নবী (ﷺ) হিসেবে মেনে নিলাম।

রাবী বলেন, এরপর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা অমুক তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলঃ ″হে ঈমানদারগণ! তোমরা সে সব বিষয়ে প্রশ্ন করো না যা প্রকাশ করা হলে তোমরা দুঃখিত হবে।″
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ السُّلَمِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ مُحَمَّدٍ اللُّؤْلُؤِيُّ، - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ قَالَ مَحْمُودٌ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، - أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَصْحَابِهِ شَىْءٌ فَخَطَبَ فَقَالَ " عُرِضَتْ عَلَىَّ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ وَلَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا " . قَالَ فَمَا أَتَى عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمٌ أَشَدُّ مِنْهُ - قَالَ - غَطَّوْا رُءُوسَهُمْ وَلَهُمْ خَنِينٌ - قَالَ - فَقَامَ عُمَرُ فَقَالَ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا - قَالَ - فَقَامَ ذَاكَ الرَّجُلُ فَقَالَ مَنْ أَبِي قَالَ " أَبُوكَ فُلاَنٌ " . فَنَزَلَتْ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ)
হাদীস নং: ৫৯০৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৯-২
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯০৮। মুহাম্মাদ ইবনে মা’মার ইবনে রিবঈ কায়সী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা অমুক। আর তখনই অবতীর্ণ হয়ঃ ″হে ঈমানদারগণ! তোমরা সে সব বিষয়ে প্রশ্ন করো না যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে″ ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৫ঃ ১০১)।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرِ بْنِ رِبْعِيٍّ الْقَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ أَنَسٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبِي قَالَ " أَبُوكَ فُلاَنٌ " . وَنَزَلَتْ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ) تَمَامَ الآيَةِ .
হাদীস নং: ৫৯০৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৯-৩
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯০৯। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হারামালা ইবনে ইমরান তূজীবী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্য ঢলার পর বাইরে এলেন এবং লোকদের নিয়ে যোহরের নামায আদায় করলেন। যখন সালাম ফিরালেন তখন মিম্বরে উঠে কিয়ামতের আলোচনা করলেন এবং উল্লেখ করলেন যে, এর আগে অনেক বড় বড় ব্যাপার সংঘটিত হবে। এরপর বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমাকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে চায়, সে যেন সে সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করে। আল্লাহ্‌র কসম! যতক্ষণ পর্যন্ত আমি এ স্থানে রয়েছি, ততক্ষণ তোমরা আমাকে যে বিষয়েই প্রশ্ন করবে, আমি তা বলে দিব।

আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, এ কথা শুনে লোকেরা খুবই কান্নাকাটি শুরু করে দিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বারংবার বলতে থাকলেন, আমাকে প্রশ্ন কর। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাফা (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আমার পিতা কে? ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ তোমার পিতা হুযাফা। এরপর যখন রাসুল (ﷺ) বারংবার বলতে থাকলেন আমাকে প্রশ্ন কর। তখন উমর (রাযিঃ) হাটু গেড়ে বসে বললেন, সন্তুষ্ট চিত্তে আমরা আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) কে রাসুল হিসেবে মেনে নিয়েছি।

আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ) যখন এ কথা বললেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেমে গেলেন। রাবী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বিপদ (সন্নিকটে)। মুহাম্মাদের প্রাণ যার হাতে, তাঁর কসম! এ দেওয়ালটির পাশে এখনই আমার সম্মুখে জান্নাত ও জাহান্নাম পেশ করা হয়। অতএব আজকের মত ভাল এবং মন্দ আমি আর দেখি নি।

ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবাহ আমাকে বলেছেন, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাফার মা আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাফাকে বলেছেন, তোমার চেয়ে বেশী অবাধ্য কোন সন্তানের কথা আমি শুনিনি। তুই কি এ কথা থেকে নিশ্চিন্ত ছিলি যে, তোর মা ও হয়ত এমন কোন পাপ করে বসেছে যা জাহিলী যুগের নারীরা করতো, আর তুই তোর মাকে লোকদের সামনে অপমান করতিস! আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাফা (রাযিঃ) উত্তরে বললেন, আল্লাহর কসম! যদি তিনি আমাকে একটা কাল হাবশীর সাথেও সস্পর্কিত করতেন (তাকে আমার পিতা সাব্যস্ত করতেন) তবে আমি তা গ্রহণ করে নিতাম।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ، وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى لَهُمْ صَلاَةَ الظُّهْرِ فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَذَكَرَ السَّاعَةَ وَذَكَرَ أَنَّ قَبْلَهَا أُمُورًا عِظَامًا ثُمَّ قَالَ " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَنِي عَنْ شَىْءٍ فَلْيَسْأَلْنِي عَنْهُ فَوَاللَّهِ لاَ تَسْأَلُونَنِي عَنْ شَىْءٍ إِلاَّ أَخْبَرْتُكُمْ بِهِ مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا " . قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فَأَكْثَرَ النَّاسُ الْبُكَاءَ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَكْثَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقُولَ " سَلُونِي " . فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ فَقَالَ مَنْ أَبِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أَبُوكَ حُذَافَةُ " . فَلَمَّا أَكْثَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَنْ يَقُولَ " سَلُونِي " . بَرَكَ عُمَرُ فَقَالَ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً - قَالَ - فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَالَ عُمَرُ ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوْلَى وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَقَدْ عُرِضَتْ عَلَىَّ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ آنِفًا فِي عُرْضِ هَذَا الْحَائِطِ فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ " . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ قَالَتْ أُمُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُذَافَةَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُذَافَةَ مَا سَمِعْتُ بِابْنٍ قَطُّ أَعَقَّ مِنْكَ أَأَمِنْتَ أَنْ تَكُونَ أُمُّكَ قَدْ قَارَفَتْ بَعْضَ مَا تُقَارِفُ نِسَاءُ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ فَتَفْضَحَهَا عَلَى أَعْيُنِ النَّاسِ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ وَاللَّهِ لَوْ أَلْحَقَنِي بِعَبْدٍ أَسْوَدَ لَلَحِقْتُهُ .
হাদীস নং: ৫৯১০
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৯-৪
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯১০। আব্দ ইবনে হুমায়দ ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান দারিমী (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং উবাইদুল্লাহর হাদীসটি এর সঙ্গে রয়েছে, তবে শুআয়ব বলেছেন, যুহরী সূত্রে উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে, তিনি বলেন, আমাকে জনৈক আলিম ব্যক্তি হাদীস শুনিয়েছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাফার মা বললেন ...... ইউনুসের হাদীসের অনুরূপ বলেছেন।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ، عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ مَعَهُ غَيْرَ أَنَّ شُعَيْبًا قَالَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ أُمَّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُذَافَةَ قَالَتْ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ .
হাদীস নং: ৫৯১১
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৪৯-৫
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯১১। ইউসুফ ইবনে হাম্মাদ মা’নী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রশ্ন করতে লাগল। এমনকি তারা তাঁকে প্রশ্ন করে জর্জরিত করে ফেললো। তখন একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে এসে মিম্বরে উঠে বললেনঃ আমাকে জিজ্ঞাসা কর, যে কোন বিষয়ে তোমরা আমাকে জিজ্ঞাসা করবে আমি অবশ্যই তোমাদের বর্ণনা করে দেব। লোকেরা একথা শুনে তাঁকে প্রশ্ন করা থেকে মুখ বন্ধ রাখল এবং ঘাবড়িয়ে গেল, না জানি সম্মুখে কোন বিষয় উপস্থিত হয়ে পড়ে!

আনাস (রাযিঃ) বলেন আমি ডানে বাঁয়ে দেখতে লাগলাম। সব মানুষ নিজ নিজ মাথা কাপড়ে ঢেকে কাঁদছিল। তখন মসজিদ থেকে একজন লোক উঠল যাকে ঝগড়া লাগলে তার পিতা ব্যতীত অন্যের দিকে তাকে সম্পর্কিত করা হতো। সে বলল, হে আল্লাহর নবী! কে আমার পিতা? তিনি বললেন, তোমার পিতা হুযাফা।

এরপর উমর (রাযিঃ) উঠে বললেন, আমরা সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) কে রাসুল হিসেবে মেনে নিলাম। (আর) আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি ফিতনার অকল্যাণ থেকে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেলেনঃ আজকের মতো ভাল এবং মন্দ আমি কখনো দেখি নি। আমার সন্মুখে জান্নাত ও জাহান্নামের চিত্র তুলে ধরা হয়। তাই আমি উভয়টিকে এ দেওয়ালের পাশে দেখতে পাই।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ الْمَعْنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّاسَ، سَأَلُوا نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَحْفَوْهُ بِالْمَسْأَلَةِ فَخَرَجَ ذَاتَ يَوْمٍ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَقَالَ " سَلُونِي لاَ تَسْأَلُونِي عَنْ شَىْءٍ إِلاَّ بَيَّنْتُهُ لَكُمْ " . فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ الْقَوْمُ أَرَمُّوا وَرَهِبُوا أَنْ يَكُونَ بَيْنَ يَدَىْ أَمْرٍ قَدْ حَضَرَ . قَالَ أَنَسٌ فَجَعَلْتُ أَلْتَفِتُ يَمِينًا وَشِمَالاً فَإِذَا كُلُّ رَجُلٍ لاَفٌّ رَأْسَهُ فِي ثَوْبِهِ يَبْكِي فَأَنْشَأَ رَجُلٌ مِنَ الْمَسْجِدِ كَانَ يُلاَحَى فَيُدْعَى لِغَيْرِ أَبِيهِ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَنْ أَبِي قَالَ " أَبُوكَ حُذَافَةُ " . ثُمَّ أَنْشَأَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه فَقَالَ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً عَائِذًا بِاللَّهِ مِنْ سُوءِ الْفِتَنِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ قَطُّ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ إِنِّي صُوِّرَتْ لِيَ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ فَرَأَيْتُهُمَا دُونَ هَذَا الْحَائِطِ " .
হাদীস নং: ৫৯১২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৯-৬
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯১২। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব, মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ও আসিম ইবনে নযর তায়মী (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে এ ঘটনাসহ (বর্ণনা করেছেন)।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالاَ، جَمِيعًا حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ .
হাদীস নং: ৫৯১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬০
৩৫. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী’আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯১৩। আব্দুল্লাহ ইবনে বাররাদ আশ আরী ও মুহাম্মাদ ইবনে আলা হামদানী (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কে এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় যা তিনি পছন্দ করেননি। যখন এ ধরনের প্রশ্ন অত্যধিক করা হলো, তিনি রাগাম্বিত হয়ে লোকদের বললেনঃ যা ইচ্ছে, তোমরা আমাকে জিজ্ঞাসা কর। এক ব্যক্তি বললো, কে আমার পিতা? তিনি বললেন, তোমার পিতা হুযাফা। আরেক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো ইয়া রাসুলাল্লাহ! কে আমার পিতা? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা শায়বার আযাদকৃত গোলাম সালিম।

উমর (রাযিঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারায় রাগের লক্ষণ দেখতে পেলেন, তখন বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করছি। আবু কুরায়ব (রাহঃ) এর বর্ণনায় (শুধু এটুকু) আছে, বললো, কে আমার পিতা, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ তোমার পিতা শায়বার আযাদকৃত গোলাম সালিম।
بَابُ تَوْقِيرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ إِكْثَارِ سُؤَالِهِ عَمَّا لَا ضَرُورَةَ إِلَيْهِ، أَوْ لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ تَكْلِيفٌ وَمَا لَا يَقَعُ، وَنَحْوِ ذَلِكَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَشْيَاءَ كَرِهَهَا فَلَمَّا أُكْثِرَ عَلَيْهِ غَضِبَ ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ " سَلُونِي عَمَّ شِئْتُمْ " . فَقَالَ رَجُلٌ مَنْ أَبِي قَالَ " أَبُوكَ حُذَافَةُ " . فَقَامَ آخَرُ فَقَالَ مَنْ أَبِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أَبُوكَ سَالِمٌ مَوْلَى شَيْبَةَ " . فَلَمَّا رَأَى عُمَرُ مَا فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْغَضَبِ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَتُوبُ إِلَى اللَّهِ . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ قَالَ مَنْ أَبِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أَبُوكَ سَالِمٌ مَوْلَى شَيْبَةَ " .