আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৪৬- ফাযায়েল ও শামাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৫৭৪২
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৯-১
৩. নবী (ﷺ) এর মু’জিযা প্রসঙ্গে
৫৭৪২। আবু রবী সুলাইমান ইবনে দাউদ আতাকী (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা নবী (ﷺ) পানি আনতে বললেন, তখন একটি প্রশস্ত অগতীর তলবিশিষ্ট পেয়ালা নিয়ে আসা হল। (তিনি তাতে হাত রেখে বরকতের দুআ করলেন) এবং লোকেরা উযু করতে লাগল। আমি তাদের সংখ্যা ষাট থেকে আশির মধ্যে অনুমান করলাম। রাবী বলেন, আমি পানির দিকে তাকাতে থাকলাম- যা তাঁর আঙ্গুলসমূহের মাঝ থেকে উদ্বেলিত হয়ে বেরিয়ে আসছিল।
باب فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَعَا بِمَاءٍ فَأُتِيَ بِقَدَحٍ رَحْرَاحٍ فَجَعَلَ الْقَوْمُ يَتَوَضَّئُونَ فَحَزَرْتُ مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى الثَّمَانِينَ - قَالَ - فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى الْمَاءِ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ .
হাদীস নং: ৫৭৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৯-২
৩. নবী (ﷺ) এর মু’জিযা প্রসঙ্গে
৫৭৪৩। ইসহাক ইবনে মুসা আনসারী ও আবু তাহির (রাহঃ) ......... আনাস মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখলাম, তখন আসরের নামাযের সময় হয়ে গিয়েছিল আর লোকেরা উযুর পানি খুজছিল কিন্তু তারা তা পেল না। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট কিছু উযুর পানি আনা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে পানির পাত্রে তাঁর হাত মুবারক রেখে দিলেন এবং লোকদের তা থেকে উযু করতে বললেন, রাবী বলেন। আমি দেখলাম, পানি তাঁর অঙ্গুলিসমূহের নিচ থেকে উদ্বেলিত হয়ে বেবিয়ে আসছে। তখন লোকেরা উযু করল, এমন কি তাদের শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত সকলেই উযু করল।
باب فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَانَتْ صَلاَةُ الْعَصْرِ فَالْتَمَسَ النَّاسُ الْوَضُوءَ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِوَضُوءٍ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ الإِنَاءِ يَدَهُ وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَتَوَضَّئُوا مِنْهُ - قَالَ - فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبُعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ النَّاسُ حَتَّى تَوَضَّئُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ .
হাদীস নং: ৫৭৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৯-৩
৩. নবী (ﷺ) এর মু’জিযা প্রসঙ্গে
৫৭৪৪। আবু গাসসান মিসমাঈ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) এবং তার সাহাবীগণ ’যাওরা’ নামক স্থানে ছিলেন। রাবী বলেন, ’যাওরা’ হল মদীনার বাজার এবং মসজিদের সেখানকার নিকটে। তখন তিনি একটি পেয়ালা আনতে বললেন, যাতে সামান্য পানি ছিল। তিনি তাঁর (হাতের) পাঞ্জা তাতে রাখলেন। তখন তাঁর অঙ্গুলিসমূহের মাঝ থেকে (পানি) উথলে বের হতে লাগল আর তাঁর সাহাবীগণ সকলেই উযু করলেন। রাবী [কাতাদা (রাহঃ)] বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবু হামযা (রাযিঃ) তাঁরা কতজন ছিলেন? বললেন, তাঁরা ছিলেন তিনশ’ জনের মত।
باب فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - يَعْنِي ابْنَ هِشَامٍ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابَهُ بِالزَّوْرَاءِ - قَالَ وَالزَّوْرَاءُ بِالْمَدِينَةِ عِنْدَ السُّوقِ وَالْمَسْجِدِ فِيمَا ثَمَّهْ - دَعَا بِقَدَحٍ فِيهِ مَاءٌ فَوَضَعَ كَفَّهُ فِيهِ فَجَعَلَ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ جَمِيعُ أَصْحَابِهِ . قَالَ قُلْتُ كَمْ كَانُوا يَا أَبَا حَمْزَةَ قَالَ كَانُوا زُهَاءَ الثَّلاَثِمِائَةِ .
হাদীস নং: ৫৭৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৯-৪
৩. নবী (ﷺ) এর মু’জিযা প্রসঙ্গে
৫৭৪৫। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) ’যাওরা’য় ছিলেন। তখন একটি পানির পাত্র আনা হলো, যা (র পানিতে) তাঁর অঙ্গুলিসমূহ ডুবছিল না, কিংবা ঐ পরিমাণ, যা তাঁর অঙ্গুলিসমূহ ডুবাতে পারে। এরপর তিনি (পূর্বোক্ত হাদীসের) রাবী হিশাম (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
باب فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ بِالزَّوْرَاءِ فَأُتِيَ بِإِنَاءِ مَاءٍ لاَ يَغْمُرُ أَصَابِعَهُ أَوْ قَدْرَ مَا يُوَارِي أَصَابِعَهُ . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ هِشَامٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮০
৩. নবী (ﷺ) এর মু’জিযা প্রসঙ্গে
৫৭৪৬। সালামা ইবনে শাবীব (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মু মালিক (রাযিঃ) তার একটি চামড়ার পাত্রে নবী (ﷺ) এর জন্য ঘি হাদিয়া পাঠাতেন। (কোন কোন সময়) তার ছেলেরা তার কাছে এসে (রুটি মাখাবার জন্য) তরকারি চাইত। কিন্তু তখন তাদের কাছে কিছু থাকত না। তাই তিনি (উম্মে মালিক) সে পাত্রটির কাছে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন, যাতে করে তিনি নবী (ﷺ) এর জন্য হাদিয়া পাঠাতেন। তখন তিনি তাতে কিছু ঘি পেয়ে যেতেন। পরে তা তার ঘরের (রুটি মাখাবার) তরকারির কাজ দিতে থাকল। যতক্ষণ না সে তিনি সেটি নিংড়ে ফেললেন। তিনি নবী (ﷺ) নিকট আসলে তিনি বললেনঃ তুমি সেটি নিংড়ে ফেলেছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি সেটিকে (না নিংড়িয়ে) যথাবস্থায় রেখে দিলে তা বিদ্যমান থেকেই যেত।
باب فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ أُمَّ مَالِكٍ، كَانَتْ تُهْدِي لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي عُكَّةٍ لَهَا سَمْنًا فَيَأْتِيهَا بَنُوهَا فَيَسْأَلُونَ الأُدْمَ وَلَيْسَ عِنْدَهُمْ شَىْءٌ فَتَعْمِدُ إِلَى الَّذِي كَانَتْ تُهْدِي فِيهِ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَتَجِدُ فِيهِ سَمْنًا فَمَا زَالَ يُقِيمُ لَهَا أُدْمَ بَيْتِهَا حَتَّى عَصَرَتْهُ فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " عَصَرْتِيهَا " . قَالَتْ نَعَمْ . قَالَ " لَوْ تَرَكْتِيهَا مَا زَالَ قَائِمًا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮১
৩. নবী (ﷺ) এর মু’জিযা প্রসঙ্গে
৫৭৪৭। সালামা ইবনে শাবীব (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি খাবার চাইতে নবী (ﷺ) এর কাছে এল তিনি তাকে অর্ধ ওয়াসক যব খাবার জন্য দিলেন। লোকটি তা থেকে খেতে থাকল আর তার স্ত্রী এবং তাদের উভয়ের মেহমানরাও। অবশেষে সে (একদিন) তা মেপে দেখল। ফলে তা ফুরিয়ে গেলে। পরে সে নবী (ﷺ) এর কাছে (অভিযোগ নিয়ে) আসল। তিনি বললেন, তুমি যদি তা মেপে না দেখতে, তা হলে তোমরা তা থেকে খেতে থাকতে এবং তা তোমাদের জন্য (দীর্ঘকাল) বিদ্যমান থাকত।
باب فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَطْعِمُهُ فَأَطْعَمَهُ شَطْرَ وَسْقِ شَعِيرٍ فَمَا زَالَ الرَّجُلُ يَأْكُلُ مِنْهُ وَامْرَأَتُهُ وَضَيْفُهُمَا حَتَّى كَالَهُ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لَوْ لَمْ تَكِلْهُ لأَكَلْتُمْ مِنْهُ وَلَقَامَ لَكُمْ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৬-৩
৩. নবী (ﷺ) এর মু’জিযা প্রসঙ্গে
৫৭৪৮। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান দারিমী (রাহঃ) ......... মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাবুক যুদ্ধের বছর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে (যুদ্ধে) বের হলাম। (এ সফরে) তিনি (দুই) নামায একত্রে আদায় করতেন। অর্থাৎ যোহর ও আসর একত্রে আদায় করতেন আর মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। এভাবে একদিন (এমন) হল যে, নামায বিলম্বিত করলেন। তারপর বের হয়ে এসে যোহব ও আসর একত্রে আদায় করলেন, অতঃপর (তাঁবুতে) প্রবেশ করলেন। তারপর আবার বেরিয়ে এলেন এবং মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করলেন। তারপর বললেন, ইনশাআল্লাহ তোমরা আগামীকাল তাবুক প্রস্রবণে পৌছবে আর চাশতের সময় না হওয়া পর্যন্ত তোমরা সেখানে পৌছতে পারবে না। তোমাদের মধ্যে যে (-ই) সেখানে (প্রথমে) পৌছবে, সে যেন তার পানির কিছুই স্পর্শ না করে যতক্ষণ না আমি এসে পৌছি।
আমরা (যথাসময়ই) সেখানে পৌছলাম। (কিন্তু) ইতিমধ্যে দু’ব্যক্তি আমাদের আগে সেখানে পৌছে গিয়েছিল। আর প্রস্রবণটিতে জুতার ফিতার ন্যায় ক্ষীণ ধারায় কিছু সামান্য পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। মুআয (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ দুজনকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা তার থেকে কিছু পানি স্পর্শ করেছ কি? ......... তারা দু’জন বলল, হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) তাদের দুজনকে তিরস্কার করলেন। আর আল্লাহর যা ইচ্ছা, তাদের তাই বললেন।
রাবী বলেন, তারপর লোকেরা তাদের হাত দিয়ে অঞ্চলি ভরে ভরে প্রস্রবণ থেকে অল্প অল্প করে (পানি) তুলল অবশেষে তা একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ সঞ্চিত হল। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার মধ্যে তাঁর দু’হাত এবং মুখ মুবারক ধুলেন এবং পরে তা (পানি) তাতে (প্রস্রবণে) উলটিয়ে (ঢেলে) দিলেন। ফলে প্রস্রবণটি প্রবল পানি ধারায় অথবা রাবী বলেছেন, প্রচুর পরিমাণে প্রবাহিত হতে লাগল।
আবু আলী (রাহঃ) সন্দেহ করেছেন যে, রাবী এর মধ্যে কোনটি বলেছেন। এবার লোকেরা (চাহিদা) পানি পান করল। পরে নবী (ﷺ) ইরশাদ করলেনঃ হে মু’আয যদি তুমি দীর্ঘজিবী হও, তবে আশা করা যায় যে, তুমি দেখতে পাবে, প্রস্রবণের এ স্থানটি বাগানে ভরে গিয়েছে।
আমরা (যথাসময়ই) সেখানে পৌছলাম। (কিন্তু) ইতিমধ্যে দু’ব্যক্তি আমাদের আগে সেখানে পৌছে গিয়েছিল। আর প্রস্রবণটিতে জুতার ফিতার ন্যায় ক্ষীণ ধারায় কিছু সামান্য পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। মুআয (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ দুজনকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা তার থেকে কিছু পানি স্পর্শ করেছ কি? ......... তারা দু’জন বলল, হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) তাদের দুজনকে তিরস্কার করলেন। আর আল্লাহর যা ইচ্ছা, তাদের তাই বললেন।
রাবী বলেন, তারপর লোকেরা তাদের হাত দিয়ে অঞ্চলি ভরে ভরে প্রস্রবণ থেকে অল্প অল্প করে (পানি) তুলল অবশেষে তা একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ সঞ্চিত হল। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার মধ্যে তাঁর দু’হাত এবং মুখ মুবারক ধুলেন এবং পরে তা (পানি) তাতে (প্রস্রবণে) উলটিয়ে (ঢেলে) দিলেন। ফলে প্রস্রবণটি প্রবল পানি ধারায় অথবা রাবী বলেছেন, প্রচুর পরিমাণে প্রবাহিত হতে লাগল।
আবু আলী (রাহঃ) সন্দেহ করেছেন যে, রাবী এর মধ্যে কোনটি বলেছেন। এবার লোকেরা (চাহিদা) পানি পান করল। পরে নবী (ﷺ) ইরশাদ করলেনঃ হে মু’আয যদি তুমি দীর্ঘজিবী হও, তবে আশা করা যায় যে, তুমি দেখতে পাবে, প্রস্রবণের এ স্থানটি বাগানে ভরে গিয়েছে।
باب فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، - وَهُوَ ابْنُ أَنَسٍ - عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ، أَنَّ أَبَا الطُّفَيْلِ، عَامِرَ بْنَ وَاثِلَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ أَخْبَرَهُ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ غَزْوَةِ تَبُوكَ فَكَانَ يَجْمَعُ الصَّلاَةَ فَصَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمًا أَخَّرَ الصَّلاَةَ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ دَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ بَعْدَ ذَلِكَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا ثُمَّ قَالَ " إِنَّكُمْ سَتَأْتُونَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَيْنَ تَبُوكَ وَإِنَّكُمْ لَنْ تَأْتُوهَا حَتَّى يُضْحِيَ النَّهَارُ فَمَنْ جَاءَهَا مِنْكُمْ فَلاَ يَمَسَّ مِنْ مَائِهَا شَيْئًا حَتَّى آتِيَ " . فَجِئْنَاهَا وَقَدْ سَبَقَنَا إِلَيْهَا رَجُلاَنِ وَالْعَيْنُ مِثْلُ الشِّرَاكِ تَبِضُّ بِشَىْءٍ مِنْ مَاءٍ - قَالَ - فَسَأَلَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ مَسَسْتُمَا مِنْ مَائِهَا شَيْئًا " . قَالاَ نَعَمْ . فَسَبَّهُمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ لَهُمَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ - قَالَ - ثُمَّ غَرَفُوا بِأَيْدِيهِمْ مِنَ الْعَيْنِ قَلِيلاً قَلِيلاً حَتَّى اجْتَمَعَ فِي شَىْءٍ - قَالَ - وَغَسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِ يَدَيْهِ وَوَجْهَهُ ثُمَّ أَعَادَهُ فِيهَا فَجَرَتِ الْعَيْنُ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ أَوْ قَالَ غَزِيرٍ - شَكَّ أَبُو عَلِيٍّ أَيُّهُمَا قَالَ - حَتَّى اسْتَقَى النَّاسُ ثُمَّ قَالَ " يُوشِكُ يَا مُعَاذُ إِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ أَنْ تَرَى مَا هَا هُنَا قَدْ مُلِئَ جِنَانًا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯২-২
৩. নবী (ﷺ) এর মু’জিযা প্রসঙ্গে
৫৭৪৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা ইবনে কা’নাব (রাহঃ) ......... আবু হুমায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে তাবুক যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বের হলাম। আমরা ’ওয়াদিল কুরা’ এলাকায় এক মহিলার একটি বাগানের কাছে পৌছলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা এর পরিমাণ অনুমান কর। আমরা এর পরিমাণ অনুমান করলাম। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দশ ওয়াসুক (প্রায় পঞ্চাশ মণ/২০০০ কেজি বা দুই টন ) পরিমাণ অনুমান করলেন এবং (স্ত্রীলোকটিকে) বললেন, আমরা ইনশাআল্লাহ তোমার এখানে ফিরে আসা পর্যন্ত এ পরিমাণ ধরে রাখ। পরে আমরা এগিয়ে চললাম এবং তাবুক পৌছে গেলাম।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন আজ রাতে প্রচণ্ড বায়ু প্রবাহ তোমাদের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। তাই তোমাদের কেউ যেন তার মাঝে দাড়িয়ে না থাকে এবং যার উট আছে, সে যেন তার দড়ি শক্ত করে বেঁধে রাখে। সে রাতে) প্রচণ্ড বাতাস প্রবাহিত হল। এক ব্যক্তি দাঁড়ালে বাতাস তাকে উঠিয়ে নিল। অবশেষে তাই নামক পাহাড়ে ফেলে দিল। আর (ঐ সময় নিকটবর্তী) আয়লার’ এলাকা প্রধান (শাসক) ইবনুল আলমার দূত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে একটি চিঠি লিখে পাঠালেন এবং তাকে একটি চাঁদর হাদিয়া পাঠালেন।
তারপর আমরা এগিয়ে চলতে চলতে ‘ওয়াদিল কুরা’ পৌছলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্ত্রীলোকটিকে (বাগানের মালিক) তার বাগান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তার ফল কি পরিমাণে পৌছেছে? সে বলল, দশ ওয়াসক। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি দ্রুত যাচ্ছি। তোমাদের মধ্যে যার ইচ্ছা হয়, সে আমার সঙ্গে দ্রুত যেতে পারে। আর যার ইচ্ছা, সে অবস্থান করতে পারে। আমরা বের হয়ে পড়লাম। অবশেষে মদীনার কাছাকাছি পৌছলাম। তখন তিনি বললেন, এ (মদীনা) হল ’তাবা’ পবিত্র ও উত্তম স্থান। আর এ হল উহুদ। আর তা এমন পাহাড়, যে আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি।
তারপর বললেন, আননারীদের শ্রেষ্ঠ পরিবার বনু-নাজ্জার, তারপর বনু আব্দুল আশহাল, তারপর বনু হারিস ইবনে খাযরাজ, তারপর বনু সাঈদা। আর আনসারদের প্রতিটি গোত্রই উত্তম। সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) আমাদের সাথে এসে মিলিত হলে (তাঁবু গোত্রের) আবু উসায়দ (রাযিঃ) তাকে বললেন, আপনি কি দেখেন নি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আনসার গোত্রগুলির মাঝে ক্রমানূসারে শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন এবং আমাদের গোত্রকে তালিকার শেষে রেখেছেন। তখন সা’দ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে খুজে পেলেন এবং বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আনসার গোত্রগুলির শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন এবং আমাদের শেষে রেখেছেন! তখন তিনি বললেন, শ্রেষ্ঠ তালিকাভুক্ত অন্যতম হওয়াও কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নয়?
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন আজ রাতে প্রচণ্ড বায়ু প্রবাহ তোমাদের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। তাই তোমাদের কেউ যেন তার মাঝে দাড়িয়ে না থাকে এবং যার উট আছে, সে যেন তার দড়ি শক্ত করে বেঁধে রাখে। সে রাতে) প্রচণ্ড বাতাস প্রবাহিত হল। এক ব্যক্তি দাঁড়ালে বাতাস তাকে উঠিয়ে নিল। অবশেষে তাই নামক পাহাড়ে ফেলে দিল। আর (ঐ সময় নিকটবর্তী) আয়লার’ এলাকা প্রধান (শাসক) ইবনুল আলমার দূত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে একটি চিঠি লিখে পাঠালেন এবং তাকে একটি চাঁদর হাদিয়া পাঠালেন।
তারপর আমরা এগিয়ে চলতে চলতে ‘ওয়াদিল কুরা’ পৌছলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্ত্রীলোকটিকে (বাগানের মালিক) তার বাগান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তার ফল কি পরিমাণে পৌছেছে? সে বলল, দশ ওয়াসক। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি দ্রুত যাচ্ছি। তোমাদের মধ্যে যার ইচ্ছা হয়, সে আমার সঙ্গে দ্রুত যেতে পারে। আর যার ইচ্ছা, সে অবস্থান করতে পারে। আমরা বের হয়ে পড়লাম। অবশেষে মদীনার কাছাকাছি পৌছলাম। তখন তিনি বললেন, এ (মদীনা) হল ’তাবা’ পবিত্র ও উত্তম স্থান। আর এ হল উহুদ। আর তা এমন পাহাড়, যে আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি।
তারপর বললেন, আননারীদের শ্রেষ্ঠ পরিবার বনু-নাজ্জার, তারপর বনু আব্দুল আশহাল, তারপর বনু হারিস ইবনে খাযরাজ, তারপর বনু সাঈদা। আর আনসারদের প্রতিটি গোত্রই উত্তম। সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) আমাদের সাথে এসে মিলিত হলে (তাঁবু গোত্রের) আবু উসায়দ (রাযিঃ) তাকে বললেন, আপনি কি দেখেন নি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আনসার গোত্রগুলির মাঝে ক্রমানূসারে শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন এবং আমাদের গোত্রকে তালিকার শেষে রেখেছেন। তখন সা’দ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে খুজে পেলেন এবং বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আনসার গোত্রগুলির শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন এবং আমাদের শেষে রেখেছেন! তখন তিনি বললেন, শ্রেষ্ঠ তালিকাভুক্ত অন্যতম হওয়াও কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নয়?
باب فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ تَبُوكَ فَأَتَيْنَا وَادِيَ الْقُرَى عَلَى حَدِيقَةٍ لاِمْرَأَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اخْرُصُوهَا " . فَخَرَصْنَاهَا وَخَرَصَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشْرَةَ أَوْسُقٍ وَقَالَ " أَحْصِيهَا حَتَّى نَرْجِعَ إِلَيْكِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ " . وَانْطَلَقْنَا حَتَّى قَدِمْنَا تَبُوكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَتَهُبُّ عَلَيْكُمُ اللَّيْلَةَ رِيحٌ شَدِيدَةٌ فَلاَ يَقُمْ فِيهَا أَحَدٌ مِنْكُمْ فَمَنْ كَانَ لَهُ بَعِيرٌ فَلْيَشُدَّ عِقَالَهُ " . فَهَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ فَقَامَ رَجُلٌ فَحَمَلَتْهُ الرِّيحُ حَتَّى أَلْقَتْهُ بِجَبَلَىْ طَيِّئٍ وَجَاءَ رَسُولُ ابْنِ الْعَلْمَاءِ صَاحِبِ أَيْلَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِكِتَابٍ وَأَهْدَى لَهُ بَغْلَةً بَيْضَاءَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَهْدَى لَهُ بُرْدًا ثُمَّ أَقْبَلْنَا حَتَّى قَدِمْنَا وَادِيَ الْقُرَى فَسَأَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَرْأَةَ عَنْ حَدِيقَتِهَا " كَمْ بَلَغَ ثَمَرُهَا " . فَقَالَتْ عَشَرَةَ أَوْسُقٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي مُسْرِعٌ فَمَنْ شَاءَ مِنْكُمْ فَلْيُسْرِعْ مَعِيَ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَمْكُثْ " . فَخَرَجْنَا حَتَّى أَشْرَفْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ " هَذِهِ طَابَةُ وَهَذَا أُحُدٌ وَهُوَ جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ خَيْرَ دُورِ الأَنْصَارِ دَارُ بَنِي النَّجَّارِ ثُمَّ دَارُ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ ثُمَّ دَارُ بَنِي عَبْدِ الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ ثُمَّ دَارُ بَنِي سَاعِدَةَ وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ خَيْرٌ " . فَلَحِقَنَا سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ فَقَالَ أَبُو أُسَيْدٍ أَلَمْ تَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيَّرَ دُورَ الأَنْصَارِ فَجَعَلَنَا آخِرًا . فَأَدْرَكَ سَعْدٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَيَّرْتَ دُورَ الأَنْصَارِ فَجَعَلْتَنَا آخِرًا . فَقَالَ " أَوَلَيْسَ بِحَسْبِكُمْ أَنْ تَكُونُوا مِنَ الْخِيَارِ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫৭৫০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯২-৩
৩. নবী (ﷺ) এর মু’জিযা প্রসঙ্গে
৫৭৫০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আমর ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) উক্ত সনদে আনসারদের প্রতিটি গোত্রে কল্যাণ রয়েছে’ পর্যন্ত রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি পরবর্তী অংশ সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণনায় উল্লেখ করেন নি। উহায়ব (রাহঃ) তাঁর বর্ণিত হাদীসে অধিক বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর (ইবনুল আলমা)-র জন্য তাদের জনপদগুলো লিখে দিলেন। উহায়ব (রাহঃ) এর বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও তার কাছে চিঠি লিখে পাঠালেন কথাটি উল্লেখ করেন নি।
باب فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلَى قَوْلِهِ " وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ خَيْرٌ " . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ مِنْ قِصَّةِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ وَزَادَ فِي حَدِيثِ وُهَيْبٍ فَكَتَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَحْرِهِمْ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِ وُهَيْبٍ فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: