আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৪- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪৫৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫২-৩
৩. নেতৃত্ব প্রার্থনা ও ক্ষমতার প্রতি লোভের নিষেধাজ্ঞা
৪৫৬৪। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে, আব্দুর রহমান! তুমি শাসন ক্ষমতা চাইবে না। কেননা, যদি তুমি তোমার চাওয়ার মাধ্যমে তা প্রাপ্ত হও, তবে তার দায়িত্ব তোমার উপর বার্তাবে। আর যদি তুমি চাওয়া ব্যতীত তা প্রাপ্ত হও, তবে এ ব্যাপারে তুমি (আল্লাহর তরফ থেকে) সাহায্য প্রাপ্ত হবে।
باب النَّهْىِ عَنْ طَلَبِ الإِمَارَةِ، وَالْحِرْصِ، عَلَيْهَا
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، بْنُ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ لاَ تَسْأَلِ الإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ أُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا " .
হাদীস নং: ৪৫৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫২-৪
৩. নেতৃত্ব প্রার্থনা ও ক্ষমতার প্রতি লোভের নিষেধাজ্ঞা
৪৫৬৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, আলী ইবনে হুজর সা’দী, আবু কামিল জাহদারী (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা (রাযিঃ) এর সূত্রেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
باب النَّهْىِ عَنْ طَلَبِ الإِمَارَةِ، وَالْحِرْصِ، عَلَيْهَا
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ، بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ، وَمَنْصُورٍ، وَحُمَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ عَطِيَّةَ، وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، كُلُّهُمْ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ جَرِيرٍ .
হাদীস নং: ৪৫৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৩৩-৩
৩. নেতৃত্ব প্রার্থনা ও ক্ষমতার প্রতি লোভের নিষেধাজ্ঞা
৪৫৬৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদা) আমি এবং আমার দু’চাচাত ভাই নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হলাম। ঐ দুই ব্যক্তির একজন বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মহান আল্লাহ আপনাকে যে সমস্ত রাজ্যের কর্তৃত্ব প্রদান করেছেন তার কিছু অংশে আমাদেরকে আমীর নিযুক্ত করুন। অপরজনও অনুরূপ বললো। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমরা এমন কাউকে নের্তৃত্বে আসীন করিনা, যে তার জন্য প্রার্থী হয় এবং যে তার জন্য লালায়িত হয়।
باب النَّهْىِ عَنْ طَلَبِ الإِمَارَةِ، وَالْحِرْصِ، عَلَيْهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَرَجُلاَنِ مِنْ بَنِي عَمِّي فَقَالَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمِّرْنَا عَلَى بَعْضِ مَا وَلاَّكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ . وَقَالَ الآخَرُ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَ " إِنَّا وَاللَّهِ لاَ نُوَلِّي عَلَى هَذَا الْعَمَلِ أَحَدًا سَأَلَهُ وَلاَ أَحَدًا حَرَصَ عَلَيْهِ " .
হাদীস নং: ৪৫৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৩৩-৪
৩. নেতৃত্ব প্রার্থনা ও ক্ষমতার প্রতি লোভের নিষেধাজ্ঞা
৪৫৬৭। উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন (একদা) আমি নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আমার সাথে আশ’আরী বংশের দু’জন লোক ছিল। তাদের একজন আমার ডানে অপরজন আমার বামে ছিল। তাদের দু’জনই (পদে) নিযুক্তি প্রার্থনা করলো। নবী (ﷺ) তখন মেসওয়াক করছিলেন। তখন তিনি (আমাকে লক্ষ্য করে) বললেনঃ হে আবু মুসা অথবা হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েস! তুমি কি বল? তিনি বলেন, আমি বললাম, যে পবিত্র সত্তা আপনাকে নবী করে পাঠিয়েছেন, তার কসম! তাদের অন্তরে যে কি রয়েছে সে সম্পর্কে তারা আমাকে মোটেও অবহিত করেনি, আর আমি মোটেও টের পাইনি যে, তারা আপনার কাছে (পদে) নিযুক্তি প্রার্থনা করবে।
রাবী বলেন, আমি যেন (স্পষ্টই) তাঁর ওষ্ঠ মোবারকের নীচে মেসওয়াক দেখতে পাচ্ছি (তার) মাড়ি গোশত মুক্ত হয়ে গিয়েছে। তখন তিনি বললেনঃ আমরা আমাদের কোন কাজে কখনো এমন লোককে নিযুক্তি প্রদান করিনা- যে তার জন্য লালায়িত। বরং তুমি যাও হে আবু মুসা অথবা তিনি বললেনঃ হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েস! এবং তাঁকে ইয়ামানের গভর্ণর করে পাঠালেন। এরপর তিনি মু’আয ইবনে জাবালকে তাঁর সাহায্যার্থে পাঠালেন। তিনি (মু’আয) যখন তার (আবু মুসার) নিকট গিয়ে পৌছলেন, তখন তিনি বললেনঃ অবতরণ করুন এবং সাথে সাথে তিনি একটি আসন পেতে দিলেন। তখন তার নিকট হাত পা বাঁধা অবস্থায় একটি লোক ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এ লোকটি কে? জবাবে তিনি বললেন, লোকটি প্রথমে ইয়াহুদী ছিল, তারপর সে ইসলাম গ্রহণ করো এরপর সে আবার তার বাতিল ধর্মে ফিরে যায় এবং ইয়াহুদী হয়ে যায়।
মু’আয (রাযিঃ) বললেন, যতক্ষণ আল্লাহ ও তার রাসুল (ﷺ) এর বিধান অনুসারে তাকে হত্যা করা না হবে, ততক্ষণ আমি বসবো না। তিনি (আবু মুসা) বললেন, বসুন তা-ই হবে। তিনি (মু’আয) বললেন, বসলাম। যতক্ষণ না আল্লাহ ও তার রাসুলের বিধান অনুসারে তাকে হত্যা করা হয়। এরূপ তারা তিনবার বলাবলি করলেন। এরপর তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে হত্যা করা হলো।
তারপর তারা রাত্রি জাগরণ (তাহাজ্জুদ) সম্পর্কে পরস্পরের আলাপ আলোচনা করলেন। তাদের দুজনের মধ্যে মু’আয (রাযিঃ) বললেন, আমার অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি (রাত্রির কতক অংশে) নিদ্রাও যাই আবার (কতক অংশে) ইবাদতে জাগারণও করি, এবং আমার নিদ্রায়ও সেরূপ সাওয়াবই প্রত্যাশা করি যেরূপ সাওয়াব প্রত্যাশা করি আমার জাগরগে (ও ইবাদতে)।
রাবী বলেন, আমি যেন (স্পষ্টই) তাঁর ওষ্ঠ মোবারকের নীচে মেসওয়াক দেখতে পাচ্ছি (তার) মাড়ি গোশত মুক্ত হয়ে গিয়েছে। তখন তিনি বললেনঃ আমরা আমাদের কোন কাজে কখনো এমন লোককে নিযুক্তি প্রদান করিনা- যে তার জন্য লালায়িত। বরং তুমি যাও হে আবু মুসা অথবা তিনি বললেনঃ হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েস! এবং তাঁকে ইয়ামানের গভর্ণর করে পাঠালেন। এরপর তিনি মু’আয ইবনে জাবালকে তাঁর সাহায্যার্থে পাঠালেন। তিনি (মু’আয) যখন তার (আবু মুসার) নিকট গিয়ে পৌছলেন, তখন তিনি বললেনঃ অবতরণ করুন এবং সাথে সাথে তিনি একটি আসন পেতে দিলেন। তখন তার নিকট হাত পা বাঁধা অবস্থায় একটি লোক ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এ লোকটি কে? জবাবে তিনি বললেন, লোকটি প্রথমে ইয়াহুদী ছিল, তারপর সে ইসলাম গ্রহণ করো এরপর সে আবার তার বাতিল ধর্মে ফিরে যায় এবং ইয়াহুদী হয়ে যায়।
মু’আয (রাযিঃ) বললেন, যতক্ষণ আল্লাহ ও তার রাসুল (ﷺ) এর বিধান অনুসারে তাকে হত্যা করা না হবে, ততক্ষণ আমি বসবো না। তিনি (আবু মুসা) বললেন, বসুন তা-ই হবে। তিনি (মু’আয) বললেন, বসলাম। যতক্ষণ না আল্লাহ ও তার রাসুলের বিধান অনুসারে তাকে হত্যা করা হয়। এরূপ তারা তিনবার বলাবলি করলেন। এরপর তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে হত্যা করা হলো।
তারপর তারা রাত্রি জাগরণ (তাহাজ্জুদ) সম্পর্কে পরস্পরের আলাপ আলোচনা করলেন। তাদের দুজনের মধ্যে মু’আয (রাযিঃ) বললেন, আমার অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি (রাত্রির কতক অংশে) নিদ্রাও যাই আবার (কতক অংশে) ইবাদতে জাগারণও করি, এবং আমার নিদ্রায়ও সেরূপ সাওয়াবই প্রত্যাশা করি যেরূপ সাওয়াব প্রত্যাশা করি আমার জাগরগে (ও ইবাদতে)।
باب النَّهْىِ عَنْ طَلَبِ الإِمَارَةِ، وَالْحِرْصِ، عَلَيْهَا
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حَاتِمٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنِي أَبُو بُرْدَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو مُوسَى أَقْبَلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعِي رَجُلاَنِ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِي وَالآخَرُ عَنْ يَسَارِي فَكِلاَهُمَا سَأَلَ الْعَمَلَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَاكُ فَقَالَ " مَا تَقُولُ يَا أَبَا مُوسَى أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ " . قَالَ فَقُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَطْلَعَانِي عَلَى مَا فِي أَنْفُسِهِمَا وَمَا شَعَرْتُ أَنَّهُمَا يَطْلُبَانِ الْعَمَلَ . قَالَ وَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى سِوَاكِهِ تَحْتَ شَفَتِهِ وَقَدْ قَلَصَتْ فَقَالَ " لَنْ أَوْ لاَ نَسْتَعْمِلُ عَلَى عَمَلِنَا مَنْ أَرَادَهُ وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ يَا أَبَا مُوسَى أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسِ " . فَبَعَثَهُ عَلَى الْيَمَنِ ثُمَّ أَتْبَعَهُ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ قَالَ انْزِلْ وَأَلْقَى لَهُ وِسَادَةً وَإِذَا رَجُلٌ عِنْدَهُ مُوثَقٌ قَالَ مَا هَذَا قَالَ هَذَا كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ ثُمَّ رَاجَعَ دِينَهُ دِينَ السَّوْءِ فَتَهَوَّدَ قَالَ لاَ أَجْلِسُ حَتَّى يُقْتَلَ قَضَاءُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَقَالَ اجْلِسْ نَعَمْ . قَالَ لاَ أَجْلِسُ حَتَّى يُقْتَلَ قَضَاءُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ . فَأَمَرَ بِهِ فَقُتِلَ ثُمَّ تَذَاكَرَا الْقِيَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا مُعَاذٌ أَمَّا أَنَا فَأَنَامُ وَأَقُومُ وَأَرْجُو فِي نَوْمَتِي مَا أَرْجُو فِي قَوْمَتِي .