আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৪- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪৫৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮২৩-১
২. খলিফা মনোনয়ন করা এবং না করা
৪৫৬২। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা যখন আহত হলেন তখন আমি তার কাছে গিয়ে হাযির হলাম। লোকজন তাঁর প্রশংসা করল তারপর বললো, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। তিনি তখন বললেন, আমি আশাবাদী ও সন্ত্রস্ত। তখন লোকেরা বললো, আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করে যান। তখন তিনি বললেন, আমি কি জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায়ই তোমাদের বোঝা বহন করব? আমার আকাঙ্ক্ষা খিলাফতের ব্যাপারে আমার সমান সমান হোক (শুধু নিস্কৃতি জুটুক)। আমার উপর কোন অভিযোগও অর্পিত না হোক, আর আমি লাভবানও না হই।
আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করি (তবে তার দৃষ্টান্ত আছে কেননা) আমার চাইতে যিনি উত্তম ছিলেন তিনি [অর্থাৎ আবু বকর (রাযিঃ)] খলীফা মনোনীত করে গিয়েছেন। আর যদি আমি তোমাদের (খলীফা মনোনীত না করেই) ছেড়ে যাই, তবে আমার উত্তম যিনি ছিলেন অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন।
রাবী আব্দুল্লাহ (ইবনে উমর) বলেনঃ তিনি যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা উল্লেখ করলেন তখনই আমি বুঝে গেলাম যে, তিনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না।
আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করি (তবে তার দৃষ্টান্ত আছে কেননা) আমার চাইতে যিনি উত্তম ছিলেন তিনি [অর্থাৎ আবু বকর (রাযিঃ)] খলীফা মনোনীত করে গিয়েছেন। আর যদি আমি তোমাদের (খলীফা মনোনীত না করেই) ছেড়ে যাই, তবে আমার উত্তম যিনি ছিলেন অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন।
রাবী আব্দুল্লাহ (ইবনে উমর) বলেনঃ তিনি যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা উল্লেখ করলেন তখনই আমি বুঝে গেলাম যে, তিনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না।
باب الاِسْتِخْلاَفِ وَتَرْكِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ حَضَرْتُ أَبِي حِينَ أُصِيبَ فَأَثْنَوْا عَلَيْهِ وَقَالُوا جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا . فَقَالَ رَاغِبٌ وَرَاهِبٌ قَالُوا اسْتَخْلِفْ فَقَالَ أَتَحَمَّلُ أَمْرَكُمْ حَيًّا وَمَيِّتًا لَوَدِدْتُ أَنَّ حَظِّي مِنْهَا الْكَفَافُ لاَ عَلَىَّ وَلاَ لِي فَإِنْ أَسْتَخْلِفْ فَقَدِ اسْتَخْلَفَ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي - يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ - وَإِنْ أَتْرُكْكُمْ فَقَدْ تَرَكَكُمْ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ حِينَ ذَكَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮২৩-২
২. খলিফা মনোনয়ন করা এবং না করা
৪৫৬৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম, ইবনে আবু উমর, মুহাম্মাদ রাফি এবং আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাফসা (রাযিঃ) এর ঘরে প্রবেশ করলাম। তখন তিনি বললেন, তুমি কি জান যে, তোমার পিতা কাউকে খলীফা মনোনীত করছেন না। আমি বললাম, তিনি এমনটা করবেন না। তিনি বললেন, তিনি তাই করবেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, তখন আমি এ মর্মে শপথ করলাম যে, আমি অবশ্যই এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলাপ করবো। এরপর আমি নীরব থাকলাম। পরের দিন ভোর পর্যন্ত আমি তাঁর সঙ্গে তা আলাপ করলাম। রাবী বলেন, আমার মনে হলো যেন, আমি আমার শপথের কারণে একটি পাহাড় বহন করেছি। অবশেষে আমি ফিরে এলাম এবং তাঁর (অর্থাৎ উমর (রাযিঃ) এর) কাছে প্রবেশ করলাম।
তিনি আমাকে লোকদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। আমি তাকে তা অবহিত করলাম। তারপর আমি তাঁকে বললাম, আমি লোকজনকে একটি কথা বলাবলি করতে শুনে আমি তা আপনাকে বলবো বলে শপথ করেছি। লোকেরা বলছে যে, আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না। অথচ আপনার যদি কোন উট রাখাল বা ছাগল রাখাল থাকে আর সে (রাখাল বিহীন রূপে) তার পাল পরিত্যাগ করে আপনার কাছে চলে আসে, তা হলে আপনি মনে করবেন যে, সে পশুপালের সর্বনাশ করেছে।
মানুষের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারটি তার চাইতেও গুরুতর। আমার কথা তার অন্তরে রেখাপাত করলো এবং তিনি কিছুক্ষণ মাথা নত করে রইলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, অবশ্যই মহিমান্বিত মহান আল্লাহ তাঁর দ্বীনের হিফাযত করবেন। আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত না করি তবে আল্লাহর রাসুল (ﷺ)ও তো কাউকে খলীফা মনোনীত করে যাননি। আর যদি আমি কাউকে খলীফা মনোনীত করি তবে আবু বকর (রাযিঃ) খলীফা মনোনীত করে গেছেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তিনি যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) এর কথা উল্লেখ করলেন, তখনই আমি বুঝে ফেলি যে, তিনি আর কাউকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সমকক্ষ করবেন না এবং তিনি কাউকে খলীফাও মনোনীত করবেন না।
তিনি আমাকে লোকদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। আমি তাকে তা অবহিত করলাম। তারপর আমি তাঁকে বললাম, আমি লোকজনকে একটি কথা বলাবলি করতে শুনে আমি তা আপনাকে বলবো বলে শপথ করেছি। লোকেরা বলছে যে, আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না। অথচ আপনার যদি কোন উট রাখাল বা ছাগল রাখাল থাকে আর সে (রাখাল বিহীন রূপে) তার পাল পরিত্যাগ করে আপনার কাছে চলে আসে, তা হলে আপনি মনে করবেন যে, সে পশুপালের সর্বনাশ করেছে।
মানুষের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারটি তার চাইতেও গুরুতর। আমার কথা তার অন্তরে রেখাপাত করলো এবং তিনি কিছুক্ষণ মাথা নত করে রইলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, অবশ্যই মহিমান্বিত মহান আল্লাহ তাঁর দ্বীনের হিফাযত করবেন। আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত না করি তবে আল্লাহর রাসুল (ﷺ)ও তো কাউকে খলীফা মনোনীত করে যাননি। আর যদি আমি কাউকে খলীফা মনোনীত করি তবে আবু বকর (রাযিঃ) খলীফা মনোনীত করে গেছেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তিনি যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) এর কথা উল্লেখ করলেন, তখনই আমি বুঝে ফেলি যে, তিনি আর কাউকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সমকক্ষ করবেন না এবং তিনি কাউকে খলীফাও মনোনীত করবেন না।
باب الاِسْتِخْلاَفِ وَتَرْكِهِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَأَلْفَاظُهُمْ، مُتَقَارِبَةٌ قَالَ إِسْحَاقُ وَعَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، - أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى حَفْصَةَ فَقَالَتْ أَعَلِمْتَ أَنَّ أَبَاكَ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ قَالَ قُلْتُ مَا كَانَ لِيَفْعَلَ . قَالَتْ إِنَّهُ فَاعِلٌ . قَالَ فَحَلَفْتُ أَنِّي أُكَلِّمُهُ فِي ذَلِكَ فَسَكَتُّ حَتَّى غَدَوْتُ وَلَمْ أُكَلِّمْهُ - قَالَ - فَكُنْتُ كَأَنَّمَا أَحْمِلُ بِيَمِينِي جَبَلاً حَتَّى رَجَعْتُ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَسَأَلَنِي عَنْ حَالِ النَّاسِ وَأَنَا أُخْبِرُهُ - قَالَ - ثُمَّ قُلْتُ لَهُ إِنِّي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ مَقَالَةً فَآلَيْتُ أَنْ أَقُولَهَا لَكَ زَعَمُوا أَنَّكَ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ وَإِنَّهُ لَوْ كَانَ لَكَ رَاعِي إِبِلٍ أَوْ رَاعِي غَنَمٍ ثُمَّ جَاءَكَ وَتَرَكَهَا رَأَيْتَ أَنْ قَدْ ضَيَّعَ فَرِعَايَةُ النَّاسِ أَشَدُّ قَالَ فَوَافَقَهُ قَوْلِي فَوَضَعَ رَأْسَهُ سَاعَةً ثُمَّ رَفَعَهُ إِلَىَّ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَحْفَظُ دِينَهُ وَإِنِّي لَئِنْ لاَ أَسْتَخْلِفْ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَسْتَخْلِفْ وَإِنْ أَسْتَخْلِفْ فَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ قَدِ اسْتَخْلَفَ . قَالَ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ ذَكَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ فَعَلِمْتُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِيَعْدِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَدًا وَأَنَّهُ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ .

তাহকীক: