আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪৫১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০২-১
৪৪. খন্দকের যুদ্ধ
৪৫১৭। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) ......... সালামা ইবনে আকওয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে খায়বর অভিযানে বের হলাম। আমরা রাতের বেলা সফর করলাম। তখন এক ব্যক্তি (আমার ভাই) আমির ইবনে আকওয়া (রাযিঃ) কে বললোঃ ওহে! তুমি কি তোমার রণ সঙ্গীত থেকে আমাদেরকে কিছু কবিতা শুনাবে না? আমির (রাযিঃ) ছিলেন একজন কবি। তখন তিনি সওয়ারী থেকে অবতরণ করে সকলকে শুনিয়ে জানিয়ে তার হুদী সঙ্গীত শোনাতে লাগলেন। তাতে তিনি বললেনঃ
“ইয়া আল্লাহ! আপনি না হলে আমরা হিদায়াত পেতাম না, আমরা সাদ্কা ও নামায আদায় করতাম না। আপনার জন্য আমাদের জান কোরবান, আমাদের পিছনের সকল অপরাধ আপনি মাফ করে দিন শক্রর সম্মুখীন হলে আমাদের পা অটল রাখুন। আমাদের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করুন। যখন আমাদের (জিহাদের জন্য) ডাকা হয় আমরা উপস্থিত হই এবং তারা চিৎকার করে আমাদের বিরুদ্ধে লোক জমা করে।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ চালকটি কে? সাহাবীগণ বললেন, আমির। তিনি বললেন, আল্লাহ তার প্রতি রহমত করুন। তখন দলের একব্যক্তি বলল, তার জন্যে তো শাহাদত অবধারিত হয়ে গেছে, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের যদি তাঁর দ্বারা আরো উপকৃত করতেন। রাবী বলেন, তারপর আমরা খায়বরে আসলাম এবং তাদের অবরোধ করলাম। (অবরোধ দীর্ঘ হল) এমন কি আমাদের দারুন খাদ্যাভাব দেখা দিল।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করেছেন। তারপর বিজয়ের দিন যখন লোকদের সন্ধ্যা হলো তখন তারা বহু স্থানে আগুন জ্বালালো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেঃ এ আগুন কিসের? কিসের উপর (কি রান্না করার জন্যে) লোকজন এ আগুন জ্বালিয়েছে? তারা বললেন, গোশতের উপরে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ কিসের গোশত? তারা বললেন, গৃহপালিত গাধার গোশত। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এগুলো ফেলে দাও আর রান্নার পাত্রগুলো ভেঙ্গে ফেল। এক ব্যক্তি বলল, তারা কি এগুলো ফেলে দেবে এবং রান্নার পাত্রগুলো ধুয়ে ফেলবে? তিনি বললেনঃ তা হতে পারে।
রাবী বলেন, এরপর যখন লোকজন (যুদ্ধের জন্য) সারিবদ্ধ হল, আমির (রাযিঃ) এর তরবারীখানা ছিল খাটো। তিনি জনৈক ইয়াহুদীর পায়ের নলা লক্ষ্য করে যেই আঘাত করলেন, অমনি তরবারির ধারাল দিক তার নিজ হাটুতে এসে লাগলো। এতে আমির (রাযিঃ) শহীদ হলেন। রাবী বলেন, তারপর যখন লোকজন (খায়বর থেকে) ফিরে এলো, তখন সালামা আমার হাত ধরে বললেন, (রাবী বললেনঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন আমাকে (সালামাকে) নির্বাক অবস্থায় দেখতে পেলেন, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, “আমার পিতামাতা আপনার জন্যে কুরবান হোক! লোকজনের ধারণা আমের (আত্মহত্যা) করে তাঁর (সারা জীবনের) আমল বরবাদ করে দিয়েছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তা কে বলেছে? আমি বললাম, অমুক অমুক এবং উসায়দ ইবনে হুযায়র আনসারী।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যে এরূপ বলেছে, সে যথার্থ বলেনি। অবশ্যই তার (আমেরের) জন্যে দুটি পুরস্কার রয়েছে। তখন তিনি তার দুটি আঙ্গুল একত্রিত করলেন (এবং বললেনঃ), সে (আল্লাহর রাস্তায়) সত্যিকার সাধক মুজাহিদ। খুব কম আরবই তাঁর মতো চলেছে (বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছে)।
কুতায়বা এ হাদীস বর্ণনায় মুহাম্মাদের সাথে দুটি শব্দে দ্বিমত করেছেন। ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) এর রেওয়ায়েতে والقين سَكِينَة عَلَيْنَا স্থলে وَأَلْقِ سَكِينَةً عَلَيْنَا উল্লেখ রয়েছে।
“ইয়া আল্লাহ! আপনি না হলে আমরা হিদায়াত পেতাম না, আমরা সাদ্কা ও নামায আদায় করতাম না। আপনার জন্য আমাদের জান কোরবান, আমাদের পিছনের সকল অপরাধ আপনি মাফ করে দিন শক্রর সম্মুখীন হলে আমাদের পা অটল রাখুন। আমাদের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করুন। যখন আমাদের (জিহাদের জন্য) ডাকা হয় আমরা উপস্থিত হই এবং তারা চিৎকার করে আমাদের বিরুদ্ধে লোক জমা করে।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ চালকটি কে? সাহাবীগণ বললেন, আমির। তিনি বললেন, আল্লাহ তার প্রতি রহমত করুন। তখন দলের একব্যক্তি বলল, তার জন্যে তো শাহাদত অবধারিত হয়ে গেছে, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের যদি তাঁর দ্বারা আরো উপকৃত করতেন। রাবী বলেন, তারপর আমরা খায়বরে আসলাম এবং তাদের অবরোধ করলাম। (অবরোধ দীর্ঘ হল) এমন কি আমাদের দারুন খাদ্যাভাব দেখা দিল।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করেছেন। তারপর বিজয়ের দিন যখন লোকদের সন্ধ্যা হলো তখন তারা বহু স্থানে আগুন জ্বালালো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেঃ এ আগুন কিসের? কিসের উপর (কি রান্না করার জন্যে) লোকজন এ আগুন জ্বালিয়েছে? তারা বললেন, গোশতের উপরে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ কিসের গোশত? তারা বললেন, গৃহপালিত গাধার গোশত। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এগুলো ফেলে দাও আর রান্নার পাত্রগুলো ভেঙ্গে ফেল। এক ব্যক্তি বলল, তারা কি এগুলো ফেলে দেবে এবং রান্নার পাত্রগুলো ধুয়ে ফেলবে? তিনি বললেনঃ তা হতে পারে।
রাবী বলেন, এরপর যখন লোকজন (যুদ্ধের জন্য) সারিবদ্ধ হল, আমির (রাযিঃ) এর তরবারীখানা ছিল খাটো। তিনি জনৈক ইয়াহুদীর পায়ের নলা লক্ষ্য করে যেই আঘাত করলেন, অমনি তরবারির ধারাল দিক তার নিজ হাটুতে এসে লাগলো। এতে আমির (রাযিঃ) শহীদ হলেন। রাবী বলেন, তারপর যখন লোকজন (খায়বর থেকে) ফিরে এলো, তখন সালামা আমার হাত ধরে বললেন, (রাবী বললেনঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন আমাকে (সালামাকে) নির্বাক অবস্থায় দেখতে পেলেন, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, “আমার পিতামাতা আপনার জন্যে কুরবান হোক! লোকজনের ধারণা আমের (আত্মহত্যা) করে তাঁর (সারা জীবনের) আমল বরবাদ করে দিয়েছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তা কে বলেছে? আমি বললাম, অমুক অমুক এবং উসায়দ ইবনে হুযায়র আনসারী।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যে এরূপ বলেছে, সে যথার্থ বলেনি। অবশ্যই তার (আমেরের) জন্যে দুটি পুরস্কার রয়েছে। তখন তিনি তার দুটি আঙ্গুল একত্রিত করলেন (এবং বললেনঃ), সে (আল্লাহর রাস্তায়) সত্যিকার সাধক মুজাহিদ। খুব কম আরবই তাঁর মতো চলেছে (বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছে)।
কুতায়বা এ হাদীস বর্ণনায় মুহাম্মাদের সাথে দুটি শব্দে দ্বিমত করেছেন। ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) এর রেওয়ায়েতে والقين سَكِينَة عَلَيْنَا স্থলে وَأَلْقِ سَكِينَةً عَلَيْنَا উল্লেখ রয়েছে।
باب غَزْوَةِ الأَحْزَابِ وَهِيَ الْخَنْدَقُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ عَبَّادٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، - وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ - عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، مَوْلَى سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى خَيْبَرَ فَتَسَيَّرْنَا لَيْلاً فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لِعَامِرِ بْنِ الأَكْوَعِ أَلاَ تُسْمِعُنَا مِنْ هُنَيْهَاتِكَ وَكَانَ عَامِرٌ رَجُلاً شَاعِرًا فَنَزَلَ يَحْدُو بِالْقَوْمِ يَقُولُ اللَّهُمَّ لَوْلاَ أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا فَاغْفِرْ فِدَاءً لَكَ مَا اقْتَفَيْنَا وَثَبِّتِ الأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَا وَأَلْقِيَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا إِنَّا إِذَا صِيحَ بِنَا أَتَيْنَا وَبِالصِّيَاحِ عَوَّلُوا عَلَيْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ هَذَا السَّائِقُ " . قَالُوا عَامِرٌ . قَالَ " يَرْحَمُهُ اللَّهُ " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ وَجَبَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْلاَ أَمْتَعْتَنَا بِهِ . قَالَ فَأَتَيْنَا خَيْبَرَ فَحَصَرْنَاهُمْ حَتَّى أَصَابَتْنَا مَخْمَصَةٌ شَدِيدَةٌ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ فَتَحَهَا عَلَيْكُمْ " . قَالَ فَلَمَّا أَمْسَى النَّاسُ مَسَاءَ الْيَوْمِ الَّذِي فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ أَوْقَدُوا نِيرَانًا كَثِيرَةً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا هَذِهِ النِّيرَانُ عَلَى أَىِّ شَىْءٍ تُوقِدُونَ " . فَقَالُوا عَلَى لَحْمٍ . قَالَ " أَىُّ لَحْمٍ " . قَالُوا لَحْمُ حُمُرِ الإِنْسِيَّةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَهْرِيقُوهَا وَاكْسِرُوهَا " . فَقَالَ رَجُلٌ أَوْ يُهَرِيقُوهَا وَيَغْسِلُوهَا فَقَالَ " أَوْ ذَاكَ " . قَالَ فَلَمَّا تَصَافَّ الْقَوْمُ كَانَ سَيْفُ عَامِرٍ فِيهِ قِصَرٌ فَتَنَاوَلَ بِهِ سَاقَ يَهُودِيٍّ لِيَضْرِبَهُ وَيَرْجِعُ ذُبَابُ سَيْفِهِ فَأَصَابَ رُكْبَةَ عَامِرٍ فَمَاتَ مِنْهُ قَالَ فَلَمَّا قَفَلُوا قَالَ سَلَمَةُ وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِي قَالَ فَلَمَّا رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاكِتًا قَالَ " مَا لَكَ " . قُلْتُ لَهُ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي زَعَمُوا أَنَّ عَامِرًا حَبِطَ عَمَلُهُ قَالَ " مَنْ قَالَهُ " . قُلْتُ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ وَأُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ " كَذَبَ مَنْ قَالَهُ إِنَّ لَهُ لأَجْرَيْنِ " . وَجَمَعَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ " إِنَّهُ لَجَاهِدٌ مُجَاهِدٌ قَلَّ عَرَبِيٌّ مَشَى بِهَا مِثْلَهُ " . وَخَالَفَ قُتَيْبَةُ مُحَمَّدًا فِي الْحَدِيثِ فِي حَرْفَيْنِ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ عَبَّادٍ وَأَلْقِ سَكِينَةً عَلَيْنَا .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০২-২
৪৩. খায়বর যুদ্ধ
৪৫১৮। আবু তাহির (রাহঃ) ......... সালামা ইবনে আকওয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বরের যুদ্ধের দিন আমার ভাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে থেকে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন। তাঁর তরবারী ফিরে এসে স্বয়ং তাঁকেই নিহত করে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ তার ব্যাপারে নানা মন্তব্য করতে থাকেন এবং তার শাহাদাতের ব্যাপারে সন্দেহ করেন। তাঁরা বলাবলি করেন যে, সে এমন লোক, যে তার নিজ অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছে। আর তারা তার কোন কোন ব্যাপারেও সন্দেহ করেন।
সালামা বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বর থেকে প্রত্যাবর্তন করলে আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তাঁর কবিতার কয়েকটি পংক্তি আবৃতি করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে অনুমতি দিলেন। উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) তখন বলে উঠলেন, আমি জানি, তুমি কি বলবে। রাবী বলেন, তারপর আমি আবৃত্তি করলামঃ
“ইয়া আল্লাহ! আপনি না হলে, আমরা হিদায়াত পেতাম না, আমরা সাদ্কা দিতাম না এবং নামায আদায় করতাম না।” তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি যথার্থই বলেছো। তখন আমি আবৃতি করে চললামঃ “আমাদের প্রশাস্তি দান করুন এবং শত্রুর সম্মুখীন হলে আমাদের পা অটল রাখুন। মুশরিকরা আমাদের প্রতি বিদ্রোহী হল। যখন আমি আমার কবিতা পড়ে শেষ করলাম, তখন বললেনঃ এ কবিতাটি কে রচনা করেছে? আমি বললাম, আমার ভাই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তাঁর প্রতি সদয় হোন।
তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিছু লোক তার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষণে দ্বিধাগ্রস্ত! তারা বলেন, সে এমন লোক, যে তার নিজ অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে জিহাদ করতে করতে মুজাহিদের মত মরেছে।
রাবী ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, তারপর আমি সালামার এক পুত্রকে প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে তার পিতার সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে ব্যতিক্রম এতটুকু যে, তিনি বলেন, আমি যখন বললাম, কোন কোন লোক তাঁর প্রতি রহমত বর্ষণে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তারা মিথ্যা বলেছে। সে জিহাদ করতে করতে মুজাহিদের মত মারা গেছে। তার দুটি পুরস্কার নির্ধারিত রয়েছে এবং তিনি তখন তার দুটি অঙ্গুলি দ্বার ইশারা করলেন।
সালামা বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বর থেকে প্রত্যাবর্তন করলে আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তাঁর কবিতার কয়েকটি পংক্তি আবৃতি করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে অনুমতি দিলেন। উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) তখন বলে উঠলেন, আমি জানি, তুমি কি বলবে। রাবী বলেন, তারপর আমি আবৃত্তি করলামঃ
“ইয়া আল্লাহ! আপনি না হলে, আমরা হিদায়াত পেতাম না, আমরা সাদ্কা দিতাম না এবং নামায আদায় করতাম না।” তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি যথার্থই বলেছো। তখন আমি আবৃতি করে চললামঃ “আমাদের প্রশাস্তি দান করুন এবং শত্রুর সম্মুখীন হলে আমাদের পা অটল রাখুন। মুশরিকরা আমাদের প্রতি বিদ্রোহী হল। যখন আমি আমার কবিতা পড়ে শেষ করলাম, তখন বললেনঃ এ কবিতাটি কে রচনা করেছে? আমি বললাম, আমার ভাই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তাঁর প্রতি সদয় হোন।
তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিছু লোক তার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষণে দ্বিধাগ্রস্ত! তারা বলেন, সে এমন লোক, যে তার নিজ অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে জিহাদ করতে করতে মুজাহিদের মত মরেছে।
রাবী ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, তারপর আমি সালামার এক পুত্রকে প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে তার পিতার সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে ব্যতিক্রম এতটুকু যে, তিনি বলেন, আমি যখন বললাম, কোন কোন লোক তাঁর প্রতি রহমত বর্ষণে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তারা মিথ্যা বলেছে। সে জিহাদ করতে করতে মুজাহিদের মত মারা গেছে। তার দুটি পুরস্কার নির্ধারিত রয়েছে এবং তিনি তখন তার দুটি অঙ্গুলি দ্বার ইশারা করলেন।
باب غَزْوَةِ خَيْبَرَ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - وَنَسَبَهُ غَيْرُ ابْنِ وَهْبٍ فَقَالَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ - أَنَّ سَلَمَةَ، بْنَ الأَكْوَعِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ قَاتَلَ أَخِي قِتَالاً شَدِيدًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَارْتَدَّ عَلَيْهِ سَيْفُهُ فَقَتَلَهُ فَقَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ وَشَكُّوا فِيهِ رَجُلٌ مَاتَ فِي سِلاَحِهِ . وَشَكُّوا فِي بَعْضِ أَمْرِهِ . قَالَ سَلَمَةُ فَقَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خَيْبَرَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي أَنْ أَرْجُزَ لَكَ . فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَعْلَمُ مَا تَقُولُ قَالَ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لَوْلاَ اللَّهُ مَا اهْتَدَيْنَا وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " صَدَقْتَ " . وَأَنْزِلَنَّ سَكِينَةً عَلَيْنَا وَثَبِّتِ الأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَا وَالْمُشْرِكُونَ قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا قَالَ فَلَمَّا قَضَيْتُ رَجَزِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ هَذَا " . قُلْتُ قَالَهُ أَخِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَرْحَمُهُ اللَّهُ " . قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ نَاسًا لَيَهَابُونَ الصَّلاَةَ عَلَيْهِ يَقُولُونَ رَجُلٌ مَاتَ بِسِلاَحِهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَاتَ جَاهِدًا مُجَاهِدًا " . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ ثُمَّ سَأَلْتُ ابْنًا لِسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ فَحَدَّثَنِي عَنْ أَبِيهِ مِثْلَ ذَلِكَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ - حِينَ قُلْتُ إِنَّ نَاسًا يَهَابُونَ الصَّلاَةَ عَلَيْهِ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَذَبُوا مَاتَ جَاهِدًا مُجَاهِدًا فَلَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ " . وَأَشَارَ بِإِصْبَعَيْهِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৩-১
৪৪. খন্দকের যুদ্ধ
৪৫১৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খন্দকের যুদ্ধের দিন আমাদের সঙ্গে একত্রে মাটি বহন করেন। মাটি তার পেটের শুভ্রতাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আর তখন তিনি আবৃতি করছিলেনঃ আল্লাহর কসম! আপনি না হলে আমরা হিদায়াত পেতাম না, সাদ্কা দিতাম না এবং নামাযও আদায় করতাম না। আমাদের প্রশান্তি দান করুন, আর তারা তো বিদ্রোহী দল আমাদের বিরুদ্ধে। আবার কখনও কখনও বলছিলেনঃ সর্দাররা আমাদের মানতে অস্বীকার করল, তারা যখন ফিতনা চাইল, তখন আমরা অস্বীকার করলাম। তা উচ্চারণের সময় তিনি তাঁর স্বর উচ্চ করছিলেন।
باب غَزْوَةِ الأَحْزَابِ وَهِيَ الْخَنْدَقُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الأَحْزَابِ يَنْقُلُ مَعَنَا التُّرَابَ وَلَقَدْ وَارَى التُّرَابُ بَيَاضَ بَطْنِهِ وَهُوَ يَقُولُ " وَاللَّهِ لَوْلاَ أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا إِنَّ الأُلَى قَدْ أَبَوْا عَلَيْنَا " . قَالَ وَرُبَّمَا قَالَ " إِنَّ الْمَلاَ قَدْ أَبَوْا عَلَيْنَا إِذَا أَرَادُوا فِتْنَةً أَبَيْنَا " . وَيَرْفَعُ بِهَا صَوْتَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৩-২
৪৪. খন্দকের যুদ্ধ
৪৫২০। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বারা (রাযিঃ) কে অনুরূপ বলতে শুনেছি। তবে তিনি বলেন যে, ওরা আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল।
باب غَزْوَةِ الأَحْزَابِ وَهِيَ الْخَنْدَقُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، . فَذَكَرَ مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " إِنَّ الأُلَى قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৪
৪৪. খন্দকের যুদ্ধ
৪৫২১। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা কা’নবী (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের কাছে এলেন, আমরা তখন পরিখা (খন্দক) খনন করছিলাম এবং কাঁধে করে মাটি স্থানান্তরিত করছিলাম। তিনি বললেন, ″ইয়া আল্লাহ! আখিরাতের সুখ ছাড়া সুখ নেই, মুহাজির ও আনসারদের আপনি ক্ষমা করুন।″
باب غَزْوَةِ الأَحْزَابِ وَهِيَ الْخَنْدَقُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ جَاءَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَحْفِرُ الْخَنْدَقَ وَنَنْقُلُ التُّرَابَ عَلَى أَكْتَافِنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الآخِرَةِ فَاغْفِرْ لِلْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ " .
হাদীস নং: ৪৫২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৫-১
৪৪. খন্দকের যুদ্ধ
৪৫২২। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, “ইয়া আল্লাহ! আখিরাতের জীবন ছাড়া জীবন নেই। আপনি ক্ষমা করে দিন আনসার ও মুহাজিরদের।
باب غَزْوَةِ الأَحْزَابِ وَهِيَ الْخَنْدَقُ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ " .
হাদীস নং: ৪৫২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৫-২
৪৪. খন্দকের যুদ্ধ
৪৫২৩। ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) এর অন্য রেওয়ায়েতে আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলছিলেনঃ ”ইয়া আল্লাহ! (প্রকৃত) জীবন (কেবল) আখিরাতের জীবন। শুবা বলেন, অথবা তিনি বলেছেনঃ ইয়া! আল্লাহ! আখিরাতের জীবন ছাড়া কোনজীবন নেই। আনসার ও মুহাজিরদের প্রতি দয়া করুন।
باب غَزْوَةِ الأَحْزَابِ وَهِيَ الْخَنْدَقُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنَّ الْعَيْشَ عَيْشُ الآخِرَةِ " . قَالَ شُعْبَةُ أَوْ قَالَ " اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّعَيْشُ الآخِرَهْ فَأَكْرِمِ الأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ " .
হাদীস নং: ৪৫২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৫-৩
৪৪. খন্দকের যুদ্ধ
৪৫২৪। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁরা (সেদিন) সমবেত সুরে গাইতে ছিলেন এবং তাদের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন। তাঁরা বলছিলেনঃ ″ইয়া আল্লাহ! প্রকৃত মঙ্গল তো আখিরাতে মঙ্গল। আনসার ও মুহাজিরদের সাহায্য করুন।″
শায়বানের বর্ণনায় فَانْصُرْه স্থলে فَاغْفِرْه বলেছেন।
শায়বানের বর্ণনায় فَانْصُرْه স্থলে فَاغْفِرْه বলেছেন।
باب غَزْوَةِ الأَحْزَابِ وَهِيَ الْخَنْدَقُ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَشَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ، شَيْبَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ كَانُوا يَرْتَجِزُونَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَهُمْ وَهُمْ يَقُولُونَ اللَّهُمَّ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُ الآخِرَهْ فَانْصُرِ الأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ وَفِي حَدِيثِ شَيْبَانَ بَدَلَ فَانْصُرْ فَاغْفِرْ .