আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৭- বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৩৩৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৮-২
১৫. যায়নাব বিনতে জাহশকে বিবাহ করা, পর্দার হুকুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওলীমা সাবিত প্রসঙ্গ
৩৩৭১। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম ইবনে মায়মুন ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যয়নাব (রাযিঃ) এর ইদ্দত পূর্ণ হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যায়দ (রাযিঃ) কে বললেন, তুমি যয়নাবের নিকট আমার কথা উল্লেখ কর। আনাস (রাযিঃ) বলেন, যায়দ (রাযিঃ) রওয়ানা হলেন এবং তাঁর নিকট গেলেন। তখন তিনি আটার খামির করছিলেন। যায়দ (রাযিঃ) বলেন, আমি যখন তাঁকে দেখলাম তাঁর মর্যাদা আমার অন্তরে এমনভাবে জাগ্রত হল যে, আমি তার প্রতি তাকাতে পারলাম না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে স্মরণ করেছেন। তাই আমি তাঁর দিকে পিঠ ফিরে দাঁড়ালাম এবং পিছনের দিকে সরে পড়লাম। এরপর বললাম, হে যয়নাব! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে স্মরণ করে আমাকে পাঠিয়েছেন। তিনি বললেন, আমি এ সম্পর্কে কিছুই করব না যে পর্যন্ত না আমি আমার রবের কাছ থেকে নির্দেশ লাভ না করি। এরপর তিনি তার নামাযের জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন।
এদিকে কুরআন নাযিল হল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে যয়নাবের বিনা অনুমতিতেই তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমরা দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (যয়নাবের সেই বিবাহ উপলক্ষে) দুপুর বেলায় আমাদের গোশত খাইয়েছেন। খাওয়া দাওয়ার পর লোকেরা বের হয়ে গেল কিন্তু কয়েকজন লোক খাওয়ার পর আলাপে মশগুল থাকল। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে পড়লেন, আমিও তাঁর অনুসরণ করলাম। তিনি তাঁর বিবিগণের ঘরে ঘরে উপস্থিত হয়ে তাঁদের সালাম করতে লাগলেন। আর বিবিগণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার এ স্ত্রীকে কেমন পেয়েছেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমার মনে নেই, (আলাপরত) সে লোকদের বের হয়ে যাওয়ার কথা আমিই তাঁকে জানিয়ে ছিলাম না তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, তারপর তিনি চললেন এবং সে ঘরে প্রবেশ করলেন আমিও তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলাম। তিনি আমার ও তাঁর মধ্যে পর্দা টেনে দিলেন। আর পর্দার বিধান নাযিল হল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, লোকদের উপদেশ দেওয়া হল, যে উপদেশ দেওয়ার ছিল।
ইবনে রাফি তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করতে গিয়ে এ আয়াত উল্লেখ করেনঃ (অর্থ) ‘তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য প্রস্তুতির অপেক্ষা না করে নবীগৃহে প্রবেশ করবে না ...... কিন্তু আল্লাহ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না।
এদিকে কুরআন নাযিল হল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে যয়নাবের বিনা অনুমতিতেই তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমরা দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (যয়নাবের সেই বিবাহ উপলক্ষে) দুপুর বেলায় আমাদের গোশত খাইয়েছেন। খাওয়া দাওয়ার পর লোকেরা বের হয়ে গেল কিন্তু কয়েকজন লোক খাওয়ার পর আলাপে মশগুল থাকল। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে পড়লেন, আমিও তাঁর অনুসরণ করলাম। তিনি তাঁর বিবিগণের ঘরে ঘরে উপস্থিত হয়ে তাঁদের সালাম করতে লাগলেন। আর বিবিগণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার এ স্ত্রীকে কেমন পেয়েছেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমার মনে নেই, (আলাপরত) সে লোকদের বের হয়ে যাওয়ার কথা আমিই তাঁকে জানিয়ে ছিলাম না তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, তারপর তিনি চললেন এবং সে ঘরে প্রবেশ করলেন আমিও তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলাম। তিনি আমার ও তাঁর মধ্যে পর্দা টেনে দিলেন। আর পর্দার বিধান নাযিল হল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, লোকদের উপদেশ দেওয়া হল, যে উপদেশ দেওয়ার ছিল।
ইবনে রাফি তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করতে গিয়ে এ আয়াত উল্লেখ করেনঃ (অর্থ) ‘তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য প্রস্তুতির অপেক্ষা না করে নবীগৃহে প্রবেশ করবে না ...... কিন্তু আল্লাহ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না।
باب زَوَاجِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَنُزُولِ الْحِجَابِ وَإِثْبَاتِ وَلِيمَةِ الْعُرْسِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، وَهَذَا حَدِيثُ بَهْزٍ قَالَ لَمَّا انْقَضَتْ عِدَّةُ زَيْنَبَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِزَيْدٍ " فَاذْكُرْهَا عَلَىَّ " . قَالَ فَانْطَلَقَ زَيْدٌ حَتَّى أَتَاهَا وَهْىَ تُخَمِّرُ عَجِينَهَا قَالَ فَلَمَّا رَأَيْتُهَا عَظُمَتْ فِي صَدْرِي حَتَّى مَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَنْظُرَ إِلَيْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَهَا فَوَلَّيْتُهَا ظَهْرِي وَنَكَصْتُ عَلَى عَقِبِي فَقُلْتُ يَا زَيْنَبُ أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُكِ . قَالَتْ مَا أَنَا بِصَانِعَةٍ شَيْئًا حَتَّى أُوَامِرَ رَبِّي . فَقَامَتْ إِلَى مَسْجِدِهَا وَنَزَلَ الْقُرْآنُ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ عَلَيْهَا بِغَيْرِ إِذْنٍ قَالَ فَقَالَ وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَطْعَمَنَا الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ حِينَ امْتَدَّ النَّهَارُ فَخَرَجَ النَّاسُ وَبَقِيَ رِجَالٌ يَتَحَدَّثُونَ فِي الْبَيْتِ بَعْدَ الطَّعَامِ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاتَّبَعْتُهُ فَجَعَلَ يَتَتَبَّعُ حُجَرَ نِسَائِهِ يُسَلِّمُ عَلَيْهِنَّ وَيَقُلْنَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ قَالَ فَمَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ أَنَّ الْقَوْمَ خَرَجُوا أَوْ أَخْبَرَنِي - قَالَ - فَانْطَلَقَ حَتَّى دَخَلَ الْبَيْتَ فَذَهَبْتُ أَدْخُلُ مَعَهُ فَأَلْقَى السِّتْرَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ وَنَزَلَ الْحِجَابُ قَالَ وَوُعِظَ الْقَوْمُ بِمَا وُعِظُوا بِهِ . زَادَ ابْنُ رَافِعٍ فِي حَدِيثِهِ ( لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ) إِلَى قَوْلِهِ ( وَاللَّهُ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ)

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৮-৩
১৫. যায়নাব বিনতে জাহশকে বিবাহ করা, পর্দার হুকুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওলীমা সাবিত প্রসঙ্গ
৩৩৭২। আবুর রাবী যাহরানী, আবু কামিল ফুযায়ল ইবনে হুসাইন ও কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কোন মহিলার জন্য- আবু কামিল বলেন, তাঁর কোন স্ত্রীর জন্য সেরূপ ওলীমা করতে দেখি নি যেমন ওলীমা করেছেন যয়নাবের জন্য। তার জন্য তিনি একটি বকরী যবাই করেছেন।
باب زَوَاجِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَنُزُولِ الْحِجَابِ وَإِثْبَاتِ وَلِيمَةِ الْعُرْسِ
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، - وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كَامِلٍ سَمِعْتُ أَنَسًا، - قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْلَمَ عَلَى امْرَأَةٍ - وَقَالَ أَبُو كَامِلٍ عَلَى شَىْءٍ - مِنْ نِسَائِهِ مَا أَوْلَمَ عَلَى زَيْنَبَ فَإِنَّهُ ذَبَحَ شَاةً .
হাদীস নং: ৩৩৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৮-৪
১৫. যায়নাব বিনতে জাহশকে বিবাহ করা, পর্দার হুকুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওলীমা সাবিত প্রসঙ্গ
৩৩৭৩। মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আব্বাদ ইবনে জাবালা ইবনে আবু রাওযাদ ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়নাব (রাযিঃ) এর জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এত অধিক পরিমাণ অথবা উত্তমভাবে ওলীমা করেছিলেন যা তিনি তাঁর সহধার্মিনীদের জন্য কারো জন্য করেননি। সাবিত বুনানী জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কী দিয়ে ওলীমা করেছিলেন? তিনি (আনাস (রাযিঃ) বললেনঃ সবাইকে তিনি রুটি ও গোশত খাওয়ালেন। এমনকি তারা উদ্ধৃত্ত রেখে গেল।
باب زَوَاجِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَنُزُولِ الْحِجَابِ وَإِثْبَاتِ وَلِيمَةِ الْعُرْسِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَبَلَةَ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ مَا أَوْلَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى امْرَأَةٍ مِنْ نِسَائِهِ أَكْثَرَ أَوْ أَفْضَلَ مِمَّا أَوْلَمَ عَلَى زَيْنَبَ . فَقَالَ ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ بِمَا أَوْلَمَ قَالَ أَطْعَمَهُمْ خُبْزًا وَلَحْمًا حَتَّى تَرَكُوهُ .
হাদীস নং: ৩৩৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৮-৫
১৫. যায়নাব বিনতে জাহশকে বিবাহ করা, পর্দার হুকুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওলীমা সাবিত প্রসঙ্গ
৩৩৭৪। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব হারিসী, আসিম ইবনে নযর তায়মী এবং মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর আ’লা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) যখন যায়নাব বিনতে জাহশ (রাযিঃ) কে বিবাহ করেন তখন তিনি লোকদের দাওয়াত করেন। তারা খাওয়া-দাওয়া করে বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন নবী (ﷺ) যেন দাঁড়াতে উদ্যত হলেন তবুও তারা উঠল না। এরূপ দেখে তিনি উঠে গেলেন। তারা উঠে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে যারা উঠবার তারা উঠে গেল।
আসিম ও ইবনে আব্দুল আ’লার বর্ণনায় অতিরিক্ত রয়েছে, আনাস (রাযিঃ) বলেন, কিন্তু তিনজন লোক ঘরে বসে রইল। নবী (ﷺ) ঘরে প্রবেশ করার জন্য এসে দেখতে পান যে, কয়েকজন লোক বসে আছে। এরপর তারাও উঠে চলে গেল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি এসে তাদের চলে যাবার সংবাদ নবী (ﷺ) দিলাম। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তিনি এসে প্রবেশ করলেন। আমিও তার সঙ্গে প্রবেশ করতে অগ্রসর হলাম। এ সময় তিনি আমার ও তাঁর মাঝখানে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আর আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃ ‘তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে নবীগৃহে প্রবেশ করবে না ......... আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা গুরুতর অপরাধ’
আসিম ও ইবনে আব্দুল আ’লার বর্ণনায় অতিরিক্ত রয়েছে, আনাস (রাযিঃ) বলেন, কিন্তু তিনজন লোক ঘরে বসে রইল। নবী (ﷺ) ঘরে প্রবেশ করার জন্য এসে দেখতে পান যে, কয়েকজন লোক বসে আছে। এরপর তারাও উঠে চলে গেল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি এসে তাদের চলে যাবার সংবাদ নবী (ﷺ) দিলাম। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তিনি এসে প্রবেশ করলেন। আমিও তার সঙ্গে প্রবেশ করতে অগ্রসর হলাম। এ সময় তিনি আমার ও তাঁর মাঝখানে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আর আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃ ‘তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে নবীগৃহে প্রবেশ করবে না ......... আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা গুরুতর অপরাধ’
باب زَوَاجِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَنُزُولِ الْحِجَابِ وَإِثْبَاتِ وَلِيمَةِ الْعُرْسِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، وَعَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، كُلُّهُمْ عَنْ مُعْتَمِرٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حَبِيبٍ - حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو مِجْلَزٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ دَعَا الْقَوْمَ فَطَعِمُوا ثُمَّ جَلَسُوا يَتَحَدَّثُونَ - قَالَ - فَأَخَذَ كَأَنَّهُ يَتَهَيَّأُ لِلْقِيَامِ فَلَمْ يَقُومُوا فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَامَ فَلَمَّا قَامَ قَامَ مَنْ قَامَ مِنَ الْقَوْمِ . زَادَ عَاصِمٌ وَابْنُ عَبْدِ الأَعْلَى فِي حَدِيثِهِمَا قَالَ فَقَعَدَ ثَلاَثَةٌ وَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَاءَ لِيَدْخُلَ فَإِذَا الْقَوْمُ جُلُوسٌ ثُمَّ إِنَّهُمْ قَامُوا فَانْطَلَقُوا - قَالَ - فَجِئْتُ فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ قَدِ انْطَلَقُوا - قَالَ - فَجَاءَ حَتَّى دَخَلَ فَذَهَبْتُ أَدْخُلُ فَأَلْقَى الْحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ - قَالَ - وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ) إِلَى قَوْلِهِ ( إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا) .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৮-৬
১৫. যায়নাব বিনতে জাহশকে বিবাহ করা, পর্দার হুকুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওলীমা সাবিত প্রসঙ্গ
৩৩৭৫। আমরুন নাকিদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি পর্দার হুকুম সংক্রান্ত ঘটনা সম্পর্কে সবার চাইতে বেশী অবগত। এ ব্যাপারে উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যায়নাব বিনতে জাহশের স্বামী হন। তিনি বলেন, তাঁকে বিবাহ করেন মদীনায়া এ উপলক্ষে তিনি দ্বিপ্রহরের সময় খাওয়ার জন্য লোকদের দাওয়াত দেন। লোকজন উঠে যাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসলেন এবং তারা তার সঙ্গে বসল। লোকদের যারা উঠে যাবার উঠে গেল।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উঠলেন এবং রওয়ানা হলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে চলতে থাকলাম। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) এর হুজরায় পৌঁছলেন। যখন তিনি ধারণা করলেন যে, তারা (উপবিষ্ট লোকজন) বেরিয়ে গেছে তখন তিনি ফিরে এলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। দেখা গেল তখন তারা তাদের জায়গায় বসা আছে। তখন তিনি ফিরে গেলেন এবং আমি ও তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয়বার ফিরে গেলাম। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) এর হুজরায় পোঁছলেন। আবার তিনি যয়নাবের ঘরের দিকে ফিরলেন। দেখা গেল লোকেরা চলে গেছে। তখন তিনি আমার ও তাঁর মাঝখানে পর্দা টেনে দিলেন। আর পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হয়।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উঠলেন এবং রওয়ানা হলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে চলতে থাকলাম। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) এর হুজরায় পৌঁছলেন। যখন তিনি ধারণা করলেন যে, তারা (উপবিষ্ট লোকজন) বেরিয়ে গেছে তখন তিনি ফিরে এলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। দেখা গেল তখন তারা তাদের জায়গায় বসা আছে। তখন তিনি ফিরে গেলেন এবং আমি ও তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয়বার ফিরে গেলাম। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) এর হুজরায় পোঁছলেন। আবার তিনি যয়নাবের ঘরের দিকে ফিরলেন। দেখা গেল লোকেরা চলে গেছে। তখন তিনি আমার ও তাঁর মাঝখানে পর্দা টেনে দিলেন। আর পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হয়।
باب زَوَاجِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَنُزُولِ الْحِجَابِ وَإِثْبَاتِ وَلِيمَةِ الْعُرْسِ
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ إِنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ، بِالْحِجَابِ لَقَدْ كَانَ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ يَسْأَلُنِي عَنْهُ . قَالَ أَنَسٌ أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَرُوسًا بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ - قَالَ - وَكَانَ تَزَوَّجَهَا بِالْمَدِينَةِ فَدَعَا النَّاسَ لِلطَّعَامِ بَعْدَ ارْتِفَاعِ النَّهَارِ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَلَسَ مَعَهُ رِجَالٌ بَعْدَ مَا قَامَ الْقَوْمُ حَتَّى قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَشَى فَمَشَيْتُ مَعَهُ حَتَّى بَلَغَ بَابَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ ثُمَّ ظَنَّ أَنَّهُمْ قَدْ خَرَجُوا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَإِذَا هُمْ جُلُوسٌ مَكَانَهُمْ فَرَجَعَ فَرَجَعْتُ الثَّانِيَةَ حَتَّى بَلَغَ حُجْرَةَ عَائِشَةَ فَرَجَعَ فَرَجَعْتُ فَإِذَا هُمْ قَدْ قَامُوا فَضَرَبَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ بِالسِّتْرِ وَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ الْحِجَابِ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৮-৭
১৫. যায়নাব বিনতে জাহশকে বিবাহ করা, পর্দার হুকুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওলীমা সাবিত প্রসঙ্গ
৩৩৭৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (যয়নাব বিনতে জাহশকে) বিবাহ করেন এবং তাঁর সহধর্মিনীর কাছে গেলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমার মা উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) হায়স তৈরী করেছিলেন এবং তা একখানি ছোট পাত্রে রেখে আমাকে বললেন, হে আনাস! ইহা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে নিয়ে যাও এবং তাঁকে বল, ইহা আমার মা আপনার খিদমতে পাঠিয়েছেন এবং আপনাকে সালাম পৌঁছিয়েছেন। (আরও বলো যে) তিনি বলেছেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে এটা অতি সামান্য। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি হায়স নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গেলাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মা আপনাকে সালাম দিয়েছেন এবং বলেছেনঃ আমাদের পক্ষ থেকে আপনার জন্য এটা অতি সামান্য
তিনি বললেন, ইহা রাখ। তারপর বললেনঃ তুমি যাও, অমুক অমুক অমুককে দাওয়াত দাও এবং সেসব লোককেও যাদের সাথে তোমার সাক্ষাত হবে। এ বলে, তিনি লোকদের নাম বললেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি তখন বর্ণিত লোকদের দাওয়াত দিলাম এবং তাদেরও যাদের সাথে আমার সাক্ষাত হল। সাবিত (রাহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, (আমন্ত্রিত লোকদের) সংখ্যা কত ছিল? তিনি বললেন, প্রায় তিনশত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সার) পাত্রটি নিয়ে এসো। আনাস (রাযিঃ) বলেন, দাওয়াত প্রাপ্ত লোকজন আসল। এমনকি ঘর ও চত্তর ভরে গেল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা দশ দশ জন করে একত্রিত হয়ে প্রত্যেকেই পাত্র থেকে নিজের সামনের স্থান থেকে খাদ্য গ্রহণ কর। আনাস (রাযিঃ) বললেন, সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন। তিনি বলেন, একদল গেল আরেক দল প্রবেশ করল। এভাবে সকলে খাবার কাজ সেরে নিল। তারপর তিনি আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সার পাত্র) উঠাও। তিনি বলেন, এরপর আমি পাত্রটি তুলে নিলাম। পাত্রটি রাখার সময় এতে খাদ্য বেশী ছিল কি না সেটি উঠাবার সময় তা আমি বুঝতে পারি নি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তাদের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরে বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সেখানে) বসা ছিলেন এবং তাঁর সহধর্মিনী (যায়নাব) দেওয়াল মুখী হয়ে পিছনে ফিরে রইলেন। তাদের উপস্থিতি তার কাছে কষ্টকর মনে হল।
তারপর তিনি তাঁর অন্যান্য বিবিদের কাছে বেরিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর তিনি এলেন। তাঁরা যখন দেখল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে এসেছেন, তারা বুঝতে পারল যে, তাদের অবস্থিতি তাঁর জন্য কষ্টকর হয়েছে। আনাস (রাযিঃ) বলন, তখন তারা তাড়াতাড়ি দরজার দিকে এগিয়ে গেল এবং সবাই বেরিয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলেন এবং পর্দা টেনে দিলেন এবং পর্দার ভিতরে প্রবেশ করলেন। আমি ঘরে বসে রইলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি আমার কাছে ফিরে এলেন। তখন এই আয়াত নাযিল হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে আয়াত লোকদের কাছে পাঠ করলেনঃ
(অর্থ) হে মুমিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না, তবে তোমাদের আহবান করলে তোমরা প্রবেশ করবে এবং আহারের পর তোমরা চলে যাবে এবং কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বেনা। কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে কষ্ট দেয় ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
রাবী জা’দ (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, এ সকল আয়াত লোকদের মধ্যেআমিই সর্বপ্রথম জেনেছি। আর নবী (ﷺ) এর বিবিগণকে পর্দার আড়ালে নেয়া হল।
তিনি বললেন, ইহা রাখ। তারপর বললেনঃ তুমি যাও, অমুক অমুক অমুককে দাওয়াত দাও এবং সেসব লোককেও যাদের সাথে তোমার সাক্ষাত হবে। এ বলে, তিনি লোকদের নাম বললেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি তখন বর্ণিত লোকদের দাওয়াত দিলাম এবং তাদেরও যাদের সাথে আমার সাক্ষাত হল। সাবিত (রাহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, (আমন্ত্রিত লোকদের) সংখ্যা কত ছিল? তিনি বললেন, প্রায় তিনশত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সার) পাত্রটি নিয়ে এসো। আনাস (রাযিঃ) বলেন, দাওয়াত প্রাপ্ত লোকজন আসল। এমনকি ঘর ও চত্তর ভরে গেল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা দশ দশ জন করে একত্রিত হয়ে প্রত্যেকেই পাত্র থেকে নিজের সামনের স্থান থেকে খাদ্য গ্রহণ কর। আনাস (রাযিঃ) বললেন, সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন। তিনি বলেন, একদল গেল আরেক দল প্রবেশ করল। এভাবে সকলে খাবার কাজ সেরে নিল। তারপর তিনি আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সার পাত্র) উঠাও। তিনি বলেন, এরপর আমি পাত্রটি তুলে নিলাম। পাত্রটি রাখার সময় এতে খাদ্য বেশী ছিল কি না সেটি উঠাবার সময় তা আমি বুঝতে পারি নি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তাদের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরে বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সেখানে) বসা ছিলেন এবং তাঁর সহধর্মিনী (যায়নাব) দেওয়াল মুখী হয়ে পিছনে ফিরে রইলেন। তাদের উপস্থিতি তার কাছে কষ্টকর মনে হল।
তারপর তিনি তাঁর অন্যান্য বিবিদের কাছে বেরিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর তিনি এলেন। তাঁরা যখন দেখল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে এসেছেন, তারা বুঝতে পারল যে, তাদের অবস্থিতি তাঁর জন্য কষ্টকর হয়েছে। আনাস (রাযিঃ) বলন, তখন তারা তাড়াতাড়ি দরজার দিকে এগিয়ে গেল এবং সবাই বেরিয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলেন এবং পর্দা টেনে দিলেন এবং পর্দার ভিতরে প্রবেশ করলেন। আমি ঘরে বসে রইলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি আমার কাছে ফিরে এলেন। তখন এই আয়াত নাযিল হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে আয়াত লোকদের কাছে পাঠ করলেনঃ
(অর্থ) হে মুমিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না, তবে তোমাদের আহবান করলে তোমরা প্রবেশ করবে এবং আহারের পর তোমরা চলে যাবে এবং কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বেনা। কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে কষ্ট দেয় ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
রাবী জা’দ (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, এ সকল আয়াত লোকদের মধ্যেআমিই সর্বপ্রথম জেনেছি। আর নবী (ﷺ) এর বিবিগণকে পর্দার আড়ালে নেয়া হল।
باب زَوَاجِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَنُزُولِ الْحِجَابِ وَإِثْبَاتِ وَلِيمَةِ الْعُرْسِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ - عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ بِأَهْلِهِ - قَالَ - فَصَنَعَتْ أُمِّي أُمُّ سُلَيْمٍ حَيْسًا فَجَعَلَتْهُ فِي تَوْرٍ فَقَالَتْ يَا أَنَسُ اذْهَبْ بِهَذَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْ بَعَثَتْ بِهَذَا إِلَيْكَ أُمِّي وَهْىَ تُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَتَقُولُ إِنَّ هَذَا لَكَ مِنَّا قَلِيلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ - قَالَ - فَذَهَبْتُ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنَّ أُمِّي تُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَتَقُولُ إِنَّ هَذَا لَكَ مِنَّا قَلِيلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " ضَعْهُ - ثُمَّ قَالَ - اذْهَبْ فَادْعُ لِي فُلاَنًا وَفُلاَنًا وَفُلاَنًا وَمَنْ لَقِيتَ " . وَسَمَّى رِجَالاً - قَالَ - فَدَعَوْتُ مَنْ سَمَّى وَمَنْ لَقِيتُ . قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ عَدَدَ كَمْ كَانُوا قَالَ زُهَاءَ ثَلاَثِمِائَةٍ . وَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَنَسُ هَاتِ التَّوْرَ " . قَالَ فَدَخَلُوا حَتَّى امْتَلأَتِ الصُّفَّةُ وَالْحُجْرَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِيَتَحَلَّقْ عَشَرَةٌ عَشَرَةٌ وَلْيَأْكُلْ كُلُّ إِنْسَانٍ مِمَّا يَلِيهِ " . قَالَ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا - قَالَ - فَخَرَجَتْ طَائِفَةٌ وَدَخَلَتْ طَائِفَةٌ حَتَّى أَكَلُوا كُلُّهُمْ . فَقَالَ لِي " يَا أَنَسُ ارْفَعْ " . قَالَ فَرَفَعْتُ فَمَا أَدْرِي حِينَ وَضَعْتُ كَانَ أَكْثَرَ أَمْ حِينَ رَفَعْتُ - قَالَ - وَجَلَسَ طَوَائِفُ مِنْهُمْ يَتَحَدَّثُونَ فِي بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَزَوْجَتُهُ مُوَلِّيَةٌ وَجْهَهَا إِلَى الْحَائِطِ فَثَقُلُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَى نِسَائِهِ ثُمَّ رَجَعَ فَلَمَّا رَأَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ رَجَعَ ظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ ثَقُلُوا عَلَيْهِ - قَالَ - فَابْتَدَرُوا الْبَابَ فَخَرَجُوا كُلُّهُمْ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم َتَّى أَرْخَى السِّتْرَ وَدَخَلَ وَأَنَا جَالِسٌ فِي الْحُجْرَةِ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلاَّ يَسِيرًا حَتَّى خَرَجَ عَلَىَّ . وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَرَأَهُنَّ عَلَى النَّاسِ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوا وَلاَ مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ الْجَعْدُ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَا أَحْدَثُ النَّاسِ عَهْدًا بِهَذِهِ الآيَاتِ وَحُجِبْنَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৮-৮
১৫. যায়নাব বিনতে জাহশকে বিবাহ করা, পর্দার হুকুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওলীমা সাবিত প্রসঙ্গ
৩৩৭৭। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী (ﷺ) যায়নাবকে বিবাহ করলেন তখন উস্মু সুলায়ম (রাযিঃ) পাথরের একটি পাত্রে তাঁর জন্য হায়স পাঠালেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি যাও, মুসলিমদের মধ্যে যার সঙ্গে তোমার সাক্ষাত হয় তাকে আমার পক্ষ থেকে দাওয়াত দাও। তারপর যার সাথে সাক্ষাত হল আমি তাকে দাওয়াত দিলাম। তারা তাঁর কাছে আসতে শুরু করল এবং খেয়ে চলে যেতে লাগল। আর নবী (ﷺ) তাঁর হাত খাদ্যের উপর রাখলেন এবং তাতে দুআ পড়লেন। এতে আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি যা পাঠ করার তা পড়লেন।
যাদেরই সাথে আমার সাক্ষাত হয়েছে তাকেই দাওয়াত দিতে বাদ দেইনি। সকলেই খেল এবং তৃপ্ত হল। তারা বেরিয়ে গেল কিন্তু তাদের একদল রয়ে গেল। তারা তাঁর সেখানে দীর্ঘালাপে লিপ্ত রইল। নবী (ﷺ) তাদের কিছু বলতে লজ্জাবোধ করছিলেন। তাই তিনি নিজেই বেরিয়ে গেলেন এবং তাদের ঘরে রেখে গেলেন। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ (অর্থ) হে মুমিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য তোমরা নবী (ﷺ) গৃহে প্রবেশ করবে না।
কাতাদা (রাহঃ) বলেন,غير ناظرين إناه এর অর্থ তোমরা আহার্য প্রস্তুতির সময়ের যদি অপেক্ষা না কর তবে তোমাদের আহবান করলে তোমরা প্রবেশ করবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র।’ (৩৩ঃ ৫৩)।
যাদেরই সাথে আমার সাক্ষাত হয়েছে তাকেই দাওয়াত দিতে বাদ দেইনি। সকলেই খেল এবং তৃপ্ত হল। তারা বেরিয়ে গেল কিন্তু তাদের একদল রয়ে গেল। তারা তাঁর সেখানে দীর্ঘালাপে লিপ্ত রইল। নবী (ﷺ) তাদের কিছু বলতে লজ্জাবোধ করছিলেন। তাই তিনি নিজেই বেরিয়ে গেলেন এবং তাদের ঘরে রেখে গেলেন। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ (অর্থ) হে মুমিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য তোমরা নবী (ﷺ) গৃহে প্রবেশ করবে না।
কাতাদা (রাহঃ) বলেন,غير ناظرين إناه এর অর্থ তোমরা আহার্য প্রস্তুতির সময়ের যদি অপেক্ষা না কর তবে তোমাদের আহবান করলে তোমরা প্রবেশ করবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র।’ (৩৩ঃ ৫৩)।
باب زَوَاجِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَنُزُولِ الْحِجَابِ وَإِثْبَاتِ وَلِيمَةِ الْعُرْسِ
وحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ أَهْدَتْ لَهُ أُمُّ سُلَيْمٍ حَيْسًا فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ، فَقَالَ أَنَسٌ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اذْهَبْ، فَادْعُ لِي مَنْ لَقِيتَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ»، فَدَعَوْتُ لَهُ مَنْ لَقِيتُ، فَجَعَلُوا يَدْخُلُونَ عَلَيْهِ فَيَأْكُلُونَ وَيَخْرُجُونَ، وَوَضَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَى الطَّعَامِ، فَدَعَا فِيهِ، وَقَالَ فِيهِ مَا شَاءَ اللهُ أَنْ يَقُولَ، وَلَمْ أَدَعْ أَحَدًا لَقِيتُهُ إِلَّا دَعَوْتُهُ، فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا، وَخَرَجُوا وَبَقِيَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ، فَأَطَالُوا عَلَيْهِ الْحَدِيثَ، فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَحْيِي مِنْهُمْ أَنْ يَقُولَ لَهُمْ شَيْئًا، فَخَرَجَ وَتَرَكَهُمْ فِي الْبَيْتِ، فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ} [الأحزاب: 53]- قَالَ قَتَادَةُ: غَيْرَ مُتَحَيِّنِينَ طَعَامًا {وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا} [الأحزاب: 53] حَتَّى بَلَغَ {ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ} [الأحزاب: 53]

তাহকীক: