আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৭- বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৩৩৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৫-৩
১৪. দাসী আযাদ করে তাকে বিবাহ করা ফযীলত
৩৩৬৬। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বরের যুদ্ধে যান। বর্ণনাকারী বলেন আমরা খায়বরের কাছে অন্ধকার থাকতেই ফজরের নামায আদায় করলাম। তারপর নবী (ﷺ) এবং আবু তালহা (রাযিঃ) সওয়ার হলেন। আমি ছিলাম আবু তালহা (রাযিঃ) এর রাদীফ (তাঁর বাহনে তার পশ্চাতে উপবিষ্ট) নবী (ﷺ) খায়বরের গলি দিয়ে রওয়ানা দিলেন। এ সময় আমার হাটু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর উরুদেশ স্পর্শ করছিল এবং নবী (ﷺ) এর উরু থেকে লুঙ্গী সরে যাচ্ছিল। আর আমি নবী (ﷺ) এর উরুর শুভ্রতা দেখছিলাম। যখন তিনি বসতীতে প্রবেশ করলেন তখন বললেন, আল্লাহু আকবার, খায়বর ধ্বংস হোক। বস্তুত আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের অঙ্গিনায় অবতরণ করি তখন সতর্ককৃতদের প্রভাত হয় কত মন্দ’ একথা তিনি তিনবার বলেন।
বর্ণনাকারী বলেন ঐ সময় লোকজন তাদের কাজে বের হচ্ছিল। তারা বলতে লাগলো, আল্লাহর কসম! মুহাম্মাদ। বর্ণনাকারী আব্দুল আযীয বলেন, আমাদের কোন কোন উস্তাদ বলেছেন, পুরা বাহিনী। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা খায়বর জয় করলাম, এবং বন্দীদের একত্রিত করা হল। তখন দিহয়া (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কায়েদীদের মধ্যে থেকে আমাকে একজন দাসী প্রদান করুন। তিনি বললেনঃ যাও একজন দাসী নিয়ে নাও। তিনি সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই কে নিয়ে নিলেন। তখন এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, ইয়া নবী আল্লাহ! আপনি বনু কুরায়যা ও বনু নযীরের সর্দার হুয়ায়্যের কন্যা সাফিয়্যাকে দিহয়াকে দিয়ে দিয়েছেন? ইনি একমাত্র আপনারই উপযুক্ত হতে পারে। তিনি বললেন, তাকে সাফিয়্যাসহ ডাক।
তারপর দিহয়া (রাযিঃ) সাফিয়্যাসহ উপস্থিত হলেন। যখন নবী (ﷺ) তার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন, তখন তিনি দিহয়া (রাযিঃ) কে বললেন, তুমি সাফিয়্যা ব্যতীত কয়েদীদের মধ্য থেকে অন্য কোন দাসী নিয়ে নাও। বর্ণনাকারী বলেন তিনি সাফিয়্যাকে আযাদ করলেন এবং তাঁকে বিবাহ করলেন।
আনাসকে লক্ষ্য করে সাবিত (রাযিঃ) বললেন, হে আবু হামযা! তিনি তাঁকে কী মোহর দিলেন? তিনি বললেন, তিনি তাঁর সত্তাকে মুক্তি দান করেন এবং এর বিনিময়ে তাঁকে বিবাহ করেন। তারপর তিনি যখন (ফেরার) পথে ছিলেন তখন উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) সাফিয়্যা (রাযিঃ) কে তাঁর জন্য প্রস্তুত করেন এবং রাতে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। নবী (ﷺ) তাঁর সঙ্গে বাসর উদযাপনের পর ভোর হলে তিনি ঘোষণা করলেন, যার নিকট যা কিছু আছে তা নিয়ে যেন উপস্থিত হয়। আর তিনি চামড়ার বড় দস্তরখান বিছালেন। বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে কেউ পানীয়, কেউ খেজুর ও কেউ ঘি নিয়ে হাযির হল। তারপর এসব মিলিয়ে তারা হায়স তৈরী করেন। আর তাই ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওলীমা।
বর্ণনাকারী বলেন ঐ সময় লোকজন তাদের কাজে বের হচ্ছিল। তারা বলতে লাগলো, আল্লাহর কসম! মুহাম্মাদ। বর্ণনাকারী আব্দুল আযীয বলেন, আমাদের কোন কোন উস্তাদ বলেছেন, পুরা বাহিনী। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা খায়বর জয় করলাম, এবং বন্দীদের একত্রিত করা হল। তখন দিহয়া (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কায়েদীদের মধ্যে থেকে আমাকে একজন দাসী প্রদান করুন। তিনি বললেনঃ যাও একজন দাসী নিয়ে নাও। তিনি সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই কে নিয়ে নিলেন। তখন এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, ইয়া নবী আল্লাহ! আপনি বনু কুরায়যা ও বনু নযীরের সর্দার হুয়ায়্যের কন্যা সাফিয়্যাকে দিহয়াকে দিয়ে দিয়েছেন? ইনি একমাত্র আপনারই উপযুক্ত হতে পারে। তিনি বললেন, তাকে সাফিয়্যাসহ ডাক।
তারপর দিহয়া (রাযিঃ) সাফিয়্যাসহ উপস্থিত হলেন। যখন নবী (ﷺ) তার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন, তখন তিনি দিহয়া (রাযিঃ) কে বললেন, তুমি সাফিয়্যা ব্যতীত কয়েদীদের মধ্য থেকে অন্য কোন দাসী নিয়ে নাও। বর্ণনাকারী বলেন তিনি সাফিয়্যাকে আযাদ করলেন এবং তাঁকে বিবাহ করলেন।
আনাসকে লক্ষ্য করে সাবিত (রাযিঃ) বললেন, হে আবু হামযা! তিনি তাঁকে কী মোহর দিলেন? তিনি বললেন, তিনি তাঁর সত্তাকে মুক্তি দান করেন এবং এর বিনিময়ে তাঁকে বিবাহ করেন। তারপর তিনি যখন (ফেরার) পথে ছিলেন তখন উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) সাফিয়্যা (রাযিঃ) কে তাঁর জন্য প্রস্তুত করেন এবং রাতে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। নবী (ﷺ) তাঁর সঙ্গে বাসর উদযাপনের পর ভোর হলে তিনি ঘোষণা করলেন, যার নিকট যা কিছু আছে তা নিয়ে যেন উপস্থিত হয়। আর তিনি চামড়ার বড় দস্তরখান বিছালেন। বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে কেউ পানীয়, কেউ খেজুর ও কেউ ঘি নিয়ে হাযির হল। তারপর এসব মিলিয়ে তারা হায়স তৈরী করেন। আর তাই ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওলীমা।
باب فَضِيلَةِ إِعْتَاقِهِ أَمَتَهُ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ - عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا خَيْبَرَ قَالَ فَصَلَّيْنَا عِنْدَهَا صَلاَةَ الْغَدَاةِ بِغَلَسٍ فَرَكِبَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكِبَ أَبُو طَلْحَةَ وَأَنَا رَدِيفُ أَبِي طَلْحَةَ فَأَجْرَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي زُقَاقِ خَيْبَرَ وَإِنَّ رُكْبَتِي لَتَمَسُّ فَخِذَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَانْحَسَرَ الإِزَارُ عَنْ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي لأَرَى بَيَاضَ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا دَخَلَ الْقَرْيَةَ قَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ " . قَالَهَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَ وَقَدْ خَرَجَ الْقَوْمُ إِلَى أَعْمَالِهِمْ فَقَالُوا مُحَمَّدٌ وَاللَّهِ . قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ وَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِنَا مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ . قَالَ وَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً وَجُمِعَ السَّبْىُ فَجَاءَهُ دِحْيَةُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطِنِي جَارِيَةً مِنَ السَّبْىِ . فَقَالَ " اذْهَبْ فَخُذْ جَارِيَةً " . فَأَخَذَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَىٍّ فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَعْطَيْتَ دِحْيَةَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَىٍّ سَيِّدِ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ مَا تَصْلُحُ إِلاَّ لَكَ . قَالَ " ادْعُوهُ بِهَا " . قَالَ فَجَاءَ بِهَا فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خُذْ جَارِيَةً مِنَ السَّبْىِ غَيْرَهَا " . قَالَ وَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا . فَقَالَ لَهُ ثَابِتٌ يَا أَبَا حَمْزَةَ مَا أَصْدَقَهَا قَالَ نَفْسَهَا أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا حَتَّى إِذَا كَانَ بِالطَّرِيقِ جَهَّزَتْهَا لَهُ أُمُّ سُلَيْمٍ فَأَهْدَتْهَا لَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَأَصْبَحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَرُوسًا فَقَالَ " مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَىْءٌ فَلْيَجِئْ بِهِ " قَالَ وَبَسَطَ نِطَعًا قَالَ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالأَقِطِ وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالتَّمْرِ وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالسَّمْنِ فَحَاسُوا حَيْسًا . فَكَانَتْ وَلِيمَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৫-৪
১৪. দাসী আযাদ করে তাকে বিবাহ করা ফযীলত
৩৩৬৭। আবুর রাবী যাহরানী, কুতায়বা ইবনে সাঈদ, মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ গুবারী, যুহাইর ইবনে হারব ও মুহাম্মাদ ইবনে রফি (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি সাফিয়্যাকে আযাদ করলেন এবং তার আযাদীকে মোহর ধার্য করলেন। অপর এক হাদীসে মু’আয তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) সাফিয়্যাকে বিবাহ করেন এবং তাঁর আযাদীকে মোহর ধার্য করেন।’
باب فَضِيلَةِ إِعْتَاقِهِ أَمَتَهُ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - عَنْ ثَابِتٍ، وَعَبْدِ، الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - عَنْ ثَابِتٍ، وَشُعَيْبِ، بْنِ حَبْحَابٍ عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، وَعُمَرُ بْنُ سَعْدٍ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسٍ، كُلُّهُمْ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا . وَفِي حَدِيثِ مُعَاذٍ عَنْ أَبِيهِ تَزَوَّجَ صَفِيَّةَ وَأَصْدَقَهَا عِتْقَهَا.

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪-২
১৪. দাসী আযাদ করে তাকে বিবাহ করা ফযীলত
৩৩৬৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে তার দাসী আযাদ করে তাকে বিয়ে করে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সাওয়াব।
باب فَضِيلَةِ إِعْتَاقِهِ أَمَتَهُ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الَّذِي يُعْتِقُ جَارِيَتَهُ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا " لَهُ أَجْرَانِ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৩৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৫-১৪২৮
১৪. দাসী আযাদ করে তাকে বিবাহ করা ফযীলত
৩৩৬৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বরের যুদ্ধে আমি আবু তালহা (রাযিঃ) এর পিছনে সওয়ার ছিলাম। আমার পা তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কদম মুবারক স্পর্শ করছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা সূর্যোদয়ের সময় খায়বরবাসীদের নিকট পৌঁছলাম। তারা তখন চতুষ্পদ জন্তু, কোদাল, বস্তা ও রশি নিয়ে বের হচ্ছিল। তারা বলতে লাগলো মুহাম্মাদ তাঁর পঞ্চবাহিনী (পূর্ণ বাহিনী) নিয়ে এসে গেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ খায়বর ধ্বংস হোক, আমরা যখন কোন শক্র দলের আঙ্গিনায় অবতরণ করি তখন সতর্কীকৃত লোকদের প্রভাত হয় মন্দ। বর্ণনাকারী বলেন, (ঐ অভিযানে) আল্লাহ তাদের পরাজিত করেছেন। দিহয়া (রাযিঃ) এর ভাগে পড়ে সুন্দরী দাসী। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাতজন দাসের বিনিময়ে সে দাসীকে খরীদ করে নেন।
অতঃপর তাকে উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ)-এর হাওয়ালা করেন যাতে তিনি তাঁকে ঠিকঠাক করে প্রস্তুত করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় রাবী একথাও বলেছেন, সে যেন তাঁর ঘরে ইদ্দত পুর্ণ করে। তিনি ছিলেন হুয়ায়্যের কন্যা সাফিয়্যা। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খেজুর, পানীয় ও ঘি দিয়ে তার ওলীমা করলেন। এ উদ্দেশ্যে যমীনের কিছু অংশ গর্ত আকারের করে তাতে চামড়ার বড় দস্তরখান বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতেই পানীয় ও ঘি রাখা হয়। সকলেই তা তৃপ্তির সাথে আহার করলেন।
বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা বলতে লাগলঃ আমরা জানি না, তিনি তাকে বিবাহ করলেন, না উম্মু ওলাদ (দাসী) রূপে গ্রহণ করলেন। আবার কয়েকজন বলতে লাগল, যদি তিনি তার পর্দার ব্যবস্থা না করেন তবে তার উম্মু ওলাদ। তিনি যখন বাহনে সওয়ার হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন তার জন্য পর্দার ব্যবস্থা করলেন। এরপর সাফিয়্যা (রাযিঃ) উটের পিছনের দিকে বসলেন। তখন লোকেরা জানতে পারল যে, তিনি তাঁকে বিবাহ করেছেন।
সাহাবীগণ যখন মদীনার নিকটবর্তী হলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন দ্রুত অগ্রসর হতে থাকলেন এবং আমরাও দ্রুত চললাম। তখন নবীজীর আসবাব উটনীটি হোঁচট খেয়ে যমীনে পড়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যমীনে পড়ে যান এবং সাফিয়্যা (রাযিঃ)ও পড়ে যান। তিনি দাঁড়িয়ে সাফিয়্যা (রাযিঃ)-কে পর্দার দ্বারা আবৃত করে দেন। এ দেখে কতিপয় মহিলা বলতে লাগল, ইয়াহুদী মাহিলাকে আল্লাহ তার রহমত থেকে বঞ্চিত করুন।
বর্ণনাকারী বলেন আমি বললাম, হে আবু হামযা! সত্যই কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটনী থেকে যমীনে পড়ে গিয়েছিলেন? তিনি শপথ করে বললেন, হ্যাঁ। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি নিজে যায়নাব (রাযিঃ) এর ওলীমা অনুষ্ঠানে ছিলাম। সে অনুষ্ঠানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের তৃপ্তি সহকারে রুটি ও গোশত আহার করিয়ে ছিলেন। সেই ওলীমার দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি যখন ওলীমার কাজ শেষ করে উঠলেন আমিও তাঁর পিছনে চললাম। তখনও দুজন লোক ঘরে কথা বার্তায় ব্যস্ত রইল, তারা বের হলেন না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর স্ত্রীগণের নিকট গেলেন এবং প্রত্যেককেই আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম জানিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে গৃহবাসী! তোমরা কেমন আছ? উত্তরে প্রত্যেকেই বলেন, আমরা ভাল আছি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কেমন আছেন? উত্তরে প্রত্যেকেই বলেন, আপনি আপনার নব পরিনীতাকে কেমন পেয়েছেন? বললেন, ভালই।
তিনি যখন এ কাজ শেষ করে ফিরে এলেন আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন তিনি দরজার কাছে এলেন দেখলেন যে, সে দু’জন আলোচনায় রত আছে। তারা তাঁকে ফিরে যেতে দেখে উঠে চলে গেল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার মনে নেই, ঘর থেকে ঐ দু’জন লোকের বের হয়ে যাওয়ার কথা আমি তাঁকে জানিয়ে ছিলাম, না এ ব্যাপারে তার উপর ওহী নাযিল হয়েছিল। তিনি আবার ফিরে এলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন দরজার চৌকাঠে পা রাখলেন তখন তিনি আমার ও তাঁর মাঝে পর্দা টেনে দিলেন, আর আল্লাহ এই আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ ‘তোমরা নবীর ঘরে তার বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করবে না।’
অতঃপর তাকে উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ)-এর হাওয়ালা করেন যাতে তিনি তাঁকে ঠিকঠাক করে প্রস্তুত করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় রাবী একথাও বলেছেন, সে যেন তাঁর ঘরে ইদ্দত পুর্ণ করে। তিনি ছিলেন হুয়ায়্যের কন্যা সাফিয়্যা। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খেজুর, পানীয় ও ঘি দিয়ে তার ওলীমা করলেন। এ উদ্দেশ্যে যমীনের কিছু অংশ গর্ত আকারের করে তাতে চামড়ার বড় দস্তরখান বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতেই পানীয় ও ঘি রাখা হয়। সকলেই তা তৃপ্তির সাথে আহার করলেন।
বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা বলতে লাগলঃ আমরা জানি না, তিনি তাকে বিবাহ করলেন, না উম্মু ওলাদ (দাসী) রূপে গ্রহণ করলেন। আবার কয়েকজন বলতে লাগল, যদি তিনি তার পর্দার ব্যবস্থা না করেন তবে তার উম্মু ওলাদ। তিনি যখন বাহনে সওয়ার হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন তার জন্য পর্দার ব্যবস্থা করলেন। এরপর সাফিয়্যা (রাযিঃ) উটের পিছনের দিকে বসলেন। তখন লোকেরা জানতে পারল যে, তিনি তাঁকে বিবাহ করেছেন।
সাহাবীগণ যখন মদীনার নিকটবর্তী হলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন দ্রুত অগ্রসর হতে থাকলেন এবং আমরাও দ্রুত চললাম। তখন নবীজীর আসবাব উটনীটি হোঁচট খেয়ে যমীনে পড়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যমীনে পড়ে যান এবং সাফিয়্যা (রাযিঃ)ও পড়ে যান। তিনি দাঁড়িয়ে সাফিয়্যা (রাযিঃ)-কে পর্দার দ্বারা আবৃত করে দেন। এ দেখে কতিপয় মহিলা বলতে লাগল, ইয়াহুদী মাহিলাকে আল্লাহ তার রহমত থেকে বঞ্চিত করুন।
বর্ণনাকারী বলেন আমি বললাম, হে আবু হামযা! সত্যই কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটনী থেকে যমীনে পড়ে গিয়েছিলেন? তিনি শপথ করে বললেন, হ্যাঁ। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি নিজে যায়নাব (রাযিঃ) এর ওলীমা অনুষ্ঠানে ছিলাম। সে অনুষ্ঠানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের তৃপ্তি সহকারে রুটি ও গোশত আহার করিয়ে ছিলেন। সেই ওলীমার দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি যখন ওলীমার কাজ শেষ করে উঠলেন আমিও তাঁর পিছনে চললাম। তখনও দুজন লোক ঘরে কথা বার্তায় ব্যস্ত রইল, তারা বের হলেন না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর স্ত্রীগণের নিকট গেলেন এবং প্রত্যেককেই আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম জানিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে গৃহবাসী! তোমরা কেমন আছ? উত্তরে প্রত্যেকেই বলেন, আমরা ভাল আছি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কেমন আছেন? উত্তরে প্রত্যেকেই বলেন, আপনি আপনার নব পরিনীতাকে কেমন পেয়েছেন? বললেন, ভালই।
তিনি যখন এ কাজ শেষ করে ফিরে এলেন আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন তিনি দরজার কাছে এলেন দেখলেন যে, সে দু’জন আলোচনায় রত আছে। তারা তাঁকে ফিরে যেতে দেখে উঠে চলে গেল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার মনে নেই, ঘর থেকে ঐ দু’জন লোকের বের হয়ে যাওয়ার কথা আমি তাঁকে জানিয়ে ছিলাম, না এ ব্যাপারে তার উপর ওহী নাযিল হয়েছিল। তিনি আবার ফিরে এলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন দরজার চৌকাঠে পা রাখলেন তখন তিনি আমার ও তাঁর মাঝে পর্দা টেনে দিলেন, আর আল্লাহ এই আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ ‘তোমরা নবীর ঘরে তার বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করবে না।’
باب فَضِيلَةِ إِعْتَاقِهِ أَمَتَهُ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كُنْتُ رِدْفَ أَبِي طَلْحَةَ يَوْمَ خَيْبَرَ وَقَدَمِي تَمَسُّ قَدَمَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَأَتَيْنَاهُمْ حِينَ بَزَغَتِ الشَّمْسُ وَقَدْ أَخْرَجُوا مَوَاشِيَهُمَ وَخَرَجُوا بِفُئُوسِهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ وَمُرُورِهِمْ فَقَالُوا مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ - قَالَ - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ " . قَالَ وَهَزَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَوَقَعَتْ فِي سَهْمِ دَحْيَةَ جَارِيَةٌ جَمِيلَةٌ فَاشْتَرَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعَةِ أَرْؤُسٍ ثُمَّ دَفَعَهَا إِلَى أُمِّ سُلَيْمٍ تُصَنِّعُهَا لَهُ وَتُهَيِّئُهَا - قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ - وَتَعْتَدُّ فِي بَيْتِهَا وَهِيَ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ - قَالَ - وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلِيمَتَهَا التَّمْرَ وَالأَقِطَ وَالسَّمْنَ فُحِصَتِ الأَرْضُ أَفَاحِيصَ وَجِيءَ بِالأَنْطَاعِ فَوُضِعَتْ فِيهَا وَجِيءَ بِالأَقِطِ وَالسَّمْنِ فَشَبِعَ النَّاسُ - قَالَ - وَقَالَ النَّاسُ لاَ نَدْرِي أَتَزَوَّجَهَا أَمِ اتَّخَذَهَا أُمَّ وَلَدٍ . قَالُوا إِنْ حَجَبَهَا فَهْىَ امْرَأَتُهُ وَإِنْ لَمْ يَحْجُبْهَا فَهْىَ أُمُّ وَلَدٍ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَبَ حَجَبَهَا فَقَعَدَتْ عَلَى عَجُزِ الْبَعِيرِ فَعَرَفُوا أَنَّهُ قَدْ تَزَوَّجَهَا . فَلَمَّا دَنَوْا مِنَ الْمَدِينَةِ دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَدَفَعْنَا - قَالَ - فَعَثَرَتِ النَّاقَةُ الْعَضْبَاءُ وَنَدَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَدَرَتْ فَقَامَ فَسَتَرَهَا وَقَدْ أَشْرَفَتِ النِّسَاءُ فَقُلْنَ أَبْعَدَ اللَّهُ الْيَهُودِيَّةَ . قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا حَمْزَةَ أَوَقَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِي وَاللَّهِ لَقَدْ وَقَعَ .
قَالَ أَنَسٌ وَشَهِدْتُ وَلِيمَةَ زَيْنَبَ فَأَشْبَعَ النَّاسَ خُبْزًا وَلَحْمًا وَكَانَ يَبْعَثُنِي فَأَدْعُو النَّاسَ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ وَتَبِعْتُهُ فَتَخَلَّفَ رَجُلاَنِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ لَمْ يَخْرُجَا فَجَعَلَ يَمُرُّ عَلَى نِسَائِهِ فَيُسَلِّمُ عَلَى كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ " سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ كَيْفَ أَنْتُمْ يَا أَهْلَ الْبَيْتِ " . فَيَقُولُونَ بِخَيْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ فَيَقُولُ " بِخَيْرٍ " . فَلَمَّا فَرَغَ رَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا بَلَغَ الْبَابَ إِذَا هُوَ بِالرَّجُلَيْنِ قَدِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ فَلَمَّا رَأَيَاهُ قَدْ رَجَعَ قَامَا فَخَرَجَا فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ أَمْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْىُ بِأَنَّهُمَا قَدْ خَرَجَا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي أُسْكُفَّةِ الْبَابِ أَرْخَى الْحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ ( لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ) الآيَةَ .
قَالَ أَنَسٌ وَشَهِدْتُ وَلِيمَةَ زَيْنَبَ فَأَشْبَعَ النَّاسَ خُبْزًا وَلَحْمًا وَكَانَ يَبْعَثُنِي فَأَدْعُو النَّاسَ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ وَتَبِعْتُهُ فَتَخَلَّفَ رَجُلاَنِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ لَمْ يَخْرُجَا فَجَعَلَ يَمُرُّ عَلَى نِسَائِهِ فَيُسَلِّمُ عَلَى كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ " سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ كَيْفَ أَنْتُمْ يَا أَهْلَ الْبَيْتِ " . فَيَقُولُونَ بِخَيْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ فَيَقُولُ " بِخَيْرٍ " . فَلَمَّا فَرَغَ رَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا بَلَغَ الْبَابَ إِذَا هُوَ بِالرَّجُلَيْنِ قَدِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ فَلَمَّا رَأَيَاهُ قَدْ رَجَعَ قَامَا فَخَرَجَا فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ أَمْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْىُ بِأَنَّهُمَا قَدْ خَرَجَا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي أُسْكُفَّةِ الْبَابِ أَرْخَى الْحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ ( لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ) الآيَةَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৫-৬
১৪. দাসী আযাদ করে তাকে বিবাহ করা ফযীলত
৩৩৭০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আব্দুল্লাহ ইবনে হাশিম ইবনে হায়্যান (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাফিয়্যা (রাযিঃ) দিহয়া (রাযিঃ) এর ভাগে পড়েন। লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে তাঁর প্রশংসা করে বলতে লাগলো, আমরা কয়েদীদের মধ্যে তাঁর কোন জুড়ি দেখি নি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন তিনি দিহয়াকে ডেকে পাঠালেন এবং সাফিয়্যার বদলে তাকে যা তিনি চাইলে তা দিয়ে দিলেন। তারপর তিনি সাফিয়্যাকে আমার মায়ের হাওয়ালা করলেন এবং বললেন, তুমি তাকে (সাজিয়ে) ঠিকঠাক করে দাও।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বর থেকে বের হয়ে পড়লেন। খায়বর পিছনে ছেড়ে আসার পর তিনি একজায়গায় যাত্রা বিরতি দিলেন। তারপর সাফিয়্যার উপর একটি তাঁবু খাটিয়ে দিলেন। ভোরে উঠে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যার কাছে উদ্ধৃত্ত খাদ্য আছে সে যেন তা আমার কাছে নিয়ে আসে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন লোকজন তাদেরউদ্ধৃত্ত খেজুর এবং উদ্ধুত্ত ছাতু আনতে লাগল। এমনকি এগুলোর একটি স্তুপ পরিমাণ জমা করে হায়স তৈরী করল তারপর সকলে হায়স থেকে খেতে লাগল এবং বৃষ্টির পানির হাউয থেকে তারা পানি পান করতে লাগল। বর্ণনাকারী (সাবিত) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেন, তাই ছিল সাফিয়্যা (রাযিঃ)-এর ওলীমা।
তিনি বলেন, তারপর আমরা এরপর রওয়ানা দিলাম এবং যখন মদীনার প্রাচীরগুলো দেখতে পেলাম তখন মদীনার জন্য আমাদের মন উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। আমরা আমাদের সওয়ারীগুলোকে দ্রুত চালনা করলাম এবং তিনিও তাঁর সওয়ারীকে দ্রুত চালালেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, সাফিয়্যা তার পিছনে তার সাথে সওয়ার করে গিয়েছিলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উটনী হোঁচট খায়। ফলে তিনি ও সাফিয়্যা পড়ে যান।
বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা কেউ তাঁর ও সাফিয়্যার দিকে দৃষ্টিপাত করেননি। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে তাকে আবৃত করলেন। তিনি বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা মদীনায় প্রবেশ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অপরাপর সহধর্মিনীদের দাসীরা বের হয়ে সাফিয়্যাকে পরস্পর দেখাতে লাগলেন এবং তাঁর মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণে আফসোস করতে লাগলেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বর থেকে বের হয়ে পড়লেন। খায়বর পিছনে ছেড়ে আসার পর তিনি একজায়গায় যাত্রা বিরতি দিলেন। তারপর সাফিয়্যার উপর একটি তাঁবু খাটিয়ে দিলেন। ভোরে উঠে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যার কাছে উদ্ধৃত্ত খাদ্য আছে সে যেন তা আমার কাছে নিয়ে আসে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন লোকজন তাদেরউদ্ধৃত্ত খেজুর এবং উদ্ধুত্ত ছাতু আনতে লাগল। এমনকি এগুলোর একটি স্তুপ পরিমাণ জমা করে হায়স তৈরী করল তারপর সকলে হায়স থেকে খেতে লাগল এবং বৃষ্টির পানির হাউয থেকে তারা পানি পান করতে লাগল। বর্ণনাকারী (সাবিত) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেন, তাই ছিল সাফিয়্যা (রাযিঃ)-এর ওলীমা।
তিনি বলেন, তারপর আমরা এরপর রওয়ানা দিলাম এবং যখন মদীনার প্রাচীরগুলো দেখতে পেলাম তখন মদীনার জন্য আমাদের মন উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। আমরা আমাদের সওয়ারীগুলোকে দ্রুত চালনা করলাম এবং তিনিও তাঁর সওয়ারীকে দ্রুত চালালেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, সাফিয়্যা তার পিছনে তার সাথে সওয়ার করে গিয়েছিলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উটনী হোঁচট খায়। ফলে তিনি ও সাফিয়্যা পড়ে যান।
বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা কেউ তাঁর ও সাফিয়্যার দিকে দৃষ্টিপাত করেননি। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে তাকে আবৃত করলেন। তিনি বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা মদীনায় প্রবেশ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অপরাপর সহধর্মিনীদের দাসীরা বের হয়ে সাফিয়্যাকে পরস্পর দেখাতে লাগলেন এবং তাঁর মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণে আফসোস করতে লাগলেন।
باب فَضِيلَةِ إِعْتَاقِهِ أَمَتَهُ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِثٍ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنِي بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمِ بْنِ حَيَّانَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، قَالَ صَارَتْ صَفِيَّةُ لِدَحْيَةَ فِي مَقْسَمِهِ وَجَعَلُوا يَمْدَحُونَهَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - وَيَقُولُونَ مَا رَأَيْنَا فِي السَّبْىِ مِثْلَهَا - قَالَ - فَبَعَثَ إِلَى دِحْيَةَ فَأَعْطَاهُ بِهَا مَا أَرَادَ ثُمَّ دَفَعَهَا إِلَى أُمِّي فَقَالَ " أَصْلِحِيهَا " . قَالَ ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خَيْبَرَ حَتَّى إِذَا جَعَلَهَا فِي ظَهْرِهِ نَزَلَ ثُمَّ ضَرَبَ عَلَيْهَا الْقُبَّةَ فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ عِنْدَهُ فَضْلُ زَادٍ فَلْيَأْتِنَا بِهِ " . قَالَ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِفَضْلِ التَّمْرِ وَفَضْلِ السَّوِيقِ حَتَّى جَعَلُوا مِنْ ذَلِكَ سَوَادًا حَيْسًا فَجَعَلُوا يَأْكُلُونَ مِنْ ذَلِكَ الْحَيْسِ وَيَشْرَبُونَ مِنْ حِيَاضٍ إِلَى جَنْبِهِمْ مِنْ مَاءِ السَّمَاءِ - قَالَ - فَقَالَ أَنَسٌ فَكَانَتْ تِلْكَ وَلِيمَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهَا - قَالَ - فَانْطَلَقْنَا حَتَّى إِذَا رَأَيْنَا جُدُرَ الْمَدِينَةِ هَشِشْنَا إِلَيْهَا فَرَفَعْنَا مَطِيَّنَا وَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَطِيَّتَهُ - قَالَ - وَصَفِيَّةُ خَلْفَهُ قَدْ أَرْدَفَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَعَثَرَتْ مَطِيَّةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصُرِعَ وَصُرِعَتْ قَالَ فَلَيْسَ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ يَنْظُرُ إِلَيْهِ وَلاَ إِلَيْهَا حَتَّى قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَتَرَهَا - قَالَ - فَأَتَيْنَاهُ فَقَالَ " لَمْ نُضَرَّ " . قَالَ فَدَخَلْنَا الْمَدِينَةَ فَخَرَجَ جَوَارِي نِسَائِهِ يَتَرَاءَيْنَهَا وَيَشْمَتْنَ بِصَرْعَتِهَا .

তাহকীক: