আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ২৭২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-৫
৯. কোন অসুবিধার কারণে ইহরাম অবস্থায় মাথা কামানো জায়েয, মাথা কামালে ফিদয়া দেয়া ওয়াজিব এবং ফিদয়ার পরিমাণ
২৭২৬। আবু কামিল জাহদারী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন এবং আমরাও তাঁর সফর সঙ্গী হলাম। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভিন্ন পথ ধরলেন এবং আবু কাতাদা (রাযিঃ) সহ কতিপয় সাহাবীকে (অন্য পথ অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে) বললেন, তোমরা আমার সঙ্গে সাক্ষাত না করা পর্যন্ত সমূদ্র তীরবর্তী পথ ধরে অগ্রসর হও। আবু কাতাদা (রাযিঃ) বলেন, অতএব তারা সমুদ্র উপকূল বরাবর পথ ধরলেন। তারা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পথে মোড় নিলেন, তখন আবু কাতাদা (রাযিঃ) ছাড়া আর সকলে ইহরাম বাঁধলেন, তিনি ইহরাম বাঁধলেন না। এই অবস্থায় পথ চলতে চলতে তারা কতকগুলো বন্য গাধা দেখতে পেলেন এবং আবু কাতাদা (রাযিঃ) এগুলোকে আক্রমণ করে একটি গাধী শিকার করলেন। তারা যাত্রা বিরতি দিয়ে গাধীর গোশত খেলেন।

আবু কাতাদা (রাযিঃ) বলেন, তারা বললেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় শিকারের গোশত খেলাম। এরপর তারা এর অবশিষ্ট গোশত সঙ্গে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে মিলিত হায়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা ইহরাম বেঁধেছি কিন্তু আবু কাতাদা (রাযিঃ) ইহরাম বাঁধেন নি। এই অবস্থায় আমরা কয়েকটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। আবু কাতাদা (রাযিঃ) এগুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি গাধী শিকার করেন। আমরা যাত্রা বিরতি দিয়ে এর গোশত খেয়েছি। অতঃপর আমরা পরস্পর বললাম, আমরা ইহরাম অবস্থায় শিকারকৃত পশুর গোশত আহার করব কি অথচ আমরা মুহরিম? আমরা অবশিষ্ট গোশত সাথে করে নিয়ে এসেছি। নবী (ﷺ) বললেন, তোমাদের কেউ কি তা শিকার করার নির্দেশ অথবা ইঙ্গিত করেছে? তারা বললেন, না। তিনি বললেন, তাহলে অবশিষ্ট গোশতও খেতে পার।
باب جَوَازِ حَلْقِ الرَّأْسِ لِلْمُحْرِمِ إِذَا كَانَ بِهِ أَذًى وَوُجُوبِ الْفِدْيَةِ لِحَلْقِهِ وَبَيَانِ قَدْرِهَا
حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، - رضى الله عنه - قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَاجًّا وَخَرَجْنَا مَعَهُ - قَالَ - فَصَرَفَ مِنْ أَصْحَابِهِ فِيهِمْ أَبُو قَتَادَةَ فَقَالَ " خُذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ حَتَّى تَلْقَوْنِي " . قَالَ فَأَخَذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ . فَلَمَّا انْصَرَفُوا قِبَلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْرَمُوا كُلُّهُمْ إِلاَّ أَبَا قَتَادَةَ فَإِنَّهُ لَمْ يُحْرِمْ فَبَيْنَمَا هُمْ يَسِيرُونَ إِذْ رَأَوْا حُمُرَ وَحْشٍ فَحَمَلَ عَلَيْهَا أَبُو قَتَادَةَ فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا فَنَزَلُوا فَأَكَلُوا مِنْ لَحْمِهَا - قَالَ - فَقَالُوا أَكَلْنَا لَحْمًا وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ - قَالَ - فَحَمَلُوا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِ الأَتَانِ فَلَمَّا أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا أَحْرَمْنَا وَكَانَ أَبُو قَتَادَةَ لَمْ يُحْرِمْ فَرَأَيْنَا حُمُرَ وَحْشٍ فَحَمَلَ عَلَيْهَا أَبُو قَتَادَةَ فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا فَنَزَلْنَا فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهَا فَقُلْنَا نَأْكُلُ لَحْمَ صَيْدٍ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ . فَحَمَلْنَا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا . فَقَالَ " هَلْ مِنْكُمْ أَحَدٌ أَمَرَهُ أَوْ أَشَارَ إِلَيْهِ بِشَىْءٍ " . قَالَ قَالُوا لاَ . قَالَ " فَكُلُوا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا " .
হাদীস নং: ২৭২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-৬
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ......... শু’বা (রাহঃ) থেকে ও কাসিম ইবনে যাকারিয়া (রাহঃ) শায়বান থেকে এবং তারা উভয়ে ......... উসমান ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাওয়াহব (রাহঃ) থেকে উপরোক্ত সনদ সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। শায়বানের বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কেউ কি তাকে গাধাটি আক্রমণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে অথবা এর প্রতি ইঙ্গিত করেছে? আর শু’বার বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, ″তোমরা কি (শিকারের দিকে) ইঙ্গিত করেছিলে অথবা সাহায্য করেছিলে″ অথবা ″শিকার করেছিলে″, শু’বা বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই ″সাহায্য করেছিলে″ বলেছেন না″শিকার করেছিলে″ বলেছেন, তা আমি জানি না।
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ، بْنُ زَكَرِيَّاءَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ شَيْبَانَ، جَمِيعًا عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي رِوَايَةِ شَيْبَانَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمِنْكُمْ أَحَدٌ أَمَرَهُ أَنْ يَحْمِلَ عَلَيْهَا أَوْ أَشَارَ إِلَيْهَا " . وَفِي رِوَايَةِ شُعْبَةَ قَالَ " أَشَرْتُمْ أَوْ أَعَنْتُمْ " . أَوْ " أَصَدْتُمْ " . قَالَ شُعْبَةُ لاَ أَدْرِي قَالَ " أَعَنْتُمْ أَوْ أَصَدْتُمْ " .
হাদীস নং: ২৭২৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-৭
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৮। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আদু-দারিমী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু-কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তার পিতা তাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে হুদায়বিয়ার অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি ছাড়া আর সকলেই উমরা করার জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন। আমি একটি বন্য গাধা শিকার করলাম এবং আমার মুহরিম সঙ্গীদের এর গোশত খাওয়ালাম। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে অবহিত করলাম যে, শিকারের অবশিষ্ট গোশত আমাদের সাথে আছে। তিনি বললেন, তোমরা তা খাও। তখন তারা ছিলেন মুহরিম।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - وَهُوَ ابْنُ سَلاَّمٍ - أَخْبَرَنِي يَحْيَى، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، - رضى الله عنه - أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ الْحُدَيْبِيَةِ قَالَ فَأَهَلُّوا بِعُمْرَةٍ غَيْرِي - قَالَ - فَاصْطَدْتُ حِمَارَ وَحْشٍ فَأَطْعَمْتُ أَصْحَابِي وَهُمْ مُحْرِمُونَ ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنْبَأْتُهُ أَنَّ عِنْدَنَا مِنْ لَحْمِهِ فَاضِلَةً . فَقَالَ " كُلُوهُ " وَهُمْ مُحْرِمُونَ .
হাদীস নং: ২৭২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-৮
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৯। আহমদ ইবনে আব্দা যাব্বী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত যে, তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে (সফরে) রওয়ানা হলেন। তারা সবাই ইহরাম অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু আবু কাতাদা (রাযিঃ) হালাল অবস্থায় ছিলেন। হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বাবৎ। তবে এই বর্ণনায় আরও আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, এর কিছু গোশত তোমাদের সাথে আছে কি? তারা বললেন, তার পা আমাদের সাথে আছে। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা নিয়ে আহার করলেন।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ النُّمَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، - رضى الله عنه - أَنَّهُمْ خَرَجُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُمْ مُحْرِمُونَ وَأَبُو قَتَادَةَ مُحِلٌّ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَفِيهِ فَقَالَ " هَلْ مَعَكُمْ مِنْهُ شَىْءٌ " . قَالُوا مَعَنَا رِجْلُهُ . قَالَ فَأَخَذَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَهَا .
হাদীস নং: ২৭৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-৯
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭৩০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, কুতায়বা ও ইসহাক (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,আবু কাতাদা (রাযিঃ) ইহরামকারী একটি দলের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু তিনি ইহরাম ছাড়া ছিলেন। হাদীসের পরবর্তী বর্ণনা পূর্ববৎ। এতে আছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কেউ কি শিকারের দিকে ইঙ্গিত করেছে অথবা কোনরূপ নির্দেশ দিয়েছে? তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ না। তিনি বললেন, তাহলে এটা খেতে পার।
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَإِسْحَاقُ، عَنْ جَرِيرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ كَانَ أَبُو قَتَادَةَ فِي نَفَرٍ مُحْرِمِينَ وَأَبُو قَتَادَةَ مُحِلٌّ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ وَفِيهِ قَالَ " هَلْ أَشَارَ إِلَيْهِ إِنْسَانٌ مِنْكُمْ أَوْ أَمَرَهُ بِشَىْءٍ " . قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَكُلُوا " .
হাদীস নং: ২৭৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৭
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭৩১। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... মুআয ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে উসমান তায়মী (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। তাকে (শিকার করা) পাখির গোশত উপঢৌকন দেয়া হল। এ সময় তিনি ঘুমে ছিলেন। আমাদের কতক তা খেল এবং কতক বিরত থাকল। তালহা (রাযিঃ) ঘুম থেকে উঠে গোশত আহারকারীদের অনুকূলে মত প্রকাশ করলেন এবং বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে (ইহরাম অবস্থায়) তা (শিকার করা প্রাণীর গোশত) খেয়েছি।
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ الْمُنْكَدِرِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَنَحْنُ حُرُمٌ فَأُهْدِيَ لَهُ طَيْرٌ وَطَلْحَةُ رَاقِدٌ فَمِنَّا مَنْ أَكَلَ وَمِنَّا مَنْ تَوَرَّعَ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ طَلْحَةُ وَفَّقَ مَنْ أَكَلَهُ وَقَالَ أَكَلْنَاهُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .