আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ২৭১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৩-১
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭১৬। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) মালিক (রাহঃ) থেকে ......... সা’ব ইবনে জাসসামা লাইসী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বন্য গাধা (গোশত) হাদিয়া দিলেন। আর তিনি তখন আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন। তিনি তাকে তা ফেরত দিলেন। সা’ব (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার চেহারা মলিন দেখে বললেন, আমি তোমাকে তা ফেরত দিতাম না, কিন্তু আমরা ইহরাম অবস্থায় আছি।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ اللَّيْثِيِّ، أَنَّهُ أَهْدَى لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِمَارًا وَحْشِيًّا وَهُوَ بِالأَبْوَاءِ - أَوْ بِوَدَّانَ - فَرَدَّهُ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَلَمَّا أَنْ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا فِي وَجْهِي قَالَ " إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكَ إِلاَّ أَنَّا حُرُمٌ " .
হাদীস নং: ২৭১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৩-২
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭১৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ, কুতায়বা, লাঈস ইবনে সা’দ থেকে আব্দ ইবনে হুমায়দ আব্দুর রাযযাকের মধ্যস্থতায় মা’মার থেকে, ইয়াকুবের মধ্যস্থতায় সালিহ থেকে এবং সকলে হাসান হুলওয়ানী (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে উপরোক্ত সনদে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (সা’বা) তাকে বন্য গাধার গোশত হাদিয়া দিয়েছিলাম। ইমাম মালিক (রাহঃ) যেরূপ বর্ণনা করেছেন। লাইস ও সালিহ এর বর্ণনায় রয়েছে, সা’ব ইবনে জাসসামা (রাযিঃ) তাকে অবহিত করেছেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، وَقُتَيْبَةُ، جَمِيعًا عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَهْدَيْتُ لَهُ حِمَارَ وَحْشٍ . كَمَا قَالَ مَالِكٌ . وَفِي حَدِيثِ اللَّيْثِ وَصَالِحٍ أَنَّ الصَّعْبَ بْنَ جَثَّامَةَ أَخْبَرَهُ .
হাদীস নং: ২৭১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৩-৩
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭১৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, আবু বকর ইবনে শায়বা ও আমরুন-নাকিদ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে উল্লেখ আছে তিনি (সা’ব) বলেন, আমি তাঁকে বন্য গাধার গোশত হাদিয়া দিয়েছিলাম।
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ أَهْدَيْتُ لَهُ مِنْ لَحْمِ حِمَارِ وَحْشٍ .
হাদীস নং: ২৭১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৪-১
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭১৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’ব ইবনে জাসসামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর জন্য বন্য গাধার গোশত উপঢৌকন পাঠিয়েছিলেন। আর তিনি তখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। রাবী বলেন, তাই তিনি এই উপটৌকন তাকে ফেরত দিলেন এবং বললেন, আমরা যদি ইহরাম অবস্থায় না থাকতাম তবে তোমার এই উপঢৌকন অবশ্যই গ্রহণ করতাম।
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - قَالَ أَهْدَى الصَّعْبُ بْنُ جَثَّامَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِمَارَ وَحْشٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَرَدَّهُ عَلَيْهِ وَقَالَ " لَوْلاَ أَنَّا مُحْرِمُونَ لَقَبِلْنَاهُ مِنْكَ " .
হাদীস নং: ২৭২০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৪-২
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২০। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ......... মানসুর (রাহঃ) হাকাম (রাহঃ) থেকে মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না, ইবনে বাশশার ও শু’বা (রাহঃ)হাকাম (রাহঃ) থেকে ও উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ...শু’বা (রাহঃ) হাবীব (রাহঃ) থেকে তারা সকলে সা’ঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, সা’ব ইবনে জাসসামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) কে বন্য গাধার পায়ের গোশত হাদিয়া দেন। তখন তা থেকে রক্ত ঝরছিল। আর হাকামের সূত্রে শু’বা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে বন্য গাধার পেছনের অংশের কথা উল্লেখ আছে। আর হাবীবের শু’বা কর্তৃক অপর বর্ণনায় আছে, (সা’ব) বন্য গাধার উরুর পার্শ্বের গোশত নবী (ﷺ) এর জন্য উপঢৌকন পাঠান। কিন্তু তিনি তা ফেরত দেন।
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ مَنْصُورًا، يُحَدِّثُ عَنِ الْحَكَمِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبٍ، جَمِيعًا عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - فِي رِوَايَةِ مَنْصُورٍ عَنِ الْحَكَمِ أَهْدَى الصَّعْبُ بْنُ جَثَّامَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رِجْلَ حِمَارِ وَحْشٍ . وَفِي رِوَايَةِ شُعْبَةَ عَنِ الْحَكَمِ عَجُزَ حِمَارِ وَحْشٍ يَقْطُرُ دَمًا . وَفِي رِوَايَةِ شُعْبَةَ عَنْ حَبِيبٍ أُهْدِيَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شِقُّ حِمَارِ وَحْشٍ فَرَدَّهُ .
হাদীস নং: ২৭২১
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৫
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২১। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... তাউস (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যায়দ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) তাঁর নিকট এলেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইহরাম অবস্থায় যে, রাসুলুলাহ (ﷺ) কে শিকার করা জন্তুর গোশত উপঢৌকন দেওয়া হয়েছিল। সে সম্পর্কে আপনি আমার কাছে যেন কী রকম বর্ণনা করেছিলেন?
রাবী (তাউস) বলেন, তিনি বললেন, তাকে শিকারকৃত জন্তুর একটি অঙ্গ হাদিয়া দেওয়া হয়েছিল, তিনি তা ফেরত দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, আমরা এই গোশত খেতে পারি না, কারণ আমরা ইহরাম অবস্থায় আছি।
রাবী (তাউস) বলেন, তিনি বললেন, তাকে শিকারকৃত জন্তুর একটি অঙ্গ হাদিয়া দেওয়া হয়েছিল, তিনি তা ফেরত দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, আমরা এই গোশত খেতে পারি না, কারণ আমরা ইহরাম অবস্থায় আছি।
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - قَالَ قَدِمَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ يَسْتَذْكِرُهُ كَيْفَ أَخْبَرْتَنِي عَنْ لَحْمِ صَيْدٍ أُهْدِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ حَرَامٌ قَالَ قَالَ أُهْدِيَ لَهُ عُضْوٌ مِنْ لَحْمِ صَيْدٍ فَرَدَّهُ . فَقَالَ " إِنَّا لاَ نَأْكُلُهُ إِنَّا حُرُمٌ " .
হাদীস নং: ২৭২২
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-১
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২২। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম, এমনকি ‘কাহা’ নামক স্থানে গিয়ে পৌছলাম। আমাদের কতক ইহরাম অবস্থায় এবং কতক ইহরামবিহীন অবস্থায় ছিল। আমি লক্ষ্য করলাম, আমার সঙ্গীরা একটা কিছুর দিকে তাকাচ্ছে আমি তাকিয়ে দেখলাম, তা একটি বন্য গাধা। অতএব আমি আমার ঘোড়ার জ্বীন বাঁধলাম এবং বল্লম তুলে নিলাম। এরপর ঘোড়ার পিঠে চেপে বসলাম। এ অবস্থায় আমার চাবুক নীচে পড়ে গেল। আমি আমার সঙ্গীদের তা তুলে দিতে বললাম, তারা ইহরাম অবস্থায় ছিল। তাই তারা আল্লাহর শপথ করে বলল, আমরা তোমাকে এ ব্যাপারে কিছুমাত্র সাহায্য করতে পারব না।
অতঃপর আমি নীচে নেমে এসে তা তুললাম। তারপর ঘোড়ায় চড়ে গাধার পশ্চাদ্ধাবন করলাম। তা ছিল একটি টিলার আড়ালে। আমি বল্লমের আঘাতে এটাকে হত্যা করলাম। অতঃপর আমার সঙ্গীদের কাছে নিয়ে এলাম। তাদের কতক বলল, তা খাও, আর কতক বলল, খেও না। নবী (ﷺ) আমাদের সন্মুখভাগে ছিলেন। আমি ঘোড়া হাঁকিয়ে তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তা হালাল, অতএব তোমরা তা খাও।
অতঃপর আমি নীচে নেমে এসে তা তুললাম। তারপর ঘোড়ায় চড়ে গাধার পশ্চাদ্ধাবন করলাম। তা ছিল একটি টিলার আড়ালে। আমি বল্লমের আঘাতে এটাকে হত্যা করলাম। অতঃপর আমার সঙ্গীদের কাছে নিয়ে এলাম। তাদের কতক বলল, তা খাও, আর কতক বলল, খেও না। নবী (ﷺ) আমাদের সন্মুখভাগে ছিলেন। আমি ঘোড়া হাঁকিয়ে তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তা হালাল, অতএব তোমরা তা খাও।
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي، عُمَرَ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ، يَقُولُ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْقَاحَةِ فَمِنَّا الْمُحْرِمُ وَمِنَّا غَيْرُ الْمُحْرِمِ إِذْ بَصُرْتُ بِأَصْحَابِي يَتَرَاءَوْنَ شَيْئًا فَنَظَرْتُ فَإِذَا حِمَارُ وَحْشٍ . فَأَسْرَجْتُ فَرَسِي وَأَخَذْتُ رُمْحِي ثُمَّ رَكِبْتُ فَسَقَطَ مِنِّي سَوْطِي فَقُلْتُ لأَصْحَابِي وَكَانُوا مُحْرِمِينَ نَاوِلُونِي السَّوْطَ . فَقَالُوا وَاللَّهِ لاَ نُعِينُكَ عَلَيْهِ بِشَىْءٍ . فَنَزَلْتُ فَتَنَاوَلْتُهُ ثُمَّ رَكِبْتُ فَأَدْرَكْتُ الْحِمَارَ مِنْ خَلْفِهِ وَهُوَ وَرَاءَ أَكَمَةٍ فَطَعَنْتُهُ بِرُمْحِي فَعَقَرْتُهُ فَأَتَيْتُ بِهِ أَصْحَابِي فَقَالَ بَعْضُهُمْ كُلُوهُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ تَأْكُلُوهُ . وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَمَامَنَا فَحَرَّكْتُ فَرَسِي فَأَدْرَكْتُهُ فَقَالَ " هُوَ حَلاَلٌ فَكُلُوهُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-২
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু নযর নাফি’ (থেকে) এবং তিনি আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলেন। মক্কার একটি পথে যখন আমরা পৌছলাম তখন তিনি তার কতিপয় মুহরিম সঙ্গীসহ নবী (ﷺ) এর পেছনে পড়ে গেলেন। তিনি ছিলেন ইহরামমুক্ত। তিনি একটি বন্য গাধা দেখতে পেয়ে নিজের ঘোড়ায় চেপে বসলেন এবং সঙ্গীদেরকে তার চাবুকটি তুলে দিতে বললেন। তারা তা তুলে দিতে রাজী হলেন না। তিনি তাদেরকে নিজের বল্লমটি তুলে দিতে বললেন, এবারও তারা তার কথায় রাজী হলেন না। এরপর তিনি নিজেই তা তুলে নিলেন এবং ঘোড়া হাঁকিয়ে গাধাটি শিকার করলেন। নবী (ﷺ) এর কতিপয় সাহাবী তার গোশত খেলেন এবং কতক তা প্রত্যাখ্যান করলেন। অতএব তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পৌছে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, এতো খাদ্য, আল্লাহ তোমাদের তা দান করেছেন।
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ نَافِعٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، - رضى الله عنه - أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَ بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ تَخَلَّفَ مَعَ أَصْحَابٍ لَهُ مُحْرِمِينَ وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ فَرَأَى حِمَارًا وَحْشِيًّا فَاسْتَوَى عَلَى فَرَسِهِ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُنَاوِلُوهُ سَوْطَهُ فَأَبَوْا عَلَيْهِ فَسَأَلَهُمْ رُمْحَهُ فَأَبَوْا عَلَيْهِ فَأَخَذَهُ ثُمَّ شَدَّ عَلَى الْحِمَارِ فَقَتَلَهُ فَأَكَلَ مِنْهُ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَى بَعْضُهُمْ فَأَدْرَكُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " إِنَّمَا هِيَ طُعْمَةٌ أَطْعَمَكُمُوهَا اللَّهُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-৩
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৪। কুতায়বা (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) আতা ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে এবং তিনি আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে। বন্য গাধা সম্পর্কিত হাদীসটি এ সূত্রে ও আবু নযর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু যায়দ ইবনে আসলামের বর্ণনায় আরো আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, এর কিছু গোশত তোমাদের সাথে আছে কি?
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، - رضى الله عنه - فِي حِمَارِ الْوَحْشِ . مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي النَّضْرِ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " هَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِهِ شَىْءٌ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-৪
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৫। সালিহ ইবনে মিসমার সূলামী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা হুদায়বিয়ার বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে গেলেন। তার সঙ্গীগণ ইহরাম বাঁধলেন, কিন্তু আবু কাতাদা (রাযিঃ) ইহরাম বাঁধলেন না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে অবহিত করা হল যে, শক্ররা গাইকা নামক স্থানে ওত পেতে আছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার যাত্রা অব্যাহত রাখলেন। আবু কাতাদা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাঁর সাহাবীগণের সঙ্গে ছিলাম, তাদের কতক আমার দিকে চেয়ে হাসছিল। আমি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। আমি সেটিকে ধাওয়া করলাম এবং বর্শা ছুড়ে সেটিকে বিদ্ধ করলাম। তারপর সাহাবীদের সাহায্য চাইলাম। কিন্তু তারা আমাকে সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানালেন। আমরা এর গোশত খেলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কাবোধ করলাম। অতএব আমি তাঁর সন্ধানে চললাম। কখনো ঘোড়া দ্রুত হাকাচ্ছিলাম, আবার কখনো সাধারণভাবে চালাচ্ছিলাম।
মধ্যরাতে গিফার গোত্রের এক ব্যক্তির সাক্ষাত পেলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাক্ষাত পেয়েছে? সে বলল, আমি তাঁকে তা’হিন নামক স্থানে ছেড়ে এসেছি এবং তিনি সুকয়া নামক স্থানে দুপূরের সময়টা যাত্রা বিরতি করার মনস্থ করেছেন। আমি (আবু কাতাদা) তাঁর সাথে মিলিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সাহাবীগণ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আপনার জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। তারা আপনার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। অতএব আপনি তাদের জন্য অপেক্ষা করুন। অতএব তিনি তাদের জন্য অপেক্ষা করলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি একটি শিকার ধরেছি এবং তার কিছু অংশ আমার কাছে অবশিষ্ট আছে। নবী (ﷺ) লোকদের বললেন, তোমরা খাও। তারা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন।
মধ্যরাতে গিফার গোত্রের এক ব্যক্তির সাক্ষাত পেলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাক্ষাত পেয়েছে? সে বলল, আমি তাঁকে তা’হিন নামক স্থানে ছেড়ে এসেছি এবং তিনি সুকয়া নামক স্থানে দুপূরের সময়টা যাত্রা বিরতি করার মনস্থ করেছেন। আমি (আবু কাতাদা) তাঁর সাথে মিলিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সাহাবীগণ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আপনার জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। তারা আপনার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। অতএব আপনি তাদের জন্য অপেক্ষা করুন। অতএব তিনি তাদের জন্য অপেক্ষা করলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি একটি শিকার ধরেছি এবং তার কিছু অংশ আমার কাছে অবশিষ্ট আছে। নবী (ﷺ) লোকদের বললেন, তোমরা খাও। তারা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন।
وَحَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مِسْمَارٍ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ انْطَلَقَ أَبِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ يُحْرِمْ وَحُدِّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عَدُوًّا بِغَيْقَةَ فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَبَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَصْحَابِهِ يَضْحَكُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ إِذْ نَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِحِمَارِ وَحْشٍ فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ فَطَعَنْتُهُ فَأَثْبَتُّهُ فَاسْتَعَنْتُهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ فَانْطَلَقْتُ أَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُرَفِّعُ فَرَسِي شَأْوًا وَأَسِيرُ شَأْوًا فَلَقِيتُ رَجُلاً مِنْ بَنِي غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ فَقُلْتُ أَيْنَ لَقِيتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَرَكْتُهُ بِتِعْهِنَ وَهُوَ قَائِلٌ السُّقْيَا فَلَحِقْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَصْحَابَكَ يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ وَإِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يُقْتَطَعُوا دُونَكَ انْتَظِرْهُمْ . فَانْتَظَرَهُمْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَدْتُ وَمَعِي مِنْهُ فَاضِلَةٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلْقَوْمِ " كُلُوا " . وَهُمْ مُحْرِمُونَ .

তাহকীক: