মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২৯ টি

হাদীস নং: ২১
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
২১. খাব্বাব ইবন আরাত (রা) থেকে পুনরায় বর্ণিত। তিনি বলেন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে হিজরত করেছিলাম। আমাদের মধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের প্রতিদানের কিছুই তাঁরা দুনিয়াতে ভোগ করেননি। তাদেরই একজন ছিলেন মুস'আব ইবন উমায়র (রা)। তিনি উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন, তিনি একটি চাদর ছাড়া কিছুই রেখে যাননি, যখন চাদর দ্বারা তাঁর মাথা ঢেকে দিতাম, তখন তার পা দু'টি বেরিয়ে পড়তো ও আর যখন তার পা ঢেকে দেওয়া হতো, তখন মাথা বের হয়ে যেতো। এতে রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে বললেন, তার মাথা ঢেকে দাও এবং পায়ের উপর আমরা ইযখির ঘাস দিয়ে দিলাম। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে এমনও অনেক রয়েছে, যাদের ফল পেকেছে এবং তারা তা উপভোগ করেছে।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن شقيق عن خباب أيضا قال هاجرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فمنا من مات لم يأكل من أجره شيئا (10) منهم مصعب بن عمير (11) لم يترك إلا نمرة (12) إذا غطوا بها راسه بدت رجلاه وإذا غطينا رجليه بدا رأسه فقال لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم غطوا رأسه وجعلنا على رجليه إذخرا قال ومنا من اينع الثمار (13) فهو يهديها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
২২. খালিদ ইবনে উমায়র আদাবী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন 'উতবা ইবন গাযওয়ান (রা) একদা আমাদের মাঝে ভাষণ দিলেন, তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করে বললেন, দুনিয়া ধ্বংস হলে যাবে। দুনিয়ার সামান্য কিছু বাকী রয়েছে, যেমন খানার পর বরতনে কিছু খাদ্য উচ্ছিষ্ট থাকে, যা ভক্ষণকারী রেখে দেয়। একদিন এ দুনিয়া ছেড়ে তোমরা অবিনশ্বর জগতের দিকে রওয়ানা হবে। সুতরাং তোমরা ভবিষ্যতের জন্য কিছু নেকী নিয়ে রওয়ানা হও। কেননা, আমার সামনে আলোচনা করা হয়েছে যে, জাহান্নামের এক কোন্ থেকে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হবে এবং তা সত্তর বছর পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে নিচে যেতে থাকবে, তথাপি তা তার তলদেশে পৌঁছতে পারবে না। আল্লাহর শপথ! জাহান্নাম পূর্ণ হয়ে যাবে। তোমরা কি এতে বিস্ময় বোধ করছো? আর আমার নিকট এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, জান্নাতের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত চল্লিশ বছরের পথ, অচিরেই এমন দিন আসবে, যখন তা মানুষের ভীড়ে পরিপূর্ণ থাকবে, আমি আমার প্রতি লক্ষ্য করেছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথী সাত ব্যক্তির মধ্যে সপ্তম ছিলাম, তখন আমাদের নিকট গাছের পাতা ব্যতিত আর কোন খাদ্যই ছিল না। ফলে আমাদের চোয়ালে ঘা হয়ে যায়। এ সময় আমি একটি চাদর পেয়েছিলাম। এরপর আমি আমার ও সা'দ ইবন মালিকের জন্য তা দুটুকরা করে নেই, এক টুকরা দিয়ে আমি লুঙ্গি বানাই এবং অপর টুকরা দিয়ে সা'দ ইবন মালিক লুঙ্গি বানায়। অথচ আজ আমাদের সকলেই কোন না কোন শহরের আমীর। এরপর তিনি বলেন, আমি আমার নিকট বড় এবং আল্লাহর নিকট ছোট হওয়া থেকে পানাহ চাই। সমস্ত নবীদের নবুয়্যাতই এক পর্যায়ে নির্বাপিত হয়ে পড়েছে। অবশেষে যা বাদশাহীর রূপ পরিগ্রহ করেছে। আমার পর আগমনকারী আমীর-উমারাদের সংবাদ তোমরা পাবে এবং তাদেরকে পরীক্ষা করতে পারবে।
(তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায়) খালিদ ইবন উমায়র (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উতবা ইবন গাযওয়ান (রা) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, (অন্য বর্ণনায় উতবা ইবন গাযওয়ান মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুতবায় বলেছিলেন:) তিনি বলেন, এক সময় আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাত জন সাথীর সপ্তম ব্যক্তি ছিলাম, তখন হুবলা বৃক্ষের পাতা ব্যতীত আমাদের কোন খাদ্য ছিল না। পাতা খেতে খেতে অবশেষে আমাদের চোয়ালে ঘা হয়ে যায়।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن خالد بن عمير قال خطب عتبة بن غزوان فحمد الله وأثنى عليه ثم قال أما بعد فان الدنيا قد آذنت (1) بصرهم وولت حذاء ولم يبق منها إلا صبابة (2) كصبابة الاناء يتصابها صاحبها وانكم منتقلون منها إلى دار لا زوال لها فانتقلوا بخير ما بحضرتكم (3) فإنه قد ذكر لنا ان الحجر يلقى من شفير جهنم فيهوى فيها سبعين عاما ما يدرك لها قعرا (4) والله لتملؤنه (5) فعجبتم والله لقد ذكر لنا ان ما بين مصارع (6) الجنة مسيرة أربعين عاما وليأتين عليه يوم كظيظ (7) الزحام ولقد رأيتني سابع سبعة مع رسول الله صلى الله عليه وسلم مالنا طعام إلا ورق الشجر حتى قرحت (8) أشداقنا واني التقطت بردة فشققتها بيني وبين سعد (9) فائتزر بنصفها وائتزت بنصفها فما اصبح منا أحد اليوم إلا أصبح أمير مصر من الامصار (10) واني أعوذ بالله أن اكون في نفسي عظيما وعند الله صغيرا (11) وانها لم تكن نبوة قط إلا تناسخت (12) حتى يكون عاقبتها ملكا وستبلون أو ستخبرون الأمراء (13) بعدنا وعنه من طريق ثان) (14) قال سمعت عتبة بن غزوان يقول (وفي لفظ خطبنا عتبة بن غزوان على المنبر) لقد رأيتني سابع سبعة مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ما لنا طعام إلا ورق الحبلة (15) حتى قرحت أشداقنا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
২৩. 'আবদুল্লাহ ইবন য়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মূসা হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি আমি 'আমর ইবন 'আসের নিকট (মিশরের) ইসকান্দারিয়াতে ছিলাম, তারা তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে উল্লেখ করেন। তখন একজন সাহাবী বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যুবরণ করেছেন, অথচ তার পরিবার গম ও যবের মিশ্রিত রুটি পরিতৃপ্ত হয়ে খাননি। মুসা বলেন, যব ও ভূষি মিশ্রিত খাদ্য।
(আহমদ ব্যতীত এই হাদীসটি কেউ বর্ণনা করেননি। আহমদের বর্ণনাকারীগণ সহীহ।)
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
حدثنا عبد الله بن يزيد قال حدثنا موسى (2) قال سمعت أبي يقول كنت عند عمرو ابن العاص بالاسكندرية فذكروا ما هم فيه من العيش فقال رجل من الصحابة لقد توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم وما شبع أهله من الخبز الغليث (3) قال موسى يعني الشعير والسلت إذا خلطا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
২৪. আবূ হারব (রা) থেকে বর্ণিত। তালহা (রা) তাকে হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর একজন সঙ্গী। তিনি বলেন, আমি মদীনায় আগমন করলাম। মদীনায় আমার কোন পরিচিত কেউ ছিল না। অতঃপর আমি এক ব্যক্তির সাথে সুফফাদের নিকট আগমন করলাম। আমার ও তাদের মাঝে প্রতিদিন এক মুদ্দ খেজুর সরবরাহ করা হতো। একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষ করে যখন চলে যাচ্ছিলেন তখন আসহাবে সুফফাদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! খেজুর খেতে খেতে আমার পেট পুরে গেছে, শক্ত পোশাক পরিধান করতে করতে তা টুকরা- টুকরা হয়ে গেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুতবা দিয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ। যদি আমি রুটি অথবা গোস্ত পেতাম, তা অবশ্যই তোমাদেরকে খাওয়াতাম। তবে তোমরা অল্প সময়ে তা পেয়ে যাবে। তোমাদের মধ্যে যে যা পাবে সে পাত্র ভর্তি করে তোমাদের কাছে নিয়ে আসবে। এবং তোমরা অচিরেই কাবার গেলাফের মত (অহংকারের) পোশাক পরিধান করবে। তালহা (রা) বলেন, এরপর আমি ও আমার সাথী আঠার দিন, আঠার রাত সেখানে অবস্থান করি, সে সময় আমাদের ভাগ্যে গাছের ছাল ছাড়া কোন খাদ্য জুটেনি। শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের আনসার ভাইদের নিকট আসলে তারা আমাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখায় এবং তাদের থেকে ভাল যা পাই, তা ছিল খেজুর।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن أبي حرب أن طلحة حدثه وكان من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أتيت المدينة وليس لي بها معرفة فنزلت في الصفة مع رجل فكان بيني وبينه كل يوم مد من تمر فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم فلما انصرف قال رجل من أصحاب الصفة يا رسول الله احرق بطوننا التمر وتخرقث عنا الخنف (5) فصعد رسول الله صلى الله عليه وسلم فخطب ثم قال والله لو وجدت خبزا أو لحما لأطعمتكموه أنا أنكم توشكون أن تدركوا ومن أدرك ذلك منكم أن يراح عليكم بالجفان (6) وتلبسون مثل استار الكعبة (7) قال فمكثت أنا وصاحبي ثمانية عشر يوما وليلة ما لنا طعام البرير (8) حتى جئنا إلى اخواننا الانصار فواسونا وكان خير ما اصبنا هذا التمر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
২৫. শাকীক 'উকবা ইবন আমর ও আবূ মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। আর মাসউদ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে দান খয়রাত করার নির্দেশ দিতেন, তাই আমাদের কেউ শ্রমিকের কাজ করতে যেতেন এবং মুদ্দ উপার্জন করে নিয়ে আসতেন (এবং তা থেকে দান খয়রাত করতেন) অথচ আজকের দিনে তাদের কেউ কেউ লাখো দিরহামের মালিক। শাকীক (রা) বলেন, তিনি উক্ত কথা দ্বারা নিজের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن شقيق عن عقبة بن عمرو أبي مسعود (يعني أبا مسعود البدري) قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمر بالصدقة فينطلق أحدنا فيحامل (1) فيجيء بالمدوان لبعضهم اليوم مائة الف (2) قال شقيق فرأيت أنه يعرض بنفسه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
২৬. হাসান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালমান (রা)-এর যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, তখন তিনি কাঁদতে শুরু করেন এবং বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সাথে যে ওয়াদা করেছেন আমরা তাঁর সে ওয়াদা পরিত্যাগ করেছি। তিনি ওয়াদা করেছেন, আমরা যেন দুনিয়াতে একজন মুসাফিরের মত জীবন যাপন করি। (অর্থাৎ যেভাবে মুসাফির সামান্য সময়ের জন্য কোথায়ও অবস্থান করে।) তিনি বলেন, এরপর আমরা আমাদের রেখে যাওয়া মালের প্রতি দৃষ্টি দিলাম এবং দেখলাম, আমাদের রেখে যাওয়া মালের মূল্য বিশ দিরহাম ও তার অধিক অথবা ত্রিশ দিরহাম ও তার অধিক।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن الحسن قال لما احتضر سلمان بكى وقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم عهد الينا عهدا فتركنا ما عهد الينا أن يكون بلغة أحدنا من الدنيا كزاد الراكب (4) قال ثم نظرنا فيما ترك فإذا قيمة ما ترك بضعه وعشرون درهما أو بضعة وثلاثون درهما
হাদীস নং: ২৭
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
২৭. বুরায়দা আসলামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুনিয়াতে তোমাদের কারও জন্য একজন খাদিম ও একটি বাহনই যথেষ্ট।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن بريدة الأسلمي أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليكف أحدكم من الدنيا خادم ومركب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
২৮. 'ইরাক ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ যার (রা) বলেছেন, কিয়ামতের দিন রাসূলের (ﷺ) চেয়ে আমি তোমাদের অধিক নিকটবর্তী হবো। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে একথা বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন তোমরা আমার নিকটবর্তী হবে, যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে এ অবস্থায় বের হবে, যে অবস্থায় তাকে সেদিন রেখে আসা হয়েছিল। (অর্থাৎ দুনিয়ার প্রতি কোন আকর্ষণ ও লালসা না করা এবং অল্পে তুষ্ট থাকা।) আল্লাহর শপথ! তোমাদের মধ্যে কেউ যেন এমন না হয় যে, শেষ পর্যন্ত সে এর চেয়ে বেশী কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن عراك بن مالك قال قال أبو ذر رضي الله عنه اني لأقربكم يوم القيامة من رسول الله صلى الله عليه وسلم اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان اقربكم مني يوم القيامة من خرج من الدنيا كهيئته يوم تركته عليه (8) وانه والله ما منكم من احد إلا وقد تشبث منها بشيء غيري
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৯
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আবু হুরায়রা (রা)-এর উপবাস থাকার ঘটনা এবং এ ঘটনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর বিরাট মু'জিযা প্রসঙ্গে
২৯. মুজাহিদ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি ক্ষুধার যন্ত্রণায় উপুর হয়ে পড়ে থাকতাম। আবার কখনও পেটে পাথর বেঁধে রাখতাম। একদা আমি তাঁদের (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং সাহাবাদের) রাস্তায় বসেছিলাম। আবু বকর (রা) রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, আমি তাঁকে কুরআনের একটি আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করি। আমি এ উদ্দেশ্যেই তা করি, যেন তিনি আমাকে কিছু খেতে দেন। (অর্থাৎ আমাকে তার বাড়ী নিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা করেন।) কিন্তু তিনি চলে গেলেন, কিছুই করলেন না। এরপর 'উমর (রা) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকেও সে একই উদ্দেশ্য একটি কুরআনের আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করি। কিন্তু তিনিও চলে গেলেন, কিছুই করলেন না। এরপর আবুল কাসিম (ﷺ) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি আমার চেহারা দেখে মনের কথা বুঝতে পারলেন। তিনি বললেন, আবু হুরায়রা। আমি বললাম, লাব্বায়েক ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)। তিনি বললেন, এসো, এ বলে তিনি চললেন এবং আমি ও তাঁর অনুসরণ করলাম। তিনি ঘরে প্রবেশ করলে, আমি অনুমতি চাইলাম, তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন, তিনি একটি পেয়ালায় কিছু দুধ দেখে জিজ্ঞেস করলাম, এ দুধ কোথা থেকে এসেছে। লোকেরা উত্তর দিল: অমুক পুরুষ, অথবা অমুক পরিবার আমাদের জন্য হাদিয়াস্বরূপ পাঠিয়েছে। তিনি বললেন, হে আবু হুরায়রা। আমি বললাম, লাব্বায়েক ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। তিনি বললেন, যাও, আসহাবে সুফফার লোকদেরকে আমার কাছে ডেকে আন। রাবী বলেন, আসহাবে সুফফা ছিলেন ইসলামের মেহমান। তাদের ধনসম্পদ ও পরিবার পরিজন কিছুই ছিল না, যখন কিছু রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসতো, তিনি তাদের নিকট তা থেকে এক অংশ পাঠিয়ে দিতেন। আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এ আদেশ শুনে আমি হতাশ হয়ে গেলাম। (মনে মনে বললাম, এতটুকু দুধ দ্বারা আসহাবে সুফফাদের কি হবে?) আমি আশা করেছিলাম, একমাত্র আমার জন্যই এ দুধ যথেষ্ট ছিল। আমি তা পান করলে হয়তো আমার শরীরে শক্তি ফিরে পেতাম এবং কিছু অংশ রাত ও দিনের জন্য অবশিষ্ট থাকতো। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আদেশ করলে আমি তাদেরকে এ দুধ দিয়ে দেব। তখন আমার জন্য কিছুই থাকবে না। কিন্তু আল্লাহর রাসূলের (ﷺ) আদেশ মানা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তখন আমি তাদেরকে ডেকে আনলাম এবং তারা এসে ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তাদেরকে অনুমতি দেয়া হলো। তারা নিজ নিজ আসন গ্রহণ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আবু হের। আমি বললাম, লাব্বায়েকা ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিনি বললেন, নাও এটা তাদেরকে দাও, আমি দুধের পেয়ালা হাতে নিলাম এবং তাদেরকে পরিবেশন করতে শুরু করলাম, এক ব্যক্তির হাতে দিলাম, সে পান করে পরিতৃপ্ত হলো এবং আমাকে পেয়ালা ফেরত দিল। আমি অন্য একজনকে দিলাম, সেও পরিতৃপ্তি সহকারে তা পান করে আমাকে পেয়ালা ফেরত দিল। আমি তৃতীয়জনকে দিলাম, সেও তাই করলো, এমনকি আমি সবশেষে তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট পেশ করলাম। তিনি আমার হাত থেকে পেয়ালা নিলেন এবং তার মধ্যে হাত দিয়ে দেখলেন সামান্য বাকী রয়েছে। এরপর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, হে আবু হের। আমি বললাম, লাব্বায়েকা ইয়া রাসুলুল্লাহ (ﷺ)। তিনি বললেন, এখন আমি, আর তুমি বাকী। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)। আপনি ঠিকই বলেছেন, তিনি বললেন, বসে পড়ো এবং পান করো। আমি বসে পড়লাম এবং পান করলাম। তিনি পুনরায় আমাকে বললেন, পান কর, আমি পান করলাম। এভাবে তিনি আমাকে বলতেই থাকলেন পান কর, আর আমি পান করতে থাকলাম। শেষ পর্যন্ত আমি বলতে বাধ্য হলাম যে, সেই আল্লাহ শপথ! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, আমার পেটে আর জায়গা নেই। তিনি বললেন, এবার আমাকে দাও। আমি তাকে পেয়ালাটি ফেরত দিলাম এবং তিনি আল্লাহ্ প্রশংসা করে বাকী দুধ পান করে নিলেন।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب قصة أبي هريرة رضي الله عنه في الجوع وفيها معجزة عظيمة للنبي صلى الله عليه وسلم
عن مجاهد أن أبا هريرة رضي الله عنه كان يقول والله اني كنت لأعتمد بكبدي على الأرض من الجوع وان كنت لأشد الحجر على بطني من الجوع لقد قعدت يوما على طريقهم الذي يخرجو منه فمر أبو بكر فسألته عن آية من كتاب الله عز وجل ما سألته الا ليستتبعني (2) فلم يفعل فمر عمر فسألته عن آية من كتاب الله عز وجل ما سألته إلا ليستتبعني فلم يفعل فمر أبو القاسم صلى الله عليه وسلم فعرف ما في وجهي وما في نفسي فقال أبا هريرة قلت له لبيك يا رسول الله فقال ألحق (3) واستأذنت فأذن لي فوجدت لبنا في قدح قال من أين لكم هذا اللبن (4) فقالوا أهداه لنا فلان أو آل فلان قال أبا هريرة قلت لبيك يا رسول الله قال انطلق إلى أهل الصفة فادعهم لي قال واهل الصفة اضياف الاسلام لم يأووا إلى أهل ولا مال (5) إذا جاءت رسول الله صلى الله عليه وسلم هدية اصاب منها وبعث اليهم منها قال واحزنني ذلك وكنت ارجو أن اصيب من اللبن شربة اتقوى بها بقية يومي وليلتي (6) فقلت أنا الرسول فإذا جاء القوم كنت أنا الذي يعطيهم فقلت ما يبقى لي من هذا اللبن ولم يكن من طاعة الله وطاعة الرسول بد فانطلقت فدعوتهم فاقبلوا فاستأذنوا فأذن لهم فأخذوا مجالسهم من البيت ثم قال أباهر خذ فأعطهم (7) فأخذت القدح فجعلت أعطيهم فيأخذ الرجل القدح فيشرب حتى يروى ثم يرد القدح فأعطيه الآخر فيشرب حتى يروى ثم يرد القدح حتى أتيت على آخرهم ودفعت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخذ القدح فوضعه في يده وبقي فيه فضلة ثم رفع رأسه فنظر إليه وتبسم فقال أباهر قلت لبيك يا رسول الله قال بقيت أنا وأنت فقلت صدقت يا رسول الله قال فاقعد فاشرب قال فقعدت فشربت ثم قال لي اشرب فشربت فما زال يقول لي اشرب فأشرب حتى قلت لا والذي بعثك بالحق ما أجد لها في مسلكا قال ناولني القدح فرددت اليه القدح فشرب من الفضلة صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم
tahqiq

তাহকীক: