ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

فقه السنن و الآثار (أدلة السادات الاحناف)

১৯. বিচার-আদালত সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২১০৭
বিচারপদ্ধতি, প্রশাসন ও বিচারের পরিচালনার নিয়মনীতি
(২১০৭) তাবিয়ি সায়ীদ ইবন আবু বুরদাহ বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব রা. আবু মুসা আশআরি রা.কে পত্র লিখেন, 'অতঃপর জেনে রাখুন, বিচার হল একটি সুনির্ধারিত ফরয এবং অনুসরণীয় সুন্নত। যখন আপনার নিকট বিচারের বিষয় আনয়ন করা হবে তখন আপনি তা ভালো করে বুঝে নেবেন । কারণ প্রয়োগবিহীন সত্যের উচ্চারণে কোনো কল্যাণ নেই । আপনার মজলিসে, আচরণে, মুখমণ্ডলের ভাব প্রকাশে এবং ন্যায়বিচারে সকলের মধ্যে সমতা বজায় রাখবেন, যেন কোনো মর্যাদাবান বা প্রভাবশালী ব্যক্তি আপনার থেকে পক্ষপাতিত্বের দুরাশা না করতে পারে এবং কোনো দুর্বল বা অসহায় ব্যক্তি আপনার অত্যাচারের ভয় না পায়। দাবিদার বা বাদীকে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে এবং বিবাদী বা অস্বীকারকারীকে শপথ করতে হবে। মুসলিমদের মধ্যে সন্ধি ও আপোস-রফা বৈধ, শুধু যে আপোস-রফার মাধ্যমে কোনো হারামকে হালাল করা হয় বা হালালকে হারাম করা হয় সে আপোস বৈধ নয়। যদি এমন ঘটে যে, গতকাল আপনি একটি বিচার করেছিলেন, এরপর আপনি নিজের মনে বিবেচনা-বিশ্লেষণ করে সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছেন, তবে কখনোই পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তের ভুল স্বীকার করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পিছপা হবেন না। কারণ সত্য হল চিরন্তন এবং কোনো কিছুই সত্যকে বাতিল করতে পারে না। জেদ করে ভুলের মধ্যে থাকার চেয়ে সত্যকে মেনে নেওয়া উত্তম। আপনাকে কুরআন ও সুন্নাহর পথে পৌছে দেয় আপনার মনের এরূপ অনুভুতি ও চিন্তাভাবনাগুলো ভালো করে বুঝুন! ভালো করে বুঝুন! তুলনীয় নমুনা ও দৃষ্টান্তসমূহ অনুধাবন করবেন এবং এক বিষয়ের উপর অন্য বিষয়ের তুলনা করবেন। এরপর যে দৃষ্টান্তটি আপনার দৃষ্টিতে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় এবং সত্যের সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী বলে মনে হবে তাকে গ্রহণ করবেন। বাদী বা দাবিদারকে একটি সময় নির্ধারণ করে দিবেন, সে যদি সে সময়ের মধ্যে তার প্রমাণ উপস্থিত করতে পারে তবে ভালো, নইলে তার বিরুদ্ধে বিচার করবেন অন্ধত্ব অচলবস্থা দূরীভূত করতে এই পদ্ধতি বেশী সহায়ক এবং বাদী-বিবাদীকে যথাযথ সুযোগ দানের ক্ষেত্রেও তা অধিক কার্যকর । মুসলিমগণ তাদের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদানে সত্যবাদী বলে গণ্য হবেন। তবে যে ব্যক্তি কোনো শরীআত নির্ধারিত শাস্তিতে বেত্রাঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, অথবা যে ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, অথবা যে ব্যক্তি তার আত্মীয়তা বা বংশ পরিচয়ে ধোঁকার আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া বাকিদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে। কারণ আল্লাহ আপনাদের গোপন বিষয়ের দায়িত্ব নিজে নিয়েছেন এবং প্রমাণের মাধ্যমে আপনাদেরকে দায়িত্বমুক্ত করেছেন। আর খবরদার! আপনি কখনোই বিচারপ্রার্থী পক্ষ-বিপক্ষের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করবেন না, অস্থিরতা বা ধৈর্যহীনতা প্রকাশ করবেন না, মানুষের আচরণে কষ্ট পাবেন না এবং অধিকার ও সত্য প্রতিষ্ঠার স্থানগুলোতে বিচারপ্রার্থীগণের প্রতি অসন্তুষ্টি বা বিরাগ প্রকাশ করবেন না। এ সকল স্থানে সত্যনিষ্ঠার জন্য আল্লাহ পুরস্কার প্রদান করেন এবং সুনাম প্রতিষ্ঠা করেন। যদি কেউ আল্লাহ এবং তার নিজের মধ্যে তার নিয়্যাত বিশুদ্ধ করে তবে মানুষের ও তার মধ্যকার বিষয়ে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হন । আর যদি কেউ মানুষের জন্য নিজেকে সুন্দর করে, অথচ আল্লাহ জানেন যে, তার অভ্যন্তরীণ অবস্থা তদ্রূপ নয়, তবে আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করবেন' ।
عن سعيد بن أبي بردة في كتاب عمر بن الخطاب إلى أبي موسى الأشعري رضي الله عنهما: أما بعد فإن القضاء فريضة محكمة وسنة متبعة فافهم إذا أدلي إليك فإنه لا ينفع تكلم بحق لا نفاذ له آس بين الناس في مجلسك ووجهك وعدلك حتى لا يطمع شريف في حيفك ولا يخاف ضعيف جورك. البينة على من ادعى واليمين على من أنكر الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا أحل حراما أو حرم حلالا لا يمنعك قضاء قضيته بالأمس راجعت فيه نفسك وهديت فيه لرشدك أن تراجع الحق فإن الحق قديم وإن الحق لا يبطله شيء ومراجعة الحق خير من التمادي في الباطل الفهم الفهم فيما يختلج في صدرك مما لم يبلغك في القرآن والسنة اعرف الأمثال والأشباه ثم قس الأمور عند ذلك فاعمد إلى أحبها إلى الله وأشبهها بالحق فيما ترى واجعل للمدعي أمدا ينتهي إليه فإن أحضر بينة وإلا وجهت عليه القضاء فإن ذلك أجلى للعمى وأبلغ في العذر المسلمون عدول بينهم بعضهم على بعض إلا مجلودا في حد أو مجربا في شهادة زور أو ظنينا في ولاء أو قرابة فإن الله تولى منكم السرائر ودراً عنكم بالبينات ثم إياك والضجر والقلق والتأذي بالناس والتنكر للخصوم في مواطن الحق التي يوجب الله بها الأجر ويحسن بها الذكر فإنه من يخلص نيته فيما بينه وبين الله يكفه الله ما بينه وبين الناس ومن تزين للناس بما يعلم الله منه غير ذلك شانه الله
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১০৮
বিচারপদ্ধতি, প্রশাসন ও বিচারের পরিচালনার নিয়মনীতি
(২১০৮) আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিধান প্রদান করেছেন যে, বিচারপ্রার্থী বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষ বিচারকের সামনে বসবে।
عن عبد الله بن الزبير رضي الله عنه قال: قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن الخصمين يقعدان بين يدي الحاكم
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১০৯
বিচারপদ্ধতি, প্রশাসন ও বিচারের পরিচালনার নিয়মনীতি
(২১০৯) আলী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাদী-বিবাদী উভয়ের একজনকে বাদ দিয়ে অন্যকে দাওয়াত দিতে বা শুধু একজনের মেহমানদারি করতে নিষেধ করেছেন।
علي رضي الله عنه قال: نهى النبي صلى الله عليه وسلم أن يضيف أحد الخصمين دون الآخر
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১১০
বিচারপদ্ধতি, প্রশাসন ও বিচারের পরিচালনার নিয়মনীতি
(২১১০) আলী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন বিচারপ্রার্থী উভয়পক্ষ (বাদী ও বিবাদী) তোমার সামনে বসবে, তখন তুমি একজনের বক্তব্য যেভাবে শুনবে, অপরজনের বক্তব্য সেভাবে না শোনা পর্যন্ত বিচার করবে না। এভাবে উভয়ের বক্তব্য পুরোপুরি শ্রবণ করা তোমার জন্য বিচার্য বিষয়টি সুস্পষ্টতর করে দেবে।
عن علي رضي الله عنه مرفوعا: فإذا جلس بين يديك الخصمان فلا تقضين حتى تسمع من الآخر كما سمعت من الأول فإنه أحرى أن يتبين لك القضاء
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১১১
বিচারপদ্ধতি, প্রশাসন ও বিচারের পরিচালনার নিয়মনীতি
(২১১১) উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি মানুষের মধ্যে বিচার করার মতো কঠিন বিপদসঙ্কুল দায়িত্বে নিয়োজিত হয়, তবে সে যেন তার চোখের দৃষ্টি, ইশারা ও বসার ক্ষেত্রেও তাদের মধ্যে সমতা ও ইনসাফ বজায় রাখে।
عن أم سلمة رضي الله عنها مرفوعا: من ابتلي بالقضاء بين الناس فليعدل بينهم في لحظه وإشارته ومقعده
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১১২
বিচারপদ্ধতি, প্রশাসন ও বিচারের পরিচালনার নিয়মনীতি
(২১১২) আবু বাকরাহ রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কেউ যেন রাগান্বিত থাকা অবস্থায় দুইজনের মধ্যে বিচার ফয়সালা না করে।
عن أبي بكرة رضي الله عنه مرفوعا: لا يحكم أحد بين اثنين وهو غضبان
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১১২
বিচারপদ্ধতি, প্রশাসন ও বিচারের পরিচালনার নিয়মনীতি
(২১১২) আবু বাকরাহ রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কেউ যেন রাগান্বিত থাকা অবস্থায় দুইজনের মধ্যে বিচার ফয়সালা না করে।
عن أبي بكرة رضي الله عنه مرفوعا: لا يحكم أحد بين اثنين وهو غضبان
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান