ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

فقه السنن و الآثار (أدلة السادات الاحناف)

১১. ইসলাম নির্ধারিত দন্ডবিধি - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৮২৯
মদপানের শাস্তি হিসাবে কতবার বেত্রাঘাত করতে হবে
(১৮২৯) আনাস ইবন মালিক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদপানের কারণে খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে মেরেছেন এবং আবু বাকর রা. চল্লিশ বেত্রাঘাত করেছেন ।
عن أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم ضرب في الخمر بالجريد والنعال وجلد أبو بكر أربعين
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৩০
মদপানের শাস্তি হিসাবে কতবার বেত্রাঘাত করতে হবে
(১৮৩০) আনাস ইবন মালিক রা. বলেন, নবী (ﷺ) এর নিকট এক ব্যক্তিকে আনয়ন করা হয় যে মদপান করেছিল। তখন তিনি তাকে দুইটি খেজুরের ডাল দিয়ে প্রায় ৪০ বারের মতো আঘাত করেন। আনাস বলেন, আবু বাকর রা.ও এরূপ করেন। যখন উমার রা. খলীফা হলেন তখন তিনি মানুষদের পরামর্শ চাইলেন। তখন আব্দুর রহমান (ইবন আউফ) বলেন, সবচেয়ে হালকা হদ্দ বা শরীআতি শাস্তি হল ৮০ বেত্রাঘাত। তখন উমার (মদপানের শাস্তি হিসাবে) এর নির্দেশ দিলেন।
عن أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم أتي برجل قد شرب الخمر فجلده بجريدتين نحو أربعين قال وفعله أبو بكر فلما كان عمر استشار النّاس فقال عبد الرحمن أخف الحدود ثمانون فأمر به عمر
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৩১
মদপানের শাস্তি হিসাবে কতবার বেত্রাঘাত করতে হবে
(১৮৩১) আলী রা. থেকে বর্ণিত, উসমান রা.র খিলাফতকালে তিনি ওয়ালীদ ইবন উকবাকে মদপানের জন্য শাস্তি প্রদান করেন। এ সময়ে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চল্লিশ বেত্রাঘাত করেছেন, আবু বাকর রা. চল্লিশ বেত্রাঘাত করেছেন এবং উমার রা. আশি বেত্রাঘাত করেছেন। সবই সুন্নত । আমার নিকট এইটিই বেশী প্রিয়।
عن علي رضي الله عنه في قصة الوليد بن عقبة في خلافة عثمان رضي الله عنه أنه قال: جلد النّبي صلى الله عليه وسلم أربعين وجلد أبو بكر أربعين وعمر ثمانين وكل سنة وهذا أحب إلي
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৮৩২
মদপানের শাস্তি হিসাবে কতবার বেত্রাঘাত করতে হবে
(১৮৩২) আলী রা. থেকে বর্ণিত, উমার রা.র খিলাফতের সময় সিরিয়ার একদল মুসলিম মদপান করে। তারা কুরআনের আয়াতের বিকৃত ব্যাখ্যা করে দাবী করে যে, মদ তাদের জন্য বৈধ। এদের শাস্তির বিষয়ে উমার সাহাবিগণের পরামর্শ চান। অনেকেই তাদেরকে মুরতাদ হিসাবে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের পরামর্শ দেন। আলী রা. বলেন, আমার মত হল, আপনি তাদেরকে তাওবা করতে বলবেন। তারা যদি তাওবা করে তাহলে মদপানের কারণে তাদের প্রত্যেককে আপনি আশি বেত্রাঘাত করে শাস্তি প্রদান করবেন। আর তাওবা না করলে মুরতাদ হিসাবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
عن علي رضي الله عنه قال: شرب نفر من أهل الشام في عهد عمر رضي الله عنه ... فاستشار فيهم فقال: سيدنا علي لسيدنا عمر: أرى أن تستتيبهم فإن تابوا ضربتهم ثمانين ثمانين لشربهم الخمر وإن لم يتوبوا ضربت أعناقهم
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৩৩
মদপানের শাস্তি হিসাবে কতবার বেত্রাঘাত করতে হবে
(১৮৩৩) আলী রা. বলেন, আমি যদি কাউকে তার অপরাধের জন্য শরীআত নির্ধারিত শাস্তি প্রদান করি এবং শাস্তির কারণে সে মারা যায় তাহলে আমার মনে কোনো কষ্ট হয় না। ব্যতিক্রম হল মদপানকারীর শাস্তি । মদপানকারী শাস্তির কারণে মৃত্যুবরণ করলে আমি তার মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিয়াত বা অনিচ্ছাকৃত হত্যার জন্য নির্ধারিত রক্তমূল্য (blood money) প্রদান করব। তার কারণ হল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রচলন করেন নি।
عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه قال: ما كنت لأقيم حدا على أحد فيموت فأجد في نفسي إلا صاحب الخمر فإنه لو مات وديته وذلك أن رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يسنه
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা