ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

فقه السنن و الآثار (أدلة السادات الاحناف)

৬. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৫০২
ইহরামকারী শিকার করলে তার ক্ষতিপূরণ হবে শিকারের আকৃতি অনুসারে
(১৫০২) কুরআন কারীমে এরশাদ করা হয়েছে: 'হে মুমিনগণ, ইহরামে থাকাকালে তোমরা শিকারজন্তু বধ কোরো না। তোমাদের মধ্যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তা বধ করলে যা বধ করল তার বিনিময় হচ্ছে অনুরূপ গৃহপালিত জন্তু, যার ফয়সালা করবে তোমাদের মধ্যে দুইজন ন্যায়বান লোক কাবাতে প্রেরিতব্য কুরবানীরূপে। অথবা তার কাফফারা হবে দরিদ্রকে খাদ্যদান করা কিংবা সমসংখ্যক সিয়াম পালন করা; যাতে সে আপন কৃতকর্মের ফল ভোগ করে।'এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবন আব্বাস রা. বলেন, যদি ইহরামকারী ব্যক্তি শিকার বধ করে তাহলে তার প্রতিফল হিসেবে গৃহপালিত জন্তুর বিধান দিতে হবে। যদি অনুরূপ গৃহপালিত পশুর ব্যবস্থা করতে না পারে তাহলে দেখতে হবে, শিকারকৃত জন্তুটির মূল্য কত । অতঃপর তার মূল্য খাদ্যে নির্ধারণ করতে হবে (শিকারকৃত পশুর দাম দিয়ে কী পরিমাণ খাদ্য ক্রয় করা যায় তা নির্ধারণ করতে হবে)। এরপর সে প্রত্যেক অর্ধ সা' (প্রায় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম) খাদ্যের জন্য একদিন সিয়াম পালন করবে। আল্লাহ বলেছেন, অথবা তার কাফফারা হবে দরিদ্রকে খাদ্যদান করা কিংবা সমসংখ্যক সিয়াম পালন করা। ইবন আব্বাস রা. বলেন, এখানে খাদ্য দ্বারা সিয়াম বোঝানো হয়েছে। আর যখন খাদ্য পাওয়া গেল তখন তার প্রতিফলও পাওয়া গেল।
عن ابن عباس رضي الله عنهما: فجزاء مثل ما قتل من النعم يحكم به ذوا عدل منكم هديا بالغ الكعبة أو كفارة طعام مساكين أو عدل ذلك صياما قال: إذا أصاب المحرم الصيد حكم عليه جزاؤه من النعم فإن لم يجد نظر كم ثمنه قال ابن حميد: نظر كم قيمته فقوم عليه ثمنه طعاما فصام مكان كل نصف صاع يوما أو كفارة طعام مساكين أو عدل ذلك صياما. قال: إنما أريد بالطعام الصيام فإذا وجد الطعام وجد جزاءه
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫০৩
ইহরামকারী শিকার করলে তার ক্ষতিপূরণ হবে শিকারের আকৃতি অনুসারে
(১৫০৩) ইবন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইহরামরত ব্যক্তি যদি উটপাখির ডিম শিকার করে তাহলে তাকে এর মূল্য ফিদইয়া হিসাবে প্রদান করতে হবে।
عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: في بيض النعام يصيبه المحرم ثمنه
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫০৪
ইহরামকারী শিকার করলে তার ক্ষতিপূরণ হবে শিকারের আকৃতি অনুসারে
(১৫০৪) দ্বিতীয় হিজরি শতকের তাবিয়ি ফকীহ ইয়াহইয়া ইবন সায়ীদ আনসারি (মৃ. ১৪৪ হি.) বলেন, একব্যক্তি উমার ইবনুল খাত্তাব রা.র নিকট গমন করে তাকে পঙ্গপাল (locust) সম্পর্কে প্রশ্ন করে বলে যে, সে ইহরাম অবস্থায় তা মেরেছে। উমার রা. (তাবিয়ি) কা'ব আহবারকে বলেন, আসুন আমরা এর বিষয়ে ফয়সালা দান করি। তখন কা'ব বলেন, এক দিরহাম বা রৌপ্যমুদ্রা (প্রায় সাড়ে তিন গ্রাম রৌপ্য)। তখন উমার রা. কা'বকে বলেন, আপনি অনেক দিরহাম যোগাড় করতে পারেন! (আপনি দেখা যাচ্ছে দিরহামকে খুব সস্তা দেখছেন!) একটি খেজুরও পঙ্গপালের চেয়ে উত্তম। (সেগুলো শিকার করলে ফিদইয়া হিসাবে দুইচারটি খেজুর প্রদানই যথেষ্ট)।
عن يحيى بن سعيد أن رجلا جاء إلى عمر بن الخطاب رضي الله عنه فسأله عن جرادة قتلها وهو محرم فقال عمر لكعب تعال حتى نحكم فقال كعب درهم فقال عمر لكعب إنك لتجد الدراهم لتمرة خير من جرادة
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫০৫
ইহরামকারী শিকার করলে তার ক্ষতিপূরণ হবে শিকারের আকৃতি অনুসারে
(১৫০৫) উমার ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি ইহরামকারী ব্যক্তির বন্যপ্রাণি শিকারের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ ক্ষতিপূরণ বা ফিদইয়ার বিধান দিয়েছেন: (হায়েনা শিকার করলে একটি ভেড়া), হরিণ শিকার একটি ছাগি, খরগোশ শিকার করলে একটি এক বছরের কম বয়স্ক ছাগি এবং মরু-ইঁদুর বা জারবোয়া (Jerboa) শিকার করলে একটি চারমাস বয়স্ক ছাগি শাবক ।
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه أنه قضى (في الضبع بكبش) وفي الغزال بعنز وفي الأرنب بعناق وفي اليربوع بجفرة
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫০৬
ইহরামকারী শিকার করলে তার ক্ষতিপূরণ হবে শিকারের আকৃতি অনুসারে
(১৫০৬) তাবিয়ি ইবরাহীম নাখয়ি বলতেন, সকল প্রকার শিকারের ক্ষেত্রেই তার মূল্য দিতে হবে।
عن إبراهيم كان يقول: في كل شيء من الصيد ثمنه
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫০৭
ইহরামকারী শিকার করলে তার ক্ষতিপূরণ হবে শিকারের আকৃতি অনুসারে
(১৫০৭) ইবরাহীম নাখয়ি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রাণি শিকারের প্রতিফলে যদি গৃহপালিত পশু জবাই করা হয় তাহলে তা মক্কায় করতে হবে । আর এক্ষেত্রে দান করলে বা সিয়াম পালন করলে যেখানে ইচ্ছা তা করতে পারবে।
عن إبراهيم قال: ما كان من دم فبمكة وما كان من صدقة أو صوم فحيث شاء
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান