মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৬১১৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১১৮। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আবু বকর জান্নাতী, ওমর জান্নাতী, ওসমান জান্নাতী, আলী জান্নাতী, তালহা জান্নাতী, যুবায়র জান্নাতী, আব্দুর রহমান ইবনে আওফ জান্নাতী, সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস জান্নাতী, সাঈদ ইবনে যায়দ জান্নাতী এবং আবু ওবায়দা ইবনুল জাররাহ্ জান্নাতী “রাযিআল্লাহু আনহুম”। – তিরমিযী,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১১৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১১৯। আর ইবনে মাজাহ্ হাদীসটি সাঈদ ইবনে যায়দ হইতে বর্ণনা করিয়াছেন

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১২০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১২০। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে আবু বকর আমার উম্মতের জন্য সর্বাধিক দয়ালু। আর উম্মতের মধ্যে আল্লাহর বিধানের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা কঠোর ওমর। আর উম্মতের মধ্যে সর্বাধিক প্রকৃত লাজুক ওসমান। আর উম্মতের মধ্যে মীরাস সম্পর্কীয় ব্যাপারে সর্বজ্ঞ যায়দ ইবনে সাবেত। আর উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম কোরআন মজীদের কারী উবাই ইবনে কা'ব। আর উম্মতের মধ্যে হালাল ও হারাম সম্পকে সর্বাধিক জ্ঞানী মুআয ইবনে জাবাল। আর প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে একজন আমীন (বিশ্বস্ত ব্যক্তি) থাকেন। এই উম্মতের আমীন হইলেন আবু ওবায়দা ইবনুল জাররাহ্ (রাঃ)। – আহমদ ও তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ। আর এই হাদীসটি মা'মার সূত্রে কাতাদাহ্ হইতে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করা হইয়াছে। আর ইহাতে রহিয়াছে, উম্মতের সর্বোত্তম বিচারক আলী।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১২১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১২১। হযরত যুবায়র (রাঃ) বলেন, ওহুদ যুদ্ধের দিন নবী (ﷺ)-এর গায়ে দুইটি লৌহ-বর্ম ছিল। (শত্রু সৈন্যদের অবস্থা দেখিবার জন্য) তিনি একখানা পাথরের উপর উঠিতে চাহিলেন, কিন্তু (বর্মের ভারী ওজনের দরুন) উঠিতে পারিতেছিলেন না। তখন হযরত তালহা (রাঃ) হুযুরের নীচে বসিয়া গেলেন। এমন কি নবী (ﷺ) তাঁহার উপরে ভর করিয়া পাথরটির উপরে উঠিলেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) তখন আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, তালহা নিজের জন্য (বেহেশত) ওয়াজিব করিয়া লইয়াছে। তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১২২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১২২। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ্ (রাঃ)-এর প্রতি লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ যদি কেহ এমন কোন ব্যক্তিকে যমীনের উপর চলাফেরা করিতে দেখিতে চায়, যে তাহার মৃত্যু-প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করিয়াছে, সে যেন এই লোকটির দিকে চাহিয়া দেখে। অপর এক বর্ণনায় আছে, যদি কেহ এমন শহীদকে দেখিতে চায়, যে যমীনের উপর বিচরণ করিতেছে, সে যেন তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহকে দেখিয়া লয়। — তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১২৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১২৩। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, আমার উভয় কান রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যবান মোবারক হইতে বলিতে শুনিয়াছে, তালহা ও যুবায়র—তাহারা দুইজন বেহেশতে আমার প্রতিবেশী। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১২৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১২৪। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেইদিন অর্থাৎ, ওহুদ যুদ্ধের দিন (আমাকে লক্ষ্য করিয়া) বলিলেনঃ আয় আল্লাহ্! তাহার তীর নিক্ষেপ সঠিক ও মজবুত কর এবং তাহার দোআ কবুল কর। —শরহে সুন্নাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১২৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১২৫। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দো'আ করিলেন, আয় আল্লাহ্! তুমি সা'দের দো'আ কবুল কর যখনই সে দো'আ করে। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১২৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১২৬। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁহার মা-বাপকে একত্রে উৎসর্গ হওয়ার কথা সা'দ ব্যতীত আর কাহারও জন্য উচ্চারণ করেন নাই। তিনি ওহুদের দিন তাঁহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ তীর নিক্ষেপ কর হে বাহাদুর নওজোয়ান! আমার পিতা ও আমার মাতা তোমার জন্য কোরবান হউন। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১২৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১২৭। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, একদা হযরত সা'দ (রাঃ) নবী (ﷺ)-এর সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। তখন নবী (ﷺ) (তাহার প্রতি ইংগিত করিয়া) বলিলেনঃ ইনি হইলেন আমার মামা, অতএব, কাহারও যদি এমন মামা থাকিয়া থাকেন, তবে সে আমাকে দেখাক। —তিরমিযী
ইমাম তিরমিযী বলিয়াছেন, হযরত সা'দ ছিলেন যোহরা খান্দানের লোক আর নবী (ﷺ)-এর মাতাও ছিলেন সেই বনী যোরার কন্যা। এই হিসাবে নবী (ﷺ) (হযরত সা'দকে) বলিয়াছেন, “ইনি আমার মামা।” মাসাবীহর গ্রন্থকার فَلْيُرني -এর পরিবর্তে فلْيُكرمَنَّ (অর্থাৎ, "অবশ্যই তাঁহার সম্মান করা উচিত”।) শব্দ বর্ণনা করিয়াছেন।
ইমাম তিরমিযী বলিয়াছেন, হযরত সা'দ ছিলেন যোহরা খান্দানের লোক আর নবী (ﷺ)-এর মাতাও ছিলেন সেই বনী যোরার কন্যা। এই হিসাবে নবী (ﷺ) (হযরত সা'দকে) বলিয়াছেন, “ইনি আমার মামা।” মাসাবীহর গ্রন্থকার فَلْيُرني -এর পরিবর্তে فلْيُكرمَنَّ (অর্থাৎ, "অবশ্যই তাঁহার সম্মান করা উচিত”।) শব্দ বর্ণনা করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান