মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৬১০৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৩। হযরত বারা ইবনে আযেব ও যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন খোম নামক স্থানে ঝিলের কাছে অবতরণ করিলেন, (উহা মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী একটি জায়গার নাম,) তখন তিনি হযরত আলী (রাঃ)-এর হাত ধরিয়া বলিলেনঃ ইহা কি তোমরা জান না, আমি মু'মিনদের নিকট তাহাদের প্রাণ অপেক্ষা অধিক প্রিয়? লোকেরা বলিল, হ্যাঁ। তিনি আবার বলিলেন, তোমরা কি জান না, আমি প্রত্যেক মু'মিনের কাছে তাহার প্রাণ অপেক্ষা অধিক প্রিয়? তাহারা বলিল, হ্যাঁ। তখন তিনি বলিলেন, ইয়া আল্লাহ্! আমি যাহার বন্ধু আলীও তাহার বন্ধু। (তারপর তিনি এই দো'আ করিলেন, ) হে আল্লাহ্! যেই ব্যক্তি আলীকে ভালবাসে তুমিও তাহাকে ভালবাস। আর যে ব্যক্তি তাহাকে শত্রু ভাবে, তুমিও তাহার সহিত শত্রুতা পোষণ কর। (বর্ণনাকারী বলেন,) ইহার পর যখন হযরত আলী (রাঃ)-এর সহিত হযরত ওমর (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ হয়, তখন তিনি তাঁহাকে বলিলেন, ধন্যবাদ হে আবু তালিবের পুত্র! তুমি সকালসন্ধ্যা (অর্থাৎ, সর্বসময়) প্রতিটি ঈমানদার নারী-পুরুষের বন্ধু হইয়াছ । —আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১০৪

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৪। হযরত বুরায়দা (রাঃ) বলেন, হযরত আবু বকর এবং ওমর [(রাঃ) একজনের পর আরেকজন রাসূল দুহিতা] হযরত ফাতেমাকে বিবাহ করিবার জন্য পয়গাম দিয়াছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ সে ছোট। (অর্থাৎ, তাহাদের বয়সের তুলনায়।) অতঃপর যখন আলী (রাঃ) পয়গাম পাঠাইলেন, তখন তিনি ফাতেমাকে তাঁহার সহিত বিবাহ দিলেন। — নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১০৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৫। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মসজিদে নববীর অভ্যন্তরের দিকে আলীর ঘরের দরজা ব্যতীত অন্যান্য সকলের দরজা বন্ধ করিয়া দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। —তিরমিযী, আর তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১০৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৬। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আমার এমন একটি বিশেষ মর্যাদা ছিল, যাহা মাখলুকের মধ্যে আর কাহারও জন্য ছিল না। আমি সেহরীর প্রথমভাগে তাঁহার নিকট আসিতাম এবং বাহিরে দাঁড়াইয়া বলিতাম, “আসসালামু আলাইকা ইয়া নাবীয়াল্লাহ্।” অতঃপর যদি তিনি (সালামের জওয়াব না দিয়া) গলা খাকুাইতেন, তখন আমি নিজ ঘরে ওয়াপেস চলিয়া যাইতাম (বুঝিতাম, তিনি কোন কাজে ব্যস্ত আছেন, এখন প্রবেশের অনুমতি নাই।) অন্যথায় তাঁহার নিকট প্রবেশ করিতাম। —নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১০৭

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৭। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, একবার আমি অসুস্থ ছিলাম। এই সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার নিকট দিয়া অতিক্রম করিলেন। তখন আমি বলিতেছিলাম, হে আল্লাহ্! যদি আমার হায়াত শেষ হইয়া যায়, তবে আমাকে মৃত্যু দিয়া রোগযন্ত্রণা হইতে শান্তি দান কর। আর যদি হায়াত থাকে, তাহা হইলে শান্তির জীবন দান কর। আর ইহা যদি আমার জন্য পরীক্ষা হয়, তবে ধৈর্যধারণের তৌফীক দাও। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তুমি কিরূপে বলিয়াছিলে? তখন তিনি যাহা বলিয়াছিলেন তাহার পুনরাবৃত্তি করিলেন। তখন হুযূর তাহাকে নিজের পা দ্বারা টোকা দিয়া বলিলেন, হে আল্লাহ্! তাহাকে শান্তি দান কর অথবা বলিয়াছেন, নিরাময় দান কর। রাবীর সন্দেহ। আলী (রাঃ) বলেন, ইহার পর আর আমি কখনও এই রোগে ভুগি নাই। —তিরমিযী, আর তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১০৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৮। হযরত ওমর (রাঃ) বলিয়াছেন, এই ব্যাপারে (অর্থাৎ, খেলাফতের ব্যাপারে) এই কয়েকজন ব্যতীত আমি অন্য আর কাহাকেও যোগ্যতম মনে করি না, যাহাদের প্রতি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওফাতের সময় সন্তুষ্ট থাকিয়া গিয়াছেন। অতঃপর তিনি [ওমর (রাঃ)] হযরত আলী, ওসমান, যুবায়র, তালহা, সাদ ও আব্দুর রহমান (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ করেন। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১০৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৯। হযরত কায়স ইবনে আবু হাযেম (রাঃ) বলেন, আমি হযরত তালহা (রাঃ)-এর ঐ হাতখানা অবশ অবস্থায় দেখিয়াছি, যেই হাত দ্বারা তিনি ওহুদের দিন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (কাফেরদের আক্রমণ হইতে) রক্ষা করিয়াছিলেন। বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১১০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১১০। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহযাব (খন্দক যুদ্ধের সময় বলিলেন এমন কে আছে, যে শত্রুদলের তথ্য আনিয়া আমাকে দিতে পারে? তখন হযরত যুবায়র বলিলেন, "আমি।” অতঃপর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, প্রত্যেক নবীর "হাওয়ারী" থাকে। নিশ্চয়ই যুবায়র আমার হাওয়ারী। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান