মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৬০৫৪

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৫৪। হযরত আসলাম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে ওমর (রাঃ) আমাকে তাঁহার অর্থাৎ, হযরত ওমর (রাঃ)-এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন, তখন আমি তাঁহাকে বলিলাম, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাতের পর আমি ওমর (রাঃ) অপেক্ষা দ্বীনের কাজে অধিক অবিচল ও সঠিক কর্মপরায়ণ আর কোন ব্যক্তিকে দেখি নাই। তিনি তাঁহার শেষ বয়স পর্যন্ত একই অবস্থায় প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছেন। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬০৫৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৫৫। হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাঃ) বলেন, (যখন আবু লু'লু কর্তৃক) হযরত ওমর (রাঃ) ঘায়েল হন, তখন তিনি উহার যন্ত্রণা ভোগ করিতে থাকেন, এ সময় হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) যেন অনেকটা সান্ত্বনার সুরে তাঁহাকে বলিলেন, হে আমীরুল মু'মেনীন ! আপনি এত অধিক অস্থির হইবেন না। (মৃত্যু ঘটিলেও চিন্তার কোন কারণ নাই।) কেননা, আপনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহচর্য লাভ করিয়াছেন এবং তাঁহার সাহচর্যের হক উত্তমরূপে পালন করিয়াছেন। অতঃপর তিনি আপনার নিকট হইতে এমতাবস্থায় বিচ্ছিন্ন হইয়াছেন যে, তিনি আপনার প্রতি পূর্ণ সন্তুষ্ট ছিলেন। তারপর আপনি হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর সাহচর্য লাভ করেন এবং তাঁহার সাহচর্যের হকও উত্তমরূপে আদায় করিয়াছেন। আর তিনি আপনার নিকট হইতে এমতাবস্থায় বিচ্ছিন্ন হইলেন যে, তিনিও আপনার প্রতি পূর্ণ সন্তুষ্ট ছিলেন। অতঃপর (খলীফা থাকাকালীন) আপনি মুসলমানদের সহিত জীবন অতিবাহিত করিয়াছেন এবং তাহাদের সহিত সহ-অবস্থানের হকও উত্তমরূপে আদায় করিয়াছেন। আর এই মুহূর্তে যদি আপনি তাহাদের নিকট হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া যান, তবে নিশ্চিতভাবে আপনি তাহাদের নিকট হইতে এমতাবস্থায় বিচ্ছিন্ন হইবেন যে, তাহারা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকিবে।
এই সমস্ত কথা শুনিবার পর হযরত ওমর (রাঃ) বলিলেন, তুমি যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহচর্য ও তাঁহার সন্তুষ্টির কথা উল্লেখ করিয়াছ, তাহা তো ছিল আল্লাহ্ তা'আলার বিশেষ একটি অনুগ্রহ, যাহা তিনি আমার উপর করিয়াছেন। আর আবু বকরের সাহচর্য ও সন্তুষ্টি সম্পর্কে যাহা তুমি উল্লেখ করিলে তাহাও শুধুমাত্র আল্লাহর বিশেষ একটি মেহেরবানী, যাহা তিনি আমার উপর করিয়াছেন। কিন্তু আমার মধ্যে এখন যে অস্থিরতা তুমি লক্ষ্য করিতেছ, তাহা তোমার জন্য এবং তোমার সাথীদের জন্য। আল্লাহর কসম! যদি আমার নিকট দুনিয়া ভর্তি স্বর্ণ থাকিত, তবে আল্লাহর আযাব (স্বচক্ষে অবলোকন করিবার আগেই তাহা হইতে রক্ষা পাইবার জন্য আমি উহা বিনিময় হিসাবে দান করিয়া দিতাম। —বুখারী
এই সমস্ত কথা শুনিবার পর হযরত ওমর (রাঃ) বলিলেন, তুমি যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহচর্য ও তাঁহার সন্তুষ্টির কথা উল্লেখ করিয়াছ, তাহা তো ছিল আল্লাহ্ তা'আলার বিশেষ একটি অনুগ্রহ, যাহা তিনি আমার উপর করিয়াছেন। আর আবু বকরের সাহচর্য ও সন্তুষ্টি সম্পর্কে যাহা তুমি উল্লেখ করিলে তাহাও শুধুমাত্র আল্লাহর বিশেষ একটি মেহেরবানী, যাহা তিনি আমার উপর করিয়াছেন। কিন্তু আমার মধ্যে এখন যে অস্থিরতা তুমি লক্ষ্য করিতেছ, তাহা তোমার জন্য এবং তোমার সাথীদের জন্য। আল্লাহর কসম! যদি আমার নিকট দুনিয়া ভর্তি স্বর্ণ থাকিত, তবে আল্লাহর আযাব (স্বচক্ষে অবলোকন করিবার আগেই তাহা হইতে রক্ষা পাইবার জন্য আমি উহা বিনিময় হিসাবে দান করিয়া দিতাম। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬০৫৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - আবু বাকর সিদ্দীক ও উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৫৬। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: একদা এক ব্যক্তি একটি গাড়ী হাঁকাইয়া লইয়া যাইতেছিল। যখন লোকটি ক্লান্ত হইয়া পড়িল, তখন সে উহার উপর সওয়ার হইল। তখন গাভীটি বলিল, আমাদিগকে তো এই কাজের (সওয়ারীর) জন্য সৃষ্টি করা হয় নাই। বরং আমাদিগকে যমীনে কৃষিকাজের জন্যই সৃষ্টি করা হইয়াছে। তখন লোকজন (বিস্ময়ে) বলিয়া উঠিল, সুবহানাল্লাহ্! গাভীও কথা বলিতেছে? এই কথা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, আমি এই বিষয়ে ঈমান রাখি আর আবু বকর এবং ওমরও এই বিষয়ে ঈমান রাখেন। অথচ তাহারা দুইজনের কেহই তথায় উপস্থিত ছিলেন না।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, একদা এক রাখাল তাহার বকরীর পালের নিকট ছিল। হঠাৎ এক নেকড়ে বাঘ থাবা মারিয়া পাল হইতে একটি বকরী লইয়া গেল। পরক্ষণেই রাখাল বাঘটির কবল হইতে বকরীটিকে উদ্ধার করিয়া ফেলিল। তখন বাঘটি রাখালকে বলিল, (আজ তো আমার নিকট হইতে ছিনাইয়া নিয়াছ) হিংস্র জন্তুর স্বরাজের দিন এই বকরীর রক্ষাকারী কে থাকিবে? যেইদিন আমি ছাড়া আর কেহই উহার রাখাল থাকিবে না। তখন লোকজন (বিস্ময়ে) বলিয়া উঠিল, সুবহানাল্লাহ্। নেকড়ে বাঘও কথা বলিতে পারে? তখন রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিলেন, আমি ইহার উপর ঈমান রাখি আর আবু বকর এবং ওমরও ঈমান রাখেন। অথচ তাহারা দুইজনের কেহই তথায় উপস্থিত ছিলেন না। মোত্তাঃ
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, একদা এক রাখাল তাহার বকরীর পালের নিকট ছিল। হঠাৎ এক নেকড়ে বাঘ থাবা মারিয়া পাল হইতে একটি বকরী লইয়া গেল। পরক্ষণেই রাখাল বাঘটির কবল হইতে বকরীটিকে উদ্ধার করিয়া ফেলিল। তখন বাঘটি রাখালকে বলিল, (আজ তো আমার নিকট হইতে ছিনাইয়া নিয়াছ) হিংস্র জন্তুর স্বরাজের দিন এই বকরীর রক্ষাকারী কে থাকিবে? যেইদিন আমি ছাড়া আর কেহই উহার রাখাল থাকিবে না। তখন লোকজন (বিস্ময়ে) বলিয়া উঠিল, সুবহানাল্লাহ্। নেকড়ে বাঘও কথা বলিতে পারে? তখন রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিলেন, আমি ইহার উপর ঈমান রাখি আর আবু বকর এবং ওমরও ঈমান রাখেন। অথচ তাহারা দুইজনের কেহই তথায় উপস্থিত ছিলেন না। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬০৫৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আবু বাকর সিদ্দীক ও উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৫৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আবু বকর এবং ওমর নবী-রাসূলগণ ব্যতীত দুনিয়ার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত বেহেশতবাসী প্রৌঢ়দের সরদার হইবেন। – তিরমিযী,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান