মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৬০০১
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০১। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ শাসন-কর্তৃত্ব কোরাইশদের মধ্যে, বিচার আনসারদের মধ্যে, আযান হাবশীদের মধ্যে এবং আমানতদারী আযদ তথা ইয়ামনীদের মধ্যে (অর্থাৎ, এই সকল দায়িত্ব পালনের বিশেষ যোগ্যতা ইহাদের মধ্যে রহিয়াছে)। — তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি মউকুফ হিসাবে বর্ণিত হওয়াই অধিক সহীহ্ ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬০০২
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০২। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুতী (রহঃ) তাঁহার পিতা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, আজিকার পর হইতে কিয়ামত পর্যন্ত কোন কোরাইশীকে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা যাইবে না। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬০০৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০৩। হযরত আবু নওফল মুআবিয়া ইবনে মুসলিম (রাঃ) বলেন, মদীনামুখী মক্কার গিরিপথে আমি হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবাইর (রাঃ)-কে (অর্থাৎ, তাঁহার মৃত লাশ) দেখিতে পাই। তিনি বলেন, তাঁহার নিকট দিয়া কোরাইশ ও অন্যান্য বহু লোকই অতিক্রম করিয়া যাইতেছিল, অবশেষে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) তাঁহার পার্শ্ব দিয়া যাওয়ার বেলায় দাঁড়াইলেন এবং বলিলেন, “আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবাইব, আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবাইব, আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবাইব!” অতঃপর বলিলেন, জানিয়া রাখ! আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আমি তোমাকে ইহা হইতে নিষেধ করিয়াছিলাম, জানিয়া রাখ! আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আমি তোমাকে ইহা হইতে নিষেধ করিয়াছিলাম, জানিয়া রাখ! আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আমি তোমাকে ইহা হইতে নিষেধ করিয়াছিলাম (অর্থাৎ, খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করা হইতে)। জানিয়া রাখ! আল্লাহর কসম! আমার জানামতে তুমি ছিলে অধিক রোযাদার, খুব বেশী এবাদত ও তাহাজ্জুদ-গোযার এবং আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি সদ্ব্যবহারকারী। জানিয়া রাখ! আল্লাহর কসম! যেই দলের আকীদা ও ধারণায় তুমি মন্দ, প্রকৃতপক্ষে সেই দলই মন্দ। অপর এক রেওয়ায়তে আছে — (তিনি উপহাসের সুরে বলিয়াছেন,) হ্যাঁ, তাহারা খুব চমৎকার একটি গোষ্ঠী!
(বর্ণনাকারী বলেন,) ইহার পর হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) তথা হইতে চলিয়া গেলেন। অতঃপর আব্দুল্লাহ্ (ইবনে ওমর)-এর উক্ত স্থানে দাঁড়ান এবং উল্লিখিত কথাগুলি বলার সংবাদটি হাজ্জাজের কাছে পৌঁছিলে তিনি ইবনে যুবাইরের লাশের কাছে লোক পাঠাইলেন এবং শূলির কাষ্ঠ হইতে লাশটি নামাইয়া ইহুদীদের কবরস্থানে ফেলিয়া দেওয়া হইল। ইহার পর হাজ্জাজ তাহার মাতা আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ)-কে তাহার কাছে ডাকিয়া পাঠাইল ; কিন্তু হযরত আসমা (রাঃ) তাহার নিকট আসিতে অস্বীকার করিলেন। অতঃপর হাজ্জাজ এই কথা বলিয়া পুনরায় লোক পাঠাইল যে, তাহাকে গিয়া বল! হয়তো তুমি স্বেচ্ছায় আমার নিকট আসিবে অথবা আমি তোমার কাছে এমন লোককে পাঠাইব, যে তোমার চুলের বেণী চাপিয়া ধরিয়া তোমাকে হেঁচড়াইয়া টানিয়া লইয়া আসিবে। বর্ণনাকারী বলেন, হযরত আসমা এইবারও আসিতে অস্বীকার করিলেন এবং বলিলেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমার কাছে ততক্ষণ পর্যন্ত আসিব না, যে পর্যন্ত না তুমি এমন লোককে আমার কাছে পাঠাইবে, যে আমার চুলের বেণী ধরিয়া আমাকে হেঁচড়াইয়া নিয়া আসিবে। বর্ণনাকারী বলেন, এই কথা শুনিয়া হাজ্জাজ বলিল, তোমরা আমার জুতা দাও। অতঃপর সে তাহার জুতা পরিধান করিল এবং দ্রুত রওয়ানা হইল এবং হযরত আসমার নিকটে আসিয়া বলিল, আল্লাহর দুশমন (আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবাইর)-এর সাথে আমি যেই আচরণ করিয়াছি এই ব্যাপারে তুমি আমাকে কেমন পাইলে? উত্তরে তিনি বলিলেন, “আমি দেখিয়াছি, তুমি তাহার দুনিয়াকে ধ্বংস করিয়াছ, আর সে তোমার আখেরাতকে ধ্বংস করিয়া দিয়াছে।” আমার কাছে এই খবরও পৌঁছিয়াছে, তুমি নাকি তাহাকে (উপহাসস্বরূপ) বলিতেছ, হে দুই নেতাকওয়ালীর সন্তান! আল্লাহর কসম! আমিই সেই দুই নেতাকওয়ালী মহিলা। জানিয়া রাখ, উহার (আমার কোমরে বাঁধিবার দোপাট্টার) একখণ্ড দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর সফরের খাদ্য বাঁধিয়া তাঁহাদের সওয়ারীর গলায় ঝুলাইয়া দিতাম এবং অপর খণ্ড ঐ কাজে ব্যবহার করিতাম যাহা হইতে কোন নারী অমুখাপেক্ষী থাকিতে পারে না। (অর্থাৎ, গৃহের কাজ-কর্ম করিবার সময় মহিলারা নিজেদের কোমরে যেই কাপড় বা গামছা বাঁধিয়া রাখে, এক খণ্ড দ্বারা আমি তাহাই করিতাম।)
জানিয়া রাখ, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে বর্ণনা করিয়াছেন, সাকীফ গোত্রে এক চরম মিথ্যাবাদী ও এক মহাঅত্যাচারী জন্মগ্রহণ করিবে। সুতরাং সেই চরম মিথ্যুক (মোখতার)-কে আমরা ইতিপূর্বে দেখিয়াছি। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস তুমিই সেই মহা-অত্যাচারী যালিম। বর্ণনাকারী বলেন, হযরত আসমার মুখে উপরোক্ত কথাগুলি শুনিয়া হাজ্জাজ কোন প্রতিউত্তর না করিয়াই চলিয়া গেল। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬০১২
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাহাবায়ি কিরাম (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০১২। হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমার সাহাবীদিগকে সম্মান কর। কেননা, তাহারা তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম লোক। অতঃপর তৎপরবর্তী লোকদিগকে (তাবেয়ী)। অতঃপর তৎপরবর্তী লোকদিগকে (তবয়ে তাবেয়ীদিগকে সম্মান কর,) ইহার পর প্রকাশ্যে মিথ্যা চলিতে থাকিবে। এমন কি কোন ব্যক্তি (স্বেচ্ছায় ) কসম করিবে, অথচ তাহার নিকট হইতে কসম চাওয়া হইবে না। সে সাক্ষ্য দিবে, অথচ তাহার নিকট হইতে সাক্ষ্য চাওয়া হইবে না। সাবধান। যেই ব্যক্তি জান্নাতের মধ্যস্থলের আকাঙ্ক্ষী, সে যেন জমাআতকে ধরিয়া রাখে। (অর্থাৎ, সাহাবী, তাবেয়ীন, তবয়ে তাবেয়ীন ও সলফে সালেহীনদের অনুসরণ করিয়া চলে।) কেননা, শয়তান সেই ব্যক্তির সাথে, যে জমাআত হইতে আলাদা । আর সে দুইজনের জমাআত হইতেও দূরে থাকে। সাবধান! তোমাদের কেহ যেন কোন বেগানা নারীর সাথে নির্জনে অবস্থান না করে। কেননা, শয়তান তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে তাহাদের মাঝে উপস্থিত থাকে। আর যাহার নেক কাজে মনের মধ্যে আনন্দ জাগে এবং বদ কাজ তাহাকে চিন্তিত করিয়া ফেলে, সে-ই প্রকৃত ঈমানদার।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬০১৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাহাবায়ি কিরাম (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০১৩। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ এমন কোন মুসলমানকে দোযখের আগুন স্পর্শ করিবে না, যে আমাকে দেখিয়াছে বা আমাকে যে দেখিয়াছে—তাহাকে দেখিয়াছে। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬০১৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাহাবায়ি কিরাম (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০১৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুগাফফাল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহকে ভয় কর, আমার সাহাবীদের ব্যাপারে। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহকে ভয় কর, আমার সাহাবীদের ব্যাপারে। আমার (ওফাতের) পরে তাহাদিগকে সমালোচনার পাত্র বানাইও না। যে ব্যক্তি তাহাদিগকে মহব্বত করে, সে আমার মহব্বতেই তাহাদিগকে মহব্বত করিল। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তাহাদের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ রাখে, সে আমার প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ রাখিল। আর যে ব্যক্তি তাহাদিগকে দুঃখ বা কষ্ট দিল, সে মূলত আমাকেই কষ্ট দিল। আর যে আমাকে কষ্ট দিল, সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকেই কষ্ট দিল। অতএব, যে আল্লাহ্ পাককে কষ্ট দিল, আল্লাহ্ পাক তাহাকে অচিরেই পাকড়াও করিবেন। – তিরমিযী, আর তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান