মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫৯৮৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৮৬। হযরত আবু বাকরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন আসলাম, গেফার, মুযাইনা, ও জুহাইনা গোত্রসমূহ বনু তামীম ও বনু আমের এবং উভয় সহযোগী তথা বনু আসাদ ও গাতফান হইতেও উত্তম। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯৮৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৮৭। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, তখন হইতে সর্বদা আমি বনু তামীমকে ভালবাসিয়া আসিতেছি, যখন হইতে তাহাদের তিনটি গুণের কথা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট হইতে শুনিয়াছি। আমি তাঁহাকে বলিতে শুনিয়াছি, (১) আমার উম্মতের মধ্যে বনু তামীমই দাজ্জালের মুকাবিলায় অধিক কঠোর প্রমাণিত হইবে। (২) একবার তাহাদের সদকা আসিয়া পৌঁছিলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ “ইহা আমার কওমের সদকা।” (৩) হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট বনু তামীমের একটি দাসী ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আয়েশাকে বলিলেন, “তুমি তাহাকে আযাদ করিয়া দাও। কেননা, সে হযরত ইসমাঈলের বংশধর।” – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯৮৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৮৮। হযরত সা'দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যেই ব্যক্তি কোরাইশকে অপমানিত করিবার ইচ্ছা পোষণ করিবে, আল্লাহ্ তা'আলাই তাহাকে অপমানিত করিবেন। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯৮৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৮৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ হে আল্লাহ্! তুমি কোরাইশদের প্রথম শ্রেণীকে প্রথমে দুঃখের স্বাদ গ্রহণ করাইয়াছ, এখন তাহাদের পরবর্তী শ্রেণীকে সুখ ভোগের সুযোগ দান কর। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯৯০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৯০। হযরত আবু আমের আশআরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ “আসদ ও আশআর” এই গোত্রদ্বয় বড়ই উত্তম। ইহারা লড়াইয়ের ময়দান হইতে পলায়ন করে না এবং আমানত বা গনীমতের মালে খেয়ানত করে না। সুতরাং তাহারা আমার দলের অন্তর্ভুক্ত আর আমি তাহাদের অন্তর্ভুক্ত। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯৯১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৯১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আযদ গোত্র যমীনের উপর আল্লাহর (দ্বীনের সাহায্যকারী) আযদ। লোকেরা তাহাদিগকে হেয় করিয়া রাখিতে চায়, অথচ আল্লাহ্ তা'আলা উহার বিপরীত তাহাদিগকে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করিতে চান। মানুষের উপর এমন এক সময় আসিবে, কোন ব্যক্তি আক্ষেপের সাথে বলিবে, হায়! আমার পিতা কিংবা বলিবে, আমার মাতা যদি আযদ বংশীয় হইতেন (তবে কতই না ভাল হইত)। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯৯২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৯২। হযরত ইমরান ইবনে হোসাইন (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (আরবের) তিনটি গোত্রের উপর অসন্তুষ্ট থাকা অবস্থায় ইনতেকাল করিয়াছেন। সাকীফ, বনু হানীফা ও বনু উমাইয়া। —তিরমিযী, আর তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯৯৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৯৩। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সাকীফ গোত্রে এক চরম মিথ্যাবাদী এবং আর এক ধ্বংসকারীর জন্ম হইবে। অধঃস্তন রাবী আব্দুল্লাহ ইবনে ইসমা বলেন, মানুষের কাছে প্রকাশ—সেই মিথ্যাবাদী হইল মোখতার ইবনে আবু উবায়দ। (সে এক সময় কুফায় নবুওতের দাবী করিয়াছিল এবং বলিয়াছিল, হযরত জিবরাঈল তাহার কাছে ওহী লইয়া আসেন।) আর ধ্বংসকারী হইল হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ। হেশাম ইবনে হাসসান বলিয়াছেন, লোকেরা শুমার করিয়া দেখিয়াছে; হাজ্জাজ যেই সমস্ত লোকদিগকে (যুদ্ধের ময়দান ব্যতীত) শুধু কয়েদ করিয়া হত্যা করিয়াছে, উহার সংখ্যা এক লক্ষ বিশ হাজার। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯৯৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৯৪। এবং সহীহ্ মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে— হাজ্জাজ যখন হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবাইর (রাঃ)-কে শহীদ করিল, তখন তাঁহার মাতা হযরত আসমা [(রাঃ) হাজ্জাজকে লক্ষ্য করিয়া] বলিলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে বর্ণনা করিয়াছেন, সাকীফ গোত্র হইতে এক চরম মিথ্যাবাদী এবং এক রক্তপিপাসুর আবির্ভাব ঘটিবে। সুতরাং সেই জঘন্য মিথ্যাবাদী (মোখতার)-কে তো আমরা দেখিয়াছি। আর (হে হাজ্জাজ !) আমার দৃঢ় বিশ্বাস তুমিই সেই রক্ত-পিপাসু ব্যক্তি। পূর্ণ হাদীস তৃতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণিত হইবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান