মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫১২৩

পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১২৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যুলম কিয়ামতের দিন বহু অন্ধকারের কারণ হইবে। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫১২৪

পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১২৪। হযরত আবু মুসা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : আল্লাহ্ তা'আলা অত্যাচারীকে (এক নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত) অবকাশ দিয়া থাকেন। অবশেষে তাহাকে যখন পাকড়াও করেন, তখন আর তাহাকে ছাড়েন না। অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করিলেন, “তোমার প্রভুর ধরা এইরূপ যে, যখন তিনি অত্যাচারী জনপদকে পাকড়াও করেন....... শেষ পর্যন্ত। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫১২৫

পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১২৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, যখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম "হিজর' নামক জায়গার উপর দিয়া গমন করেন, তখন (সঙ্গীদিগকে ) বলিলেনঃ তোমরা ঐ সমস্ত যালিমদের বস্তিসমূহে ক্রন্দনরত অবস্থা ব্যতীত প্রবেশ করিও না—যাহারা নিজেদের উপর নিজেরা অত্যাচার করিয়াছে। এমন যেন না হয়, তোমাদের উপর ঐ বিপদ পৌঁছিয়া যায় যাহা তাহাদের উপর পৌঁছিয়াছিল। অতঃপর হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর দ্বারা নিজের মস্তক ঢাকিয়া ফেলিলেন এবং উক্ত উপত্যকাটি অতিক্রম না করা পর্যন্ত চলার গতি দ্রুত করিলেন। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫১২৬

পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১২৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তাহার কোন মুসলমান ভাইয়ের প্রতি যুলম করিয়াছে তাহার সম্মান কিংবা অন্য কোন বিষয়ে, তবে সে যেন আজই তাহার নিকট হইতে উহা মাফ করাইয়া লয় — ঐদিনের পূর্বে, যেইদিন তাহার নিকট দিরহাম ও দীনার কিছুই থাকিবে না (অর্থাৎ, মৃত্যু বা কিয়ামতের দিনের পূর্বে)। যদি তাহার নিকট নেক আমল থাকে, তবে তাহার যুলম পরিমাণ নেকী লওয়া হইবে, আর যদি তাহার কাছে নেকী না থাকে, তবে মাযলুম ব্যক্তির গুনাহ্ তাহার উপর চাপাইয়া দেওয়া হইবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫১২৭

পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১২৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা কি জান দরিদ্র কে? সাহাবীগণ বলিলেন, আমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই তো দরিদ্র যাহার টাকা-কড়ি ও ধন-সম্পদ নাই। তখন হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই (সর্বাপেক্ষা) দরিদ্র হইবে, যে দুনিয়া হইতে নামায, রোযা ও যাকাত আদায় করিয়া আসিবে এবং সাথে সাথে ঐসমস্ত লোকেরাও আসিবে, সে কাহাকেও গালি দিয়াছে, কাহারও উপর অপবাদ রটাইয়াছে, কাহারও মাল-সম্পদ গ্রাস করিয়াছে, কাহাকেও হত্যা করিয়াছে এবং কাহাকেও প্রহার করিয়াছে। সুতরাং এই হকদারকে তাহার নেকী প্রদান করা হইবে, আবার ঐ হকদারকে তাহার নেকী হইতে প্রদান করা হইবে। এভাবে হকদারের হক পরিশোধ করার পূর্বে যদি তাহার নেকী নিঃশেষ হইয়া যায় তখন তাহাদের গুনাহ্সমূহ ঐ ব্যক্তির উপরে চাপাইয়া দেওয়া হইবে। অতঃপর তাহাকে দোযখে নিক্ষেপ করা হইবে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫১২৮

পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১২৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ নিশ্চয় কিয়ামতের দিন হকদারকে তাহার প্রাপ্য হক পরিশোধ করা হইবে। এমনকি শিংবিশিষ্ট বকরী হইতে শিংবিহীন বকরীর প্রতিশোধ লওয়া হইবে। —মুসলিম। হযরত জাবিরের হাদীস اتَّقَوُا الظُّلم الخ ইনফাক অধ্যায়ে উল্লেখ করা হইয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান