মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৫০২৯
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০২৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহ্ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার বেহেশতের দরজা খোলা হয় এবং এমন সব বান্দাকে মাফ করিয়া দেওয়া হয়, যে আল্লাহর সহিত কোন কিছুকে শরীক করে না। তবে ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হয় না – যাহার মধ্যে ও তাহার কোন ভাইয়ের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ বিদ্যমান আছে। তখন ফিরিশতাদিগকে বলা হয়, ইহাদেরকে পরস্পর মীমাংসা করিবার জন্য সুযোগ দাও। –মুসলিম
كتاب الآداب
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تُفْتَحُ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ فَيُغْفَرُ لِكُلِّ عَبْدٍ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا إِلَّا رجلا كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَخِيهِ شَحْنَاءٌ فَيُقَالُ: انْظُرُوا هذَيْن حَتَّى يصطلحا . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৩০
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৩০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : প্রত্যেক সপ্তাহে দুইবার সোমবার ও বৃহস্পতিবার সমস্ত মানুষের কার্যাবলী আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে পেশ করা হয় এবং প্রত্যেক মু'মিন বান্দাকে ক্ষমা করা হয়। কিন্তু সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হয় না, যে আপন কোন মুসলমান ভাইয়ের সহিত শত্রুতা পোষণ করে। তাহাদের সম্পর্কে বলা হয়, যাহাতে তাহারা আপোষ হইতে পারে সেই পর্যন্ত তাহাদিগকে অবকাশ দাও। –মুসলিম
كتاب الآداب
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تُعْرَضُ أَعْمَالُ النَّاسِ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّتَيْنِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ فَيُغْفَرُ لِكُلِّ مُؤْمِنٍ إِلَّا عبدا بَينه بَين أَخِيهِ شَحْنَاءُ فَيُقَالُ: اتْرُكُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَفِيئَا . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৩১
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৩১। হযরত উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা ইবনে আবু মু'আইত (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি যে, ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নহে, যে লোকদের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা করে এবং উভয় পক্ষকে ভাল কথা বলে; আর একজনের পক্ষ হইতে অপর জনকে উত্তম কথা শোনায় (যদিও এই কথা মিথ্যা হয়)। — মোত্তাঃ । মুসলিমের এক বর্ণনায় এই কথাটিও বর্ধিত আছে যে, রাবী উম্মে কুলসুম (রাঃ) বলিয়াছেন, আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি ব্যাপার ছাড়া অন্য কোন ব্যাপারে মিথ্যা বলার অনুমতি দিতে শুনি নাই। (১) যুদ্ধক্ষেত্রে, (২) বিবাদমান দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে মীমাংসার জন্য এবং (৩) স্বামী তাহার স্ত্রীকে এবং স্ত্রী তাহার স্বামীকে কথাবার্তা বলার সময়।
كتاب الآداب
وَعَنْ أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مَعِيطٍ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ وَيَقُولُ خَيْرًا وَيَنْمِي خَيْرًا» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَزَادَ مُسْلِمٌ قَالَتْ: وَلَمْ أَسْمَعْهُ - تَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُرَخِّصُ فِي شَيْءٍ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ كَذِبٌ إِلَّا فِي ثَلَاثٍ: الْحَرْبُ وَالْإِصْلَاحُ بَيْنَ النَّاسِ وَحَدِيثُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ وَحَدِيثُ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৩২
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৩২। হযরত জাবেরের বর্ণিত হাদীস । أنَّ الشَّيطانَ قد أَيِسَ ‘ওয়াসওয়াসা' অধ্যায়ে বর্ণিত হইয়াছে।
كتاب الآداب
بَابُ مَا يُنْهٰى عَنْهُ مِنَ التَّهَاجِرُ وَالتَّقَاطُعِ وَاتِّبَاعِ الْعَوْرَاتِ
وَذكر حَدِيث جَابر: «إِن الشَّيْطَان قد أيس» فِي «بَاب الوسوسة»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৩৩
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৩৩। হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তিন অবস্থা ব্যতীত মিথ্যা বলা হালাল নয়। (১) নিজের স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য স্বামীর মিথ্যা বলা। (২) যুদ্ধ সংক্রান্ত ব্যাপারে মিথ্যা বলা এবং (৩) বিবাদমান মানুষের মধ্যে আপোষ-মীমাংসার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলা। – আহমদ ও তিরমিযী
كتاب الآداب
الْفَصْل الثَّانِي
عَن أَسمَاء بنت يزِيد قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ الْكَذِبُ إِلَّا فِي ثَلَاثٍ: كَذِبُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ لِيُرْضِيَهَا وَالْكَذِبُ فِي الْحَرْبِ وَالْكَذِبُ لِيُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৩৪
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৩৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন মুসলমানের পক্ষে উচিত নয় যে, তিন দিনের অধিক অপর কোন মুসলমানের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে। অতঃপর যখনই তাহার সহিত সাক্ষাৎ হয় তাহাকে তিনবার সালাম করিবে। যদি সে একবারও জওয়াব না দেয়, তবে সে উহার গুনাহ্ লইয়াই ফিরিবে। —আবু দাউদ
كتاب الآداب
وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثٍ فَمِنْ هَجَرَ فَوْقَ ثَلَاثٍ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ لَا يَرُدُّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاء بإثمه» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক: