মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৪- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৫৯৩

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৫৯৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কতিপয় লোক রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জ্যোতিষীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। (অর্থাৎ, তাহাদের কথা বিশ্বাস করা জায়েয কিনা ?) রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাদিগকে বলিলেন ঃ উহারা কিছুই নহে। তাহারা বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহারা কোন কোন সময় এমন কথা বলে, যাহা সত্য ও সঠিক হইয়া থাকে। তখন রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, ঐ কথাটি সত্য যাহা জ্বিন শয়তান (উর্ধ্ব জগত হইতে) তড়িৎ গতিতে শুনিয়া লয় অতঃপর মোরগের করকরানের মত শব্দ করিয়া তাহার বন্ধুর কানে উহা পৌঁছাইয়া দেয়। ইহার পর সেই গণক ঐ একটি সত্য কথার সাথে শত শত মিথ্যা মিলাইয়া প্রকাশ করিতে থাকে। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৯৪

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৫৯৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, ফিরিশতাদের এক দল মেঘের দেশে (অর্থাৎ, পৃথিবী হইতে নিকটতম আকাশে নামিয়া আসেন এবং আসমানে যাহার ফয়সালা হইয়াছে পরস্পর তাহার আলোচনা করেন, সেই সময় জ্বিন শয়তান কান লাগাইয়া রাখে। আর যখনই সে কোন কথা শুনিতে পায়, তখনই উহা গণকদের কানে পৌঁছাইয়া দেয় এবং তাহারা নিজেদের পক্ষ হইতে শত শত মিথ্যা উহার সাথে মিলাইয়া প্রকাশ করিতে থাকে। (ফলে একটি সত্য হয় আর সব কয়টি হয় মিথ্যা।) — বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৯৫

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৫৯৫। হযরত হাফসা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং (তাহার কথা সত্য মনে পোষণ করিয়া) তাহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করে, তাহার চল্লিশ দিনের নামায কবুল হয় না। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৯৬

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৫৯৬। হযরত যায়দ ইবনে খালেদ জুহানী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হোদায়বিয়ায় রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রের বৃষ্টির পর ভোরে আমাদের ফজরের নামায পড়াইলেন। নামায শেষ করিয়া তিনি লোকদের (মুক্তাদীদের) দিকে ফিরিয়া বলিলেন: তোমরা কি জান? তোমাদের রব কি বলিয়াছেন। তাহারা বলিল, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলই অধিক জানেন। তিনি বলিলেন, রবু বলিয়াছেন: আমার বান্দাগণ অদ্য এমন অবস্থায় ভোর করিয়াছে যে, তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ আমার প্রতি ঈমান পোষণকারী এবং কেহ আমাকে অস্বীকারকারী। সুতরাং যে বলিয়াছে, আল্লাহর রহমত ও করুণায় আমরা বৃষ্টি লাভ করিয়াছি, সে আমার প্রতি ঈমান পোষণকারী এবং তারকা বা নক্ষত্রে অস্বীকারকারী। আর যে বলিয়াছে, অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে আমরা বৃষ্টি লাভ করিয়াছি, সে আমার সাথে কুফরী করিয়াছে এবং নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাস করিয়াছে। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৯৭

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৫৯৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যখনই আল্লাহ্ তা'আলা আসমান হইতে কোন বরকত নাযিল করেন, তখন উহার দ্বারা এক দল লোক কাফেরে পরিণত হয়। বৃষ্টি তো আল্লাহ্ই বর্ষণ করাইয়া থাকেন, অথচ এক শ্রেণীর লোক বলে যে, অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবেই বৃষ্টি হইয়াছে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান