মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৪- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৫৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৮৬। হযরত সা'দ ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছুই নাই। রোগের মধ্যে সংক্রামক বলিতে কিছুই নাই এবং কোন কিছুর মধ্যে অশুভ লক্ষণ নাই। তবে হ্যাঁ, যদি কোন কিছুতে অমঙ্গল থাকে, তবে ঘর, ঘোড়া এবং নারীর মধ্যে থাকিবে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৮৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৮৭। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী (ﷺ) যখন কোন প্রয়োজনে ঘর হইতে রওয়ানা হইতেন, তখন কাহারো মুখে ইয়া রাশেদু (হে সঠিক পথের অনুসারী), ইয়া নাজীহু (হে সফলতা লাভকারী) বা এই জাতীয় কোন শব্দ শুনা ভালবাসিতেন। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৮৮। হযরত বুরায়দা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) কোন কিছু দ্বারা অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করিতেন না। তাঁহার অভ্যাস ছিল, তিনি যখন কোথাও কোন কর্মচারী পাঠাইতে ইচ্ছা করিতেন, তখন তাহার নাম জিজ্ঞাসা করিতেন। যদি তাহার নাম ভাল হইত, তাহাতে তিনি খুশী হইতেন এবং খুশীর রেখা তাঁহার চেহারা মোবারকে ফুটিয়া উঠিত। আর যদি তাহার নাম মন্দ হইত, তখন অসন্তুষ্টির চিহ্ন তাঁহার চেহারায় প্রকাশ পাইত। আর যখন তিনি কোন লোকালয়ে প্রবেশ করিতেন, তখন উহার নাম জিজ্ঞাসা করিতেন। যদি উহার নাম তাঁহার পছন্দমত হইত, তখন আনন্দিত হইতেন এবং খুশীর চিহ্ন তাঁহার চেহারায় ফুটিয়া উঠিত। কিন্তু যদি উহার নাম অপছন্দনীয় হইত, তখন উহার চিহ্নও তাঁহার চেহারায় পরিলক্ষিত হইত। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৮৯

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৮৯। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, হে আল্লাহর রাসূল! (প্রথমে) আমরা এমন একখানা ঘরে বসবাস করিতেছিলাম, যেখানে আমাদের সংখ্যা ও সম্পদ বৃদ্ধি পাইল। পরে আমরা সেই ঘর পরিত্যাগ করিয়া এমন এক ঘরে আসিয়া উঠিলাম, যেখানে আমাদের সংখ্যা ও সম্পদ হ্রাস পাইল। তখন নবী (ﷺ) বলিলেনঃ তোমরা এই ঘর পরিত্যাগ কর। কেননা, ইহা ভাল নহে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৯০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৯০। ইয়াহ্ইয়া ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে বাহীর (রহঃ) বলেন, আমাকে এমন এক লোক বর্ণনা করিয়াছেন, যিনি হযরত ফারওয়াহ্ ইবনে মোসাইককে বলিতে শুনিয়াছেন যে, আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের কাছে আব্বুইয়ান নামে একটা যমীন আছে, যেখানে আমরা কৃষিদ্রব্য ও খাদ্যপণ্য ইত্যাদি আমদানী-রফতানী করিয়া থাকি (অর্থাৎ, উহা আমাদের পণ্যের ব্যবসাকেন্দ্র), তবে সেখানে অসুখ-বিসুখ খুব একটা লাগিয়াই থাকে। তখন তিনি বলিলেনঃ তুমি ঐ স্থানটি ছাড়িয়া দাও। কেননা, অস্বাস্থ্যকর স্থানে বসবাস করা নিজেকে স্বেচ্ছায় ধ্বংস করারই নামান্তর। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৫৯২

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৫৯২। হযরত মুআবিয়া ইবনে হাকাম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা জাহেলিয়াতের যুগের অন্যান্য কাজের মধ্যে ইহাও করিতাম যে, আমরা জ্যোতিষীদের কাছে যাইতাম (এবং তাহাদের নিকট গায়েবের খবরাখবর জিজ্ঞাসা করিতাম)। তখন তিনি বলিলেন: তোমরা আর কখনো গণকদের কাছে যাইও না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আরয করিলাম, আমরা (কোন কাজের জন্য) অশুভ লক্ষণ মানিয়া থাকি। তিনি বলিলেন, ইহা এমন একটি ব্যাপার যে, (অনিচ্ছাকৃতভাবেই) তোমাদের কাহারো মনে ইহার উদ্রেক হইয়া থাকে, তবে ইহা যেন তোমাদিগকে ( কোন কাজ হইতে) বিরত না রাখে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আরয করিলাম, আমাদের কেহ রেখা টানিয়া (ভাগ্য পরীক্ষার কাজ করিয়া) থাকে। তিনি বলিলেন, কোন একজন নবী (আল্লাহর হুকুমে) রেখা টানার কাজ করিতেন; সুতরাং যাহার রেখা টানা সেই নবীর রেখার সাথে মিলিয়া যায় – উহা জায়ে আছে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান