মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৪৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৭৮। হযরত সাবেত (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আনাস (রাঃ)-কে নবী (ﷺ)-এর খেযাব লাগানো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল। জবাবে তিনি বলিলেন, যদি আমি তাহার মাথার সাদা চুলগুলি গুণিয়া দেখিতে চাহিতাম, তবে অনায়াসে গুণিতে পারিতাম। (অর্থাৎ, তাঁহার চুল এমন বেশী পরিমাণে সাদা হয় নাই যে, খেযাব লাগাইতে হইবে।) তিনি বলিলেন, সুতরাং তিনি খেযাব লাগান নাই। অপর এক বর্ণনায় এই কথাটি বর্ধিত আছে যে, হযরত আবু বকর (রাঃ) মেন্ধী ও কতম ঘাস মিশ্রিত খেযাব লাগাইয়াছেন। আর হযরত ওমর (রাঃ) নিরেট মেন্ধীর খেযাব লাগাইয়াছেন। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৭৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি নিজের দাড়িকে হলুদ রং দ্বারা হলদে করিতেন, এমন কি উহাতে তাহার কাপড় হলদে হইয়া যাইত। তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল, আপনি হলুদ রং ব্যবহার করেন কেন? উত্তরে তিনি বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে ইহা ব্যবহার করিতে দেখিয়াছি। বস্তুত তাহার কাছে এই রংয়ের চাইতে অন্য কোন রং অধিক প্রিয় ছিল না। তিনি তাঁহার সমস্ত কাপড় এমন কি পাগড়ীও এই রং্গে রঞ্জিত করিতেন। —আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৮০

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮০। হযরত ওসমান ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাওয়াহব (রঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (একবার) হযরত উম্মে সালামা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি আমাদের সম্মুখে নবী (ﷺ)-এর কয়েকগাছি চুল বাহির করিয়া আনিলেন যাহা (মেন্ধী দ্বারা) খেযাব করা ছিল। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৮১

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে এক হিজড়াকে আনা হইল, সে তাহার হাতে এবং পায়ে মেন্ধী লাগাইয়া রাখিয়াছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করিলেন, ইহার এই অবস্থা কেন? সাহাবাগণ বলিলেন, সে নারীদের বেশ ধারণ করিয়াছে। তখন তিনি উহাকে শহর হইতে বাহির করিয়া দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। সুতরাং তাহাকে শহরের বাহিরে নাকী' নামক স্থানে নির্বাসিত করা হইল। অতঃপর হুযুর (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা কি তাহাকে কতল করিয়া দিব? তিনি বলিলেনঃ নামাযী ব্যক্তিদিগকে কতল করিতে আমাকে নিষেধ করা হইয়াছে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৮২

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮২। হযরত ওয়ালীদ ইবনে ওক্বা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন মক্কা জয় করিলেন, তখন মক্কাবাসীরা তাহাদের ছোট ছোট বাচ্চাদিগকে তাঁহার খেদমতে আনিতে শুরু করিল আর তিনিও উহাদের জন্য বরকতের দো'আ করিতেন এবং তাহাদের মাথায় হাত বুলাইয়া দিতেন। ওয়ালীদ বলেন, আমাকেও তাঁহার খেদমতে আনা হইল, সেই সময় আমার গায়ে খালুক সুগন্ধি মাখা ছিল। সেই (রং্গিন) খালুক সুগন্ধির দরুন তিনি আমাকে স্পর্শ করেন নাই। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮৩। হযরত আবু কাতাদাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিলেন, হুযুর! আমার চুল ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছিয়াছে। সুতরাং আমি কি উহাকে আঁচড়াইয়া রাখিতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ হ্যাঁ, এবং উহাকে সযত্নে রাখ। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হ্যাঁ এবং উহাকে যত্ন কর বলার কারণে আবু কাতাদাহ দৈনিক দুইবার উহাতে তৈল মালিশ করিতেন। —মালেক

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮৪। হযরত হাজ্জাজ ইবনে হাসসান (রঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। (তখন আমি ছোট শিশুই ছিলাম।) আমার ভগ্নী মুগীরা (সেই দিনকার ঘটনাটি আমাকে এইভাবে) বর্ণনা করিয়াছেন যে, তুমি তখন ছোট বাচ্চাই ছিলে। তোমার চুলের দুইটা বেণী অথবা দুইটি গুচ্ছ ছিল। তখন হযরত আনাস (রাঃ) তোমার মাথার উপরে হাত ফিরাইয়া তোমার জন্য বরকতের দো'আ করিলেন এবং বলিলেন, উহার এই বেণী দুইটি কাটিয়া ফেল অথবা বলিয়াছেন, মুড়াইয়া ফেল। কেননা, ইহা ইয়াহুদীদের আচরণ। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮৫। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) স্ত্রীলোকের মাথা মুড়াইয়া ফেলিতে নিষেধ করিয়াছেন। —নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮৬। হযরত আতা ইবনে ইয়াসার (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মসজিদে ছিলেন। এই সময় দাড়ি চুলে এলোমেলো এক ব্যক্তি আসিল, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হাত দ্বারা তাহার প্রতি ইশারা করিলেন, যেন তিনি নির্দেশ দিতেছেন যে, সে যেন তাহার চুল দাড়ি ঠিক করিয়া আসে। লোকটি তাহাই করিল। অতঃপর নবী (ﷺ)-এর খেদমতে ফিরিয়া আসিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তোমাদের কেহ শয়তানের মত এলোমেলো চুলে আসিতে, উহা অপেক্ষা এখন যেই অবস্থায় আছ ইহা কি উত্তম নহে? –মালেক

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮৭। হযরত সায়ীদ ইবনে মুসাইয়াব (রাঃ) হইতে শ্রুত যে, তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্রতাকেই ভালবাসেন। তিনি পরিচ্ছন্ন, তাই পরিচ্ছন্নতাকেই পছন্দ করেন। তিনি দয়ালুও, তাই দয়া করাকে ভালবাসেন। তিনি দাতা, তাই দানশীলতাকে পছন্দ করেন। সুতরাং তোমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখ, রাবী বলেন, সম্ভবত ইবনে মুসাইয়াব বলিয়াছেন, তোমাদের (ঘর দুয়ার ও) আঙ্গিনাকে ইয়াহুদীদের মত (অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন) রাখিও না। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনে মুসাইয়াবের বর্ণিত এই কথাগুলি আমি হযরত মুহাজির ইবনে মিসমারের কাছে বর্ণনা করিলাম। তখন তিনি বলিলেন, অবিকল এই কথাগুলি আমাকে হযরত আমের ইবনে সা'দ তাঁহার পিতার মাধ্যমে নবী (ﷺ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি নিঃসন্দেহে বলিয়াছেন, তোমরা নিজেদের আঙ্গিনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখ। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮৮। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সায়ীদ (রঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি হযরত সায়ীদ ইবনে মুসাইয়াব (রাঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, আল্লাহর বন্ধু হযরত ইবরাহীম খলীল (আঃ)-ই প্রথম মানুষ যিনি মেহমানের আতিথেয়তা করিয়াছেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি খত্না করিয়াছেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি গোঁফ কাটিয়াছেন। আর তিনিই প্রথম মানুষ যিনি চুল সাদা হইতে দেখিয়াছেন। তখন তিনি বলিয়া উঠিলেন, হে প্ৰভু ইহা কি? মহান কল্যাণময় আল্লাহ্ তা'আলা বলিলেন, হে ইবরাহীম! ইহা মর্যাদার প্রতীক। তখন ইবরাহীম (আঃ) প্রার্থনা করিলেন, হে প্রভু ! আমার মর্যাদাকে আরো বৃদ্ধি করিয়া দাও । —মালেক

তাহকীক:
তাহকীক চলমান