মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪০৩২

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০৩২। হযরত রাফে' ইবনে খাদীজ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গনীমত বণ্টনের সময় দশটি বকরীকে একটি উটের সমান সাব্যস্ত করিতেন। —নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০৩৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নবীগণের মধ্যে কোন এক নবী জেহাদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত করিলেন এবং স্বীয় কওমের লোকদিগকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিলেন, যে সদ্য বিবাহ করিয়াছে, কিন্তু এখনও বাসর রাত্রি যাপন করে নাই; বরং সে বাসর যাপনের প্রত্যাশী, সে যেন আমার সঙ্গে জেহাদে গমন না করে এবং যেই ব্যক্তি গৃহ নির্মাণ করিয়াছে; কিন্তু এখনও ছাদ উঠায় নাই, আর যে ব্যক্তি গর্ভবতী বকরী কিংবা উষ্ট্রী ক্রয় করিয়া বাচ্চা পাওয়ার অপেক্ষায় আছে, এমন ব্যক্তিও যেন আমার সঙ্গে না যায়। অতঃপর তিনি জেহাদে বাহির হইলেন এবং যখন (প্রতিদ্বন্দ্বী) জনপদের নিকটবর্তী হইলেন, তখন আছর নামাযের সময় হইল অথবা আছরের সময় কাছাইয়া গেল। এই সময় তিনি সূর্যকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, তুমি নির্দেশপ্রাপ্ত। (অর্থাৎ, আল্লাহর নির্দেশে পরিভ্রমণ করিতেছ।) আর আমিও নির্দেশপ্রাপ্ত। (অর্থাৎ, আল্লাহর নির্দেশেই জেহাদ করিতেছি। অতঃপর তিনি এই বলিয়া প্রার্থনা করিলেন, হে আল্লাহ্! তুমি উহাকে (অর্থাৎ, সূর্যকে) আমাদের জন্য থামাইয়া দাও। ফলে আল্লাহর পক্ষ হইতে বিজয় লাভ হওয়া পর্যন্ত উহা থামিয়া গেল। অতঃপর তিনি গনীমতের সম্পদ এক জায়গায় স্তূপ করিলেন। আর সেইগুলিকে গ্রাস করার জন্য আগুন আসিল বটে; কিন্তু তাহা উহাকে গ্রাস করিল না। তখন তিনি বলিলেন, নিশ্চয়, তোমাদের মধ্যে খেয়ানত হইয়াছে। অতএব, প্রতি গোত্রের একজন করিয়া লোক আমার হাতে হাত রাখিয়া বায়আত করিতে হইবে। ফলে বায়আত করিবার সময় এক লোকের হাত তাঁহার হাতের সহিত জড়াইয়া গেল। তখন তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যেই খেয়ানতকারী আছে। (অর্থাৎ, গনীমতের খেয়ানতকৃত মাল তোমাদের গোত্রের মধ্যেই রহিয়াছে।) অবশেষে তাহারা স্বর্ণের একটি মাথা গাভীর মাথার ন্যায় আনিয়া স্তূপের মধ্যে রাখিল। অমনি আগুন আসিয়া গনীমতের সমস্ত মালগুলিকে গ্রাস করিল। (অর্থাৎ, জ্বালাইয়া ফেলিল।) অপর এক রেওয়ায়তে আছে—আমাদের পূর্বে কাহারও জন্য গনীমতের সম্পদ হালাল ছিল না। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের জন্য গনীমতের সম্পদকে হালাল করিয়া দিয়াছেন। বস্তুত তিনি আমাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখিয়াই আমাদের জন্য উহা (ভোগ করা) হালাল করিয়াছেন। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০৩৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত ওমর (রাঃ) আমাকে বলিয়াছেন যে, খায়বার যুদ্ধের দিন (অর্থাৎ, যুদ্ধ শেষে) নবী (ﷺ)-এর কয়েকজন সাহাবী আসিয়া বলিলেন, অমুক শহীদ হইয়াছে এবং অমুক শহীদ হইয়াছে। অবশেষে তাঁহারা আরও এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলিলেন, অমুকও শহীদ হইয়াছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ কস্মিনকালেও না। একখানা চাদর অথবা (বলিয়াছেন) একটি জুব্বা গনীমতের মাল হইতে খেয়ানতের দায়ে তাহাকে আমি দোযখের আগুনে দগ্ধ হইতে) দেখিয়াছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, হে ইবনুল খাত্তাব। যাও এবং লোকদিগকে তিন তিন বার ঘোষণা শুনাইয়া দাও যে, মু'মিন ব্যতীত কেহই জান্নাতে প্রবেশ করিবে না। হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, আমি তখনই বাহির হইলাম এবং তিনবার ঘোষণা করিয়া দিলাম যে, সাবধান! ঈমানদার ব্যতীত কেহই বেহেশতে প্রবেশ করিবে না। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিয্ইয়াহ্-এর বর্ণনা
৪০৩৬। হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন তাহাকে ইয়ামন দেশের দিকে (শাসনকর্তা নিযুক্ত করিয়া) পাঠাইলেন, তখন প্রত্যেক (অমুসলিম) বালেগ ব্যক্তি হইতে এক দীনার অথবা উহার সমপরিমাণ মূল্যের মুয়াফিরী কাপড়, যাহা ইয়ামন দেশে তৈয়ার হয়, আদায় করার নির্দেশ দেন। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান