মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৩৯৫০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫০। হযরত সালামা ইবনে আকওয়া (রাঃ) বলেন, একবার আমরা নবী (ﷺ)-এর সময় হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর সঙ্গে এক অভিযানে গেলাম। অতঃপর আমরা রাত্রের বেলায়ই তাহাদের (শত্রুদের) উপর আক্রমণ করিয়া তাহাদিগকে হত্যা করিতে লাগিলাম। সেই রাত্রে আমাদের সংকেত চিহ্ন ছিল, আমিত্ আমিত্। (অর্থাৎ, হে আল্লাহ্ ! শত্রুদিগকে ধ্বংস কর, শত্রুদিগকে ধ্বংস কর।) — আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৫১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫১। হযরত কায়স ইবনে উবাদাহ্ (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ)-এর সাহাবীগণ লড়াইয়ের সময় (আল্লাহর যিকর ব্যতীত) হৈ হুল্লোড় (ও চেঁচামেচি) করাকে খুবই অপছন্দ করিতেন। – আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৫২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫২। হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যুদ্ধের ময়দানে মুশরিকদের বয়স্কদিগকে হত্যা কর, আর তাহাদের অপ্রাপ্ত বয়স্কদিগকে জীবিত রাখ। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৫৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫৩। ওরওয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত উসামা ইবনে যায়দ (রাঃ) আমাকে বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে গুরুত্ব সহকারে নির্দেশ দিলেন, উবনা নামক বস্তির উপর ভোর বেলায় অতর্কিতে আক্রমণ কর এবং (তাহাদের ঘর বাড়ী ও বাগ-বাগিচা) জ্বালাইয়া দাও। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৫৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫৪। হযরত আবু উসায়দ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বদরের যুদ্ধের দিন বলিয়াছেনঃ শত্রুরা যখন তোমাদের অতি নিকটবর্তী হইয়া যায়, তখনই তাহাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ কর এবং একেবারে সম্মুখে না আসা পর্যন্ত তলোয়ার কোষমুক্ত করিও না। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৫৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫৫। হযরত রাবাহ্ ইবনে রবী' (রাঃ) বলেন, কোন এক যুদ্ধে আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে ছিলাম। এই সময় তিনি দেখিতে পাইলেন, কোন এক ব্যাপারে লোকেরা জড়ো হইয়াছে। তিনি এক ব্যক্তিকে পাঠাইলেন এবং বলিলেনঃ দেখ তো কি কারণে উহারা জড়ো হইয়াছে? লোকটি আসিয়া বলিল; একজন মহিলা লাশের কাছে (ঐসমস্ত লোকেরা একত্রিত হইয়াছে। এই কথা শুনিয়া) হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ এই মহিলাটি তো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই, (তবুও তাহাকে কেন হত্যা করা হইল ?) এই সেনাদলের অগ্রভাগে অধিনায়ক ছিলেন হযরত খালেদ ইবনে ওয়ালীদ (রাঃ)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে এই বলিয়া পাঠাইলেন, যাও খালেদকে বলিয়া দাও; কোন মহিলা এবং কোন খাদেমকে (চাকর বাকর) যেন কতল না করা হয়। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৫৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫৬। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (মুজাহেদীনদিগকে অভিযানে প্রেরণ করিবার সময়) বলিলেনঃ আল্লাহর নামে, আল্লাহর সাহায্যে তাঁহার রাসূলের দ্বীনের উপর তোমরা রওয়ানা হও। (সাবধান!) অতি বৃদ্ধ, ছোট শিশু এবং কোন মহিলাকে হত্যা করিও না। গনীমতের মালে খেয়ানত করিও না এবং সমস্ত যুদ্ধলব্ধ মাল সম্পদকে একত্রে জমা করিবে, পরস্পর মিলিয়া মিশিয়া থাকিবে এবং সদ্ব্যবহার করিবে। কেননা, আল্লাহ্ তা'আলা সদ্ব্যবহারকারীদিগকে ভালবাসেন। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৫৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫৭। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, বদরের যুদ্ধের দিন ওতবা ইবনে রবীআ সম্মুখে অগ্রসর হইল, তাহার পশ্চাদানুসরণ করিল তাহার পুত্র (ওয়ালীদ) ও তাহার ভাই (শায়বাহ্)। অতঃপর সে ঘোষণা করিল, কে আমাদের মোকাবিলা করিবে ? এমন সময় আনসারদের কতেক নওজোয়ান তাহার আহবানে সাড়া দিয়া আগাইয়া আসিল। তখন ওতবা জিজ্ঞাসা করিল, তোমরা কে? যুবকেরা তাহাদের পরিচয় ব্যক্ত করিল। ওতবা বলিল, তোমাদের সাথে মোকাবিলা করা আমাদের প্রয়োজন নাই। আমরা তো আমাদের পিতৃব্য পুত্রদেরে চাই। (এই কথা শুনিয়া) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, হে হামযা ! তুমি যাও, হে আলী! তুমিও যাও, হে উবায়দাহ ইবনে হারেস! তুমিও যাও। অতঃপর হযরত হামযা (রাঃ) ওতবার দিকে অগ্রসর হইলেন (এবং তাহাকে হত্যা করিলেন।) আর আমি শায়বার দিকে অগ্রসর হইলাম (এবং তাহাকে হত্যা করিলাম।) আর উবায়দাহ্ ও ওয়ালীদের মধ্যে উভয় পক্ষ হইতে আক্রমণ চলিল, ফলে তাহারা উভয়েই একে অন্যকে মারাত্মকভাবে আহত করিল। (হযরত আলী [রাঃ] বলেন, এই অবস্থা দেখিয়া) আমরা তৎক্ষণাৎ ওয়ালীদের উপর আক্রমণ করিয়া তাহাকেও হত্যা করিলাম এবং উবায়দাকে উঠাইয়া নিয়া আসিলাম। – আহমদ ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৫৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫৮হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে একটি সেনাদলে পাঠাইলেন। কিন্তু আমাদের লোকজন (শত্রুর মোকাবিলায় টিকিয়া থাকিতে না পারিয়া) পলায়ন করিল এবং আমরা মদীনায় ফিরিয়া আসিয়া আত্মগোপন করিলাম। আর (মনে মনে) বলিতে লাগিলাম, আমরা ধ্বংস হইয়া গিয়াছি । অতঃপর আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খেদমতে হাযির হইয়া (গ্লানির সুরে) বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা পলায়নকারী। তিনি (সান্ত্বনাস্বরূপ) বলিলেনঃ বরং তোমরা তো প্রতিআক্রমণকারী, আর আমি তোমাদের পশ্চাৎ দলে রহিয়াছি। – তিরমিযী
আর আবু দাউদের রেওয়ায়তও অনুরূপ। (অবশ্য সেখানে হাদীসের শেষ বাক্য হইল,) তিনি বলিলেনঃ না, তোমরা পলায়নকারী নও; বরং তোমরা হইলে পুনঃ আক্রমণকারী। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা হুযূর (ﷺ)-এর সন্নিকটে যাইয়া তাঁহার হাতে চুম্বন করিলাম। তখন তিনি বলিলেন, আমিই মুসলমানদের পশ্চাতের দল (কাজেই আমার দিকে ফিরিয়া আসা পলায়ন নহে, বরং নতুন শক্তি অর্জন করিয়া পুনঃ আক্রমণের প্রস্তুতিতে গণ্য)। গ্রন্থকার বলেন, অচিরেই আমরা উমাইয়্যা ইবনে আব্দুল্লাহর বর্ণিত হাদীস, (যেই হাদীসের সূচনা হইল—) ( كان يستفتح এবং আবুদ্দারদার বর্ণিত হাদীস, (যেই হাদীসের সূচনা হইল) — ابغونى فى ضعفائكم ফকীর-গরীবদের ফযীলত অধ্যায়ে ইনশাআল্লাহ্ বর্ণনা করিব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৬০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবন্দীদের বিধিমালা
৩৯৬০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন: আল্লাহ্ তা'আলা ঐ সমস্ত লোকদের অবস্থা দেখিয়া বিস্মিত হইবেন, যাহারা শৃংখলে আব্দ্ধ হইয়া জান্নাতে প্রবেশ করিবে। আর এক রেওয়ায়তে রহিয়াছে, যাহাদেরকে শৃংখলাবদ্ধ অবস্থায় বেহেশতের দিকে টানিয়া নিয়া যাওয়া হইবে। -বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৬১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবন্দীদের বিধিমালা
৩৯৬১। হযরত সালামা ইবনে আকওয়া (রাঃ) বলেন, একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে ছিলেন। এমন সময় মুশরিকদের এক গুপ্তচর হুযূর (ছাঃ)-এর নিকটে আসিল এবং সাহাবীদের সহিত কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলিয়া চলিয়া গেল। পরক্ষণে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন লোকটিকে খোঁজ কর এবং তাহাকে কতল করিয়া দাও। (হযরত সালামা [রাঃ]) বলেন, আমিই তাহাকে হত্যা করিলাম। অতঃপর হুযুর (ছাঃ) তাহার পরিত্যক্ত সামগ্রী আমাকে দান করিলেন। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান