মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৯৪০

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪০। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোন যুদ্ধ অভিযানে যাইতেন, তখন উম্মে সুলাইম (হযরত আনাসের মাতা) ও অন্যান্য আনসারী মহিলাদিগকে সঙ্গে নিতেন। এই সমস্ত মহিলারা যুদ্ধ চলাকালীন (সিপাহীদিগকে) পানি পান করাইত এবং আহতদের সেবা-যত্ন করিত। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৯৪১

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪১। হযরত উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করিয়াছি। মুজাহেদীনগণ ময়দানে যুদ্ধে লিপ্ত থাকিতেন আর আমি তাহাদের পশ্চাতে তাঁবুতে থাকিয়া তাহাদের খানাপিনা তৈয়ার করিতাম, আহতদের ঔষধ-পথ্য এবং রোগীদের সেবা-যত্ন করিতাম। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৯৪২

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (যুদ্ধে) নারী ও শিশুদিগকে হত্যা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৯৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪৩। হযরত সা'ব ইবনে জাস্সামাহ্ (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ঐ সমস্ত মুশরিক বস্তিবাসীর বিরুদ্ধে নৈশ আক্রমণ সম্পর্কে, যাহাদের নারী এবং শিশুরাও সেই আক্রমণে আক্রান্ত হয়। তিনি উত্তরে বলিলেন : উহারাও তাহাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আরেক রেওয়ায়তে আছে, উহারা তাহাদের বাপ-দাদার অন্তর্ভুক্ত। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৯৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী নযীর গোত্রের খেজুর বাগান কাটিয়া এবং জ্বালাইয়া ফেলেন (অর্থাৎ, কাটিয়া ফেলিতে এবং জ্বালাইয়া ফেলিতে নির্দেশ দিলেন)। এই অবস্থা সম্পর্কে (ইসলামী কবি) হযরত হাসান ইবনে সাবেত (রাঃ) বলিয়াছিলেন, "বনী লুয়াই গোত্রের সম্মানিত নেতাদের নিকট বুয়াইরার সর্বত্র প্রজ্বলিত আগুন সহজ হইয়া পড়িয়াছে।” আর উক্ত ঘটনাটির দিকে ইঙ্গিত করিয়া কোরআনের এই আয়াতটি নাযিল হয়: “যেই সমস্ত খেজুর গাছ তোমরা কাটিয়া ফেলিয়াছ, কিংবা যেগুলি তাহার কাণ্ডের উপর দাঁড়ান অবস্থায় অবশিষ্ট রাখিয়াছ, তাহা তো আল্লাহর হুকুম অনুযায়ীই করিয়াছ।" (সূরা-হাশর) – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৯৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪৫। আব্দুল্লাহ ইবনে আওন হইতে বর্ণিত, হযরত নাফে' (ইবনে ওমরের আযাদ কৃত গোলাম) তাহাকে লিখিয়া জানান, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) তাহাকে বলেন, একবার নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী মুস্তালিকের উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করেন, যখন তাহারা "মুরায়সী" নামক স্থানে নিজেদের গবাদিপশুর মধ্যে গাফেল অবস্থায় ছিল। ফলে হুযূর (ছাঃ) তাহাদের মধ্যে যুদ্ধ করিতে সক্ষম লোকদিগকে হত্যা করিলেন এবং নারী ও শিশু-কিশোরদিগকে বন্দী করিলেন। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৯৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪৬। হযরত আবু উসায়দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, বদরের যুদ্ধের দিন যখন আমরা কুরাইশদের মোকাবিলায় সারিবদ্ধ অবস্থায় দাড়াইয়াছিলাম। আর তাহারাও আমাদের মোকাবিলায় সারিবদ্ধ হইয়াছিল, তখন রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদিগকে নির্দেশ দিয়াছিলেন যে, যখনই তাহারা তোমাদের খুব নিকটবর্তী হইবে, তখনই তীর নিক্ষেপ করিবে। আরেক সূত্রে বর্ণিত, যখনই তাহারা তোমাদের খুব নিকটবর্তী হইবে, তখনই তীর নিক্ষেপ করিবে এবং তোমাদের কিছু তীর সংরক্ষিত রাখিবে। (অর্থাৎ, এক সঙ্গে সব তীর ব্যবহার করিয়া নিরস্ত্র হইবে না।) বুখারী
আর হযরত সা'দ-এর বর্ণিত হাদীস هل تنصرون “ফকীরদের ফযীলত” অধ্যায়ে এবং হযরত বারা-এর বর্ণিত হাদীস রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সময় একটি দল প্রেরণ করিয়াছিলেন, “মো'জেযা”র অধ্যায়ে ইনশাআল্লাহু তা'আলা আমরা বর্ণনা করিব।
আর হযরত সা'দ-এর বর্ণিত হাদীস هل تنصرون “ফকীরদের ফযীলত” অধ্যায়ে এবং হযরত বারা-এর বর্ণিত হাদীস রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সময় একটি দল প্রেরণ করিয়াছিলেন, “মো'জেযা”র অধ্যায়ে ইনশাআল্লাহু তা'আলা আমরা বর্ণনা করিব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৯৪৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪৭। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বদরের যুদ্ধের দিন রাত্রের বেলায়ই আমাদিগকে প্রস্তুত করিয়াছেন। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৯৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪৮। হযরত মুহাল্লাব (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (খন্দকের যুদ্ধের দিন) বলিয়াছেন, যদি রাত্রির বেলায় শত্রুরা তোমাদের উপর হামলা করে, তখন তোমাদের প্রতীক ধ্বনি হইবে حم لَا ينْصرُونَ হা-মীম, লা-ইউন্ছারুন। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৯৪৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪৯। হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) বলেন, (কোন এক যুদ্ধে) মুহাজিরদের সংকেত ছিল আব্দুল্লাহ' আর আনসারদের সংকেত ছিল 'আব্দুর রহমান।' –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান