মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১৭- কিসাসের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৬ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৩৫১০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: পশুর আঘাতের উপর কোন ক্ষতিপূরণ নাই। অর্থাৎ, ঐ সমস্ত লোকদের জন্য দিয়ত (রক্তমূল্য) নাই যাহারা কোন পশুর দ্বারা আহত কিংবা নিহত হইয়াছে। খনির মধ্যেও (মৃত্যুবরণ করিলে) ক্ষতিপুরণ নাই আর কূপের মধ্যে (পতিত হইয়া মৃত্যুবরণ করিলে)-ও ক্ষতিপূরণ নাই। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫১১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১১। হযরত ইয়া'লা ইবনে উমাইয়া (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে তবুকের যুদ্ধে শরীক ছিলাম। আমার এক চালক ছিল, সে অন্য আরেক লোকের সাথে বিবাদে জড়িত হইল। ফলে একজন অন্যজনের হাত কামড়াইয়া দিল। যাহার হাত কামড়াইতেছিল, সে নিজের হাতখানা জোরপূর্বক বাহির করিয়া আনিতে দংশকারীর সম্মুখস্থ দাত দুইটি পড়িয়া গেল। তাহারা উভয়ে তাহাদের মোকদ্দমা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে পেশ করিল। কিন্তু হুযূর (ছাঃ) তাহার দাঁতের কোন দিয়ত বা রক্তমূল সাব্যস্ত করিলেন না; বরং তাহাকে ভৎসনা ও তিরস্কার করিয়া বলিলেন: তুমি কি ইহা কামনা কর যে, লোকটি তাহার নিজের হাতখানা তোমার মুখের ভিতরে রাখিয়া দিবে আর তুমি পুরুষ উষ্ট্রের মত কামড়াইতে থাকিবে? —মোস্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫১২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, আমি শুনিয়াছি, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে ব্যক্তি নিজের মাল-সম্পদ রক্ষা করিতে গিয়া নিহত হয় সে শহীদ। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫১৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, হে আল্লাহর রাসূল। যদি কোন লোক আসিয়া জোরপূর্বক আমার মাল ছিনাইয়া নিতে চায়, তখন আমি কি করিব? হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, তুমি তাহাকে তোমার মাল দিও না (বাধা দাও)। লোকটি বলিল, যদি সে আমার উপর আক্রমণ করে। হুযূর (ছাঃ) বলিলেন, তুমিও তাহার উপর পাল্টা আক্রমণ করিবে। লোকটি বলিল, যদি সে আমাকে হত্যা করিয়া ফেলে। হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, তখন তুমি হইবে শহীদ। লোকটি বলিল, যদি আমি তাহাকে হত্যা করিয়া ফেলি? হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, সে হইবে জাহান্নামী। -মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫১৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি শুনিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। যদি কেহ তোমার অনুমতি ব্যতীত তোমার ঘরের দিকে উঁকি মারে আর তুমি তাহাকে কোন কংকর কিংবা ঢিলা নিক্ষেপ কর এবং ইহাতে তুমি তাহার চক্ষু কুঁড়িয়া দাও, তজ্জন্য তোমার উপর কোন অভিযোগ নাই। (কোন ক্ষতিপূরণ বর্তাইবে না।) — মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫১৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১৫। হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরজার ছিদ্র দিয়া উকি মারিল এবং এই সময় রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে একটি শলাকা ছিল, তদ্বারা তিনি স্বীয় মাথা চুলকাইতে ছিলেন এবং তাহাকে বলিলেন: আমি যদি নিশ্চিতভাবে জানিতে পারিতাম যে, তুমি আমার দিকে তাকাইতেছ, তাহা হইলে আমি তোমার চক্ষুতে এই শলাকা দিয়া খোঁচা দিতাম। কেননা, অনুমতি গ্রহণের বিধান এই জন্য করা হইয়াছে, যাহাতে কেহ দেখিতে না পায়। —মোস্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫১৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মোগাফফাল (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা তিনি এক ব্যক্তিকে কংকর ভুঁড়িতে দেখিয়া বলিলেন, তুমি কংকর চুড়িও না। কেননা, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কংকর চুড়িতে নিষেধ করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, ইহাতে কোন শিকারও 'মরে না এবং দুশমনকেও ঘায়েল করা যায় না; বরং ইহা কখনও দাত ভাঙ্গিয়া দেয় এবং কখনও চক্ষু কুঁড়িয়া দেয়। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫১৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১৭। হযরত আবু মুসা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যদি তোমাদের কেহ তীর সঙ্গে লইয়া আমাদের মসজিদে কিংবা বাজারে গমন করে, তাহা হইলে সে যেন অবশ্যই তীরের ফলক ধরিয়া রাখে। কেননা, উহাতে কোন মুসলমানের দেহে আঘাত লাগিতে পারে। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫১৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বলিয়াছেন তোমাদের কেহ যেন তাহার ভাইয়ের প্রতি অস্ত্রের দ্বারা ইংগিত না করে। কেননা, সে জানে না, হয়তো শয়তান তাহার অস্ত্রটির দ্বারা ঐ ব্যক্তির উপর আঘাত করাইয়া দিতে পারে। ফলে সে জাহান্নামের গর্তে নিক্ষিপ্ত হইবে। -মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫১৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫১৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : যে ব্যক্তি তাহার ভাইকে লোহার অস্ত্র দ্বারা (ঠাট্টাচ্ছলে) ইংগিত করিল, উহা হাত হইতে ফেলিয়া না দেওয়া পর্যন্ত ফিরিশতা তাহাকে লা'নত করিতে থাকে। যদিও ঐ লোকটি তাহার আপন ভাই হউক না কেন। -বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫২০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫২০। হযরত ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নহে। -বুখারী, মুসলিম আরও অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন, যে আমাদের সাথে প্রতারণা করিল, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নহে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫২১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫২১। হযরত সালামা ইবনুল আকওয়া (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে আমাদের উপর তলোয়ার উত্তোলন করিল সে আমাদের দলভুক্ত নহে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫২২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫২২। হযরত হেশাম ইবনে ওরওয়া তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন যে, হেশাম ইবনে হাকীম একবার শাম দেশের অনারব গ্রাম্য চাষীদের নিকট দিয়া পথ অতিক্রম করিবার সময় দেখিলেন, রৌদ্রের মধ্যে কয়েকজন লোককে দাঁড় করাইয়া তাহাদের মাথার উপর গরম যয়তুনের তৈল ঢালা হইতেছে। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, ইহাদের সাথে এই ব্যবহার কেন করা হইতেছে ? বলা হইল, ইহারা খেরাজ (সরকারী খাজনা) দিতে অস্বীকার করিয়াছে। তাই তাহাদেরকে এই শাস্তি দেওয়া হইতেছে। তখন হেশাম বলিলেন, আমি কসম করিয়া বলিতেছি যে, আমি নিশ্চয়ই শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যাহারা মানুষদিগকে দুনিয়াতে কষ্ট দেয়, আল্লাহ্ তাআলা তাহাদিগকে আখেরাতে শাস্তি দিবেন। -মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫২৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫২৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যদি তুমি দীর্ঘায়ু লাভ কর, তাহা হইলে অচিরেই তুমি এমন এক শ্রেণীর লোক দেখিতে পাইবে, গরুর লেজের মত তাহাদের হাতের মধ্যে থাকিবে চাবুক বা দোররা। তাহাদের ভোর হইবে আল্লাহর ক্রোধের মধ্যে আর বিকাল হইবে আল্লাহর অসন্তুষ্টির মধ্যে। অন্য রেওয়ায়তে আছে, তাহাদের বিকাল হইবে আল্লাহর লা'নতের মধ্যে। মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫২৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫২৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ দুই প্রকারের লোক জাহান্নামী। অবশ্য আমি তাহাদিগকে দেখিতে পাইব না। তাহাদের এক শ্রেণী এমন লোক হইবে, যাহাদের হাতের মধ্যে থাকিবে গরুর লেজের ন্যায় দোররা। উহার দ্বারা তাহারা মানুষদিগকে মারধর করিতে থাকিবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হইবে এমন সব নারী, যাহারা কাপড় পরিধান করিয়াও উলংগ থাকে, অপরকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে এবং নিজেও অপরের দিকে আকৃষ্ট হয়। তাহাদের মাথার চুল হইবে বুখতি উটের হেলিয়া পড়া ককুদের ন্যায়। তাহারা কখনও বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না। এমন কি বেহেশতের ঘ্রাণও পাইবে না। যদিও উহার ঘ্রাণ অনেক অনেক দূর হইতে পাওয়া যাইবে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৫২৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫২৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যদি তোমাদের কেহ কোন ব্যক্তিকে মারধর করে, তবে চেহারায় যেন না মারে। কেননা, আল্লাহ্ তা'আলা হযরত আদম (আঃ)-কে তাঁহার আকৃতিতেই সৃষ্টি করিয়াছেন। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান