মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৩৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৪৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (বিশুদ্ধ আমর [রাঃ]) হইতে বর্ণিত যে, একদা তাঁহার কর্ম-তত্ত্বাবধায়ক তাহার নিকট আসিলে তিনি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি গোলাম দিগকে তাহাদের খোরাকী সরবরাহ করিয়াছ? সে বলিল, না। তখন তিনি বলিলেন, তুমি এখনই যাও এবং উহাদের খোরাকী দিয়া দাও। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়া ছেন, কোন ব্যক্তির গোনাহর জন্য ইহাই যথেষ্ট যে, সে ঐ ব্যক্তির খোরাকী আটক করিয়া রাখে যাহার খোরাকী তাহার যিম্মায় রহিয়াছে। অপর এক বর্ণনায় আছে, কোন ব্যক্তির গোনাহর জন্য ইহাই যথেষ্ট যে, যাহার খাদ্য এই ব্যক্তির যিম্মায় রহিয়াছে সে উহাকে নষ্ট করিয়া দেয়। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৪৭

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৪৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কাহারও খাদেম খানা তৈয়ার করে, অতঃপর সে উক্ত খানা তাহার মালিকের সম্মুখে উপস্থিত করে, অথচ সে আগুনের তাপ ও ধোয়ার কষ্ট সহ্য করিয়াছে, তবে যেন মালিক তাহাকে নিজের সাথে বসায় এবং নিজের সঙ্গেই খানা খাওয়ায়। কিন্তু খাদ্যের পরিমাণ যদি কম হয়, তাহা হইলে অন্তত উহা হইতে এক দুই গ্রাস খানা তাহার হাতে তুলিয়া দেয়। — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৪৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন গোলাম যখন নিজের মনিবের মঙ্গল কামনা করে এবং উত্তমরূপে আল্লাহর এবাদত করে, সে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী হইবে। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৪৯

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৪৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন সেই গোলামের জন্য কতই না সৌভাগ্যের ব্যাপার, যাহাকে আল্লাহ্ তা'আলা নিজের মনিবের খেদমত এবং আল্লাহর এবাদত করা অবস্থায় মৃত্যু দান করেন, সে কতই না ভাগ্যবান। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৫০

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫০। হযরত জারীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে দাস পলায়ন করে তাহার নামায কবুল হয় না। তাঁহার আরেক বর্ণনায় আছে, যে দাস পলায়ন করিয়াছে, তাহার উপর হইতে (ইসলামের) দায়িত্ব রহিত হইয়া গিয়াছে। তাঁহার আরেক রেওয়ায়তে আছে, যে দাস নিজের মনিবদের নিকট হইতে পালাইয়া গেল, সে প্রকৃতপক্ষে কুফরী করিল, যে পর্যন্ত না সে তাহাদের নিকট ফিরিয়া আসে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৫১

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি আবুল কাসেম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি তাহার গোলামকে কুকর্মের অপবাদ দেয়, অথচ সে তাহার আরোপিত অপবাদ হইতে মুক্ত, কিয়ামতের দিন তাহাকে (মনিবকে চাবুক মারা হইবে। অবশ্য যদি ঘটনা অনুরূপ হয় যেইরূপ সে বলিয়াছে, তখন সে (সাজা হইতে) রেহাই পাইবে। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৫২

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫২। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি তাহার গোলামকে বিনা দোষে শাস্তি দেয় অথবা তাহাকে চপেটাঘাত করে, তবে ইহার কাফ্ফারা হইল সে যেন তাহাকে আযাদ করিয়া দেয়। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৫৩

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫৩। হযরত আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) বলেন, একদা আমি আমার একটি গোলামকে প্রহার করিতেছিলাম। এই সময় আমি আমার পিছন হইতে একটি আওয়ায শুনিতে পাইলাম, সাবধান হে আবু মাসউদ। এই নিরীহ গোলামের উপর তুমি যেই পরিমাণ ক্ষমতা রাখ, আল্লাহ্ তা'আলা তোমার উপর ইহা হইতেও অধিক ক্ষমতা রাখেন। আবু মাসউদ বলেন, আমি পিছনে ফিরিতেই দেখিলাম তিনি রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সে আযাদ। তখন তিনি বলিলেন, যদি তুমি তাহা না করিতে তবে দোযখের আগুন তোমাকে জ্বালাইয়া ফেলিত অথবা বলিয়াছেন, আগুন তোমাকে স্পর্শ করিত। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৫৪

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫৪। হযরত আমর ইবনে শোআয়ব তাহার বাপ ও দাদা পরম্পরায় বর্ণনা করেন যে, তাঁহার দাদা বলিয়াছেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, হুযূর, আমার মাল আছে, আর আমার বাপ আমার মালের প্রতি মোহ্তাজ। হুযূর বলিলেন, তুমি ও তোমার মাল তোমার বাপের। জানিয়া রাখ তোমাদের সন্তানেরা তোমাদের উত্তম উপার্জন। সুতরাং তোমরা তোমাদের সন্তানদের উপার্জন খাও । —আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান