মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩১৭৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৭৩। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দুধপান হারাম করে না যাহা বোঁটা হইতে অন্ত্রে যায় তাহা ব্যতীত এবং যাহা দুধ ছাড়ানোর আগে খাওয়া হয়। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৭৪। তাবেয়ী হাজ্জাজ ইবনে হাজ্জাজ আসলামী তাঁহার বাপ হইতে বর্ণনা করেন যে, একদা তাঁহার বাপ বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! কিসে আমার দুধপানের হক আদায় করা যায়? তিনি বলিলেনঃ একটি দাস অথবা একটি দাসী মুক্ত করা হইলে। —তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৭৫। হযরত আবুততুফাইল গানাবী (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে বসিয়া আছি, এমন সময় একজন স্ত্রীলোক আসিলেন। নবী করীম (ﷺ) তাঁহার জন্য আপন চাদর বিছাইয়া দিলেন আর তিনি উহার উপর বসিয়া গেলেন। যখন তিনি চলিয়া গেলেন, লোকেরা বলিল, ইনিই নবী করীম (ﷺ)-কে দুধ পান করাইয়াছিলেন। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৭৬। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, গায়লান ইবনে সালামা সাকাফী মুসলমান হইল, আর জাহেলিয়াত যুগে তাহার দশ বিবি ছিল। তাহারা সকলেই তাহার সাথে মুসলমান হইয়া গেল। নবী করীম (ﷺ) বলিলেন, চারিটি রাখ এবং বাকী সকলকে পৃথক করিয়া দাও। – আহমদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৭৭। হযরত নওফেল ইবনে মুআবিয়া (রাঃ) বলেন, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করিলাম তখন আমার অধীনে পাঁচটি নারী ছিল। অতঃপর আমি নবী করীম (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করিলাম। তিনি বলিলেনঃ একটিকে পৃথক করিয়া দাও, আর চারিটি রাখ। সুতরাং আমি আমার সর্বপ্রথমা সহচরীকে বাছিয়া লইলাম, যে ৬০ বছর যাবৎ বাঁঝা ছিল এবং তাহাকেই পৃথক করিয়া দিলাম। —শরহে সুন্নাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৭৮। তাবেয়ী যাহ্হাক ইবনে ফায়রুয দায়লামী তাঁহার বাপ হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেন, আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি ইসলাম গ্রহণ করিয়াছি; অথচ আমার অধীনে দুই ভগিনী এক সাথে আছে। তিনি বলিলেনঃ দুইটির মধ্যে একটিকে রাখ যাহাকে চাহ। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৭৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একটি স্ত্রীলোক মুসলমান হইল এবং স্বামী গ্রহণ করিল। অতঃপর তাহার প্রথম স্বামী নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমিও মুসলমান হইয়াছি এবং আমার ইসলামের খবর আমার স্ত্রী জানে। (ইহা শুনিয়া) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাকে তাহার দ্বিতীয় স্বামী হইতে ছিনাইয়া প্রথম স্বামীকে দিলেন। অপর এক বর্ণনায় আছে— সে বলিল, আমার স্ত্রী আমার সাথেই মুসলমান হইয়াছে। সুতরাং তিনি তাহাকে তাহার নিকট ফিরাইয়া দিলেন। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১৮০

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৮০। শরহে সুন্নায় বর্ণিত আছে, নারীদের মধ্যে একদলকে নবী করীম (ﷺ) তাহাদের প্রথম বিবাহের বন্ধনে তাহাদের প্রথম স্বামীদের নিকট ফিরাইয়া দিয়াছেন, তাহাদের ধর্ম ও দেশ বিভিন্ন থাকার পর যখন উভয়ের নিকট ইসলাম পাওয়া গেল। ইহাদের মধ্যে একজন হইল ওলীদ ইবনে মুগীরার কন্যা। সে সাফওয়ান ইবনে উমাইয়ার স্ত্রী ছিল। সে মক্কা বিজয়ের তারিখে মুসলমান হইল আর তাহার স্বামী ইসলাম হইতে পালাইয়া গেল। অতঃপর তাহাকে নিরাপত্তা দানের চিহ্নস্বরূপ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চাদর মোবারকসহ তাহার চাচাত ভাই ওয়াহব ইবনে ওমায়রকে তাহার নিকট পাঠান হইল। যখন সে ফিরিয়া আসিল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে চারি মাস ঘুরিয়া বেড়াইবার অবকাশ দিলেন, অবশেষে সে মুসলমান হইয়া গেল আর তাহার স্ত্রী তাহার নিকট রহিল। ইহাদের দ্বিতীয়জন হইল হারেস ইবনে হেশামের কন্যা উম্মে হাকীম –আবু জাহলের পুত্র ইকরেমার স্ত্রী। সে মক্কা বিজয়ের তারিখে মুসলমান হয় আর তাহার স্বামী ইসলাম হইতে পালাইয়া ইয়ামনে চলিয়া যায়। অতঃপর উম্মে হাকীম তাহার নিকট ইয়ামনে যাইয়া পৌঁছে এবং তাহাকে ইসলামের দাওয়াত দেয়। ইহাতে সে মুসলমান হইয়া যায় এবং উভয়ে পূর্ব বিবাহে বহাল থাকে। মালেক হযরত ইবনে শেহাব হইতে মুরসালরূপে ইহা রেওয়ায়ত করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান