মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩১১৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১১৫। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা কখনও উলঙ্গ হইবে না! কেননা, তোমাদের সাথে (কেরামান কাতেবীন ফিরিশতাগণ রহিয়াছেন, যাঁহারা তোমাদের নিকট হইতে পৃথক হন না তোমাদের পায়খানা প্রস্রাব ও স্ত্রী সহবাসের সময় ব্যতীত, সুতরাং তাঁহাদেরকে লজ্জা করিবে এবং তা'যীম করিবে। — তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১১৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১১৬। বিবি উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা তিনি ও বিবি মায়মুনা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট ছিলেন। হঠাৎ ইবনে উম্মে মাকতুম তাঁহার নিকট আসিয়া পৌঁছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তোমরা পর্দা কর। আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, সে কি অন্ধ নহে? সে তো আমাদিগকে দেখিতেছে না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, তোমরা কি অন্ধ যে তাহাকে দেখিতেছ না? –আহমদ, তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১১৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১১৭। বাহয ইবনে হাকীম তাঁহার বাপ ও দাদা মুআবিয়া পরম্পরায় বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা বলিলেন, মুআবিয়া। তোমার বিবি ও তোমার দাসী ছাড়া অপরের নিকট হইতে তোমার আবরণীয় অঙ্গকে রক্ষা করিবে। আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! বলুন, যখন কোন ব্যক্তি একা থাকে। তিনি বলিলেনঃ তখন আল্লাহকেই অধিক লজ্জা করা উচিত। – তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১১৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১১৮। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ (খোদার কসম ) কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে একা হইলেই শয়তান আসিয়া তাহাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয় (এবং তাহাদেরকে বিপথগামী করিতে চেষ্টা করে)। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১১৯

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১১৯। হযরত জাবের (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যাহাদের স্বামী উপস্থিত নাই তাহাদের নিকট যাইও না। কেননা, শয়তান তোমাদের প্রত্যেকের ভিতর রক্তের ন্যায় বিচরণ করে। আমরা বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আপনার মধ্যেও কি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, আমার মধ্যেও, তবে আল্লাহ্ আমাকে সাহায্য করেন তাই আমি উহা হইতে রক্ষা পাই। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১২০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
৩১২০। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, একদা নবী করীম (ﷺ) বিবি ফাতেমার নিকট একটা দাস লইয়া গেলেন, যাহা তিনি তাঁহাকে দান করিয়াছিলেন, আর তখন ফাতেমার গায়ে ছিল এমন একটা কাপড়, যাহা দ্বারা মাথা ঢাকিলে তাহা পা পর্যন্ত পৌঁছিত না এবং পা ঢাকিলে মাথা পর্যন্ত পৌঁছিত না। যখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাঁহাকে এইরূপ অসুবিধা বোধ করিতে দেখিলেন, বলিলেনঃ কিছুই না মা, এখানে তো তোমার বাপ ও তোমার দাসই। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১২৬

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের ওয়ালী (অভিভাবক) এবং নারীর অনুমতি গ্রহণ প্রসঙ্গে
৩১২৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন বালেগা বিবাহিতা নারীকে বিবাহ দেওয়া যাইবে না যাবৎ না তাহার স্পষ্ট অনুমতি লওয়া হয়। এইরূপে বালেগা কুমারীকেও বিবাহ দেওয়া যাইবে না যাবৎ না তাহার অনুমতি গ্রহণ করা হয়। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তাহার অনুমতি কিরূপে বুঝা যাইবে ? (সে তো কথা বলিবে না।) তিনি বলিলেন: চুপ থাকাই তাহার অনুমতি। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩১২৭

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের ওয়ালী (অভিভাবক) এবং নারীর অনুমতি গ্রহণ প্রসঙ্গে
৩১২৭। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: বালেগা বিবাহিতা নারী নিজের ব্যাপারে তাহার ওলী অপেক্ষা অধিক হকদার। বালেগা কুমারী হইতে তাহার বিষয়ে তাহার নিজের মত গ্রহণ করা আবশ্যক। তাহার মত দেওয়া হইল তাহার চুপ থাকা। অপর এক বর্ণনায় সামান্য শাব্দিক বেশ কমের সাথে এই কথা রহিয়াছে। আর এক বর্ণনায় আছে, বালেগা বিবাহিতা নারী নিজের ব্যাপারে তাহার ওলী অপেক্ষা অধিক হকদার। বালেগা কুমারীর ব্যাপারে তাহার বাপ তাহার অনুমতি লইবে। তাহার অনুমতি হইল তাহার মৌনতা। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান